আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

জয়পুরহাটে ‘পলিনেট হাউসে’ চাষ হচ্ছে বিষমুক্ত সবজি

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে কীটনাশক ছাড়াই বিষমুক্ত ভাবে পলিনেট হাউসে সবজি চাষ করছেন জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের  কৃষকরা। এ পদ্ধতি কৃষি উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। 

জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৃষি বিজ্ঞানের নতুন উদ্ভাবন এ পলিনেট হাউস। পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের পশ্চিম ধুরইল গ্রামের কৃষক রবিউল আলম ও আব্দুর রহমান পলিনেট হাউস  পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে সফলতার স্বপ্ন বনছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, পলিনেট হাউসে শীতকালের সবজি যেমন গ্রীষ্মকালেও  উৎপাদন করা যাবে, তেমনি গ্রীষ্মকালীন সবজিও শীতকালে উৎপাদন করা যাবে। যে কোন আবহাওয়া এতে কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না। আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি করা পলিনেট হাউসে  ভারি বৃষ্টিপাত, তাপদাহ, পোকামাকড়, ভাইরাস জনিত রোগের মতো প্রতিকূল পরিবেশেও নিরাপদ থাকবে সবজি। কোন কীটনাশক দিতে হবে না। 

পশ্চিম ধুরইল গ্রামের কৃষক রবিউল আলম জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে পলিনেট হাউস নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, পলিনেট হাউসে চাষ হচ্ছে মিন্টো সুপার ও বাহুবলী জাতের টমেটো, সানড্রপ জাতের কাঁচা মরিচ, বিটি জাতের বেগুন, কুইন অ্যানি জাতের আলু, ব্রকলি, ফুলকপি, হার্টবিট, গাজর, লেটুসসহ অন্যান্য সবজি। কৃষক আব্দুর রহমানের জমির পরিমান ১৫ শতক। লোহার এ্যাঙ্গেল ব্যবহার করে পলিনেট হাউস নেট দিয়ে ঘেরার জন্য পোকামাকড় ঢুকতে পারেনা। সেখানে রয়েছে সেচ দেওয়ার আধুনিক প্রযুক্তি। পলিনেট তৈরি করতে পুরো খরচ দিয়েছে কৃষি বিভাগ। এ টাকা পরিশোধ করতে হবেনা।

আব্দুর রহমান ও রবিউল আলমের পলিনেট হাউসে তিন জন শ্রমিক কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছেন। আব্দুর রহমান জানান, কৃষি বিভাগ থেকে গত অক্টোবর মাসে পলিনেট হাউস নির্মাণ করে দেওয়া হয়। বাজারে তুলনামূলক ভাবে পলিনেট হাউসে উৎপাদিত সবজির চাহিদা অনেক বেশি। সে কারণে উন্নত মানের সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন বলে জানান, আব্দুর রহমান। রবিউল জানান, পলিনেট হাউসে সবজি চাষ ছাড়াও বাইরে ৮ শতাংশ জমিতে লেটুস ও ব্রকলি চাষ করেছেন। বাইরের জমিতে থাকা সবজিতে পোকামাকড় দেখা গেলেও  পলিনেট হাউসে বিষমুক্ত ভাবে চাষ করা সবজি বেশ সতেজও  রয়েছে।

পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফর রহমান জানান, পলিনেট হাউসে সবজি  চাষ ওই এলাকার কৃষকদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে। এ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে প্রতিদিনই আশপাশের কৃষকরা আসছেন এবং উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। উচ্চ মুল্যের সবজি চাষে পলিনেট হাউস কৃষি ক্ষেত্রে একটা রোল মডেল উল্লেখ করে পলিনেট হাউস থেকে সারা বছর নিরাপদ ও বিষমুক্ত সবজি পাওয়া সম্ভব বলে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন।

নিউজ ট্যাগ: পলিনেট হাউস

আরও খবর



রাজধানীতে ফুটপাত বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নানা শ্রেণিপেশার মানুষের চলাচলের জন্য রাজধানীর ফুটপাত, অবৈধভাবে দখল ও বিক্রির সঙ্গে কারা কারা জড়িত তাদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ফুটপাত বিক্রি ও অবৈধ দখলকারীদের সঙ্গে কারা কারা জড়িত তা আগামী ১৩ মে অর্থাৎ ১৫ দিনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনকে জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে সোমবার (২৯ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।


আরও খবর



নতুন করে বিতর্কে রাশমিকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডে পা দিতে না দিতেই বারবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে দক্ষিণী অভিনেত্রী রাশমিকা মন্দানার নাম। কান্তারা’ সিনেমায় ট্রোলের শিকার হয়েছিলেন তিনি। এরপর দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র অভিনেতা অভিনেত্রীদের সম্মান না করার অভিযোগও উঠেছিল।

এবার চলতি বছরের আগস্টে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে তার বহুল আলোচিত সিনেমা পুষ্পা: দ্য রুল’। বহু বির্তকের পর এবার বলিউডে সালমানের সঙ্গে জুটি বাঁধছেন তিনি। সালমানের আগামী ছবি সিকান্দার’-এ রাশমিকাকে দেখা যাবে।

সালমান-রাশমিকার জুটির এই খবরে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভক্তদের মাঝে বিতর্কের মুখে পড়েছেন রাশমিকা। দু’জনের বয়সের পার্থক্য ৩০ বছর হওয়ায়  অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। তাদের একাংশ এ জুটিকে বাবা-মেয়ের সম্পর্কের সঙ্গেও তুলনা করছেন।

রাশমিকা ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, আপনারা আমার পরবর্তী কাজের জন্য বহু দিন অপেক্ষা করছিলেন। আমি সিকন্দর’-এর অংশ হতে পেরে সত্যিই কৃতজ্ঞ।’

এক উচ্ছ্বসিত ভক্ত টুইট করেছেন, সিকান্দরে মেগাস্টার সালমানের নায়িকা রশ্মিকা, নিঃসন্দেহে ২০২৫-এর সবচেয়ে বড় হিট হতে চলেছে এই ছবি।’

এর আগে বিগ বসের মঞ্চে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে তাদের। সঞ্চালক সালমানের সঙ্গে রাশমিকা রসায়ন সেই সময়ই চোখে পড়েছিল সবার। এমনকি দু’জন পুষ্পা: দ্য রাইজ (২০২১) চলচ্চিত্রের সামি সামি গানে জমিয়ে একসাথে নেচেছিলেনও দুজনে। টাইগার ৩ প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি, সেই দুঃখ ভুলে আপাতত ভাইজানের ফোকাসে সিকান্দর।


আরও খবর



গ্রীষ্মে নতুন রুপে সেজেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

প্রকৃতি থেকে কিছুদিন আগেই বিদায় নিয়েছে বসন্ত। ‌ঋতুর পালাবদলে আগমন ঘটেছে গ্রীষ্মের। বাংলা বর্ষপঞ্জির বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ দুই মাস গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। প্রকৃতিতে দেখা দিয়েছে রুক্ষতার ছাপ। তবে গ্রীষ্ম তার নিষ্প্রাণ রুক্ষতাকে ছাপিয়ে প্রকৃতিতে মেলে ধরেছে অপার সৌন্দর্য।

তেমনই গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহে সূর্যের সবটুকু উত্তাপ কেড়ে নিয়ে সবুজ প্রকৃতি আর লাল ইটপাথরে ঘেরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাস যেন হরেক রকম ফুলের ফসরা সাজিয়ে বসেছে। কৃষ্ণচূড়া, জারুল, সোনালু, কনকচূড়া, বাগানবিলাস, জবা, বেলী কাঠগোলাপ, মাধবীলতাসহ রঙ-বেরঙের বিচিত্র সব বর্ণাঢ্য ফুলের সমারোহ দ্যুতি ছড়াচ্ছে ক্যাম্পাসজুড়ে।

গাছঠাসা ফোটা এসব ফুলের মিষ্টি সুবাসে পাগল প্রায় পাখি আর প্রজাপতিরা। রাজ্যের সব ফুল যেন এখানেই জড়ো হয়েছে। নানা রঙের ফুলে ফুলে ভরে গেছে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ। দেখেই মনে হবে, এ যেন এক স্বপ্নের বাগিচা। সেখানে সৌরভ ছড়াচ্ছে নানা রঙের ফুল। যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই বিচিত্র ও বর্ণাঢ্য ফুলের সমারোহ। ক্যাম্পাসের এই নির্মল সৌন্দর্য উপভোগ করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের পাশে, শহীদ মিনার, মুন্নী সরণি, চৌরঙ্গী এলাকা, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও বিভিন্ন আবাসিক হলের সামনের সড়কসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় সারি সারি কৃষ্ণচূড়ায় সুশোভিত হচ্ছে ক্যাম্পাস। জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনের পুকুরপাড়, শহীদ মিনার ও মুরাদ চত্বর এলাকা সেজেছে হলুদ কনকচূড়ার।

এছাড়াও সুইজারল্যান্ড, শান্তিনিকেতন এলাকা ও মওলানা ভাসানী হল সংলগ্ন পুকুর পাড়ে বেগুনি শোভা ছড়াচ্ছে প্রায় অর্ধশতাধিক জারুল।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, শহীদ সালাম-বরকত হলের পাশে, ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রর পাশে , বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে ও চৌরঙ্গী এলাকায় শোভা ছড়াচ্ছে সাদা ও গোলাপি রঙের মিশ্রণের ফুল ক্যাশিয়া রেনিজেরা ও ক্যাশিয়া জাভানিকা। ক্যাসিয়া রেনিজেরা ফুল লালন করছে অন্য রকম সৌন্দর্য। শ্বেতশুভ্র ভিনদেশি এ প্রজাতির ফুলগাছের আদি নিবাস জাপান। এর স্নিগ্ধ রূপ ও রং বৈচিত্র থেকে চোখ সরিয়ে নেওয়া কঠিন। এছাড়াও ক্যাম্পাসজুড়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে  সোনালু, জবা, বেলী, মাধবীলতাসহ অসংখ্য ফুল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অরিত্র সাত্তার বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই রঙিন ফুলের সমাহার মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। প্রকৃতির রুক্ষতা ও যান্ত্রিকতার রুদ্ধশ্বাস ভুলিয়ে যা আমাদের দেয় অপার স্বস্তি ও অনাবিল শান্তি। প্রকৃতি আমাদের বাঁচার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ধরনের দৃশ্য মানুষকে প্রকৃতির সংরক্ষণ করার বিষয়টি মনে করিয়ে দেয়।

বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আনিকা ইনতিসার বলেন, গ্রীষ্মের এই তাপদাহে চোখ মেলে তাকানোই যখনই দুষ্কর, তখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রঙিন মন জুড়ানো লাল হলুদ সব ফুল দেখে শান্তি পাচ্ছি। কৃষ্ণচূড়া, রাঁধাচূড়া তাদের লাল কমলা সংমিশ্রণ সবুজের মাঝে সজ্জিত হয়ে আছে। শহীদ শুভ্র স্নিগ্ধ রূপের জাপানি ক্যাসিয়া রেনিজেরো ও শোভা ছড়াচ্ছে। মৃদু হলুদ রঙের সোনালুর ছায়াতে বৈশাখের গান শুনতে বা কবিতা পড়ার আনন্দ অন্যরকম। রং পুকুরে ফুলের ছবি কিংবা রাস্তার ধারে ধারে দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া নয়নাভিরাম পুষ্পরাজি যেকোন নিমিষেই ক্লান্ত মনকে দুরন্ত করতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ও গবেষক অধ্যাপক ড. ছালেহ আহাম্মদ খান বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট-বড় মিলে মোট ৯১৭ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। কিন্তু ক্যাম্পাসে মাত্রাধিক উৎসব পালন এবং ছাত্রদের অসচেতনতার কারণে গাছের নিচে প্রায়ই পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিক বোতলের মতো অপচনশীল বর্জ্য জমা হয়ে থাকে। এতে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে আমাদের প্রকৃতি।

নিউজ ট্যাগ: গ্রীষ্মকাল

আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




ডোনাল্ড লু আসছেন শুনেই বিএনপি ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আবার চাঙ্গা হয়েছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আসবেন বাংলাদেশে। এটা শুনেই তারা চাঙ্গা হয়ে গেছে। ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর হয়ে গেছে। আরে বেকুবের দল, ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে আসছেন শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে।

শনিবার বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির সব আন্দোলনই ভুয়া দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কত নাটক করেছেন আপনারা (বিএনপি)। জজ মিয়া নাটক ও বাইডেনের উপদেষ্টার নামে নাটক করেছেন। আবারও নাটক শুরু করেছেন। মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় অপশক্তির বিরুদ্ধে আবারও খেলা হবে। লন্ডন থেকে আন্দোলনের ডাক দিয়ে কোনো লাভ হবে না। পালিয়ে গিয়ে বুড়িগঙ্গার পঁচা পানি খেতে হবে। যাদের সঙ্গে জনগণ নেই, তাদের আন্দোলন ও কর্মসূচি ভুয়া। বিএনপিও একটা ভুয়া রাজনৈতিক দল। এই ভুয়া দলের ভুয়া আন্দোলন জনগণ বিশ্বাস করে না। 

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে ২১ বছর শত্রুতা করে লাভ হয়নি। বিএনপি শত্রুতা করে সংশয় ও অবিশ্বাস সৃষ্টি করেছিল। সে কারণে সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। শেখ হাসিনা সে অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন। ভারত আমাদের বন্ধু। আমরা কারো দাসত্ব করি না। আমাদের শক্তির উৎস এদেশের মানুষ ও জনগণ। ভারতের কাছে আমরা বন্ধুত্ব চাই। কারণ, এটা আমাদের স্বার্থেই দরকার। শত্রুতা করে আমাদের ক্ষতি হয়েছে ২১ বছর। আমরা সে অবস্থায় আর ফিরে যেতে চাই না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া ভারতে গিয়ে গঙ্গার পানির কথা ভুলে গিয়েছিলেন। সেই গঙ্গার পানির চুক্তি কে করেছেন? শেখ হাসিনা করেছেন। তিনিই গঙ্গার পানি এনেছেন। সীমান্ত সমস্যার চুক্তি কে করেছেন? শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী করেছেন। বাংলাদেশের মতো আরেকটি বাংলাদেশ আমরা সমুদ্র পেয়েছি আদালতের মাধ্যমে। 

বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গতকাল পল্টনে গয়েশ্বর চন্দ্র একতরফা মিথ্যাচার করে গেলেন। গয়েশ্বর বাবু কোথায় ছিলেন এতদিন? কোথা থেকে এলেন? কোথায় পালিয়ে ছিলেন? ভারতে? মাথায় উঠেছে গান্ধী টুপি। এখন ভণ্ডামি শুরু করেছেন। আমাদের বলে ভারতের দালাল। এই অপবাদ তো আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান, জিয়াউর রহমানের আমলে অনেক শুনেছি। নরেন্দ্র মোদি যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন, তখন ফুল আর মিষ্টি নিয়ে দূতাবাসে হাজির হয়েছিল বিএনপি নেতারা। নির্বাচনের আগে ভারতের আপ্যায়নে বিএনপির নেতারা ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন। তাহলে দালালি কারা করে?

সেতুমন্ত্রী নির্বাচনে ৪২ শতাংশ লোক তাদের ভোট দিয়েছে উল্লেখ করে বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন অর্জনকে স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ ভোটার। এই নির্বাচনে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। উপজেলা নির্বাচন জনগণ নাকি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাহলে ৩৬ থেকে ৪০ শতাংশ লোক ভোট দিল তারা কারা? তারা এই দেশের জনগণ। তারা শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অর্জনে মুগ্ধ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপি-জামায়াত এই সরকারকে উচ্ছেদ করতে বিভিন্ন সময় কর্মসূচি নিয়েছে। কিন্তু তারা উচ্ছেদ করতে পারেনি। ব্যর্থ হয়েছে। ওই বিএনপি-জামায়াতকে আমি বলতে চাই, এই দেশ জয় বাংলার দেশ, এই দেশ বঙ্গবন্ধুর দেশ, এই দেশ শেখ হাসিনার দেশ। এখানে সন্ত্রাসী করার সুযোগ নেই। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, রাজনীতিতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নানা অজুহাত নিয়ে সামনে আসছে। তাদের কথায় ভারতের পণ্য বর্জন করতে হবে। যে ভারত আমাদের যুদ্ধের সময় সহযোগীতা করেছে ও আশ্রয় দিয়েছিল। তারা ভারত বর্জন করে পাকিস্তানকে কাছে টানতে চায়। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন সম্ভব। নির্বাচন ছাড়া কখনও বৈধভাবে সম্ভব না। আরেকটি আছে অগণতান্ত্রিক পন্থায়। এই দেশের মানুষ সেটা কখনও চায় না। বাংলাদেশের মানুষ কখনও অবৈধ পন্থায় সরকার গঠনের সুযোগ দেবে না।

শান্তি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপমিণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লায়লী। উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশ সঞ্চালনা করেন এমএম মান্নান কচি।


আরও খবর



বাংলাদেশ-পাকিস্তান-রাশিয়া থেকে শিক্ষা নিয়ে ভোট করছেন মোদি: কেজরিওয়াল

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ব্যাপক সমালোচনা করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, রাশিয়া-পাকিস্তান-বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিয়ে ভোট করার চেষ্টা করছেন মোদি।’

শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গত শুক্রবার ভারতের পরিস্থিতিকে রাশিয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে পরোক্ষভাবে উপহাস করেছেন। একইসঙ্গে ভারত খুব বিপজ্জনক’ পর্যায়ে যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন।

এক সমাবেশে কেজরিওয়াল বলেন, বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক। পুতিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট, তিনি হয় তার সব প্রতিদ্বন্দ্বী নেতাদের জেলে পাঠিয়েছেন, আর না হয় তাদের হত্যা করেছেন। তারপর পুতিন নির্বাচন পরিচালনা করেন এবং ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।’

অরবিন্দ কেজরিওয়াল আরও বলেন, বাংলাদেশে সম্প্রতি নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে সব বিরোধী নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং নির্বাচনে শেখ হাসিনা জয়ী হয়েছেন।’

তিনি বলেন, পাকিস্তানের নির্বাচনে দেশটির প্রবীণ নেতা ইমরান খানকে জেলে পাঠানো হয়েছিল, তার দলকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, তার দলীয় প্রতীক ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং এরপরই নির্বাচন পরিচালিত হয়েছে।’

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মোদিজি, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে শেখার পরে এখন ভারতে একই জিনিস প্রয়োগ করার চেষ্টা করছেন।’


আরও খবর