আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

করোনার নতুন ঢেউয়ে সংক্রমণ বাড়ছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রায় তিন মাস নিম্নমুখী ছিল। চলতি মাসের প্রথম থেকে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। সর্বশেষ গত এক সপ্তাহে শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যাও আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে কয়েক গুণ। শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যায় আবারো ঊর্ধ্বগতিকে সংক্রমণের নতুন ঢেউ বা পর্যায় হিসেবে দেখছেন রোগতত্ত্ব ও ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, করোনার নতুন ধরন বা উপধরনগুলো সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বৃদ্ধির জন্য দায়ী। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে নতুন কোনো ধরন শনাক্ত করা যায়নি। তবে বেশি করে নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করলে হয়তো নতুন ধরন শনাক্তের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে চলমান পরিস্থিতি আরো অবনতিরও শঙ্কা রয়েছে।

গত চার এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কয়েকশ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এ সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, গত ৩০ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত সারা দেশে ২১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। আগের সপ্তাহের তুলনায় শনাক্তের হার তখন ঊর্ধ্বমুখী ছিল না। এ সপ্তাহে একজনের মৃত্যু হলেও মৃত্যুর হার পূর্ববর্তী এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহের তুলনায় নিম্নমুখী ছিল। তবে পরবর্তী সময়ে ৬ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার বাড়তে থাকে। এ সময়ে ৪৫৮ জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হলে আগের সপ্তাহের তুলনায় তা ১১৮ শতাংশ বেশি হয়। ১৩ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ২ হাজার ২১২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় শনাক্তের হার সপ্তাহের ব্যবধানে ৩৮৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এ দুই সপ্তাহের মধ্যে কারো মৃত্যু হয়নি। সর্বশেষ ২০ থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত সাতদিনে কভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছে ৮ হাজার ৮৪৬ জন। তাতে সপ্তাহের ব্যবধানে শনাক্তের হার দাঁড়ায় ২৯৯ শতাংশে।

গত সপ্তাহে নয়জনের মৃত্যু হওয়ায় মৃত্যুর হার পূর্ববর্তী সপ্তাহের তুলনায় ৯০০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। গত চার এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে ক্রমান্বয়ে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ সপ্তাহে আগের সপ্তাহের তুলনায় ৫৩ শতাংশ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হয়। এতে সর্বশেষ সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৬৬ হাজার ৭৫৮টি। যদিও একইভাবে গত সপ্তাহে বেড়েছে সুস্থতার হার।

বর্তমান সংক্রমণ পরিস্থিতিকে দেশে করোনার পঞ্চম ঢেউ বা পর্যায় বলে মন্তব্য করেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুশতাক হোসেন।  তিনি বলেন, আমার মতে গত ফেব্রুয়ারিতে ওমিক্রনের সংক্রমণ ছিল চতুর্থ পর্যায়ের সংক্রমণ। ২০২০ সালের শুরুতে করোনার প্রথম ঢেউ শুরু হয়। এরপর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আলফা ভ্যারিয়েন্ট দিয়ে শুরু হয়ে মার্চে করোনার বিটা ধরন দিয়ে দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হয়। একই বছরে এপ্রিলে (ঈদের পরে) গ্রাম থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ল ডেল্টা ধরনের সংক্রমণ। সেটা ছিল তৃতীয় ঢেউ, যা আগস্ট পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। অনেকেই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে আগস্ট পর্যন্তকে বলে দ্বিতীয় ঢেউ। কিন্তু আমি বলি এ সময়ে দুটি ঢেউ ছিল। চতুর্থ ঢেউ হচ্ছে ওমিক্রন ধরনের সংক্রমণ, যা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে মার্চ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। আর এখন হচ্ছে পঞ্চম ঢেউ।

