আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সলেমানের ভ্রাম্যমান সোলার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০22 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

সলেমান আলী এক সময় বাইসাইকেল মেরামত করে সংসার চালাতেন। তিনি মেধা ও শ্রম দিয়ে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে তৈরি করেছেন ব্যাটারিবিহীন ভ্রাম্যমান সোলার পাওয়ার। তার তৈরিকৃত সোলার প্যানেলের মাধ্যমে স্বল্প খরচে ক্ষেত-খামারে সেচ দিতে পেরে উপকৃত হচ্ছেন এলাকার শত শত কৃষক। সলেমান আলী ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোলানী গ্রামের বাসিন্দা।

জানা যায়, ১৯৯৮ সালে সাইকেলের মেরামতের কাজ ছেড়ে এলজিইডির কাছ থেকে সৌর বিদ্যুতের ৭৫ ওয়াটের একটি প্যানেল ও ব্যাটারি ক্রয় করে গবেষনা করেন সলেমান আলী। গবেষনার একপর্যায়ে ২০১৪ সালে ব্যাটারিবিহীন ভ্রাম্যমান ৩০০ ওয়াটের সোলার পাওয়ার তৈরি করেন তিনি। বর্তমানে তার নিজস্ব ১৫টি ব্যাটারি বিহীন ভ্রাম্যমান সোলার পাওয়ার আছে। ২০১৫ সালে মাছের রেনু উৎপাদনের খামার তৈরি করে সোলার পাওয়ারের মাধ্যমে পানি দেন তিনি। এছাড়াও তার নিজস্ব মাছ চাষের ৯টি পুকুর ও আবাদি জমিতে সেচ দিয়ে থাকেন। তাতে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি এলাকার চাষিদেরও উপকার করছেন তিনি।

সলেমানের ভ্রাম্যমান সোলার পাওয়ার দিয়ে স্বল্প খরচে এলাকার প্রায় ৫০০শত কৃষক উপকৃত হচ্ছেন বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা।

মোলানী গ্রামের কৃষক আইদুল ইসলাম বলেন, সলেমানের তৈরি ব্যাটারিবিহীন সোলার গাড়ির মাধ্যমে আমি ক্ষেতে সেচ দেয়। এই সোলার গাড়ির মতো হওয়ায় ইচ্ছে মতো যেখানে-সেখানে নিয়ে যাওয়া যায়। এতে কোন তেল বা বিদ্যুৎ লাগে না।

বিদ্যুৎ বা তেল চালিত পাম্প বা মেশিন দিয়ে ক্ষেতে সেচ দিতে এক বিঘা জমিতে ৩,০০০ থেকে ৪,০০০ হাজার টাকা খরচ হতো। আর সোলার পাম্পের মাধ্যমে সেচ দিতে এর অর্ধেক খরচ হয়।

একই গ্রামের কৃষক আব্দুল মতিন বলেন, বর্তমানে প্রচণ্ড খরা। অন্যদিকে জ্বালানি তেলের দাম অনেক বেশি। বিদ্যুৎ ও ঠিক মতো থাকেনা। তাই কৃষকরা চাষাবাদ করতে চরম হিমশিম খাচ্ছেন। কিন্তু কৃষকদের দু:খ-কষ্ট লাঘবে এলাকার সলেমান আলীর ভ্রাম্যমান সোলার পাম্পের মাধ্যমে এলাকার প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষক উপকৃত হচ্ছে। সোলারের মাধ্যমে সেচ দিতে আমাদের অনেক সাশ্রয় হচ্ছে।

শুধু তাই নয়, সলেমান এখন সোলার প্যানেল দিয়ে ডিজিটাল ব্রীজ স্কেল, বাড়িতে লাইট, ফ্যান, টিভি এমনকি দিনের সূর্য্যের আলোয় সোলার প্যানেলের মাধ্যমে ব্যাটারি চার্জ করে নিজে চলাফেরা করার জন্য মোটরবাইক তৈরি করেছেন। এছাড়াও তিনি নিজে সোলার প্যানেল দিয়ে ব্যাটারিবিহীন ভ্রাম্যমান সোলার পাওয়ার, আইপিএস ও ব্যাটারি তৈরি করে বিক্রয় করে বেশ আয় করছেন।

এলাকায় ভ্রাম্যমান সোলার পাওয়ারের মাধ্যমে ক্ষেতে সেচ দিয়ে বছরে আয় করেন চার লাখ টাকা ও মাছের রেনু উৎপাদান খামার থেকে ৮-১০ লাখ এবং পুকুরের মাছ বিক্রয় করেন ৭-৮ লাখ টাকার বলে জানান, সলেমানের ছেলে সোহেল রানা।

সোহেল রানা বলেন, কৃষকরা জ্বালানি ও বিদ্যুৎ চালিত পাম্প বা মেশিনের অর্ধেক খরচে সোলার পাম্পের মাধ্যমে সেচ দিতে পেরে ও সলেমানের এমন উদ্ভাবন দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্থানীয়সহ অনেক দূরদুরান্ত থেকে মানুষ এসে তাদের তৈরি সোলার পাওয়ার, আইপিএস ও ব্যাটারি ক্রয় করে নিয়ে যান।

মো. সলেমান আলী বলেন, স্থানীয় বাজারে বাইসাইকেল মেরামত করার কাজ করতাম। নিজের অর্থ সম্পদ বলতে কিছুই ছিলনা। একবেলা খাবার জুটলে আরেক বেলা জুটতো না। ১৯৯৮ সালের দিকে প্রথমে বাতাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য অনেক পরিশ্রম করি ও তাতে সফলও হয়। পরে বাতাস বা হাওয়া তেমন না থাকায় সে রকম-ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো না। পরে প্রথমে ৭৫ ওয়াটের সোলার প্যানেল নিয়ে গবেষণা শুরু করি কিভাবে বিদ্যুৎ ও  জ্বালানি সাশ্রয় করা যায়। একদিন সৌরবিদ্যুতের দুইটি ক্রয় করি। আর সেই বই থেকে জানতে পারি যে, সৌরবিদ্যুতের প্যানেল বোর্ডটি সূর্য্যের দিকে তাক করে রাখলে অনেক বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। তখন বই থেকে ধারণা নিয়ে আমি সেই ভাবে কাজ শুরু করি ও সূর্য্যের আলোয় শুধু সোলার প্যানেল বোর্ড থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সফল হই।


আরও খবর



সরকারের উন্নয়ন দেখে বিএনপির মাথা খারাপ: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের আমলে তারা যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আলবদর এবং নিজেরা পাকিস্তানের দালাল হয়ে বাংলাদেশের জনগণকে শোষণ, শাসন এবং অত্যাচার করতো। আর বর্তমান চিত্র, বাংলাদেশের জনগণের উন্নয়ন হচ্ছে- এ উন্নয়ন দেখে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির সহ্য হচ্ছে না। সেজন্য এখন তাদের মাথা খারাপ অবস্থা।

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংসদীয় এলাকা আখাউড়া উপজেলায় বনগজ-কৃষ্ণনগর সড়কের তিতাস নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতু পরিদর্শনে আসলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এর আগে স্থানীয়দের উদ্যোগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনিসুল হক ওই এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের প্রতিশ্রুতি দেন।

এ সময় আখাউড়া উপজেলার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মহানগর প্রভাতী ট্রেনযোগে ঢাকা-আখাউড়া রেল স্টেশনে পৌঁছলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ১৯৮১ সালের আজকের এই দিনটি ছিল (১৭ মে) বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বপ্ন দেখার দিন, নতুন ভবিষ্যৎ গড়ার যে স্বপ্ন সেই স্বপ্ন দেখার দিন। জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের আজকের ১৭ মে বাংলাদেশের ফিরে এসে মানুষ যে স্বপ্ন দেখত মানুষকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছে শেখ হাসিনা মানুষের সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন। এইজন্য ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে গাঁথা থাকবে।

এ সময় আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ঋণ খেলাপির তালিকা বিএনপির আমলে সবচেয়ে বেশি ছিল।

নিউজ ট্যাগ: মির্জা ফখরুল

আরও খবর



শ্যামবাজার ঘাটে লঞ্চে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাটে এমভি বাঙালি লঞ্চের তৃতীয় তলায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের প্রায় ৫০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।

এর আগে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে এমভি বাঙালি লঞ্চের তৃতীয় তলায় আগুন লাগে।

তালহা বিন জসিম বলেন, রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাটে এমভি বাঙালি লঞ্চের তিন তলায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সদরঘাট নদীর ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ও পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিটসহ মোট পাঁচটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি।


আরও খবর



রামুতে বাবা-ছেলেকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

কক্সবাজারের রামুতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ধারারো অস্ত্র ও গুলিতে বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন।

রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের থোয়াইংগাকাটা ঘোনারপাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। গরু পাচারের বিরোধের জেরে এই হত্যা বলে দাবি করা হলেও পুলিশ বলছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ হত্যাকাণ্ড।

নিহতরা হলেন গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের থোয়াইগ্যাকাটা এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জাফর আলম (৫২) ও তার ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩৩)।

পুলিশের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, সোমবার রাতে একটি খোলা দোকানের সামনে ক্যারম খেলছিল বাবা-ছেলেসহ গ্রামের ক'জন। এমন সময় একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত এলোপাতাড়ি গুলি করার পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবা-ছেলের ওপর হামলা করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তারা।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, সুরতাহাল প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পেরেছি নিহতদের শরীরে ধারারো অস্ত্রের আঘাত ও গুলির চিহ্ন রয়েছে। তবে কিসের আঘাতে তাদের মৃত্যু হয়েছে জানতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এঘটনা ঘটিযেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে পুলিশ।


আরও খবর



তনির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, শোরুম সিলগালা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পাকিস্তানি বলে বেশি দামে দেশি পোশাক বিক্রি করার অভিযোগে রাজধানীর গুলশানে সানভীস বাই তনি’র শোরুম সিলগালা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সোমবার (১৩ মে) গুলশান শুটিং ক্লাব এলাকায় পুলিশ প্লাজা মার্কেটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচিত মুখ রোবাইয়াত ফাতেমা তনি। রাজধানীতে কয়েকটি শোরুম আছে তার। অনলাইনেও বিক্রি করেন পোশাক এবং কসমেটিক্স। তবে এবার আলোচনায় আসলেন প্রতারণার অভিযোগে। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর বলছে, তৈরি পোশাক বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে কসমেটিক্স বিক্রি করা হতো এই আউটলেটে।

ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযোগের সফটওয়্যারে এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে কিছু অভিযোগ আসার পর প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে এবং এই দোকানে দেশি পোশাকগুলো বিদেশি বলে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল।

আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, তারা অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করে। কিন্তু ডেলিভারি দেওয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়। শত শত কাস্টমার এভাবে প্রতারিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ এলে তাদের শুনানির জন্য নোটিশ করা হয়েছে। তারা সেটি দেখেও জবাব দেয়নি। তারা যেহেতু কোনো জবাব দেয়নি, উপস্থিত হয়নি, আমাদের কাছে মনে হয়েছে এসব অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। এখানে এসে সেটার প্রমাণ পেয়েছি। তারা পাকিস্তানি ড্রেসের পক্ষে কোনো কাগজপত্র, প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তাদের শুধু ট্রেড লাইসেন্স আছে, সেটা সাধারণ পোশাক বিক্রেতা হিসেবে।’

তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের শোরুম বন্ধ করে দিয়েছি। এখন তারা কাগজপত্র নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে হাজির হয়ে প্রমাণ দেবে। এ ছাড়া কতগুলো কাস্টমারকে এসব ড্রেস সরবরাহ করা হয়েছে সেসব তথ্য দেবে।


আরও খবর



ঢাকা-সিলেট ৬ লেন প্রকল্প: জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় এগোচ্ছে না কাজ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

ঢাকা-সিলেট-তামাবিল ২৬৫ কিলোমিটার সড়কের ৬ লেন প্রকল্পে গতি নেই। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালের মার্চে কাজ শুরু করে। কিন্তু গেল ১৪ মাসে সিলেট অংশে ১ শতাংশ জমিও বুঝে পায়নি তারা।

যদিও প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী কাজ শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ শেষে প্রত্যাশী সংস্থাকে হস্তান্তর করতে হবে। অথচ ইতোমধ্যে পেরিয়েছে ৪০৫ দিন।

সিলেট অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক দেবাশীষ রায় জানান, জমি বুঝে না পাওয়ায় ঠিকাদার শুধু যেখানে সরকারি জমি আছে সেখানেই কাজ করছে। গত ১৪ মাসে কাজের অগ্রগতি মাত্র ৫ শতাংশ বলে জানান তিনি।

জমি অধিগ্রহণে ধীরগতি হওয়ায় প্রকল্প সঠিক সময়ে শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সিলেট ১ আসনের সংসদ-সদস্য ড. একে আব্দুল মোমেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, অধিগ্রহণ নিয়ে প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা একে অন্যের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন এটা কাম্য নয়। এ প্রকল্পে গতি আনতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নজর দিতে হবে। কারণ তিনি যেদিকে নজর দেন সেই প্রকল্পই দ্রুত ও সুন্দরভাবে শেষ হয়।

জানা যায়, ভারত, নেপাল, ভুটান ও চীনের সঙ্গে আন্তঃদেশীয় যোগাযোগের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে সিলেট সফরকালে ঢাকা-সিলেট-তামাবিল সড়ক ৬ লেন করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২৬৫ কিলোমিটার এই সড়কের ৬ লেনে উন্নীত করার প্রকল্প উদ্বোধন করেন ২০২১ সালের অক্টোবরে।

ঢাকা থেকে তামাবিল পর্যন্ত সড়কটি সাতটি জেলা অতিক্রম করবে। এই প্রকল্পে ৭৫ শতাংশ অর্থায়ন করে এডিবি বাকি ২৫ শতাংশ সরকার। প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে ১৩৭১ একর। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জে ৬৯.০৯ একর, নরসিংদীতে ১৮২.২৪ একর, কিশোরগঞ্জে ১২.৩৫ একর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭৭.১৯ একর, হবিগঞ্জে ৩৯২.৬৬ একর, মৌলভীবাজারে ২১.২১ একর। সবচেয়ে দীর্ঘ ৯২ কিলোমিটার সড়ক সিলেটে পড়েছে। সে কারণে এ জেলায় জমি অধিগ্রহণ করতে হবে ৬২৪ একর।

সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, জেলার শেরপুর থেকে সিলেট শহর পর্যন্ত ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আওতায়। এরমধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেয়ে কাজ শুরু করেছে। যেখানে সরকারি জমি রয়েছে শুধু সেখানেই কাজ করতে পারছে তারা। এক প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে ২০২৩ সালের মার্চ থেকে, অন্যটি মে থেকে। শর্ত অনুযায়ী ২৭০ দিনের মধ্যে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও ১ শতাংশ ভূমিও পায়নি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

এ বিষয়ে সিলেট অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক দেবাশীষ রায় বলেন, জমি হস্তান্তর না হওয়ায় তৃতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এখনো কাজ শুরু করেনি। যে প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে তাতে ১৪ মাস শেষে প্রকল্পের অগ্রগতি ৫ শতাংশ বলে দাবি তার।

সড়ক জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া একটি জটিল প্রক্রিয়া তবুও চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত তা সমাধানের। তার মতে, এই মুহূর্তে যেসব স্থানে সরকারি জমি রয়েছে সেসব স্থানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ করতে তেমন অসুবিধা হবে না। তবুও কোথাও কোনো সমস্যা হলে বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসনকে নিয়ে সেসব জটিলতা দূর করা হচ্ছে।

জমি অধিগ্রহণের ধীরগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, এই প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ একটি জটিল প্রক্রিয়া। কারণ এক কিলোমিটারে জমির মালিকানা থাকে প্রায় ১ হাজার জনের। এদের মধ্যে কেউ আপত্তি উত্থাপন করলেই পুরোটা জটিলতায় পড়ে যায়। তবে অধিগ্রহণ দ্রুত শেষ করতে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।

অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জমি হস্তান্তর শুরু করতে আরও ৬ মাস লাগবে বলে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান।


আরও খবর