আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

জয়পুরহাটে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামারেরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে জয়পুরহাটের বিভিন্ন হাটবাজারে টুং টাং শব্দে দা, বটি, ছুরিসহ মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা । এসব সরঞ্জাম নতুনভাবে তৈরি এবং পুরনোগুলোতে শান দিতে ব্যস্ত তারা। ঈদের দিন পর্যন্ত চলবে এমন কর্মব্যস্ততা। তবে কয়লা, লোহাসহ সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো লাভ নেই আর এ ব্যবসায়। কিন্তু পূর্ব পুরুষের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান।

বছরের অন্যান্য দিন গুলোতে তেমন কাজ না থাকায় অলস সময় কাটাতে হলেও কোরবানির ঈদের সময়টাতে তাদের কর্ম ব্যস্ততা বেড়ে যায়। এ সময়টাতে তাই প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পরিশ্রম করতে হয় তাদের। প্রতিবছর কোরবানির ঈদে তাদের জিনিসপত্রের কেনা-বেচা বেড়ে যায়। এ থেকে অর্জিত টাকায় সারা বছরের খোরাক জোগাড় করেন।

একসময় সকালে ঘুম থেকে উঠলেই কামারপড়ায় শোনা যেত কামারশালার টুং-টাং শব্দ, যা এখন শুধুই স্মৃতি। কেননা, তাদের তৈরি তৈজসপত্রের স্থান দখল করেছে বিভিন্ন আধুনিক ওয়ার্কশপে যন্ত্র দ্বারা তৈরি হওয়া রেডিমেড দা, বটি , কাস্তে সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র। একটা সময় গরু, মহিষ ও ঘোড়ার গাড়ির নতুন চাকায় লোহার হাল (লোহার বেড়) তুলত কর্মকাররা, কিন্তু গরু, মহিষ ও ঘোড়ার গাড়ি বিলুপ্ত হওয়ায় আজ তারা বঞ্চিত।জয়পুরহাট সদর উপজেলার দুর্গাদহ বাজারের সুজন  কর্মকার ও রনি কর্মকার  জানায়, এখন ব্যবসায় মন্দা চলছে। কোরবানী ব্যতিত বছরের অনান্য মাসগুলোতে আমারা কোনমতে দিন পার করছি। বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নেওয়ায় ঋণ পরিশোধে আমাদের হিমশিত খেতে হচ্ছে। একারণে অনেকেই পেশা বদলিয়ে অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়েছে।

একই এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি যিনি কামার শিল্পের সাথে জড়িত বিকাশ কর্মকার বলেন, সব জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় আগেরমত আর কাজ করে লাভ হয়না। দিন দিন এ পেশার মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। জয়পুরহাট পৌর এলাকার হাবু কর্মকার। যিনি তার দক্ষ হাতে দা-ছুড়ি নির্মাণের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। কিন্তু তার মৃত্যুর পরে তার এক ছেলে রয়েছে সে এই ব্যবসা আর করে না।

জয়পুরহাট মহিলা কলেজ রোডে  কাজ করতে আসা বিফল কর্মকার বলেন, এখানে ছোট্ট একটি জায়গা নিয়ে কার্মকার ব্যবসা চালাই।  ইরি ও আমন মৌসুমে এই এলাকায় ধান কাটার জন্য কাস্তে ও আষাঢ় শ্রাবণ মাসে পাট কাটার জন্য বড় বড় হাসুয়া তৈরির বায়না পেতাম। এখন হাটে বাজারে লোকের তেমন সমাগম নেই। ফলে খুব কষ্টে দিন যাপন করছি। এনজিওর  ঋণের কিস্তির টাকাও জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছি। ফলে ছেলে মেয়ে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করতে হয়। তিনি আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী পাঁচবিবির হাটে জয়পুরহাট থেকে আগত বিশাল বিশাল কর্মকারদের দোকান থাকায় সেখানে সবরকমের রেডিমেড ছুড়ি, দা, কাস্তে, খড় কাটা যন্ত্র ইত্যাদি তৈরি অবস্থায় কিনতে পাওয়ায় আমাদের ব্যবসা কমে গেছে ও আমরা অতি কষ্টে দিন পার করছি।

একই এলাকার কামার উজ্জ্বল বলেন, এ পেশায় এক জন সহযোগীর প্রয়োজন হয় এবং এই সহযোগীর দৈনিক মজুরি দিতে হয় ৩০০ টাকা। দিনে ৩০০ টাকা আয় না হওয়ায় আমার প্রতিবন্ধী ছোট ভাই গোবিন্দকে সঙ্গে নিয়ে কোনমতে আমার পিতা ভাদু কর্মকারের এ পেশাকে টিকিয়ে রেখেছি।

জয়পুরহাটের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে প্রতিটি দা তৈরিতে প্রকারভেদে মজুরি নেওয়া হচ্ছে ২০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত। চাকু তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ১০০ টাকা। বড় ছুড়ি তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা। বটি তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে দেড়শ টাকা থেকে আড়াইশ টাকা।

ক্রেতারা জানান, কয়েক দিন পরেই ঈদ, গরু ও ছাগল জবাই দিতে এবং মাংস কাটতে প্রয়োজন চাকু ও ছুরির, সে কারণে দা, বটি ও ছুরি কিনতে বাজারে এসেছি । তবে গতবছরে এসব জিনিসের যে দাম ছিল তার চেয়ে এবারে দাম খানিকটা বেশি।

পুর্ব বাজারের কামার শিল্পের পাইকাররা জানান, সারাবছরই তারা দা, বটি, চাকু, ছুরি বিক্রি করেন। কিন্তু কোরবানির মৌসুমেই এসব সরঞ্জামের কেনা-বেচার ধুম পড়ে। এবারও ভালো বিক্রি হচ্ছে। তবে কয়লা ও লোহার দাম খানিকটা বেড়ে যাওয়ায় কামারদের কাছ থেকে খানিকটা বেশি দামে এসব জিনিসপত্র কিনতে হচ্ছে। যার ফলে কিছুটা বেশি দামে আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে।

ব্যবসায়ী গোপি কর্মকার বলেন, ৭০০টাকা কেজি দরে দা-কুড়াল, হাসুয়া-বটি ২৫০-৩০০ টাকা ও ছুড়ি ১৬০-১৫০ টাকা কেজি দরে প্রকারভেদে বিক্রি হয়। সব জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। দা, বটি, ছোরা, চাকুর পাশাপাশি মাংস বানানোর কাজের জন্য গাছের গুঁড়ির চাহিদাও বেড়েছে ব্যাপক। স্থানীয় করাতকলগুলোয় গাছের গুঁড়ি কিনতে এখনই ভিড় জমাতে শুরু করেছেন কসাইসহ অনেকে। বর্তমানে ৫০ থেকে ২০০ টাকায় মিলছে এসব গুঁড়ি।

নিউজ ট্যাগ: জয়পুরহাট

আরও খবর



সুইমিং পুলে গোসল করতে নেমে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিং পুলে গোসল করতে নেমে দর্শন বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সোয়াদ (১৯) নামে ওই শিক্ষার্থী ঢাবির দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা পৌনে ২টার দিকে ঢাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন সুইমিং পুলে এই ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বেলা ২টায় মৃত ঘোষণা করেন।

তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সহপাঠী মো. সোহাগ জানান, দুপুরে ঢাবির অনেক শিক্ষার্থী সুইমিং পুলে গোসল করছিল। সেখানে সাঁতার কেটে একপাশ থেকে অন্যপাশে যাচ্ছিল অনেকে। তখন তারা দেখতে পান সোয়াদকে ঘিরে আছে সবাই। এগিয়ে গেলে জানতে পারেন, পুলের পানিতে ডুবে গিয়েছিল সে।

সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে তারা নিজেরাই ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন। তবে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ মো. মাসুদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোয়াদের মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি শাহবাগ থানা পুলিশ তদন্ত করছে।

সোয়াদের বাড়ি বগুড়া জেলায়। দর্শন বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র সে। থাকতো হাজী মোহাম্মদ মহসিন হলে। তার সাঁতার জানা ছিল বলে জানান সহপাঠীরা। তবে কীভাবে পানিতে তলিয়ে গেছে তা জানাতে পারেনি।

ঢাবির শিক্ষার্থী মোল্লা তৈমুর রহমান জানান, সোয়াদ তার জুনিয়র। সুইমিং পুলে গোসল করার সময় যখন পাড়ে ভিড় দেখেন। তখন সহপাঠীরাই তার পেট চাপাচাপি করে পানি বের করার চেষ্টা করছিল। ওখানকার কোনো স্টাফ বা কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের সাহায্য করেনি।

তিনি বলেন, সোয়াদের ব্যাচমেটদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, তার শ্বাসকষ্টজনতি সমস্যা ছিল। যে কারণে সাঁতার জানা সত্ত্বেও গোসল করার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যেতে পারে সে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




উপজেলা নির্বাচন: সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণের দিন সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। সোমবার (৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুজ্জামানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা অনুযায়ী ১৪১টি উপজেলা পরিষদের (সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী) সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণের দিন (৮ মে) সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা হলো।

এদিকে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন এমন ১৩ জন মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সোমবার (৬ মে) টিআইবির উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ (প্রথম ধাপ) হলফনামা বিশ্লেষণ ও ফলাফল শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ৬৯ দশমিক ৮৬ শতাংশই ব্যবসায়ী। পাশাপাশি ঋণ আছে ২৩ দশমিক ৪১ শতাংশ প্রার্থীর এবং ১৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ প্রার্থী মামলার আসামি। এছাড়া চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ১৩ জন মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন।

নিউজ ট্যাগ: উপজেলা নির্বাচন

আরও খবর



সাভারে রিকশাচালককে পুলিশের মারধর, সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

ভারের আশুলিয়ায় এক রিকশাচালককে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ জানান স্থানীয় রিকশাচালকরা।

খবর পেয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

রোববার (৫ মে) দুপুরে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কে আশুলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ওই রিকশাচালককে ওই পুলিশ সদস্য মারধর করেন বলে জানা যায়। এরপরই বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ জানান রিকশাচালকরা। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ও ভুক্তভোগী রিকশাচালকের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে সড়ক দিয়ে চলাচল করা অটোরিকশা ধরে রেকার বিল করছিলেন ট্রাফিক পুলিশের ওই সদস্য। এ সময় ভুক্তভোগী চালকের রিকশা আটক করা হয়।  কথা কাটাকাটি হলে রিকশাচালককে কিল-ঘুষি মারেন পুলিশের ওই সদস্য। চোখে ঘুষি লাগলে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি।

পরে তাকে উদ্ধার করে কামারপাড়া ইস্টওয়েস্ট মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এরপর রিকশাচালকেরা একত্রিত হয়ে সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে এসে চালকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন। 

আশুলিয়া ট্রাফিক পুলিশ বক্সের পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান বলেন, রিকশাচালকের সঙ্গে হালকা একটু ঝামেলা হইছিল। প্রধান সড়কে তো ওরা আসে, আমরা তো ধরি। বিল করতে গিয়ে এরকম একটু হয়। এ ছাড়া কিছু না। আমরা মারধর করিনি।

তিনি বলেন, রিকশা ধরতে গেলে তারা অনেক সময় থামেন না। তখন চাবি নিয়ে গেলে একটু হাতাহাতি হয়, টানাটানি হয় ওরকম কিছু। এমনি মারধরের কিছু নয়। পরে রিকশাচালকরা সামান্য সময় রোড ব্লক করেন। ৫-১০ মিনিটের মতো ছিলেন। এখন রাস্তা পুরোপুরি ক্লিয়ার। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও আশুলিয়া থানার ওসিও এসেছিলেন।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, রিকশাচালকরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ করছেন, এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।


আরও খবর



হবিগঞ্জে হাওরে ধান কাটা শেষের পর সরকারিভাবে সংগ্রহ শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জে শুরু হয়েছে সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান। তবে হাওরের প্রায় ৯৯ শতাংশ ধান কাটা-মাড়াই শেষ হওয়ার পর অভিযান শুরু হওয়ায় লক্ষমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কৃষকরা বলছেন, ধান সংগ্রহে সরকারের কালক্ষেপণের কারণে কৃষকরা যেমন সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন, তেমনি দৌড়াত্ব বাড়বে মধ্যসত্বভোগীদের।

খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চলতি বোরো মৌসুমে ৩২ টাকা কেজি (১২৮০ টাকা) দরে ধান, ৪৫ টাকায় সিদ্ধ চাল এবং ৪৪ টাকায় আতপ চাল কিনবে সরকার। সেই হিসেবে হবিগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলা থেকে ১৪ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন ধান ৪ হাজার ১৬৬ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং ১৪ হাজার ৯৬৬ মেট্রিক টন সেদ্ধচাল কেনার লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে।

ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। তবে জুনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ অর্জনের নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রী। এদিকে, কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, পুরো জেলায় সার্বিকভাবে ধান কাটা শেষ হয়েছে ৮০ শতাংশ। হাওরের কাটা ও মাড়াই শেষ হয়েছে প্রায় ৯৯ শতাংশ।

কৃষকরা বলছেন, জেলায় সবচেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হয় হাওরে। সেই ক্ষেত্রে হাওরের ধান কাটা-মাড়াই শেষে কৃষক কম দামে পাইকার ও ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। বাকি ধান বছরের খাবার জন্য গোলায় তুলছেন। এরপর ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হওয়ায় হাওরের কৃষকরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবেন। একই সাথে বাড়বে মধ্যসত্বভোগীদের দৌড়াত্ব।

বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা এলাকার কৃষক সুমন মিয়া বলেন, সরকার ধানের দাম নির্ধারণ করেছে ১২৮০ টাকা মণ। আর আমরা পাইকারের কাছে বিক্রি করছি ৭৭০ টাকা মণ। অনেক অপেক্ষা করছি কখন সরকার ধান কিনবে। আমরা ঋণ পরিশোধ করতে ধান কেটে বিক্রি করে ফেলেছি। এখন সরকার ধান কিনলেও আমাদের কোন লাভ নেই।

একই এলাকার কৃষক আনুয়ার মিয়া বলেন, একেতো সরকার ধান কিনতে দেরি করে ফেলছে। তার উপর আবার মাত্র ১২৮০ টাকায় ধান কিনছে। সরকারকে ধান দিতে হলে ট্রাক ভরে খাদ্য গুদামে নিয়ে যেতে হয়। যে কয়টা টাকা লাভ হওয়ার কথা, সেটি গাড়ি ভাড়া আর শ্রমিকের মজুরিতেই চলে যাবে। এরপর দেখা যাবে খাদ্য কর্মকর্তা বলতেছেন, ধান পরিস্কার না, ভালোভাবে শুকানো হইছে না। নানা অজুহাত।

এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা চাই থোয়াই প্রু মার্মা বলেন, অন্য বছর কৃষকরা যে অভিযোগ করেন এবার তা পারবেন না। কারণ এ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে ধান বিক্রি করতে হবে। এছাড়া ধান বিক্রির টাকা কৃষক তার নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে পাবেন।

চলতি বছর জেলা ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৩৭ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন।

নিউজ ট্যাগ: হবিগঞ্জ

আরও খবর



ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুই দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিশেষ ফ্লাইটযোগে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি।

আমিরের ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।

আজ সকালে কাতারের আমির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠকে মিলিত হন। পরে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এরপর দুই শীর্ষ নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করতে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়।

চুক্তিগুলো হলো, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে আয়ের ক্ষেত্রে দ্বৈত কর পরিহার এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধ, বাংলাদেশ সরকার এবং কাতার রাষ্ট্রের মধ্যে আইনি ক্ষেত্রে সহযোগিতা, কাতার এবং বাংলাদেশের মধ্যে সমুদ্র পরিবহন, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা এবং বাংলাদেশ-কাতার যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা।

চুক্তি ছাড়াও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, জনশক্তি কর্মসংস্থান (শ্রম), বন্দর (এমব্লিউএএনআই কাতার এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ), বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে এবং বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতার স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়।

অনুষ্ঠানে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে রাজধানী ঢাকার একটি সড়ক ও একটি পার্কের নামকরণ করা হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে মিরপুরের কালশী এলাকার বালুর মাঠে পার্কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাই ওভার পর্যন্ত সড়কটির নামকরণ করা হয়েছে কাতারের আমিরের নামে। এখন থেকে রাস্তা ও পার্কটি শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি অ্যাভিনিউ এবং শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি পার্ক নামে পরিচিত হবে।

সব শেষ আনুষ্ঠানিকতায় আমির পিএমও ত্যাগ করে বঙ্গভবনে যান। সেখানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন।

এর আগে গতকাল সোমবার বিকেলে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির। বিমানবন্দরে আমিরকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। টানা চতুর্থ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ থেকে এটি ছিল প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফর। আর এর মধ্য দিয়ে ২০০৫ সালের পর কাতারের কোনো আমির ঢাকা সফর করলেন।


আরও খবর