সব ভাইরাসের আচরণ এক নয় উল্লেখ করে এ রোগতত্ত্ববিদ বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা নিলে বা আক্রান্ত হলে এর কোনো স্থায়ী প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে উঠছে না। যেসব দেশ খুব কড়াকড়িভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সেসব দেশে অন্তত ছয় মাস পরপর ঢেউ আসে। আর বাংলাদেশের মতো যারা স্বাস্থ্যবিধি মানে না তাদের ক্ষেত্রে তিন বা আড়াই মাস পরপর আসে। কোভিড-১৯-এর ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সংক্রমিত হলে প্রাকৃতিকভাবে যে ইমিউনিটি হয় সেটা তিন থেকে ছয় মাস স্থায়ী হচ্ছে। টিকা নিলেও তা তিন থেকে চার মাস আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচাচ্ছে। তবে যারা আগে টিকা নিয়েছে বা আক্রান্ত হয়েছে তারা গুরুতর অবস্থা থেকে রেহাই পাচ্ছে। কিন্তু যারা টিকা নেয়নি কিংবা টিকা নিলেও দীঘমেয়াদি জটিল রোগে আক্রান্তরা করোনা হলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

সরকারের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৩ হাজার ৪৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে ২ হাজার ৮৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সংক্রমণ বাড়ার মধ্যে টানা দ্বিতীয় দিন দুই হাজারের বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৬৯ হাজার ৩৬১। গতকাল সর্বশেষ আরো তিনজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৯ হাজার ১৪৫। করোনাভাইরাসের ওমিক্রনের সংক্রমণ দেশে কিছুটা কমে এলে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে আসে। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৬ মার্চ দৈনিক শনাক্ত কমে একশর নিচে দাঁড়ায়। মে মাসের শুরুতে দৈনিক নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১ শতাংশের নিচে নেমে আসে। তবে ওই মাসের শেষের দিকে শনাক্তের সংখ্যা ফের বাড়তে শুরু করে। এতে ১১ সপ্তাহ পর গত ১২ জুন দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা ১০০ অতিক্রম করে। আর গত সোমবার এ সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে যায়। মঙ্গলবার দৈনিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শতকরা শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। সর্বশেষ আরো ২০০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে ওঠায় মোট সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৭ হাজার ৬৭।

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি ১২৬টি হাসপাতালে ১২ হাজার ৯৮৮টি সাধারণ শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে ভর্তি রয়েছে ৩৬১ জন করোনা রোগী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. আবু জামিল ফয়সাল  বলেন, বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি মোটেও মানা হচ্ছে না। সংক্রমণের তীব্রতা কম তাই মানুষ পরীক্ষাও করে না। এতে আক্রান্ত মানুষটি অন্যদের মাঝে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। গত ঢেউগুলোতেও পরীক্ষা করার সংখ্যাটা খুব বেশি না থাকলেও এখনকার থেকে অনেক বেশি ছিল। আগের ঢেউগুলোয় আক্রান্ত ব্যক্তিরা কিছুটা হলেও আইসোলেশনে থাকত। স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে এ জনস্বাস্থ্যবিদ বলেন, বর্তমানে এক-দুজন করে মৃত্যু হচ্ছে, হঠাৎ করে এটা বেড়েও যেতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন ডায়াবেটিস, কিডনি, ক্যান্সার, উচ্চরক্তচাপে ভোগা ব্যক্তি ও বয়োবৃদ্ধরা আক্রান্ত বেশি হলে মৃত্যু প্রভাবিত হবে। এখনো বহু ব্যক্তি বুস্টার ডোজ টিকা নেয়ার বাইরে রয়ে গেছেন।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে ছয়টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ নির্দেশনায় বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করতে সব গণমাধ্যমে অনুরোধ জানাতে হবে। সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, নো মাস্ক নো সার্ভিস নীতি প্রয়োগ করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম যথাসম্ভব বর্জন করতে হবে। ধর্মীয় প্রার্থনার স্থানগুলোয় (যেমন মসজিদ, মন্দির, গির্জা ইত্যাদি) মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়া  জ্বর, সর্দি, কাশি বা কোভিড-১৯-এর উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। দোকান, শপিং মল, বাজার, ক্রেতা-বিক্রেতা, হোটেল-রেস্টুরেন্ট সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করতে হবে। অন্যথায় তাকে আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন ও মাস্ক পরিধানের বিষয়ে সব মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় ইমামরা সংশ্লিষ্টদের সচেতন করবেন।

করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউ বা পর্যায় শুরু হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন  বলেন, বলা হচ্ছে চতুর্থ বা পঞ্চম ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি তো সরকারিভাবে বলার কিছু নয়। আমাদের দেশে ৮০ শতাংশ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হয়েছে। তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ দেয়া যায়নি প্রায় একই সংখ্যক মানুষকে। তৃতীয় ডোজ দিলেও যে সংক্রমণ কমবে তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। অনেক দেশে চতুর্থ ডোজ দেয়ার পরও সংক্রমণ কমানো যায়নি। সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই। অনেক দেশে ঘোষণা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি শিথিল করা হয়েছে, তবে আমাদের দেশে এমন কিছুই করা হয়নি। তবুও মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা নেই বললেই চলে। উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী প্রথম শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এরপর মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে প্রথম মৃত্যুর কথা জানায় সরকার।

নিউজ ট্যাগ: করোনাভাইরাস

আরও খবর



দুবাইয়ে ধনকুবেরদের গোপন সম্পদ, তালিকায় ৩৯৪ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিলাসবহুল জীবনযাপনের শহর দুবাই। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার মানুষের বিপুল পরিমাণ গোপন সম্পদের পাহাড় গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে পলাতক ব্যক্তি, অর্থপাচারকারী এবং অপরাধীরা সেখানে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। এসব সম্পদের তথ্য উঠে এসেছে বৈশ্বিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্রকল্প দুবাই আনলকড-এ। এই তালিকায় রয়েছেন ৩৯৪ বাংলাদেশি।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) ও নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই-টোয়েন্টিফোরের নেতৃত্বে এই অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এতে ৫৮টি দেশের ৭৪টি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা দীর্ঘ ৬ মাস ধরে অনুসন্ধান চালিয়েছেন।

মঙ্গলবার দুবাই আনলকড শিরোনামে প্রতিবেদনটি নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে ওসিসিআরপি। সেখানে উঠে এসেছে, কীভাবে দুবাই সারা বিশ্বের ধনীদের জন্য শীর্ষ পছন্দের শহর হয়ে উঠেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, শহরটিতে ১২.৫ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পদ গড়েছেন কিছু পাকিস্তানি নাগরিক। দেশটির রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারির তিন সন্তান, প্রয়াত জেনারেল পারভেজ মোশাররফ, এমনকি পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার ছেলের মতো লোকেরা এই তালিকায় রয়েছেন। ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। আর্থিক সাহায্যের দাবিতে দৌড়াদৌড়ি চলছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তাদের রাজনীতিবিদ এবং সামরিক নেতাদের নগদ অর্থের সংকট নেই।

তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া নথিতে ১৭ হাজার পাকিস্তানি নাগরিক দুইবাইয়ে তালিকাভুক্ত সম্পদের মালিক। শহরটিতে আবাসিক সম্পত্তির পাকিস্তানি মালিকের প্রকৃত সংখ্যা ২২ হাজার। এটি পাকিস্তানের এমন পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে- যখন দরিদ্ররা আকাশচুম্বী মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, ধনীরা অভিনব অ্যাপার্টমেন্টগুলো নিয়ে উচ্চ জীবন উপভোগ করছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, দুবাই বর্তমানে ধনীদের পছন্দের শীর্ষে পরিণত হয়েছে। অপরাধী, পলাতক ব্যক্তি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বৈধ ব্যক্তিরাও সেখানে অর্থ লুকিয়ে রাখতে চাইছে। প্রকৃতপক্ষে দুবাইয়ের এসব মালিকদের অনেকেই অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং মাদক সম্রাট।

