আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

কামরাঙ্গীরচরে হবে বিশ্বমানের বাণিজ্যিক অঞ্চল: তাপস

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ নভেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রাসঙ্গিক চাহিদা মেটাতে কামরাঙ্গীরচরে বিশ্বমানের বাণিজ্যিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। যা ভিশন- ২০৪১ অর্জনে সহায়তা করবে।

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস নগর ভবনে তার কার্যালয়ে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, আমরা কামরাঙ্গীরচরে একটি কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক অঞ্চল (সিবিডি) তৈরি করব। এলাকাটি একটি সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক শহরে রূপান্তরিত হবে। এখানে একটি ৫০ তলা বিশিষ্ট আকাশচুম্বী ব্যবসায়িক ভবন, বিশ্বমানের সম্মেলন কেন্দ্র এবং একটি হোটেল তৈরি করা হবে।

ঢাকার নতুন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক অঞ্চলের সম্ভাবনা: কামরাঙ্গীরচর শীর্ষক একটি খসড়া পরিকল্পনা সম্প্রতি ডিএসসিসিতে উপস্থাপন করা হয়েছে। খসড়া পরিকল্পনা প্রণয়নে পরিকল্পনাকারীরা ঢাকার অর্থনৈতিক ওভারভিউকে বিবেচনায় নিয়েছেন।

অর্থনৈতিক পর্যালোচনা অনুযায়ী (২০১১ সালের জনসংখ্যার রিপোর্ট অনুযায়ী) ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার মোট জনসংখ্যা ছিল ১৪ দশমিক ১৭ মিলিয়ন যা মোট শহুরে জনসংখ্যার ৩৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ঢাকা শহরের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং জিডিপিতে এর অবদান প্রায় ৩৫ শতাংশ (৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা)।

ব্যারিস্টার তাপস বলেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল অবৈধ দখলমুক্ত করে তা পুনরুদ্ধার করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা নদী তীর থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করবো এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিপ্রায় অনুযায়ী বুড়িগঙ্গা পুনঃখনন করে এর প্রাচীন রূপ পুনরুজ্জীবিত করবো। অবৈধ দখলদাররা যত শক্তিশালীই হোক না কেন তাদের অবশ্যই উচ্ছেদ করা হবে।

মেয়র বলেন, আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুজ্জীবিত হলে কেরানীগঞ্জের দুই পাশ দিয়ে পানি প্রবাহিত হবে এবং এইভাবে এলাকায় একটি নান্দনিক পরিবেশ তৈরি হবে।

ব্যারিস্টার তাপস বলেন, একবার সিবিডি বাস্তবায়িত হলে এটি ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যবিত্তের দেশে পরিণত করে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কল্পনায় একটি উন্নত দেশে পরিণত করে ভিশন ২০৪১ অর্জনে সহায়তা করবে।

কামরাঙ্গীরচর হবে রাজধানীর পরবর্তী বাণিজ্যিক কেন্দ্র এবং এটি হবে নান্দনিক ও আধুনিক স্থাপত্যের উদাহরণ। স্মার্ট প্রবৃদ্ধির প্রতীক হবে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে জীবনযাপন করবে।

খসড়া পরিকল্পনা অনুযায়ী বিজনেস হাব তৈরি করা হবে এমন প্রত্যাশিত উপাদানগুলি হল- একটি সুউচ্চ কনভেনশন সেন্টার, কনডমিনিয়াম, হাই-ইন্ড অফিস বিল্ডিং, অডিটোরিয়াম, সেমিনার হেরিটেজ মিউজিয়াম, রুফটপ ক্যাফে বা রেস্তোরাঁ, আর্ট গ্যালারি, সবুজ ওয়াকওয়ে, সাইকেল লেন এবং স্ট্যান্ড, ওয়াটার ট্যাক্সি জেটি, ওয়াটার গার্ডেন, পুরান ঢাকার জাদুঘর, ড্রামা থিয়েটার এবং অ্যাম্ফিথিয়েটার।

প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় ভৌগোলিক অবস্থান, পরিবেশগত দিক, নদী অববাহিকায় ঘেরা কামরাঙ্গীরচর এলাকার বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদের সুবিধা এবং বিদ্যমান আর্থিক কেন্দ্রগুলির খুব কাছাকাছি থাকাকে এর শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

