আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

কবিতার বরপুত্রের প্রয়াণবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৭ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৭ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আধুনিক বাংলা কবিতার এক অনন্য কবি শামসুর রাহমান। কাব্য রচনায় সৃষ্টিশীলতা ও মননের দ্যুতিময় উপস্থাপনা তাকে দিয়েছে কবিতার বরপুত্রের উপাধি। ছন্দোময় ও শিল্পিত শব্দের প্রক্ষেপণে কবিতার চরণে চরণে বলেছেন দেশ, মাটি ও মানুষের কথা। পরাধীনতার শৃঙ্খল পেরিয়ে বাঙালির স্বাধীনতার কথাও বলেছেন কবিতার ভাষায়। নাগরিক এই কবি আমৃত্যু স্বদেশ ও শেকড়ের প্রতি ছিলেন দায়বদ্ধ। পাশাপাশি সমকালীনতা ধারণ করে সারাজীবন অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত সমাজের কথা বলেছেন কাব্যের ছন্দে। আজ কবির ১৭তম প্রয়াণবার্ষিকী। ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।

কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকালে একক বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলা একাডেমি। একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একক বক্তৃতা করবেন কবি অসীম সাহা। স্বাগত বক্তব্য দেবেন একাডেমির মহাপরিচালক  কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। সভাপতিত্ব করবেন সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন বাংলা একাডেমি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মো. হাসান কবীর।

১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর তিলোত্তমা শহর ঢাকার মাহুতটুলিতে জন্মেছিলেন কবি শামসুর রাহমান। জন্ম ও মৃত্যুর মাঝের ৭৭ বছরের বর্ণময় জীবনের বড় অংশজুড়েই নিমগ্ন থেকেছেন কবিতা সৃজনের মোহ ও অনুরাগে। পুরান ঢাকায় বেড়ে ওঠায় নগর জীবনের নানা অনুষঙ্গ ও প্রকরণ উদ্ভাসিত হয়েছে এ নাগরিক কবিতার কবিতায়। জীবনানন্দ পরবর্তী বাংলা কবিতাকে আধুনিকতার পথে ধাবিত করায় তাঁর ভূমিকাটি একেবারেই স্বতন্ত্র। বিশ শতকের তিরিশের দশকের পাঁচ মহান কবির পর তিনিই আধুনিক বাংলা কবিতার প্রধান পুরুষ হিসেবে প্রসিদ্ধ।

ষাটের দশকে গোড়ার দিকেই কবি প্রতিভার বিচ্ছুরণে আলোকিত করেন সাহিত্যের ভুবন। সূচনাটা অস্তিত্ববাদী ইউরোপীয় আধুনিকতায় ধাবিত হলেও একটা সময়ে দেশজ সুর ও ঐতিহ্যকে কবিতায় ধারণ করেছেন নিবিড় মমতায়। সমকালীন ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে চিরকালীনতার অনুভূতির প্রকাশ ঘটিয়েছেন কবিতার বুননে। সাম্প্রদায়িকতা ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যেমন কবিতার ভাষায় প্রতিবাদ করেছেন, তেমনি মুক্তিযুদ্ধকালে স্বাধীনতার আকাক্সক্ষায় উজ্জীবিত মানুষকে প্রেরণা দিয়েছেন কবিতার সৃষ্টিশীলতায়।  বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ওপর লিখিত তাঁর দুটি কবিতা স্বাধীনতা তুমি ও তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা একইসঙ্গে পাঠক ও বোদ্ধাদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ও সমাদৃত।

১৯৪৯ সালে লেখেন প্রথম কবিতা ১৯৪৯। প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক সোনার বাংলা পত্রিকায়। আর এই শুরুটা ছিল শিল্পবোধসম্পন্ন সংবেদী পাঠকের জন্য লেখা কবিতার সৃষ্টিসম্ভার। পত্রপত্রিকায় লেখা তাঁর চিত্রকল্পময় কবিতার সূত্র ধরে প্রথম গ্রন্থ প্রকাশের আগেই এপার-বাংলার কবিতাপ্রেমীদের নজর কাড়েন শামসুর রাহমান। ১৯৬০ সালে প্রকাশিত হয় প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে। কবির নিমগ্ন অন্তর্গত বোধ ও ভাবনার জগতের অপূর্ব রূপায়ণ ছিল এই কাব্যগ্রন্থ। এ ছাড়াও ষাটের দশকে প্রকাশিত কবির উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো রৌদ্র করোটিতে, বিধ্বস্ত নীলিমা, নিরালোকে দিব্যরথ ও আমি অনাহারী।

