আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

কক্সবাজার রুটে নন্সটপ ট্রেন 'পর্যটক এক্সপ্রেস'-এর টিকিট বিক্রি শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে নতুন সংযুক্ত নন্সটপ ট্রেন 'পর্যটক এক্সপ্রেস'-এর টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। বুধবার (৩ জানুয়ারি) থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়, আগামী ১০ জানুয়ারি ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করবে ট্রেনটি। টিকিট বিক্রির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বাংলাদেশ রেলওয়ের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (পূর্ব) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম জানান, ট্রেনটি চালুর সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যাত্রী পরিবহনে ট্রেনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান তিনি।

এর আগে, সোমবার (১ জানুয়ারি) যাত্রী চাহিদার কথা বিবেচনা করে ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে নতুন ননস্টপ ট্রেন যুক্ত করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানানোর পরদিন মঙ্গলবার 'পর্যটক এক্সপ্রেস' নামের ট্রেনটির সময়সূচি নির্ধারণ করে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল। নতুন ট্রেনটিতে ৭৮৫টি টিকিট রয়েছে। এর মধ্যে ১১৫টি আসন চট্টগ্রাম স্টেশনের যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানা যায়, পর্যটক এক্সপ্রেস প্রতিদিন ঢাকার কমলাপুর স্টেশন ছাড়বে সকাল সোয়া ৬টায়। এ ট্রেন চট্টগ্রামে এসে পৌঁছাবে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে। এ স্টেশনে ২০ মিনিট যাত্রাবিরতি দেওয়া হবে। এরপর কক্সবাজারে পৌঁছাবে বেলা ৩টায়। আর কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ট্রেন ছাড়বে রাত ৮টায়। চট্টগ্রাম স্টেশনে আসবে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে। আর ঢাকায় পৌঁছাবে ভোর সাড়ে ৪টায়। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রোববার এ ট্রেন চলাচল করবে না।

রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার তথ্য অনুযায়ী ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেসে স্নিগ্ধা আসন ছিল ৫৭টি এবং শোভন চেয়ার ছিল ১৭২টি। আর কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী ট্রেনে স্নিগ্ধা আসন অবিক্রীত ছিল ১৯৯টি এবং শোভন চেয়ার ৩৮৮টি।

গত ১ ডিসেম্বর ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা পথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা পথে এখন এক জোড়া ট্রেন চলাচল করে। টিকিটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে নতুন ট্রেন কোরিয়া থেকে সদ্য আমদানি করা কোচ দিয়ে ট্রেনটি পরিচালনা করা হবে। নতুন ট্রেনের ভাড়া হবে আগের ট্রেনটির সমান। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৩৪৬ কিলোমিটার। এ পথে আন্তঃনগর ট্রেনের শোভন চেয়ারের ভাড়া ধরা হয়েছে ৫০০ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া ৯৬১ টাকা, এসি সিটের ভাড়া ১ হাজার ১৫০ টাকা এবং ঘুমিয়ে যাওয়ার জন্য প্রত্যেক যাত্রীকে ভাড়া দিতে হয় ১ হাজার ৭২৫ টাকা।


আরও খবর



উজানের ঢলে প্লাবিত হচ্ছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

তীব্র তাপদাহ শেষে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আমলশীদ পয়েন্টের পানিও বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

এদিকে, উজানের ঢলে ও গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে হাওরের বোরো ধান।

একই অবস্থা কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জের নিম্নাঞ্চলেও। বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে বোরো ফসল। এতে কৃষকদের মধ্যে ফসল হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শিলাবৃষ্টি কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর এবার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হবে কৃষকদের। বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে অনেকে আধাপাকা ধান কেটে আনছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১২ দশমিক ২৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার।

সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। তবে রাত ৯টায় তা কমে ১০ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জাগো নিউজকে বলেন, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সকালে সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে ছিল। এখন তা কমে গেছে। তবে বরাক দিয়ে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, বরাক দিয়ে পানি নামার কারণে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রাত ৯টায় বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এভাবে অব্যাহত থাকলে সকালে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার নয়াবাড়ি, ফুলবাড়ি, কেন্দ্রী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১ নম্বর লক্ষীপুর, ২ নম্বর লক্ষীপুর, আমবাড়ি, ঝিঙ্গাবাড়ি, কাঠালবাড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার কৃষক। একই অবস্থা জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জেও।