একইভাবে, খসড়া পরিকল্পনায় কামরাঙ্গীরচরকে সিবিডি নির্মাণের উপযোগি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে কারণ এলাকাটি তুলনামূলকভাবে নিম্ন বৃদ্ধির কাঠামো এবং গণট্রানজিট স্টেশনগুলির সঙ্গে সম্ভাব্য সংযোগ রয়েছে।

খসড়া পরিকল্পনায় নদীর পাড়ের অবৈধ দখল, কামরাঙ্গীরচর এলাকার জমির গড় উচ্চতা (৫ দশমিক ৫ মিটার) যা সর্বোচ্চ বন্যা প্রবাহের স্তরের নিচে এবং নিম্ন ভূগর্ভস্থ পানি শোষণকে সিবিডির দুর্বলতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

খসড়া পরিকল্পনা অনুসারে, জমির দুর্বল ভার বহন ক্ষমতার জন্য সুউচ্চ ভবন নির্মাণ ব্যয়বহুল হবে। বিদ্যমান সরু সড়কের আধিক্য সিবিডির হেভি ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের জন্য বাঁধা। প্রশস্ত রাস্তা সমূহের পাশে বিদ্যমান উচু স্থাপনা, রাস্তা প্রশস্তকরণে জটিলতা তৈরি করবে। সিবিডিকে কেন্দ্র করে বুড়িগঙ্গার অপর পাশে (কেরানীগঞ্জে) অপরিকল্পিত নগরায়ন হতে পারে। কেরানীগঞ্জের অপরিকল্পিত নগরায়ন সিবিডির জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।



আরও খবর



রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, তথ্য পেলেই অভিযান: র‌্যাব

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে আরসা ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিষয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তথ্য পেলেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা। তারা অপহরণ, লুণ্ঠন, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। এর আগে নানা অভিযানে এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ১১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া, বিপুল বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। র‌্যাবের অব্যাহত নজরদারি ও তৎপরতায় আরসা নেতৃত্ব শূন্য হয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, কিন্তু বর্তমানে পাশের দেশের অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনায়, আমাদের দেশে অস্ত্র ও বিস্ফোরক প্রবেশ করছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। এমন তথ্যের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার (১৬ মে) লাল পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়।

আরাফাত ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর এ তৎপরতা নিষ্ক্রিয় করার জন্য স্থানীয় থানাসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমাদের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে, যখনই তথ্য পাচ্ছি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।


আরও খবর



লক্ষীপুরের ৫ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রাতে ফলাফল ঘোষণা করে স্ব-স্ব রিটার্নিং অফিসার।

দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মীর শাহ আলম। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৬২৪৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল উদ্দিন চৌধুরী চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ২৬৯৮ ভোট।

দালাল বাজার ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন নজরুল ইসলাম। চশমা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬৩৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুর নবী চৌধুরী অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭৬০ ভোট।

বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে মিজানুর রহমান চশমা প্রতীকে ৬৪০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ জামাল রিপন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩৯০ ভোট।

লাহারকান্দি ইউনিয়নে টেলিফোন প্রতীকে আশরাফুল আলম বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৫৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খোরশেদ আলম শাহীন অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭৭৩ ভোট।

তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ওমর হুসাইন ভুলু আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৭৫৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বোরহান চৌধুরী পেয়েছেন অটোরিকশা প্রতীকে ৬২৩৯ ভোট।

দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার এবং তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বপন কুমার ভৌমিক ও বাঙ্গাখাঁ এবং লাহারকান্দি ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম চৌধুরী ফলাফলের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



২৪ ঘণ্টা না যেতেই আবারও কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

একদিন না যেতেই আবারও স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানো হয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ দাম এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা থেকে কমিয়ে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্প‌তিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আজ বিকেল ৩টা ৫০ মি‌নিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল স্বর্ণের দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।

এর দুই দিন পর ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা ও ২৫ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোরর ঘোষণা দিলো বাজুস। অর্থাৎ তিন দিনে ভ‌রি‌তে স্বর্ণের দাম ক‌মেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা।


আরও খবর



আনোয়ারায় প্রসূতি মায়েদের ভরসার নাম ‘মরিয়ম বেগম’

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের ওষখাইন গ্রামের বাসিন্দা মোছাম্মৎ মরিয়ম বেগম (৬৫) এলাকায় তার ধাত্রী হিসেবে বেশ সুনাম রয়েছে। শুধু আশপাশেই নয়, পাশের কোনো গ্রামে মহিলার সন্তান জন্মের মুহূর্ত এলেই তার ডাক পড়ে। অথচ তার ডেলিভারির বিষয়ে কোনো প্রশিক্ষণ নেই।

