আজঃ শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪
শিরোনাম

করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ৪৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে ৪৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৯৬ জনে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৪ হাজার ৯৮১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয় ৪৭৬ নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৯ দশমিক ০৩ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।


আরও খবর



কুতুবদিয়ার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জন্ম-নিবন্ধন জালিয়াতির মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের পরান সিকদার পাড়া এলাকার ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর জন্ম-নিবন্ধন জালিয়াতি করে বাল্যবিয়ে দেয়া হয়। এই অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২১ মে) কুতুবদিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আফরোজা নাজমিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন- কৈয়ারবিল ঘিলাছড়ি এলাকার মো. ইদ্রিচের ছেলে মিজানুর রহমান সাগর (২৩), ইউপি মহিলা সদস্য হাসিনা আকতার (৪৫), মৃত আবু ছিদ্দিকের ছেলে মো. ইদ্রিচ (৫৫), কৈয়ারবিল ইউপি সচিব ইমাম মুসলিম (৪৮), পেকুয়া চাঁকমার ডুরী এলাকার ছৈয়দ নুর এর ছেলে আবুল হোছাইন (৪০), কাজী ওয়াহিদুর রহমান (৪৫)।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর রহমান সাগর (২৩) ও তার বাবা মো ইদ্রিচ মিলে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসফিকুল আজিম নৌরিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন অপহরণ মামলা করায় ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে মেয়েটির বয়স ১৮ বৎসর পূর্ণ না হওয়ায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে প্রকৃত জন্ম নিবন্ধন গোপন করে পিতা-মাতার নামের জায়গায় ভুল নাম দিয়ে ভুয়া জন্ম-নিবন্ধন তৈরি করে দেন কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবর ও সচিব ইমাম মুসলিম। পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে পেকুয়া উপজেলার শিলখালী কাজী অফিসে বিবাহ মাধ্যমে কাবিননামা সম্পন্ন করে রাখেন।

এদিকে বাদীপক্ষের অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ জানান, অপহরণের পর কৈয়ারবিল এলাকার স্কুল পড়ুয়া তাসফিকুল আজিম নৌরিনকে জন্ম নিবন্ধন জালিয়াতি মাধ্যমে কাবিননামা সম্পন্ন করায় কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। আদালত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ট্রিট ফর এফআইআর হিসেবে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



ঘুমের মধ্যে দম আটকে যাওয়া কীসের লক্ষণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে রাতে একটু ঘুমাতে গেলেন, কিন্তু দম আটকে যাওয়ার কারণে আচমকাই জেগে উঠতে হয়। এই সমস্যা অনেকের হয়ে থাকে। কিংবা রাতে লম্বা ঘুম দেয়ার পর বিকেল নামতেই ঝিমুনি। এই সমস্যাগুলো দেখা দিলে হেলাফেলা করা যাবে না। এগুলো স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ। স্লিপ অ্যাপনিয়ার প্রভাবে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বিস্তারিত বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে স্লিপ অ্যাপনিয়া নিয়ে।

স্লিপ অ্যাপনিয়া: স্লিপ অ্যাপনিয়ায় হচ্ছে ঘুমানোর সময় শ্বাসনালি কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া। শ্বাসনালি যতক্ষণ বন্ধ থাকে, রোগী নিশ্বাস নিতে পারেন না। এতে বাইরে থেকে বাতাসের মাধ্যমে অক্সিজেন শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। এতে মস্তিষ্ক, হার্ট বা অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দিনের পর দিন কিছু সময়ের জন্য অক্সিজেনের ঘাটতির ফলে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। যার প্রভাবে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সচল রাখতে অক্সিজেন খাদ্যের মতো কাজ করে। যখন অক্সিজেনের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, তখন মস্তিষ্ক সিগন্যাল দিয়ে রোগীকে জাগিয়ে তোলে, যেন তিনি নিশ্বাস নেন এবং তখন সংকুচিত শ্বাসনালি খুলে যায়। এভাবে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত রোগী বার বার জেগে ওঠেন। বার বার ঘুম ভাঙার কারণে তারা ক্লান্ত থাকেন, ফলে দিনের বেলায় ঝিমুতে থাকেন।