অন্তর্মুখী স্বভাবের হলেও রাজনীতির দহন থেকে গা বাঁচিয়ে চলেননি এই কবি। তৎকালীন পাকিস্তান আমলে আইয়ুববিরোধী গণঅভ্যুত্থান এবং মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ব ও পরবর্তী বাস্তবতায় অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছেন কলমকে। রচনা করেছেন অজস্র অনবদ্য কবিতা। তাঁর রচিত বন্দিশিবির থেকে, দুঃসময়ে মুখোমুখি, ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা, উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ কাব্যগ্রন্থগুলোয় তীক্ষ ও প্রবলভাবে বিম্বিত হয়েছে গণমানুষের কণ্ঠস্বরের প্রতিধ্বনি।  স্বৈরশাসক আইয়ুব খানকে বিদ্রুপ করে ১৯৫৮ সালে সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত সমকাল পত্রিকায় লেখেন হাতির শুঁড় নামক কবিতা।

সত্তরের নভেম্বরের ভয়াল জলোচ্ছ্বাসের পর মওলানা ভাসানীর পল্টনের ঐতিহাসিক জনসভার পটভূমিতে রচিত সফেদ পাঞ্জাবি অথবা তারও আগে বর্ণমালা আমার দুঃখিনী বর্ণমালা, একাত্তরের পটভূমিতে তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা, স্বাধীনতা তুমি, গেরিলা, কাঁক ইত্যাদি কবিতাগুলোয় উচ্চারিত হয়েছে এদেশের কোটি মানুষের কণ্ঠধ্বনি। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে জীবন বিসর্জন দেওয়া আসাদকে নিয়ে লিখেছেন আসাদের শার্ট কবিতাটি। বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান যখন কারাগারে তখন তাঁকে উদ্দেশ করে লেখেন অসাধারণ কবিতা টেলেমেকাস

সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লিখেছেন উদ্ভট উটের পিঠে চলছে স্বদেশ ও ইকারুসের আকাশ। যুদ্ধাপরাধীদের উত্থানে ক্ষোভের প্রকাশ ঘটিয়ে লিখেছেন একটি মোনাজাতের খসড়া, ফুঁসে ওঠা ফতোয়ার মতো আলোড়ন সৃষ্টিকারী কবিতা। গণতন্ত্রের জন্য লড়াকু সৈনিক শহীদ নূর হোসেনকে উৎসর্গ করে রচনা করেছেন বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়। এভাবেই নিভৃতচারী ও রোমান্টিক কবি শামসুর রাহমান হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের সমকালের সকল গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার কাব্যভাষ্যকার। একইসঙ্গে কবিতার জমিনে তিনি পরিস্ফুটিত করেছেন চিরকালীন বেদনা, প্রেম, মৃত্যু, ভালোবাসাসহ নানা বিষয়ের শৈল্পিক ব্যঞ্জনা।

নগর জীবনের প্রতি ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে তাঁর কলম থেমে বেরিয়ে এসেছে গদ্যগ্রন্থ স্মৃতির শহর। অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও জনমানুষের প্রতি অপরিসীম দরদ তাঁর চেতনায় প্রবাহিত ছিল। শামসুর রাহমানের বিরুদ্ধে বারবার বিতর্ক তুলেছে কূপমণ্ডূক মৌলবাদীরা। এমনকি তাঁকে হত্যার জন্য শ্যামলীর বাসায় হামলাও করেছে সাম্প্রদায়িক শক্তি। এত কিছুর পরও কবি তাঁর বিশ্বাসে অনড় ছিলেন।

