আজঃ শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪
শিরোনাম

জজ কোর্ট চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনায় জজকোর্ট চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ভোটগ্রহণ চলাকালে কোর্ট চত্বরে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।

এদিন সকাল ৯টায় দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সেশনের কার্যকরী কমিটির নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের এক পর্যায়ের ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরে কিছু সময়ের জন্য ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হলে এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি জরুরি মিটিংয়ে বসে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।

এর আগে দুপুরে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বর্তমান কমিটির নেতারা ভোট কেন্দ্রে এসে জোরপূর্বক ভোটগ্রহণ স্থগিত করান বলে অভিযোগ করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এ সময় ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরে ভোটগ্রহণ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। ঘটনার সময় হাতাহাতি ঠেলাঠেলিতে বিএনপি সমর্থিত কয়েকজন আইনজীবী আহত হয়েছে বলেও জানান তারা।

নির্বাচনে মোট ভোটার ২১ হাজার ১৩৭ জন। প্রথম দিন বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ৪ হাজার ১৩০ জন ভোট দেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগপন্থী বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সাদা প্যানেল ও বিএনপি-জামায়াতপন্থি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত নীল প্যানেলের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে।

সাদা প্যানেল থেকে সভাপতি পদে আবদুর রহমান হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. আনোয়ার শাহাদাত শাওন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে নীল প্যানেল থেকে সভাপতি পদে খোরশেদ মিয়া আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম।

এছাড়া সাদা প্যানেল থেকে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আবুল কালাম মোহাম্মদ আক্তার হোসেন, সহ-সভাপতি পদে মো. আবু তৈয়ব, অর্থ সম্পাদক পদে মো. ওমর ফারুক, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. মাসরাত আলী তুহিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আসাদুজ্জামান বাবু, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে হুমায়ূন কবির সবুজ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মনিরা বেগম মনি, দপ্তর সম্পাদক পদে সরোয়ার জাহান, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. ওয়াকিলুর রহমান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে প্রদীপ চন্দ্র সরকার, তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক পদে সৈয়দা ফরিদা ইয়াসমিন জেসী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এছাড়াও এই প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মাহমুদুল হাসান, মোহাম্মদ মহসিন উদ্দিন, এমদাদুল হক এমদাদ, হাফিজ আল মামুন, কাজী হুমায়ূন কবির, মো. ইমরান হাসান, শাহীন আহমেদ, সুমন আহমেদ, মো. আব্দুর রহমান মিয়া ও মো. মঈনুদ্দিন মিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অন্যদিকে নীল প্যানেল থেকে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, সহ-সভাপতি পদে মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক পদে আব্দুর রশিদ মোল্লা, সিনিয়র সহ-সম্পাদক পদে মোহাম্মদ জহুরুল হাসান মুকুল, সহ-সম্পাদক পদে সৈয়দ মোহাম্মদ মাইনুল হাসান (অপু), লাইব্রেরি সম্পাদক পদে মিসেস নার্গিস প্রধান (মুক্তি), সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নুরজাহান বেগম বিউটি, দপ্তর সম্পাদক পদে মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. মোবারক হোসাইন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে মাহবুব হাসান (রানা) এবং তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ ইসলাম মারুফ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে লড়ছেন আলী মর্তুজা, গাজী তানজিল আহমেদ, মো. আনোয়ার হোসাইন চাঁদ, মো. আরিফ, মো. জাবেদ হোসাইন, মো. খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ আলী (বাবু), মুক্তা বেগম, মো. শহীদুজ্জামান দিপু, রেজাউল হক রিয়াজ।


আরও খবর



অনিশ্চয়তায় বেশিরভাগ হজযাত্রী, বাড়ছে ভিসা আবেদনের সময়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছরের হজ ফ্লাইট বৃহস্পতিবার (৯ মে) শুরু হচ্ছে। বুধবার (৮ মে) হজ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার (৭ মে) ভিসা আবেদনের শেষ দিন। কিন্তু এখনও বেশিরভাগ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

ভিসা সমস্যায় এখনো সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া করতে পারেনি বেশিরভাগ হজ এজেন্সি। এখন পর্যন্ত আবেদন করতে পারেনি প্রায় ৮০ শতাংশ হজ এজেন্সি। তাই বিপর্যয় এড়াতে ভিসা আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সময় আরও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালের হজে বাংলাদেশ থেকে ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজযাত্রী হজ পালন করবেন। ৯ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ৩৫ হাজারের মতো হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার বলেন, ভিসা আবেদনের সময় বাড়বে। আমাদের টেনশন আছে। আমরা কাজ করছি।’