লক্ষণ: জাতীয় নাক কান গলা ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ স্লিপ অ্যাপনিয়ার এমন কিছু লক্ষণের কথা জানিয়েছেন।

স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি অস্বাভাবিক নাক ডাকেন। দেখা যায়, তারা কখনো খুব জোড়ে ডাকছেন, আবার থেমে যাচ্ছে, তারপর আবার ভিন্ন স্বরে নাক ডাকছেন।

প্রায় সময় ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অনুভূতি হয়। বিশেষ করে চিত হয়ে ঘুমানোর সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। ঘুমের মধ্যে ঝাঁকুনি দিয়ে জেগে ওঠেন এবং কিছু সময়ের জন্য হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়।

অনেক সময় ঘুমানোর পরও ক্লান্ত লাগে, কাজ করতে গিয়ে বা গাড়ি চালাতে গিয়ে হুট করে ঘুমিয়ে পড়েন।

মেজাজ খিটখিটে থাকে। কারও সাথে কথা বলতে ভালো লাগে না, অবসাদগ্রস্ত লাগে। কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না।

ওষুধ খেয়েও রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকছে না।

করণীয়: প্রাথমিক পর্যায়ের স্লিপ অ্যাপনিয়া ধরা পড়লে সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিন্তু দীর্ঘদিনেও চিকিৎসা না করলে সমস্যা জটিল আকার নিতে পারে। এতে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা ও ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যাবে; যার প্রভাবে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা খুব বেশি হলে চিকিৎসক রোগীকে কন্টিনিউয়াস পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেশার বা সি প্যাপ নামে একটি যন্ত্রের সাহায্য নিতে বলেন। এই যন্ত্রটি অনেকটা বক্সের মতো এবং এর সঙ্গে মোটা পাইপের সংযোগ দিয়ে একটি মাস্ক বসানো থাকে। রোগীকে প্রতিবার ঘুমের সময় এই মাস্কটি পরতে হয়। এই যন্ত্রটি মূলত ঘুমের মধ্যে রোগীর শ্বাসনালি খোলা রাখতে সাহায্য করে এবং অক্সিজেনের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখে। ফলে শরীরের অঙ্গগুলোকে আর অক্সিজেনের ঘাটতিতে ভুগতে হয় না। এতে অনেক জটিল রোগের নিরাময় সম্ভব হয়।

তবে যারা সি-প্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না, তাদেরকে বিকল্প চিকিৎসা নিতে হয়। যেমন, গলার টনসিল বা নাকের পেশি বড় হয়ে গেলে তা অপারেশন করা। ম্যান্ডিবুলার অ্যাডভান্সমেন্ট ডিভাইস-ম্যাড ব্যবহার। এটি মুখের নীচের চোয়ালকে সামনে এগিয়ে রাখতে দাঁতের চারপাশে বসানো এক ধরনের যন্ত্র, যা শ্বাসনালি খোলা রাখতে সাহায্য করে।

লেজার অপারেশনের মাধ্যমে শ্বাসনালীর পরিধি বড় করাও একটি প্রক্রিয়া। এছাড়া জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলেও স্লিপ অ্যাপনিয়া অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। যেমন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, সুষম খাদ্যাভ্যাস, ডায়াবেটিস/রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান ও মদপান পরিহার, কাত হয়ে ঘুমানো।

নিউজ ট্যাগ: স্লিপ অ্যাপনিয়া

আরও খবর



কাঁচামরিচের ডাবল সেঞ্চুরি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

এক সপ্তাহ আগেও বাজারে কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হতো। সপ্তাহের ব্যবধানে সেটির দাম বেড়ে এখন ২০০ টাকা পৌঁছেছে। কোথাও কোথাও দাম ২২০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।