জকিগঞ্জের কাজলশার এলাকার কৃষক জুবেল আহমদ বলেন, শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন বন্যা হলে ফসলের অবশিষ্ট যা ছিল তাও হারাতে হবে।

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



পাটের আবাদ কমেছে মেহেরপুরে

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

পাটের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, অনাবৃষ্টি আর পাট পচানোর পানি সংকটের কারণে পাটের আবাদ কমেছে মেহেরপুরে। চলতি বছরে পাটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। চাষিদের দাবী, প্রতি বছরে পাট চাষে একরকম লোকসান গুণতে হয়। বাধ্য হয়ে অন্য ফসল আবাদ করছেন তারা। তবে কৃষি অফিস বলছে, পাট চাষে চাষিদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে দেয়া হচ্ছে প্রণোদনা ও বিকল্প পদ্ধতিতে পাট পচানোর পরামর্শও দেয়া হচ্ছে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি অফিসের তথ্যনুযায়ি, কৃষি নির্ভরশীল এ জেলায় চাষিদের অর্থনৈতিক ফসল হিসেবে বিবেচিত সোনালী আঁশ পাট। চলতি বছরে এ জেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২২ হাজার হেক্টর। আর পাট চাষ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৬৩০ হেক্টর যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হাজার ৩৭০ হেক্টর কম। চাষিরা জেআরও ৫২৪, বি জে আর আই তোষাপাট-৮, ভারতীয় কৃষি কল্যাণ, মহারাষ্ট্র ও চাকা জাতের পাট আবাদ করে থাকেন।

চাষিরা জানান, গেল বছর অনাবৃষ্টি থাকলেও তেমন তাপদাহ ছিল না তাই সেচ দিয়ে পাট চাষ করেছেন চাষিরা। কিন্তু পাট জাগ দেয়ার মতো পানির ব্যবস্থা ছিল না। অনেকেই কাদা মাটি দিয়ে পাট জাগ দেয়ার পাটের মান নষ্ট হওয়ায় ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। চলতি মৌসুমে অনাবৃষ্টির সাথে যোগ হয় তীব্র তাপদাহ। ফলে অনেকেই পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। উপরন্ত পাট পচানোর জন্য কোন উম্মুক্ত জলাশয় না থাকায় চাষিরা পাট চাষ করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। অনেকেই খাল বিল সংস্কার ও দখল হয়ে যাওয়া জলাশয় উম্মুক্ত ঘোষণা করার আহবান জানান।

গাংনীর পলাশীপাড়ার পাট চাষি জুলফিকার আলী জানান, প্রতিবছর চাষিরা এ পাট আবাদ করে মোটা অংকের টাকা আয় করেন। কিন্তু পানি সংকটের কারণে চাষিদের পাট পচাতে সইতে হয় নানা বিড়ম্বনা। অনেকেই খালে বিলে পানি না পেয়ে বাড়ির পাশে গর্তে সামান্য পানি দিয়ে পাট পচাতে দেন। এতে এক দিকে যেমন চাষিদের খরচ বেড়ে যায় তেমনি পাটের রং নষ্ট হয়। ফলে পাটের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন।

পাট চাষি তেতুঁলবাড়িয়ার মিজান জানান, গেল বছর তিনি ৪ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলেন। চলতি মৌসুমে তিনি দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। অনাবৃষ্টি ও তাপদাহের কারণে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পাট বীজ বপন করতে পারেনি। উপরন্তু পাটক্ষেতে সেচ দিতে না পারায় পানির অভাবে পাট গাছ বাড়ছে না। অন্যদিকে পাট পচানোর ব্যবস্থা না করতে পারলে সামনে বছর আর পাট চাষ করবেন না বলেও জানান এই চাষি।

চাষিদের দাবি, হাজা মজা খাল বিল সংস্কার করে পানি প্রবাহ ঠিক রাখলে পাট পচানো সম্ভব। চাষিরা উম্মুক্ত জলাশয়ে পাট জাগ দিতে পারলে পাট চাষ বৃদ্ধি পাবে।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে পাটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। অনাবৃষ্টির কারণে অনেকেই পাট বীজ বপন করতে পারেনি। আর যারা আবাদ করেছেন পানির অভাবে পাটগাছ বাড়েনি। অন্যদিকে পাট পচানো নিয়েও চাষিরা নানা বিড়ম্বনায় পড়েন। তবুও চাষিদেরকে প্রণোদনাসহ অন্যান্য সুবিধা দেয়া হচ্ছে পাট চাষে আগ্রহী করে তোলার জন্য। বিকল্প পদ্ধতিতে পাট পচানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলেও জানালেন এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



পাঁচ বছরে তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পদ বেড়েছে ১৫৯ গুণ, স্ত্রীর ৪৮গুণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. রেজবি উল কবির জোমাদ্দারের ৫ বছর ব্যবধানে স্থাবর, অস্থাবর, ব্যাংক আমানতসহ বিভিন্ন সম্পত্তি বেড়েছে ১৫৯ গুন। এছাড়া তার স্ত্রী সুমি আক্তার এইবার প্রার্থী হয়েছেন।

সেখানে স্ত্রীর ব্যাংকে জমা ব্যবসাসহ সম্পত্তি বেড়েছে প্রায় ৪৮ গুণ। রেজবি উল কবির উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে হলফনামা জমা দিয়েছেন। জমা দেওয়া সেই হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান রেজবি উল কবিরের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর ও পেশা ব্যবসায়ী দেখানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ২টি মামলা থাকলেও সেগুলো নিস্পত্তি হয়েছে। গত ৫ বছরে তার নিজের নির্ভরশীল উৎস থেকে আয়, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, ব্যবসায় পুঁজি বেড়েছে। তবে ব্যাংক ঋণ কমেছে। পাঁচ বছর আগে তাঁর ব্যবসায় বাৎসরিক আয় ছিল ৫ লাখ ২৮ হাজার ৮৯ টাকা। বর্তমানে ৯৭ গুণের বেশি বেড়ে হয়েছে ৫৬ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৮ টাকা। গত ৫ বছর আগে অস্থাবর সম্পদ ছিলো ৫৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।

বর্তমানে ব্যাংকের পরিশোধিত ঋণসহ অস্থাবর সম্পত্তির পরিমান দাড়িয়েছে ৬ কোটি ৮ লাখ ২৫ হাজার ৫৪২ টাকা। যা আগের থেকে ১০০ গুন বেড়েছে। স্থাবর সম্পত্তি গত ৫ বছর আগে ছিলো ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। যা বর্তমানে ২৮০ গুণ বেড়ে দাড়িয়েছে ৪ কোটি ৮ লাখ ৪৯ হাজার ৪০৮ টাকা।

বর্তমানে তিনটি ব্যাংকে ঋণ রয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ৮৯৬ টাকা। ঋণের চাপ কমেছে ৪৩ শতাংশ। বার্ষিক আয়, স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে গড়ে তার সম্পাদ বেড়েছে ১৫৯ গুণ। গত ২০১৯ সালের হলফনামায় ২ কোটি ৮৩ লাখ ৬৭ হাজার ৯৬৫ টাকা ঋণ ছিলো। গত ৫ বছর আগে তার মেসার্স পায়রা ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করলেও এই বার সাথে যুক্ত করেছেন মেসার্স ফাতেমা রাইস মিল ও মেসার্স পায়রা স্বমিল এন্ড টিম্বার। তবে নগদ টাকা,নিজের নামের বাড়ি ও গাড়ি নেই।

গত ৫ বছর আগে যে সব খাত থেকে কোনো আয় ছিলোই না। শূণ্য থেকে সেই সব খাতে বর্তমানে ব্যবসায় পুঁজি ২ কোটি ৮২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪২ টাকা দেখানো হয়েছে। কৃষি খাতে বছরে আয় ১ লাখ ১৫ হাজার ২শ টাকা। শেয়ার ও ব্যাংক আমানত ১৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৬৫ টাকা। পেশা থেকে আয় হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ব্যাংক সুদ থেকে বাৎসরিক আয় ৮১ হাজার ৫০৩ টাকা।

