মোংলা বন্দর সিগনাল
টাওয়ার এলাকায় এক কিশোরীকে ৬ মাস ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ ও পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী থানায় মামলা দায়েরের পর ধর্ষকসহ পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য
করার অপরাধে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
কিশোরীকে তার
পরিবার উদ্ধার করে আনার পর মঙ্গলবার থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই কিশোরী। মামলার
আসামিরা হলেন- শারমিন বেগম (৩০), শিউলি বেগম (৪৫), পারভিন বেগম (৩৫), শিল্পী বেগম
(৩৬), আলী হোসেন (৩৮), দেলো পাটোয়ারী (৩০) ও তায়েবা বেগম (৩০)। পরে কিশোরীকে ধর্ষণের
দায়ে দেলো পাটায়ারী আর পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করায় তার আত্মীয় শারমিন, শিউলি ও শিল্পীকে
আটক করেছে পুলিশ।
মামলার অপর আসামি
ধর্ষক আলী হোসেন ও তায়েবা বেগম পলাতক রয়েছেন। আটকদের বাড়ি মোংলার কাইনমারী ও সিগনাল
টাওয়ার এলাকায়।
গত ১১ জানুয়ারি
কিশোরীর মা-বাবা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে মোংলায় নিয়ে আসেন। সর্বশেষ তাকে দেলো পাটোয়ারী
(৩০) ধর্ষণ করেন। এর আগেও বাড়িতে রেখে এবং বিভিন্ন বাড়িতে নিয়ে তাকে দিয়ে পতিতাবৃত্তি
করানো হয়। আজ বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে আটককৃতদের বাগেরহাট জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে
বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মোংলা থানার ওসি (তদন্ত) তুহিন মন্ডল জানান, মোংলা পৌর শহরের সিগনাল টাওয়ার এলাকার ওই কিশোরীকে ৬ মাস আগে তার আত্মীয় শিউলি বেগম ও শারমিন বেগম কাজের কথা বলে শরণখোলার ধানসাগর এলাকায় নিয়ে যান। এরপর সেখানে ওই কিশোরীকে রেখে বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেন তারা।