আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

কাদের মির্জা ও বাদল গ্রুপের মামলা প্রত্যাহারে সমঝোতা

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল অনুসারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি মামলার ঘটনায় স্থবির হয়ে পড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কার্যক্রম।

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আসস্মিক সংঘাতে জড়িয়েছে বহুমবার দুই পক্ষ। এক পর্যায়ে এটি রূপ নেয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে। গত ১ বছর সংগঠনটির বিবদমান দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় বিপযস্ত হয়ে পড়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন গুলো।

অবশেষে শান্তি ফেরাতে এক বছর ধরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিবদমান দ্বন্ধের জেরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিনের বাসায় ও কোম্পানীগঞ্জ থানায় দুই ধাপে এ সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল অনুসারী মধ্যে এসব দ্বন্দ্ব সংঘাত ও পাল্টাপাল্টি মামলার ঘটনা ঘটে। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অনুসারী।

দুই গ্রুপের এ দ্বন্ধ সংঘাতে কাদের মির্জার প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায় তাঁরই আপন তিন ভাগনে। তাঁরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু,ফখরুল ইসলাম রাহাত ও সিরাজিস সালেকিন রিমন। তিন ভাগনে কাদের মির্জার ৪৮ বছরের রাজনীতির ক্যারিয়ারকে টেক্কা দিয়ে শক্ত হাতে নেতৃত্ব দেয় তাঁর প্রতিপক্ষ গ্রুপকে। এক পর্যায়ে কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ শিবিরের আশ্রয়স্থল হয়ে দাঁড়ায় তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে দুই পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে মামলা প্রত্যাহারে সমঝোতা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ গ্রুপের অনত্যম নেতা উপজেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, চরফকিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জায়দল হক কচি, রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজিস সালেকিন রিমন,চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.মাহবুবুর রহমান আরিফ। এ সময় কাদের মির্জার পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুছ, এডভোকেট শংকর ভৌমিক ও এডভোকেট শাহেদুর রহমান তুহিন। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান ও কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো.সাজ্জাদ রোমন।

বসুরহাট পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুউদ্দিন নোমান বলেন, সমঝোতা বৈঠক খবর চাউর হলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মিদের মাঝে উচ্ছ্বাস দেখা দেয়। শান্তি ফেরাতে এ বৈঠককে সর্বস্তরের জনগণের সমর্থন আছে বলেও মাঠ পর্যায়ে এ নেতা মন্তব্য করেন।

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ তাঁর ভাগনে রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরজিস সালেকিন রিমনের বলেন, গত প্রায় দেড় বছর ধরে কোম্পানীগঞ্জে চলমান পরিস্থিতির আলোকে সেতুমন্ত্রীর নির্দেশে উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিনের স্বমনয়ে উপজেলার পরিবেশকে শান্ত করে সবাই যাতে অবাধে চলাচল ও রাজনীতি করতে পারে এ জন্য সমঝোতা বৈঠকের প্রথম ধাপে রাজনৈতিক মামলা গুলো প্রত্যাহরের সমঝোতা বৈঠক হয়েছে। উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণও এখনো ভয়ভীতিতে অবাধে বসুরহাট বাজারে চলাচল করতে পারেনা। গুটি কয়েক বখাটে নেতৃবৃন্দকে দেখলে এখনো গালমন্দ করে ইভটিজিং করে নানা ভাবে অপদস্ত করতে চায়। তারপর বাসস্ট্যান্ডের সমস্যা। বসুরহাট হাইস্কুল এবং সরকারি মুজিব কলেজে এক পেশে রাজনীতিসহ রাজনৈতিক বৈষম্য। সব মিলিয়ে এসব সমস্যা গুলোকে স্থিতিশীল করতে বৈঠকে তুলে ধরা হয়।

তিনি আরও বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে গত দেড় বছরের দ্বন্দ্ব সংঘাতে ২টি হত্যা মামলা, ৮টি পুলিশ অ্যাসল্ট মামলাসহ পাল্টাপাল্টি প্রায় ৬০টি মামলা হয়। এ ছাড়া কাদের মির্জার বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিপক্ষরা কোম্পানীগঞ্জ থানায় ২৮টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্যা গুলো বিহিত করার জন্য প্রশাসন আন্তরিক। এরপর কোন পক্ষের অনুসারী গন্ডগোল সৃষ্টি করলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে প্রশাসন।

সমঝোতা বৈঠকের বিষয়ে জানতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ফোনে কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন মামলা প্রত্যাহারে সমঝোতা বৈঠকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিবদমান দুই পক্ষকে নিয়ে গত কয়েক দিন কয়েক বার সমঝোতা সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয়। দুই গ্রুপের যতগুলো মামলা আছে সব মামলা গুলো সমাঝতার মাধ্যমে শেষ করা হবে। এখন থেকে নতুন করে কেউ কোনো প্রকার ঝগড়া পাষাদ মারামারি বা কাউকে কেউ অপমান করতে পারবে না । আমরা সবাই সমঝোতা চাচ্ছি। সবাই মিলে মিশে একসাথে কোম্পানীগঞ্জে থাকব। কোম্পানীগঞ্জে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে মানুষের জান মালের হেফাজত করা হবে।

তিনি আরও বলেন,  গতকাল নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয় । ওনারা আশ্বস্ত করেছেন সমাঝতার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করবেন। ওনাদের পরামর্শ নতুন করে কোন বিরোধ করা যাবে না। কেউ নতুন করে কিছু করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নিবেন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান নতুন করে কাউকে কোনো প্রকার ঝগড়া পাষাদে না জড়াতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

এ বিষয়ে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আকরামুল হাসান বৈঠকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমার সভাপতিত্বে কোম্পানীগঞ্জে পুনরায় শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুই পক্ষ দ্বন্দ্ব সংঘাত থেকে বিরত থাকলে প্রশাসন তাদেরকে আইনানুগ সহযোগিতা করবে।


আরও খবর



অনুমতি না নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ধর্ষণ নয়: মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্ট

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অনুমতি না নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন স্ত্রী। তবে তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্ট। স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়ার বিষয়টি অবান্তর বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।

মামলার এজহার থেকে জানা গেছে, স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিকবার অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্কের অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্ত হন ওই নারী। কখনও আবার মিলনের আগে তার অনুমতি নেওয়া হয়নি। এজন্য স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে এফআইআর করেছিলেন তিনি। আদালত সেই এফআইআর খারিজ করে দিয়েছে।

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি গুরপাল সিংহ অহলুওয়ালিয়ার বেঞ্চ জানিয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে কোনো প্রকার অস্বাভাবিক যৌনতা ধর্ষণ হতে পারে না। এ ক্ষেত্রে স্ত্রীর অনুমতি সংক্রান্ত বিষয়টি অবাস্তব। কারণ মহিলার বয়স ১৫ বছরের নীচে নয় এবং বৈবাহিক ধর্ষণ ভারতীয় আইনে এখনও স্বীকৃত নয়।

আদালতের পর্যবেক্ষণের বলা হয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণের সংশোধিত সংজ্ঞা অনুযায়ী, ১৫ বলছরের ঊর্ধ্ব স্ত্রীর সঙ্গে তার স্বামীর কোনো প্রকার যৌন সম্পর্ক ধর্ষণ নয়। এ ক্ষেত্রে তাই স্ত্রীর সম্মতির বিষয়টি বিবেচ্য হয় না। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী, স্বামী তার আইনত বৈধ স্ত্রীর সঙ্গে এক ছাদের নীচে থাকলে অস্বাভাবিক যৌনতা দোষের নয়। তাই এই মামলার কোনো ভিত্তি নেই।

আদালত আরও জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬বি ধারা অনুযায়ী একটি ক্ষেত্রেই স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনতে পারেন স্ত্রী। যদি আইনত বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও স্বামী এবং স্ত্রী আলাদা থাকেন, তবেই ওই অভিযোগ বৈধ হতে পারে।


আরও খবর



হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও লেখক হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন।

শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ২টায় রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। হাসপাতালটির কাস্টমার কেয়ার থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, আকবর খান রনো হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ২টায় মারা যান। তিনি টাইপ-২ রেসপিরেটরি ফেইলিউর নামক শ্বাসতন্ত্রীয় রোগে ভুগছিলেন। সাধারণত এই রোগে ফুসফুসের অক্সিজেন গ্রহণের ক্ষমতা কমে যায়।

এদিকে পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের সদস্যরা দেশের বাইরে থাকায় মরদেহ সোমবার পর্যন্ত শমরিতা হাসপাতালের মর্গে রাখা হবে। স্বজনরা দেশে ফিরলে শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নেওয়া হবে এই প্রবীণ রাজনীতিবিদের মরদেহ। এরপর বাবা-মায়ের কবরের পাশে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে হায়দার আকবর খান রনোকে।

হায়দার আকবর খান রনো ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস নড়াইলের বরাশুলা গ্রামে।

উল্লেখ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও নেতা হায়দার আকবর খান রনো একাধিক বইয়ের লেখক। মার্ক্সবাদী এই তাত্ত্বিক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।


আরও খবর



সৌদি পৌঁছেছেন ১২ হাজার ৬৪৯ হজযাত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছর হজ পালনের উদ্দেশ্যে এখন পর্যন্ত সৌদি আরব পৌঁছেছেন ১২ হাজার ৬৪৯ জন যাত্রী। গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে হজ পোর্টাল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সৌদিতে যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার গেছেন ৮ হাজার ৯০২ জন।

বাংলাদেশ থেকে ৩২টি ফ্লাইটে এসব হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। এরমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ৭টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।

এর আগে, গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। শেষ হবে ১০ জুন।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন এবং শেষ হবে ২২ জুলাই।


আরও খবর



ইবিতে র‌্যাগিংকাণ্ড, তদন্তে সত্যতা মিললেও বিচারে দীর্ঘসূত্রতা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ইবি প্রতিনিধি

Image

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের এক শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে র‍্যাগিংয়ের ঘটনার ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও বিচার হয়নি অভিযুক্তদের। কিন্তু প্রশাসন ও হল প্রশাসন কর্তৃক গঠিত পৃথক দুই তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থীর সরাসরি সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায়। যার ফলে তাদের বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি ও কম জড়িত থাকা এক শিক্ষার্থীকে সতর্ক করার সুপারিশ করা হয়। তবে পরবর্তীতে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষের গড়িমসি ও সদিচ্ছার অভাবে বিচারে দীর্ঘসূত্রতা হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইবির লালন শাহ হলের গণরুমে (১৩৬ নং কক্ষ) এক ছাত্রকে বিবস্ত্র করে রাতভর র‌্যাগিং করা হয়। এসময় কথা না শুনলে তাকে লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীকে উলঙ্গ করে পর্ণগ্রাফি দেখে অশ্লিল অঙ্গভঙ্গি করতে বাধ্য করে নির্যাতনকারীরা। এতে গুরুতর অভিযুক্ত দুইজন হলেন- শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের মুদাচ্ছির খান কাফি এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মোহাম্মদ সাগর। এছাড়া ইতিহাস বিভাগের উজ্জ্বল হোসেন কম জড়িত ছিল। তারা সকলেই ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এদিকে ওই কক্ষে প্রায়ই র‌্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে বলে সাক্ষাতকার দেওয়া শিক্ষার্থীরা তদন্ত কমিটির কাছে জানান।

এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ এর সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, গত তিন মাস আগে এই র‌্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে। তবে এখন পর্যন্ত বিশ্বিবদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি, যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, গত ঈদের ছুটির আগেই আমরা ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিয়েছি। সিদ্ধান্তের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, প্রতিবেদন সাধারণত রেজিস্ট্রারের নিকট জমা দেওয়া হয়। সেখান থেকে উপাচার্যের অনুমতিতে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত হয়ে আমার কাছে আসে। প্রতিবেদন আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এটি মূলত ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটি হয়ে পরবর্তীতে সিন্ডিকেটে আসবে। এখানে একটু মিসটেক হয়েছে তাই দেরি হয়েছে। আমি বিষয়টি নিয়ে সবজায়গায় দ্রুত সমাধানের জন্য বলেছি। আশা করি শীঘ্রই এর সমাধান হবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




ঝাউদিয়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়ার ইবি থানাধীন ঝাউদিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চাচাত ভাইয়ের লাঠির আঘাতে বকুল বিশ্বাস (৫৬) নামের এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৮ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সোমবার (১৩ মে) রাত সোয়া ১০ টার দিকে হাতিয়া গ্রামের খা পাড়ায় পারিবারিক মৃত ব্যাক্তির খানা রান্নাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

নিহত বকুল বিশ্বাস হাতিয়া গ্রামের আত্তাব বিশ্বাসের ছেলে এবং পেশায় একজন চাল ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, পারিবারিক মৃত খানার রান্না করাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের শাজাহান বিশ্বাস ও রাজ্জাক মেম্বার এর মধ্যে বাগবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে রান্না চলাকালীন সময়ে রাজ্জাক মেম্বার এর লোকজন তার চাচাত ভাই বকুল বিশ্বাস এর লোকের সাথে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং এক পর্যায়ে সংঘর্ষে লাঠির আঘাতে বকুল বিশ্বাস মারাত্মক জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা।


আরও খবর