এদিকে স্ত্রী সুমি আক্তার চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন,তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই ও স্ব-শিক্ষিত উল্লেখ করেন। একই সাথে তিনি ব্যবসায়ী। রৈশি এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসায় বার্ষিক আয় ৬ লাখ টাকা, নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা ২৭ লাখ টাকা, ব্যবসায় পুঁজি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা,কৃষি জমি ২.৫০ একর যার মূল্য ২০ লাখ টাকা,অন্যান্য পরিসম্পদ ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা উল্লেখ করেন হলফনামায়। ২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় রেজবি উল কবির জোমাদ্দার তার স্ত্রীর নামে শুধু মাত্র নগদ ২ লাখ টাকা উল্লেখ করেন। স্ত্রীর গত ৫ বছর আগে কোনো আয় না থাকলেও গড়ে সব সম্পত্তি মিলিয়ে বেড়েছে ৪৮ গুন।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির জোমাদ্দার বলেন,আমার বাবা ও মা মৃত্যুর পরে ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া সম্পদের কারণে সম্পত্তি বেড়েছে। এছাড়া বৈধভাবে ব্যবসা করে এ সম্পদের মালিক হয়েছি। আমার হলফনামায় সব কিছু উল্লেখ করা আছে।


আরও খবর



পেরুতে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ২৫

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পেরুতে পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। স্থানীয় কর্মকর্তারা এই ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের।

কাজামারকা অঞ্চলের প্রাদেশিক প্রসিকিউটর ওলগা বোবাডিলা স্থানীয় রেডিও স্টেশন আরপিপিকে জানিয়েছেন, রবিবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাসটি সেলেনডিন থেকে সোরোচুকো শহরের দিকে যাচ্ছিল। অসমতল রাস্তার কারণে হঠাত বাসটি উল্টে নদীতে বিধ্বস্ত হয়।

স্থানীয় সরকার এই দুর্ঘটনায় তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে।

পেরুতে বাস দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ বিষয়। বিশেষ করে রাতে এবং পাহাড়ের হাইওয়েতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এছাড়া দ্রুত গতি, রাস্তার খারাপ অবস্থা, রোড সাইনের অভাব এবং ট্রাফিক নিয়ম-কানুনের দুর্বল প্রয়োগের কারণে পেরুর রাস্তায় প্রায়ই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

গত বছর, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১০০ জনেরও বেশি প্রাণহানির তথ্য নিবন্ধিত করা হয়েছে।


আরও খবর



কোভিড টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করলো অ্যাস্ট্রাজেনেকা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করেছে, তাদের তৈরি কোভিড টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে আদালতে জমা দেওয়া একটি নথিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, তাদের তৈরি কোভিড ভ্যাকসিনের কারণে খুব বিরল থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম (টিটিএস) এর ঘটনা ঘটতে পারে। যার ফলে মানুষের রক্তে প্লাটিলেট কমে যায় এবং রক্ত জমাট বেঁধে যায়। খবর টেলিগ্রাফ।

ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের তৈরি কোভিড-১৯ এর টিকার কারণে গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এমন ডজনখানেক ঘটনার কথা উল্লেখ করে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত বছর অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের করেছিলেন জেমি স্কট নামের এক ব্যক্তি। তিনি ২০২১ সালের এপ্রিলে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় ও তা জমাট বেঁধে যায়। যার ফলে তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা কমে গেছে।

এর আগে স্কটের আইনজীবীর কাছে পাঠানো এক মেইলে অ্যাস্ট্রাজেনেকা তাদের টিকার কারণে টিটিএস'র সম্ভাবনা নকচ করে দিয়েছিল তবে হাইকোর্টে জমা দেওয়া নথিতে এর দায় স্বীকার করে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।  

অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ হাইকোর্টে ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেখানে ভুক্তভোগীরা মোট ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ব্রিটিশ-সুইস এই কোম্পানিটির স্বীকারোক্তির ফলে প্রতিষ্ঠানটিকে বিপুল পরিমাণ জরিমানা গুনতে হতে পারে।


আরও খবর