শুক্রবার (২৪ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব বাজারেই কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, তবে যে সব মরিচের মান কিছুটা ভালো সেই দুই এক জাতের মরিচ ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আসন্ন ঈদুল আজহার বাকি প্রায় এক মাস। এর আগেই বাজারে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে গিয়ে ২০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। গতবার (২০২৩) ঠিক এই সময়ে ঈদুল আজহার আগে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে ৭০০ টাকায় ঠেকেছিল। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই সময়ে দেশে কাঁচামরিচের কিছুটা ঘাটতি থাকে, সে কারণে দাম বেড়ে যায়। তখন আমদানি করে কাঁচামরিচের ঘাটতি মেটানো হয়।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিছুদিনের বৃষ্টির কারণে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে। কারণ দেশের মরিচ গাছগুলো বৃষ্টি হলেই পচে যায়। এছাড়া কিছুদিনের তীব্র গরমে মরিচ গাছগুলো আগেভাগেই নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে মরিচের মৌসুম শেষ হয়ে আশায় গাছগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ আগের তুলনায় কম হচ্ছে, ফলে দাম বেড়েছে।

রাজধানীর মালিবাগের একটি কাঁচাবাজারের খুচরা কাঁচামরিচ বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগেই কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করেছি। তারপর থেকেই কাঁচামরিচের দাম বেড়ে গেছে, এখন প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি করছি ২০০ টাকায়। যদিও এই কাঁচামরিচের মান খুব ভালো না, তবুও পাইকারি বাজার থেকে এই মরিচ বাড়তি দাম দিয়েই কিনে আনতে হয়েছে। পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচ খুব কম পাওয়া যাচ্ছে, আগের মতো সরবরাহ নেই পর্যাপ্ত। সে কারণেই বাজারে বাড়তি দাম চলছে কাঁচামরিচের। নতুন করে মরিচ ওঠার আগ পর্যন্ত এ দাম বাড়তি থাকবে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে কাঁচাপণ্যের সঙ্গে কাঁচামরিচও কিনে এনে খুচরা বিক্রি করেন আলমগীর হোসেন নামের এক বিক্রেতা। তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের ব্যবসার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি যে, বছরের এই সময়ে এসে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে যায়। কারণ এ সময় কাঁচামরিচের উৎপাদন তেমনভাবে হয় না, ফলে বাজারে সরবরাহ কম হয়। ক্ষেতের গাছগুলো এখন শুকিয়ে যাওয়ার পথে, এছাড়া কয়েকদিন বৃষ্টি হয়েছে যাতে করে গাছগুলো পচে গেছে। পাশাপাশি গত কিছুদিনের তীব্র গরমে আগেভাগেই কাঁচা মরিচের গাছগুলো শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। তাই বাজারে বাড়তি দাম যাচ্ছে কাঁচামরিচের।

রাজধানীর মহাখালী বাজারে অন্যান্য বাজারের সঙ্গে কাঁচামরিচ কিনেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগেও এক পোয়া কাঁচামরিচ কিনেছি ৩০ টাকায়, আজ সেটাই কিনলাম ৫০ টাকা। সবকিছুর দাম বাড়তি যাচ্ছে, সেখান থেকে আমাদের ছাড় দেয়নি কাঁচামরিচও। এটারও এখন বাড়তি দাম। ২০০ টাকা কেজি কিনে খেতে হচ্ছে। বাজারে আর কিছু দাম বাড়তে বাকি থাকল না। গত বছর কোরবানি ঈদের আগে কাঁচা মরিচ ৭০০ টাকা কেজি ছিল, এবছর এ সময়ে এসে কেবল ২০০ টাকা ঠেকেছে। না জানি কত টাকায় গিয়ে ঠেকে কাঁচামরিচের দাম।