কবিতা ছাড়াও উপন্যাস, ছড়া, প্রবন্ধ লেখার পাশাপাশি অনুবাদেও সিদ্ধহস্ত ছিলেন শামসুর রাহমান। এর বাইরে গীতিকার হিসেবেও তাঁর আরেকটি পরিচয়। সংখ্যাধিক্যে না হলেও শব্দ চয়ন, উপমা ও শব্দের অন্তমিলে ব্যবহারে যা কিনা মানের বিবেচনায় পেয়েছে উৎকর্ষতা। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে- আমি প্রতিদিন তোমাকেই দেখি, স্মৃতি ঝলমল সুনীল মাঠের কাছে, ফসলের মাঠে/মেঘনার তীরে, অনেক দিনের মতো এই দিন, এই মাটির কণা, স্বাধীনতা তুমি আছ বলে গোলাপ চামেলি ফোটে, এল নববর্ষ/শুভ নববর্ষ, বৈশাখী দিনে, ধু-ধু পিপাসার ক্ষণে, শূন্যে ডালে হঠাৎ হাওয়ায় লাগল ঝাঁকি, বৈশাখেরই অগ্নিঝালর দহন আনে জুড়ে, কথার ছলেই কথা দিয়েছিলে, মধুময় পৃথিবীকে নীলাকাশ ডাকবে, তোমার হৃদয়ে শ্রাবণের বর্ষণ, মেঘের কিনারে রংধনু জাগে ইত্যাদি।

শামসুর রাহমান রচিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৬৬টি। উপন্যাস লিখেছেন চারটি। একটি করে রয়েছে প্রবন্ধ ও ছড়ার বই। অনুবাদ বইয়ের সংখ্যা ৬টি।

পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে মর্নিং নিউজে সাংবাদিকতার মাধ্যমে পেশাগত জীবনে প্রবেশ ঘটে তাঁর। এরপর ১৯৫৭ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত রেডিও পাকিস্তানের অনুষ্ঠান প্রযোজক ছিলেন। এর মাঝে আবার ফিরে আসেন পুরনো কর্মস্থল দৈনিক মর্নিং নিউজে। সেখানে ১৯৬০ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত সহযোগী সম্পাদেকর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৪ সালে নভেম্বর থেকে শুরু করে সরকারি দৈনিক পাকিস্তানের সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৭৭-এর জানুয়ারি পর্যন্ত। ১৯৭৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি দৈনিক বাংলা ও সাপ্তাহিক বিচিত্রার সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৮৭ তে সামরিক সরকারের শাসনামলে তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এ সময় তিনি মাসিক সাহিত্য পত্রিকা অধুনার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আদমজী পুরস্কার, আনন্দ পুরস্কার, জীবনানন্দ পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন শামসুর রাহমান। রবীন্দ্রভারতী ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে সম্মানসূচক ডিলিট উপাধি দেওয়া হয়।

নিউজ ট্যাগ: শামসুর রাহমান

আরও খবর



২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার মূল বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভায় এ উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রণয়নে গত ১৪ মার্চ নির্দেশনা দেয় পরিকল্পনা কমিশন। সেই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সব বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছ থেকে এডিপির জন্য মোট দুই লাখ ৭৬ হাজার ৪০২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার প্রাথমিক চাহিদা পাওয়া যায়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক লাখ ৮৫ হাজার ৩৯১ কোটি ১৯ লাখ টাকা ও প্রকল্প ঋণ-অনুদান ৯১ হাজার ১১ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

পরে অর্থ বিভাগ থেকে পাঠানো নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপির আকার দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণপূর্বক কার্যক্রম বিভাগকে অবহিত করা হয়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বা ৬২ দশমিক ২৬ শতাংশ। উন্নয়ন ব্যয় মেটাতে বৈদেশিক ঋণ-অনুদানের টার্গেট এক লাখ কোটি টাকা বা ৩৭ দশমিক ৭৪ শতংশ।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এডিপিতে এক অর্থবছরের ব্যবধানে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বাড়ছে ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।


আরও খবর



শপথ নিলেন আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত ৩ বিচারপতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। তারা হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। এসময় আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী।

এর আগে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তিনজন বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে ওইদিন প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের, হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত তিনজন বিচারককে তাদের শপথ গ্রহণের তারিখ হতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন।

বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন। নতুন তিন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ায় আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াল আটজনে।


আরও খবর



স্কুল ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার সুজানগরে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

রোববার (১৯ মে) সকালে সুজানগর সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ভাটপাড়া এলাকায় ধর্ষণকারীদের বিচারের দাবি জানিয়ে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে ভাটপাড়া এলাকার সাবিনা খাতুন বলেন, ক'দিন হলো দেখছি এলাকায় বখাটেদের উৎপাত খুব বেড়ে গেছে, বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর থেকে শুরু করে এখন ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা। এ ধরনের ঘটনায় এলাকার মেয়েরা খুব আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

একই এলাকার রানা ও নাড়ুহাঁটি গ্রামের মোহাম্মদ আলী বলেন, স্কুল শিক্ষার্থী যে মেয়েটির সাথে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে মেয়েটির মা স্বামী পরিত্যক্তা, মামার বাড়ি থেকে মেয়েটি পড়াশোনা করে। শুক্রবার রাতে বাড়িতে কেউ না থাকায় ওত পেতে থাকা বখাটেরা তাকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। তারা জানান, ধর্ষণের ঘটনায় অনেক ভুক্তভোগী নারী ন্যায়বিচার পায় না। যার কারণে অপরাধীরা এ ধরণের ঘটনা ঘটানোর সাহস পায়। ধর্ষণকান্ডে অভিযুক্তদের অতিবিলম্বে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তারা।

এদিকে নির্যাতিতা শিক্ষার্থীর নানীর দাবি, ৩২ বছর ধরে তারা ভাটপাড়ার বাসিন্দা হলেও এমন পরিস্থিতি আগে কখনো হয়নি। গত ৮ মে উপজেলা নির্বাচনে আনারস প্রতীকে শাহীনুজ্জামানকে ভোট দেয়ায় তাদের উপর এই অমানবিক নির্যাতন চলছে বলে জানান তিনি।

রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।

উল্লেখ্য: গত শুক্রবার রাতে ভাটপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে বারেক, সাজিদ ও ইমন নামের তিন বখাটে ওই শিক্ষার্থীকে মুখ চেপে ধরে পাশের নির্মানাধীন ভবনে নিয়ে যায়। পরে সাব্বির ও তুহিন নামের আরও দুজন যোগ দিয়ে ওই শিক্ষার্থীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর নানি বারেককে প্রধান আসামি করে ৫ জনের নামে সুজানগর থানায় মামলা দায়ের করলেও এখনো কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।


আরও খবর



মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে রাখা অবৈধ: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত একইসঙ্গে জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন। সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম রাজু।

আইনজীবীরা বলেছেন, এটা একটা ঐতিহাসিক রায়।

এর আগে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

গত বছরের ৫ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনকারী হলেন চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামির আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় ৪০০ পিচ ট্যাপেন্টাডলসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফয়সাল আহম্মেদ, নওগাঁ প্রতিনিধি

Image

নওগাঁর বদলগাছীতে পৃথক অভিযানে ৪০০ পিচ ট্যাপেন্টাডলসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেন র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট এর চৌকস আভিযানিক দল। শনিবার সকালে র‌্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে র‌্যাব-৫।

চকবনমলী এলাকা হতে ২৮০ পিচ ট্যাপেন্টাডলসহ চকবাড়িয়া গ্রামের নওগাঁ সদর উপজেলার মোঃ গফুরের মেয়ে মোছাঃ মাহফুজা বেগম (৪৬), চকরামচন্দ গ্রামের নওগাঁ সদর উপজেলার মোঃ গফিরের মেয়ে মোছাঃ নাহার বেগম (৪০) কে গ্রেফতার করা হয় এবং মথুরাপুর এলাকা হতে ১২০ পিচ ট্যাপেন্টাডলসহ গয়েশপুর গ্রামের নওগাঁ বদলগাছী উপজেলার মোঃ দেলোয়ার হোনের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ রুবেল হোসেন (৩১)কে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীরা সকলেই চিহ্নিত মাদক কারবারী। তারা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করতো। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন ধরে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল উক্ত ব্যক্তিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করে। গতকাল শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত আসামীদেরকে মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের সময় পৃথক অভিযানে নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানাধীন চকবনমালী ও মথুরাপুর এলাকা থেকে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল আটক করে। পরবর্তীতে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে উক্ত আসামীদেরকে তল্লাশি করলে তাদের নিকট থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য ৪০০ পিচ ট্যাপেন্টাডল উদ্ধার করা হয়।

মাদকসেবী ও মাদক কারবারী সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর