আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

খাতনা করার আগে-পরে যেসব বিষয় জানা জরুরি

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টানা কয়েকদিন বন্ধ থাকলে ছেলে সন্তানদের খাতনা বা মুসলমানি করিয়ে থাকেন অধিকাংশ পরিবারের অভিভাবকরা। আমাদের দেশে গ্রাম অঞ্চলে অনেকেই হাজাম দিয়ে খাতনা করান সন্তানদের। কিন্তু এই আধুনিক সময় অনেকেই সন্তান যেন ব্যথা বা ভয় না পায়, সে জন্য ডাক্তার দিয়েও করিয়ে থাকেন খাতনা।

শহরাঞ্চলের বা শিক্ষিত মানুষরা সাধারণত শিশুর নিরাপত্তার কথা ভেবে চিকিৎসক দিয়ে খাতনা করিয়ে থাকেন। আর এই খাতনা বা সারকামসিশনের আগে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সিলেটের ইবনে সিনা হাসপাতালের কনসালট্যান্ট সার্জন ডা. রেজা আহমদ। সম্প্রতি এ ব্যাপারে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।

খাতনা করানোর কারণ : ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী মুসলিম ছেলে শিশুদের খাতনা করানো হয়। আবার জন্মগতভাবে কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রেও খাতনা করানোর নির্দেশ দেয়া হয়। যেমন লিঙ্গের অগ্রভাগের ছিদ্র ছোট থাকলে, বারবার প্রস্রাবে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে। অনেকের চামড়া গ্লান্স লিঙ্গের পেছনে আটকা পড়ে ব্যথা হয়, তাদেরও খাতনা করানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

মেডিকেলের ভাষায় এই দুটি অবস্থাকে বলা হয় ফাইমোসিস ও প্যারাফাইমোসিস। এছাড়া কারও কারও জন্য আবার খাতনা করা নিষেধ। অনেকেরই হিমোফিলিয়া নামক রক্তরোগ থাকে, তাদের খাতনা করতে নিষেধ করা হয়। কেননা, এই রোগীর কাটাছেঁড়া করলে রক্তপাত সহজে বন্ধ হতে চায় না। এছাড়া অনেকের প্রস্রাবের নালির ছিদ্র ভিন্ন জায়গায় হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে এ ধরনের রোগীদের নালি ঠিক করার জন্য অস্ত্রোপচারের সময় লিঙ্গের অগ্রভাগের চামড়া পুনরায় নালি তৈরিতে প্রয়োজন হয়। এ জন্য তাদের খাতনা করতে নিষেধ করা হয়।

কোন বয়সে সন্তানের খাতনা করাবেন : বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিন্ন সময় বেছে নেয়া হয় খাতনার জন্য। কোনো কোনো দেশে সন্তান জন্মের পরই খাতনা করানো হয়। আর এ সময় সন্তান ব্যথাবোধ খুব একটা করতে পারেন না। এতে অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষত শুকিয়ে যায় শিশুর। তবে সন্তানের খাতনার জন্য ৪ থেকে ১২ বছর বয়স ভালো। এ সময় খাতনা করলে শিশুর খুব বেশি সমস্যা হয় না।

বেশি ছোট শিশুদের খাতনা না করানো ভালো। তারা ভয় পায় ও কান্নাকাটি করে। আবার বয়স বেশি হলে তাদের অস্ত্রোপচার-পরবর্তী ইরেকশনের জন্য রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর সন্তানের খাতনার আগে তাকে বাড়ি থেকে সবার সাহস দিতে হবে। কখনোই সন্তানকে না বলে, তার ইচ্ছার বিপরীতে খাতনা করাতে যাবেন না। দেখা যাবে জোর করে খাতনা করাতে গিয়ে সার্জারির সময় সন্তান আঘাত পেতে পারে বা সমস্যা হতে পারে।

এছাড়া আধুনিক এই সময় কিছু ডিভাইস রয়েছে। যা লেজারের মাধ্যমে খাতনার সার্জারি করে থাকে। তবে ডিভাইস দিয়ে খাতনা করানোর আগে জানতে হবে, ব্যবহারকারী চিকিৎসক এ ব্যাপারে কতটা প্রশিক্ষিত। আবার লোকাল অ্যানেসথেসিয়া বা জেনারেল অ্যানেসথেসিয়ার মাধ্যমেও অস্ত্রোপচার করা যেতে পারে। যদি জেনারেল অ্যানেসথেসিয়ার মাধ্যমে অস্ত্রোপচার করা হয় তাহলে সন্তানকে ৬ ঘণ্টা না খেয়ে থাকতে হবে। কিন্তু দেশে অবেদনবিদ ও এনআইসিইউ সুবিধা নেই বলে অনেক সময় সন্তানের মৃত্যু হয়। এ জন্য সন্তানের খাতনা বা অস্ত্রোপচারের আগে অ্যানেসথেসিয়া কোন ধরবের ব্যবহার করা হবে, এ সম্পর্কে ভালো করে জেনে নেয়া উচিত।

খাতনার পর জটিলতা এড়াতে করণীয় : খাতনার ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারে যে জটিলতা বেশি হয়ে থাকে তা হচ্ছে রক্তপাতজনিত সমস্যা। অনেক সময় দেখা যায় সন্তানকে বাড়ি আনার পর পুনরায় রক্তপাত শুরু হয়। রক্তপাত বেশি হলে কাপড় দিয়ে প্রথমে চেপে ধরে রাখতে হয়। তারপরও যদি রক্তপাত না কমে তাহলে চিকিৎসকের কাছে যান।

সন্তানের খাতনার পর লিঙ্গে কোনো ধরনের ইনফেকশন কিংবা অগ্রভাবে ক্ষত হয় কিনা, সেটি খেয়াল রাখতে হবে। এ জন্য সঠিক ড্রেসিং ও ওষুধ খেতে হবে। এতে ঠিক হয়ে যায়। সন্তানের যদি লোকাল অ্যানেসথেসিয়ার মাধ্যমে অস্ত্রোপচার করা হয়, তাহলে কখনো কখনো লিঙ্গের গোড়া তিন-চারদিন ফোলা থাকার সম্ভাবনা তাকে। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

এছাড়া খাতনার সপ্তাহখানেক পর (এক সপ্তাহ) ক্ষত জায়গা থেকে সামান্য রক্তমিশ্রিত পানির মতো তরল বের হতে পারে। এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ঠিক হয়ে যায়। সন্তানকে নিয়মিত হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে। এতে ক্ষতস্থান দ্রুত সেরে যায়। খাতনার পর ঢিলে কাপড় বা লুঙ্গি পরান সন্তানকে, এতে ব্যথা কম অনুভব হবে। আর এক সপ্তাহের মধ্যে যদি ক্ষত সেরে যায়, তাহলে আগের মতো স্বাভাবিক পোশাক পরতে পারবে শিশু।


আরও খবর



আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় ৬০ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে আকস্মিক বন্যার কবলে পড়েছে এশিয়ার দেশ আফগানিস্তান। এতে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও শতাধিক। এছাড়া এই বন্যায় নিখোঁজ রয়েছে আরও বহু মানুষ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল মতিন কানি শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসি, রয়টার্সের।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৬০ জন মারা গেছেন এবং আরও ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাঘলান প্রদেশের পাঁচটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের পর আরও কয়েক ডজন লোক নিখোঁজ রয়েছেন। শুক্রবার রাতে এই অঞ্চলে আরও দুটি ঝড়ের পূর্বাভাসের দেওয়া হয়েছিল। এতে করে সেখানে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে তালেবান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল মতিন কানিয়ি রয়টার্সকে জানান, টানা বৃষ্টির কারণে বাঘলান প্রদেশের পাঁচটির বেশি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের জরুরি সহায়তা দরকার। দুর্গত এলাকায় সহায়তাকারী দল ও হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ছবিতে কয়েকটি গ্রামের বাড়িঘরের মধ্য দিয়ে স্রোত বয়ে যেতে দেখা যায়। অনেক বাড়ির আসবাবপত্রও পানিতে ভেসে যায়।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আফগানিস্তানে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টি হয়েছে। গত এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে বন্যায় দেশটিতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ২

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেমফিস শহরে খোলা জায়গায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে (ব্লক পার্টি) বন্দুকধারীর হামলায় কমপক্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরও ছয়জন।

স্থানীয় সময় শনিবার (২০ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক বিবৃতিতে মেমফিস পুলিশ বলেছে, তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, হামলায় আটজন হতাহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। খবর রয়টার্স।

এর আগে পুলিশ জানিয়েছিলেন, ওই ঘটনায় ১৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং আহতদের একজনের অবস্থা গুরুতর। আরেকজন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। অনুমতি ছাড়াই এ ব্লক পার্টি আয়োজন করা হয়েছিল। প্রায় ২০০-৩০০ মানুষ সেখানে যোগ দিয়েছিলেন।

মেমফিস পুলিশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান সেরেলিন ডাভিসের বরাতে সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তত দুজন সন্দেহভাজনকে ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে। সিবিএস নিউজকে ডাভিস বলেন, আমাদের ধারণা, এ ঘটনার সময় অন্তত দুজন গুলি চালিয়েছেন।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে তাৎক্ষণিকভাবে মেমফিস পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স।

ব্লক পার্টি হলো কোনো একটি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে সৌহার্দ্য বাড়াতে তাদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠান। এ ধরনের অনুষ্ঠান সড়ক, খোলা জায়গা কিংবা জনসমাগমের জায়গায় আয়োজন করা হয়ে থাকে।


আরও খবর



ফারাক্কা চুক্তির ২৮ বছর: মিলছে না পানির ন্যায্য হিস্যা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ফারাক্কা চুক্তির ২৮ বছর পরও পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ। শুকনো মৌসুমে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী হার্ডিঞ্জ সেতুর উজান ও ভাটিতে পদ্মার পানির স্তর নেমে যাওয়ায় এ অঞ্চলে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এক সময়ের প্রমত্তা পদ্মা পরিণত হয়েছে ছোট নদীতে। মৃত্যু ঘণ্টা বেজেছে এই অঞ্চলের সুতা নদী, কমলা নদী, ইছামতি নদী ছাড়াও আরও অন্তত ১৭টি নদীর।

ভারতের সঙ্গে গঙ্গা চুক্তি হয়েছিল সেই ১৯৯৬ সালে। এরই মধ্যে জলবায়ুর পরিবর্তন হয়েছে, পানির চাহিদা বেড়েছে এবং অনেক কিছুই পরিবর্তন হচ্ছে। তাই পদ্মাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এবং এ অঞ্চলের মানুষকে বাঁচাতে গঙ্গা পানি চুক্তি রিভিউ করতে হবে। এবারের ফারাক্কা দিবসের প্রাক্কালে এমন দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশীতে নদী গবেষক ও বিশ্লেষক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, নদীকে নদীর মত করে বাঁচতে না দিলে প্রাণ-প্রকৃতি ক্রমেই ধ্বংস হয়ে যাবে। এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পৃথিবী। গঙ্গা পানি চুক্তি রিভিউ করে তা বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন গবেষক ও পরিবেশবিদরা।

তাদের মতে, পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পদ্মাসহ সকল শাখা নদী এখন মৃতপ্রায়। ফলে বছরের পর বছর ধরে হুমকির মুখে পড়ে আছে পদ্মার দুই পাড়ের পরিবেশ ও জৈববৈচিত্র। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও হাইড্রোলজি বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতীয় প্রতিনিধি দল এ বছর খরা ও অনাবৃষ্টির ফলে ফারাক্কায় পানির প্রবাহ কমে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন। ঈশ্বরদীর পাকশী পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মায় পানির প্রবাহও কমেছে একই কারণে।

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে মরুময়তার হাত থেকে রক্ষার জন্য ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৩০ বছরের পানি চুক্তি হয়। সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড় ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে হায়দ্রাবাদ হাউজে ঐতিহাসিক ৩০ শালা পানি চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী ভারত বাংলাদেশকে প্রতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেয়ার কথা।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজি বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ হাজার ১৬৯ কিউসেক। তার আগের দিন মঙ্গলবার এখানে পানি পাওয়া গেছে ২৬ হাজার ৬৫৬ কিউসেক।

পাবনা হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রইচ উদ্দিন জানান, বুধবার ভারতীয় নদী কমিশনের সদস্য ও নির্বাহী প্রকৌশলী অপর্ভা রাজ ও সুদীপ্তা মাহান্তিসহ ভারতীয় প্রতিনিধি দল পদ্মা নদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সরেজমিনে পানি পরিমাপ করেছেন। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত প্রতিদিন তারা পনির প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানান। তিনি বলেন, পানির প্রবাহ প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে।

ভারতীয় নদী কমিশনের সদস্য ও নির্বাহী প্রকৌশলী অপর্ভা রাজ বলেন, পানি কমের কারণে এখন ফারাক্কা প্রান্তে যে পানি প্রবাহ হচ্ছে তা দুই ভাগে ভাগ করে অর্ধেক বাংলাদেশে দেয়া হচ্ছে।

পরিবেশবিদ ও সরকারী এডওয়ার্ড কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর শাহনেওয়াজ সালাম বলেন, পরিবেশ ও জৈববৈচিত্র এখনো হুমকির মুখে। এসব থেকে রক্ষা পেতে আমার মনে হয় নতুন করে গঙ্গার পানি চুক্তি হওয়া দরকার।

উত্তরাঞ্চলীয় পানি পরিমাপ বিভাগ ও পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ১৯৯৬ সালের চুক্তি অনুযায়ী ভারত বাংলাদেশকে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেয়ার কথা। সে অনুযায়ী বর্তমানে আমরা কম পানি পাচ্ছি।


আরও খবর



হিটস্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মেডিকেল নার্সিং কলেজের পেছনের রাস্তায় আব্দুল আওয়াল (৪৫) নামে এক রিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে- হিটস্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ওই রিকশা চালককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শাহবাগ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সুমন বসাক বলেন, খবর পেয়ে ঢাকা নার্সিং কলেজের পেছনের রাস্তা থেকে অচেতন অবস্থায় ওই রিকশা চালককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই রিকশা চালক রিকশা চালিয়ে এসে নার্সিং কলেজের পেছনে কাঁপতে কাঁপতে রাস্তায় পড়ে অচেতন হয়ে যায়। পরে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান। ধারণা করা হচ্ছে- প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. কিশোর কুমার বলেন, এক রিকশা চালককে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তবে তার মৃত্যু হিট স্ট্রোকে হয়েছে কিনা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।  


আরও খবর



গরুবোঝাই নছিমনে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ২

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

দিনাজপুরের হিলিতে গরুবোঝাই নছিমনে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে বিরামপুর-হাকিমপুর আঞ্চলিক সড়কের ডাঙ্গাপাড়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, দুপুরে একটি মোটরসাইকেলে দুজন বিরামপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। বিপরীত দিক থেকে আসা গরুবোঝাই নছিমনে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা দুজন ঘটনাস্থলে নিহত হন।

হাকিমপুর থানার উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেলের আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।


আরও খবর