উদাহরণস্বরূপ, প্রাক্তন আফগান সরকারি কর্মকর্তা এবং অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী আসাদুল্লাহ খালিদ দুবাইকে বাড়ি বানিয়েছেন। তাছাড়া বাশার আল-আসাদের চাচাতো ভাই রামি মাখলুফ ও তার ভাই ইহাবও সেখানে সম্পত্তির মালিক। উরুগুয়ের গ্যাং স্টার সেবাস্তিয়ান মার্সেত, যাকে দক্ষিণ আমেরিকাজুড়ে মাদক পাচারের জন্য খোঁজা হচ্ছে- তিনিও দুবাইয়ে বাড়ির মালিক।

এছাড়া মাদক পাচারের অভিযোগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা ৩২ বছর বয়সী জোসেফ জোহানেস লিজডেকার্স, যিনি 'নিটোল জোস' নামেও পরিচিত- তারও দুবাইয়ে কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জের গ্র্যান্ডিউর রেসিডেন্সে একটি বাড়ি রয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুবাইয়ে আবাসিক সম্পত্তির হওয়ার দিক দিয়ে ভারতীয়রা তালিকার শীর্ষে রয়েছে। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পাকিস্তানিরা। এই তালিকায় রাজনীতিবিদ, সামরিক নেতা থেকে শুরু করে আমলারাও রয়েছেন।

দুবাইয়ে গোপন সম্পদের বিষয়ে ফাঁস হওয়া তথ্যে ৩৯৪ বাংলাদেশির তালিকা থাকলেও তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। রিপোর্ট বলছে, শহরে গোপনে সম্পদ গড়েছেন অন্তত ৩৯৪ জন বাংলাদেশি। বাংলাদেশিদের মালিকানায় রয়েছে ৬৪১টি সম্পত্তি। বাংলাদেশিদের মালিকানায় থাকা এসব সম্পত্তির মূল্য ২২ কোটি ৫৩ লাখ ডলারেরও বেশি।

দুবাইয়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনকুবের ও তাদের সম্পদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়- ভারতের মুকেশ আম্বানির রয়েছে ১১ হাজার ২০ কোটি ডলারের সম্পদ, ভারতের এম এ ইউসুফ আলী ও তার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৭৮০ কোটি ডলার, ভারতের শামশীর ভায়ালিলের রয়েছে ৩৫০ কোটি ডলারের সম্পদ, ওমানের সুহাইল বাহওয়ানের আছে ১৯০ কোটি ডলারের সম্পদ, রাশিয়ার আন্দ্রেই মলচানভ ও তার পরিবারের ১৩০ কোটি ডলারের সম্পদ, সাইপ্রাসের বিনোদ আদানির ২ হাজার ২২০ কোটি ডলারের সম্পদ, কানাডার চ্যাংপেং ঝাওয়ের ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের সম্পদ, যুক্তরাজ্যের সকেট বর্মনের ১৫০ কোটি ডলারের সম্পদ, সাইপ্রাসের নাগরিক ইগোর মাকারোভের ২১০ কোটি ডলারের সম্পদ এবং মিসরের নাগরিক নগিব সাবিরিস ও তার পরিবারের ৩৮০ কোটি ডলার পরিমাণ সম্পদ রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ধনকুব দুবাই

আরও খবর



আস্থার জায়গা পুনর্নির্মাণ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: ডোনাল্ড লু

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বুধবার (১৫ মে) সাড়ে ৩টায় বৈঠক শুরু হয়।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ডোনাল্ড লু। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে আস্থার জায়গা পুনর্নির্মাণ করতে চাই। একই সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চাই। নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে চাই।

চলমান বাংলাদেশ সফর নিয়ে ডোনাল্ড লু বলেন, আমি গত দুইদিন ধরে বাংলাদেশ সফর করছি। এই সফরের মূল উদ্দেশ্য দুই দেশের মানুষের মধ্যে বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করা। গত বছর আমরা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা দেখেছি।

যুক্তরাষ্ট্রের এ সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখানে অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমাদের ভেতর যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল তা খুবই সাধারণ বিষয়। সম্পর্কে এমনটা হয়েই থাকে। আমরা সামনের দিকে এগোতে চাই, পেছনে তাকাতে চাই না।

তিনি বলেন, আমাদের সম্পর্ক কীভাবে আরও জোরদার করা যায় সেই পথই খুঁজছি আমরা। আমাদের সম্পর্কের কঠিন বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আগে কাজ করতে চাই। বেশ কিছু কঠিন ইস্যু আমাদের সামনে রয়েছে। র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা, শ্রম পরিবেশ সংস্কার, মানবাধিকার ইস্যু, ব্যবসায়িক পরিবেশ সংস্কারের মতো ইস্যু রয়েছে আমাদের সম্পর্কে। এই কঠিন বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে আমরা আসলে আমাদের সম্পর্কে ইতিবাচক ইস্যুগুলোর দিকে তাকাতে চাই।

ডোনাল্ড লু বলেন, আমরা নতুন বিনিয়োগের কথা বলছি। আমরা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার সুযোগের কথা বলেছি।


আরও খবর



ব্যাংকঋণের সুদহার ১৪ শতাংশের বেশি হবে না: বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ব্যাংক ঋণের সুদ ১৪ শতাংশের বেশি হবে না বলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) নেতাদের আশ্বস্ত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তবে ব্যবসায়ী সংগঠনটির মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বারবার নীতি পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দেশের অর্থনীতি নিয়ে গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা শেষে এসব কথা জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।

এ সময় অন্যদের মধ্যে এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন, বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি, বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরীসহ শীর্ষ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, হঠাৎ করেই ডলারের দাম ৭ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আমরা গভর্নরকে বলেছি এটি যেন ১১৭ টাকায় থাকে। তিনি আমাদের এক টাকা কম অথবা বেশির মধ্যে রাখার কথা বলেছেন। ডলার নিয়ে এখনো সমস্যা আছে। আমরা এলসি করার সময়ও একই রেট থাকার কথা বলেছি। গভর্নর আমাদের বলেছেন ডলার সংকট রয়েছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সংকট পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

সুদহার বিষয়ে মাহবুবুল আলম বলেন, ডলারের মতো সুদহার বাজারের ওপরে ছেড়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন যে সুদের হার আছে তাতে ১৪ শতাংশের ওপরে উঠবে না বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ, এর মধ্যেই আটকে দেবে সুদহার। তবে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণে খরচ ৬ থেকে ৮ শতাংশ হলে সুদের হার ১২ শতাংশের ওপরে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

ডলার রেটের কারণে একক গ্রাহক ঋণসীমা হঠাৎ বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডলারের দাম একবারে বেশি হওয়ায় ঋণও বেড়েছে। সেই সঙ্গে ডলারের দাম একসঙ্গে ৭ টাকা বাড়ার কারণে যে পরিমাণ ঋণ বেড়েছে সে পরিমাণ টাকার দীর্ঘমেয়াদি ঋণের আবেদন করেছেন ব্যবসায়ীরা। এখানে বিশেষ বিবেচনায় ছাড় দেয়ার কথা জানিয়েছেন গভর্নর।

তিনি বলেন, বারবার নীতি পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আমরা গভর্নরকে অনুরোধ করেছি পলিসিটা যেন দীর্ঘমেয়াদি নেয়া হয়। কারণ, কেউ একটা প্রজেক্ট করার পরই যখন দর বাড়বে তাকে ক্ষতি মেনে নিতেই হবে। এখানে আমাদের ব্যবসায় পলিসিতেও হ্যাম্পার হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যেন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হন, তেমন ব্যবস্থা ভবিষ্যতে নেয়া হবে। আমি মনে করি দেশের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সঙ্গে সুদহারের কোনো সম্পর্ক নেই।

প্রসঙ্গত, গত ৮ মে ব্যাংক ঋণের সুদহার নির্ধারণ পদ্ধতি সিক্স মান্থ মুভিং অ্যাভারেজ রেট (স্মার্ট) প্রত্যাহার করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই নির্দেশনার ফলে এখন থেকে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হবে।

নিউজ ট্যাগ: বাংলাদেশ ব্যাংক

আরও খবর



মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)র প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে ড্রাইভার্স টেকনিক্যাল কোম্পানী লিমিটেড এর ৩৬ জন নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ তাজুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, বিআরটিসি। আরো উপস্থিত ছিলেন বিআরটিসির উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার সদস্যগণ, ToT এর প্রশিক্ষণার্থীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।

স্বাগত বক্তব্যে মোঃ মশিউজ্জামান, ইউনিট প্রধান, বিআরটিসি কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, গাজীপুর বলেন, চেয়ারম্যান মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও দূরদর্শী চিন্তার ফসল আমাদের বর্তমান স্মার্ট বিআরটিসি। ToT  প্রশিক্ষণার্থীদের  এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মদক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। প্রকৌশলী ফাতেমা বেগম (জিএম, আইসিডব্লিউএস ও প্রশিক্ষণ) বলেন, বিআরটিসি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এ ToT  প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে সক্ষম  হয়েছে। উন্মুক্ত আলোচনায় একজন নারী ToT  প্রশিক্ষণার্থী বলেন, বিআরটিসি থেকে প্রশিক্ষণ  নিতে পেরে আমরা গর্বিত।

পরিচালক (কারিগরি) কর্নেল মোহাম্মদ মোবারক হোসেন মজুমদার, পিএসসি বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ToT প্রশিক্ষণার্থীগণ যোগ্যতা ও নৈপুণ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে দক্ষতার সাথে কার্য সম্পাদন করতে পারবে। পরিচালক (অর্থ, হিসাব ও অপারেশন) ড. অনুপম সাহা বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ToT প্রশিক্ষণার্থীরা আরও দক্ষ হয়ে উঠবে এবং বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে পারবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ তাজুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, বিআরটিসি বলেন, বিভিন্ন কাজ সঠিকভাবে সম্পাদন বিষয়ে শিক্ষণ দেওয়াই হলো প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ হলো সাফল্যের চাবিকাঠি। যার মাধ্যমে ToT প্রশিক্ষণার্থীগণ কার্য সম্পাদন বিষয়ে বাস্তব জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে এবং দক্ষ চালক তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারবে।


আরও খবর



শূন্য রানে ৭ উইকেট, অভিষেকেই বিশ্বরেকর্ড রোহমালিয়ার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

মেয়েদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অবিশ্বাস্য এক বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ইন্দোনেশিয়ার অফ-স্পিনার রোহমালিয়া। ৩ দশমিক ২ ওভারে শূন্য রানে ৭ উইকেট নিয়ে এই বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন রোহমালিয়া।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বালিতে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে এই কীর্তি গড়েন ১৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইন্দোনেশিয়া অধিনায়ক নি ওয়ান সারিয়ানি। এরপর নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানের পুঁজি দাঁড় করায় স্বাগতিকরা। ৪৪ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায় দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন ওপেনার সাকারিনি। অন্যদিকে মঙ্গোলিয়ার হয়ে ২৯ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৪ ‍উইকেট শিকার করেন এনখজুল।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রোহমালিয়ার বোলিং তোপে ১৬ দশমিক ২ ওভারে মাত্র ২৪ রানেই গুটিয়ে যায় মঙ্গোলিয়া। ৩ দশমিক ২ ওভারে কোনো রান না দিয়েই ৭ উইকেট নেন ডানহাতি এই অফস্পিনার।

মেয়েদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ নিয়ে তৃতীয়বার ৭ উইকেট নেওয়ার ঘটনা দেখা গেল। আগের রেকর্ডটি ছিল নেদারল্যান্ডসের ফ্রেডেরিক ওভারডাইক ও আর্জেন্টিনার অ্যালিসন স্টকসের। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইউরোপ বাছাইপর্বে ৩ রানে ওভারডাইক ৭ উইকেট এবং ২০২২ সালে পেরুর বিপক্ষে ৩ রানে ৭ উইকেট নেন অ্যালিসন।


আরও খবর