তিনি বলেন, আমার সহায়তায় কমপক্ষে দেড় শতাধিক মহিলার সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে। কারও মৃত্য হয়নি। অবস্থা জটিল দেখলে হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দিই। তবে আগে খুব বেশি ডাক পড়ত। এখন তেমন কেউ ডাকে না। কারণ এখন বেশিরভাগ মহিলার সিজারেই বাচ্চা হয়।

শুধু এই ধাত্রী নন, তার মতো অসংখ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এমন অপ্রশিক্ষিত অনেক ধাত্রী। ফলে কমছে না নরমাল ডেলিভারি এবং মাতৃ ও নবজাতকের মৃত্যুর সংখ্যা। একই সঙ্গে বাড়ছে সিজার বা অস্ত্রোপচারে বাচ্চা জন্মদানের প্রবণতা।

ধাত্রী শব্দটি সবারই পরিচিত। প্রসবের দিন যত এগিয়ে আসে, ততই দুশ্চিন্তা বাড়ে প্রসূতি নারীদের। অনেকে সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দিতে চাইলেও বহু নারী ধাত্রীকেই একমাত্র ভরসা হিসেবে মনে করেন। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের বেশির ভাগ প্রসূতি নারী স্বাভাবিক প্রসবে বাচ্চা জন্ম দিচ্ছেন। এতে সুনাম কুড়াচ্ছেন এসব ধাত্রীরা। তবে প্রশিক্ষিত ধাত্রীর অভাবে প্রসূতি নারীসহ বাচ্চা ঝুঁকিতে থাকছেন বলে মনে করেন সচেতন মহল।

স্থানীয় বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহজাদা সাইমুম ইফতেখার কাজিম উদ্দীন বলেন, আমাদের সমাজে ধাত্রীদের অনেক অবদান রয়েছে। এ ধরনের মানুষ সমাজের নিঃস্বার্থ উদাহরণ। তাদেরকে সরকারিভাবে প্রশিক্ষণের আওতায় আনলে মানুষ উপকৃত হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মামুনুর রশিদ বলেন, গত ২বছরে আনোয়ারায় কোনো ধাত্রী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। তবে আনোয়ারায় কিছু প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ধাত্রী রয়েছে, তাদেরকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। তারা যদি প্রশিক্ষণ নিতে চান, তাহলে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



অতিরিক্ত সচিব হলেন ১৩০ কর্মকর্তা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রশাসনের ১৩০ জন যুগ্ম সচিবকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত সচিব করেছে সরকার। এক বছরের কিছু কম সময়ের মধ্যে পুনরায় অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এ পদোন্নতির ফলে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১৮তম ব্যাচের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান হলো। ঈদুল ফিতরের আগেই এ ব্যাচের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়ার কথা ছিল। তবে ঈদের আগে সে পদোন্নতি হয়নি।

কর্মকর্তারা জানান, নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে ১৮তম ব্যাচের সঙ্গে অতীতে বিভিন্ন সময় পদোন্নতিবঞ্চিত (লেফট আউট) কর্মকর্তাদের বিষয়টি এবারের পদোন্নতির বিবেচনায় নেওয়া হয়। প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত হওয়া ইকোনমিক ক্যাডারের ৪০ জনসহ ১৮তম ব্যাচের পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তা ১১০ জন। এ ছাড়া লেফট আউটে ছিলেন। তাদের সবার মধ্য থেকে ১৩০ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হলো।

এর আগে পদোন্নতির বিবেচনায় নেওয়া কর্মকর্তাদের এসিআরের প্রয়োজনীয় নম্বর, চাকরি জীবনের শৃঙ্খলা, অসদাচরণ, পারিবারিক রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা, ছাত্রজীবনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ইত্যাদি বিষয় চুলচেরা বিশ্লেষণের পরই তালিকা চূড়ান্ত করে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড বা এসএসবি।

গত বছরের ১২ মে ১১৪ জনকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত সচিব করা হয়েছিল। বর্তমানে ২৮৮ জন অতিরিক্ত সচিব কর্মরত আছেন। তাদের সঙ্গে যুক্ত হলেন আরও ১৩০ কর্মকর্তা। পদ না থাকায় তাদের আগের পদেই ( ইনসিটু) কাজ করতে হবে বলে জানা গেছে।


আরও খবর