আরও খবর



কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

শুক্রবার (৩ মে) বেলা ১১টার দিকে তিনি কারাগারের প্রধান ফটক থেকে বের হন। এসময় কারা ফটকের সামনে হেফাজত ইসলামের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।

তিনি জানান, মাওলানা মামুনুল হক কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ মামলায় তিনি বৃহস্পতিবার (২ মে) উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। বিকেলে জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। শুক্রবার সকালে জামিনের সব কাগজপত্র নিয়ে ঢাকায় যোগাযোগ করা হয়। সেখানে কাজ শেষ হলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা করা হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।


আরও খবর



দেশের মাটিতে নাবিকদের কাছে পেয়ে আবেগপ্লুত স্বজনরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

এমভি আবদুল্লাহর চিফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খানের বড় মেয়ে ইয়াশরা বাবাকে কাছে পেয়ে আবেগপ্লুত হয়ে পড়ে। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ইয়ায়শরা জাহাজ থেকে নামার সাথেই ছোট বোন উনাইজা নিয়ে বাবার কাছে দৌঁড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরে।

এসময় ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খানের বড় মেয়ে ইয়াশরা বলেন, বাবার জন্য পুরো ঘর খালি ছিল। ঈদও ভালোভাবে কাটাতে পারিনি, ঘুমাতে পারিনি। কখন বাবা আসবে, বাবাকে দেখতে পাব। আজ ঠিকই বাবার কাছে। বাবার পাশে। সামনে পরীক্ষা আছে, সেগুলো শেষ করে বাবাকে নিয়ে বেড়াবো আর ঘুরবো। আমি আমার আরেক বোন এখানে এসেছি। আমার আরেক ছোট বোন ছোট থাকায়, তাকে বাসায় রেখে আসা হয়েছে।

ক্যাপ্টেন আতিক উল্লাহ খান বলেন, দুঃসহ সেই স্মৃতির কথা আর মনে করতে চাই না। এসব কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। আপনারা দোয়ার করবেন। দুই সন্তানকে কাছে পেলাম। বাসায় আরেক সন্তান কান্না করছে। তাঁর কাছে ফিরতে হবে দ্রুত।

মঙ্গলবার বিকেলে জলদস্যুমুক্ত ২৩ নাবিকদের বহনকারী লাইটারেজ জাহাজ জাহান মনি-৩ করে চট্টগ্রাম বন্দরে নামেন। সেখানে তাঁদের অপেক্ষায় ছিলেন স্বজনরা। স্বজনদের কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাদের ফুল দিয়ে বরণ ও লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল ও সচিব ওমর ফারুক, কেএসআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সরওয়ার জাহান রোকন, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম।

চসিক মেয়র রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘ দুই মাস মৃত্যুর সাথে মুখোমুখি হয়ে প্রতিটি মুহূর্ত যারা মনে করেছেন এ মাত্র আমাদের জীবনপ্রদীপ শেষ হয়ে আসবে তাদেরকে আমরা ফিরে পেয়েছি। স্বাভাবিকভাবে আমরা চট্টগ্রামবাসী আজকে আনন্দিত উচ্ছ্বসিত আবেগাপ্লুত। সন্তান ফিরে আসলে মা-বাবা যেমন অশ্রু ধরে রাখতে পারে না তেমনি আমরা যারা সমবেত হয়েছি তারা আবেগ ধরে রাখতে পারিনি।

এর আগে বেলা ১২টার দিকে নতুন নাবিকদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর শেষে জাহাজটিতে করে তাঁরা বন্দর জেটির উদ্দেশে কুতুবদিয়া থেকে রওনা হন।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। কবির গ্রুপের বহরে বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী মোট ২৩টি জাহাজ আছে ।

গত ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল কবির গ্রুপের আরেক জাহাজ জাহান মণি। তখন জাহাজের ২৫ নাবিক ও প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করেছিল। দীর্ঘ ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর