আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

কাপ্তাই হ্রদের জলে ফুল ভাসিয়ে বৈসাবি শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

উৎসবপ্রিয় পাহাড়িরা সারা বছর মেতে থাকেন নানান অনুষ্ঠানে। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে যায় বর্ষবিদায় ও বরণ উৎসব, যা বৈসাবি নামে পরিচিত। বাংলা বর্ষের শেষ দিন (২৯ চৈত্র) চাকমারা ফুল বিজু, ত্রিপুরারা হাঁড়িবসু আর মারমা সম্প্রদায়ে সূচিকাজ নামে পালন করে এ উৎসব যা ফুল বিজু নামে সর্বাধিক পরিচিত। কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে রাঙামাটিতে শুরু হয়েছে বৈসাবির মূল আয়োজন। পানিতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই উৎসব ১৬ এপ্রিল মারমা সম্প্রদায়ের জলকেলির মাধ্যমে শেষ হবে।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সকালে রাঙামাটি শহরের বিভিন্নস্থানে কাপ্তাই হ্রদের জলে নানান রঙের ফুল ভাসিয়ে উদযাপিত হয় ফুল বিজু। এসময় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন উপস্থিত তরুণ-তরুণীরা। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বৃহত্তম এই সামাজিক আয়োজনে ব্যস্ত এখন শহর, নগর আর পাহাড়ি পল্লী। বাংলা বর্ষ বিদায় ও বরণ উপলক্ষে চাকমারা বিজু, ত্রিপুরা বৈসুক, মারমারা সাংগ্রাই, তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু ও অহমিয়ারা বিহু নামে পালন করছে এই উৎসব। উৎসবের প্রথম দিনে ফুল আর নিমপাতা দিয়ে ঘর সাজানো হয়েছে। বুধবার বিজুর মূল আয়োজন। এদিন পাহাড়িদের ঘরে ঘরে চলবে পাঁচন আতিথেয়তা।

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নানা বয়সী পাহাড়িরা ফুল নিয়ে আসতে শুরু করে বিভিন্ন ঘাটে। খুব ভোরে মা গঙ্গার উদ্দেশে নদীতে পবিত্র ফুল ভাসানোর মধ্যে দিয়ে শুরু হয় উৎসব। উৎসবে নারীরা বাহারি রঙের পিনোন হাদি পরে আর ছেলেরা ধুতি, পাঞ্জাবি ও ফতুয়া পরে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ফুল ভাসান। পানিতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে পুরনো বছরের সব গ্লানি মুছে যাবে, নতুন বছর বয়ে আনবে সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

করোনার দুই বছরের বিষাদ ও বেদনা ভুলে আবারও প্রিয় বৈসাবি উদযাপন করতে পেরে খুশি সবাই। ফুলবিজুর নানান আয়োজনে উপস্থিত বিশিষ্টজনরাও জানালেন নিজেদের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষার কথা।

রাজবাড়ীঘাটে ফুল ভাসিয়েছেন অমর কুমার চাকমা। তিনি জানান, এটি পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের ঐহিত্যবাহী সামাজিক উৎসব। করোনার কারণে গত দুই বছর উৎসবটি সেভাবে পালিত হয়নি। বিশ্ব যেন করোনা থেকে মুক্তি পায়, সেই প্রার্থনা করা হয় মা গঙ্গা দেবীর কাছে। পৃথিবী যেন ভালো হয়ে উঠে এমনাটাই প্রত্যাশা।

সীমা চাকমা বলেন, সকালে ফুল সংগ্রহ করে ঘর সাজিয়ে এখন ফুল ভাসাতে এসেছি। ফুল ভাসানোর মধ্যে দিয়ে পুরনো বছরের দুঃখ-বেদনাকে ভাসিয়ে দিলাম। নতুন বছর যেন সুন্দরভাবে কাটে এটাই প্রত্যাশা। করোনা থেকে দ্রুত বিশ্ব মুক্ত হোক। আমরা সবাই আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি, এটাই কামনা করি।

বৈসাবি উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ইন্টু মনি তালুকদার বলেন, পাহাড়ে বসবাসকারী পাহাড়ি-বাঙালি মিলে সুখে-শান্তিতে যেন বসবাস করতে পারি, ফুল বিজুর মাধ্যমে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। একইসঙ্গে আগামীর দিনগুলো যেন আনন্দে কাটে সবার। 

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে এই আনন্দ উদযাপন সম্ভব হয়নি। এবার করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকায়, আবারও সবাই একসঙ্গে মিলিত হতে পেরেছি। 

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, পার্বত্য জেলায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বসবাস। পাহাড়ে বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের মানুষ বসবাস করলেও, আমাদের মধ্যে সম্প্রতি অটুট ছিল। আমরা প্রত্যাশা করছি আগামী দিনগুলোতেই সম্প্রতি অটুট থাকবে। ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের মধ্য দিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই।

উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামের ১২টি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বাংলা বর্ষকে বিদায় ও বরণের এই অনুষ্ঠান তাদের প্রধান সামাজিক উৎসব। এই উৎসব চাকমা জনগোষ্ঠী বিজু নামে, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী মানুষ সাংগ্রাই, মারমা জনগোষ্ঠী মানুষ বৈসুক, তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠী বিষু, কোনও কোনও জনগোষ্ঠী ‌বিহু নামে পালন করে থাকে।

বৈসুকের বৈ সাংগ্রাইয়ের সা ও বিজু, বিষু ও বিহুর বি নিয়ে উৎসবটিকে সংক্ষেপে বৈসাবি নামে পালন করা হয়। পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদনের পর থেকে পাহাড়ের সকল জনগোষ্ঠীকে সম্মিলিতভাবে উৎসবে এক করতে এই সংক্ষেপে নামটি প্রচলন করা হয়েছে।


আরও খবর



রামুতে বাবা-ছেলেকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

কক্সবাজারের রামুতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ধারারো অস্ত্র ও গুলিতে বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন।

রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের থোয়াইংগাকাটা ঘোনারপাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। গরু পাচারের বিরোধের জেরে এই হত্যা বলে দাবি করা হলেও পুলিশ বলছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ হত্যাকাণ্ড।

নিহতরা হলেন গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের থোয়াইগ্যাকাটা এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জাফর আলম (৫২) ও তার ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩৩)।

পুলিশের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, সোমবার রাতে একটি খোলা দোকানের সামনে ক্যারম খেলছিল বাবা-ছেলেসহ গ্রামের ক'জন। এমন সময় একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত এলোপাতাড়ি গুলি করার পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবা-ছেলের ওপর হামলা করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তারা।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, সুরতাহাল প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পেরেছি নিহতদের শরীরে ধারারো অস্ত্রের আঘাত ও গুলির চিহ্ন রয়েছে। তবে কিসের আঘাতে তাদের মৃত্যু হয়েছে জানতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এঘটনা ঘটিযেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে পুলিশ।


আরও খবর



গণমাধ্যমকর্মী আইন: অংশীজনদের মতামত নেওয়া শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলী) আইন, ২০২১ এর খসড়ার ওপর পুনরায় বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও অংশীজনদের মতামত নেওয়া শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

রবিবার (১২ মে) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় মতামত নেওয়া শুরু করেছে মন্ত্রণালয়।

সভায় মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইনে শ্রম আইনের অধীনে সাংবাদিকদের প্রাপ্য সব ধরনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। সংবাদকর্মীরা শ্রম আইনের আওতায় যে সুবিধাগুলো পায়, সে সুবিধাগুলোর শতভাগ সুরক্ষা প্রস্তাবিত আইনে আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হবে। যদি কোথাও ব্যত্যয় থাকে, সে জায়গা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শ্রম আইনের অধীনে সংবাদমাধ্যমকর্মীরা যে সুরক্ষা পান, তার কোনও ব্যত্যয় বা ঘাটতি প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইনে থাকবে না।

তিনি আরও যোগ করেন, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টিতে গণমাধ্যমকর্মীদের কল্যাণ নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। এ জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ায় মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমকর্মী আইন পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

সব অংশীজনদের সহযোগিতা ও মতামতের ভিত্তিতে গণমাধ্যমকর্মী আইন সুন্দর পরিসমাপ্তির দিকে যাবে বলেও এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী। সাংবাদিক সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট অন্য অংশীজনদের গণমাধ্যমকর্মী আইনের খসড়ার ওপর লিখিত মতামত দেওয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলতাফ উল আলম, যুগ্ম সচিব মো. আসাদুজ্জামান, বেসরকারি টেলিভিশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এটকো) সহসভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য ফরিদ হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ওনাব) সভাপতি মোল্লাহ আমজাদ হোসেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির সভাপতি একরামুল হক সায়েম, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মো. রেফায়েত উল্লাহ মীরধা, এনার্জি রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মো. শামীম জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ সংবাদপত্রের কর্মচারী ফেডারেশনের মহাসচিব মো. খাইরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন মনজু, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, জাতীয় সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মো. নুর হাকিম, জাস্টিস ফর জার্নালিস্টের সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ভোজ্যতেলের তেলের দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

খোলা সয়াবিনের তেলের দাম প্রতি লিটারে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বোতলজাত তেলের দাম প্রতি লিটারে বাড়ানো হয়েছে ৪ টাকা। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

তিনি বলেন, খোলা সয়াবিন তেলের দাম ২ টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮১৮ টাকা। আগে এটির দাম ছিল ৮০০ টাকা। আর পাম ওয়েল সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৫ টাকা।

তাৎক্ষণিকভাবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে সয়াবিন তেলের যৌক্তিক মূল্য ঠিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এর আগে গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের চিঠিতে আবারও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। লিটার প্রতি ১০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭৩ টাকা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে লেখা চিঠিতে বলা হয়, আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, ভোজ্য তেলের কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন পর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারিতে জারি করা এসআরওদ্বয়ের মেয়াদ ১৫ এপ্রিলে শেষ হচ্ছে। তাই আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে বাজারে ভোজ্য তেল (পরিশোধিত পাম তেল ও পরিশোধিত সয়াবিন তেল) সরবরাহে ভ্যাট অব্যাহতি পূর্ববর্তী মূল্যে পণ্য সরবরাহ হবে।’

চিঠিতে ১৬ এপ্রিল থেকে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৭৩ টাকা, ৫ লিটার ৮৪৫ টাকা এবং খোলা ১ লিটার পাম তেলের দাম ১৩২ টাকা প্রস্তাব করা হয়।


আরও খবর



কত টাকা দরে কেনা হবে ধান চাল, জানালেন মন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকার চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার ধান ও চাল কিনবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। রাজধানীর সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার এ তথ্য জানান তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী জানান, ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, আতপ চাল এক লাখ টন এবং ৫০ হাজার টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা, আতপ চাল ৪৪ টাকা ও গম ৩৪ টাকা। আগের বছর ২০২৩ সালে ধান-চালের সংগ্রহ মূল্য ছিল যথাক্রমে ধান ৩০ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা ও গম ৩৫ টাকা।

তিনি বলেন, বোরো মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহ নিয়ে কোনো কৃষক অপমানিত হলে, হয়রানির শিকার হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এ পর্যন্ত হাওড়ে ৯৮ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। রংপুর, দিনাজপুর অঞ্চল ১০ ভাগ এবং সব মিলেয়ে ৬৬ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে।

মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চালের বস্তার গায়ে জাতের নাম লেখা শুরু হয়েছে। মিলার ও চাল ব্যবসায়ীরা যত দ্রুত জাতের নাম লিখবে তত ভালো। নিয়ম লঙ্ঘন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



রাশিয়ায় সেতু থেকে নদীতে বাস পড়ে নিহত ৭

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে সেতু থেকে যাত্রীবাহী একটি বাস নদীতে পড়ে অন্তত সতজন নিহত হয়েছেন। এতে আরও ছয়জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১০ মে) জরুরি মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

রুশ তদন্তকারী কমিটি জানিয়েছে, বাস দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে ছয় জন। ওই বাসে ২০ জনের মতো যাত্রী ছিল।

সেতু ভেঙে বাসটি নদীতে পড়ে যাওয়ার পরই ডুবে যায়। এরপরই উদ্ধারকর্মীরা এটিকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালায়। ওই সেতুর পাশে উদ্ধারকারীদের নৌকা এবং অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে স্থানীয়রা ওই নদীতে নেমে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষ বাস দুর্ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে এতে দেখা যাচ্ছে সেতুর রেলিং ভেঙে বাসটি নদীতে পড়েই ডুবে যায়।

রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা রিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বাসের চালককে আটক করা হয়েছে।


আরও খবর