এর আগে গত ৪ মে হজ এজেন্সিগুলোকে ভিসা আবেদনের তাগাদা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। সেখানে বলেছিল, হজ ভিসা সম্পন্নকরণের প্রথম পর্বের মেয়াদ (২৯ এপ্রিল) শেষ হওয়ার পর ৭ মে পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। বেসরকারি মাধ্যমে এ বছর ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রী ২৫৯টি এজেন্সি/লিড এজেন্সির মাধ্যমে পবিত্র হজ পালন করবেন। তবে অধিকাংশ এজেন্সি (২০৪টি) এখন পর্যন্ত হজযাত্রীর জন্য ভিসা প্রসেস শুরুই করেনি; যা হজযাত্রীদের হজে গমনে আশঙ্কার সৃষ্টি করেছে।

তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করতে ওই চিঠিতে এজেন্সিগুলোতে নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ভিসা আবেদনে কেন বিলম্ব হচ্ছে- জানতে চাইলে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) মহাসচিব ফারুক আহমদ সরদার বলেন, এবার হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম করেছে সৌদি আরব। তাই সবকিছু বুঝে কাজ করতে একটু সময় লাগছে।’

তিনি আরও বলেন, কাজ এখন দ্রুত হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে ভিসা হয়ে যাবে। আর সময়ও তো তারা বাড়াবে। তাই আশা করি সমস্যা হবে না।’

এর আগে জেদ্দার বাংলাদেশ হজ অফিস থেকে এ বিষয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, এ বছর হজ পরিচালনাকারী এজেন্সির সৌদি আরব পর্বের খরচ বাবদ পাঠানো পুরো অর্থ এরই মধ্যে তাদের স্ব-স্ব আইবিএএন-এ পাঠানো নিশ্চিত করা হয়েছে। হজ ভিসা প্রক্রিয়াকরণের প্রথম পর্বের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর ৭ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। ৩০ এপ্রিল থেকে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা সময়ব্যাপী ই-হজ সিস্টেমে বাড়িভাড়া চুক্তি সম্পাদন বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। মুচলেকা দেওয়ার পর বিভিন্ন দেশের বাড়িভাড়া চুক্তির জন্য ই-হজ সিস্টেম খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে, ৭ মে পরবর্তী সময়ে তাৎক্ষণিকভাবে ভিসা প্রক্রিয়াকরণ বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। তাই ৭ মের মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়াকরণ শেষ করা প্রয়োজন।

ভিসা প্রক্রিয়াকরণের অন্যতম বাধ্যতামূলক ক্ষেত্র হচ্ছে মক্কা/মদিনায় বাড়িভাড়া চুক্তি সম্পাদন। বাড়িভাড়ার চুক্তি সম্পাদন সংক্রান্ত অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রায় অর্ধেকের বেশি সংখ্যক হজযাত্রীর জন্য অদ্যাবধি মক্কা/মদিনার বাড়িভাড়া সম্পন্ন হয়নি, যা অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক। বাড়িভাড়া ই-হজ চুক্তি ছাড়া ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সম্ভব নয়। তাই এজেন্সিগুলোর দ্রুততর সময়ের মধ্যে বাড়িভাড়া চুক্তি সম্পাদন ও ভিসা নিশ্চিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চাওয়া হয় ওই চিঠিতে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও হজ এজেন্সিগুলো বাড়ি ভাড়া করতে গাফিলতি করেছে। কম রেটে বাড়ি ভাড়া করার জন্য প্রতিবার শেষ সময়ে এসে বাড়ি ভাড়া করেন তারা। এবারও তাই করেছেন। এবার এটা করতে গিয়ে নতুন আইনের ফাঁকে পড়ে যায় হজ এজেন্সিগুলো।

বাড়ি ভাড়ার জন্য নির্ধারিত এজেন্সি প্রতিনিধি মোনাজ্জেমদের ভিসা আটকে দেয় সৌদি সরকার। ফলে হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া করতে সৌদি আরবে যেতে পারেননি তারা। এ জায়গায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চেয়েও পায়নি বলে অভিযোগ করছে এজেন্সিগুলো।


আরও খবর



শেখ হাসিনার সময়ে কেউ গৃহহীন ও ক্ষুধার্ত থাকবে না: শ ম রেজাউল করিম

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

Image

পিরোজপুর-১ আসনের এমপি ও সাবেক মন্ত্রী এ্যাড. শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, শেখ হাসিনার শাসন কালে কোন মানুষ গৃহহীন ও না খেয়ে থাকবে না। দেশের অসহায় মানুষের মুখে খাবার দিতে তিনি সব সময় দৃঢ় কাজ কর যাচ্ছেন। করোনাকালে পৃথিবীর ধনী দেশগুলোতেই অর্থিক ও খাদ্য সমস্যা দেখা দিলেও বাংলাদেশের কোন মানুষকে সমস্যা বা না খেয়ে থাকতে হয় নি। করোনা সহ অতীতের সকল প্রাকৃতিক  দূর্যোগ কালে তিনি দেশের সকল অসহায় মানুষের সেবা ও হাসি ফুটাতে পাশে দাঁড়িয়েছেন। এবারের ঘূর্ণিঝড় রেমালেও ক্ষতিগ্রস্থদের সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগীতা করা হবে।

শুক্রবার (৩১ মে) দিনভর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ও দেউলবাড়ি দোবরা এ দুই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থদের পরিদর্শন কালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি তার নিজস্ব তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন ও পরবর্তীতে বিভিন্ন সহযোগীতার আশ্বাস দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরূপ রতন সিংহ, উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাসানাত ডালিম, দেউলবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান এফ এম রফিকুল ইসলাম বাবুল, উপজেলা আ.লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মো. মনিরুজ্জামান আতিয়ার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম খোকন কাজীসহ উপজেলা আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এ সময় তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষ শেখ হাসিনার ক্ষমতার কালে ভালো থাকে। কাজেই আপনারা মনে রাখবেন আপনাদের ভালো রাখতে আমি শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসাবে আপনাদের সকল ধরনের সেবা দিয়ে যাবো। আমাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আপনারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং  তার  প্রতীক নৌকার প্রতি ও আমার প্রতি যে সম্মান দেখিয়েছেন আমি মৃত্যু পর্যন্ত আপনাদের সেবা দিয়ে সে ঋণ শোধ করতে পারবো না।


আরও খবর



ঘুমের মধ্যে দম আটকে যাওয়া কীসের লক্ষণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে রাতে একটু ঘুমাতে গেলেন, কিন্তু দম আটকে যাওয়ার কারণে আচমকাই জেগে উঠতে হয়। এই সমস্যা অনেকের হয়ে থাকে। কিংবা রাতে লম্বা ঘুম দেয়ার পর বিকেল নামতেই ঝিমুনি। এই সমস্যাগুলো দেখা দিলে হেলাফেলা করা যাবে না। এগুলো স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ। স্লিপ অ্যাপনিয়ার প্রভাবে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বিস্তারিত বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে স্লিপ অ্যাপনিয়া নিয়ে।

স্লিপ অ্যাপনিয়া: স্লিপ অ্যাপনিয়ায় হচ্ছে ঘুমানোর সময় শ্বাসনালি কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া। শ্বাসনালি যতক্ষণ বন্ধ থাকে, রোগী নিশ্বাস নিতে পারেন না। এতে বাইরে থেকে বাতাসের মাধ্যমে অক্সিজেন শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। এতে মস্তিষ্ক, হার্ট বা অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দিনের পর দিন কিছু সময়ের জন্য অক্সিজেনের ঘাটতির ফলে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। যার প্রভাবে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সচল রাখতে অক্সিজেন খাদ্যের মতো কাজ করে। যখন অক্সিজেনের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, তখন মস্তিষ্ক সিগন্যাল দিয়ে রোগীকে জাগিয়ে তোলে, যেন তিনি নিশ্বাস নেন এবং তখন সংকুচিত শ্বাসনালি খুলে যায়। এভাবে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত রোগী বার বার জেগে ওঠেন। বার বার ঘুম ভাঙার কারণে তারা ক্লান্ত থাকেন, ফলে দিনের বেলায় ঝিমুতে থাকেন।

লক্ষণ: জাতীয় নাক কান গলা ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ স্লিপ অ্যাপনিয়ার এমন কিছু লক্ষণের কথা জানিয়েছেন।

স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি অস্বাভাবিক নাক ডাকেন। দেখা যায়, তারা কখনো খুব জোড়ে ডাকছেন, আবার থেমে যাচ্ছে, তারপর আবার ভিন্ন স্বরে নাক ডাকছেন।

প্রায় সময় ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অনুভূতি হয়। বিশেষ করে চিত হয়ে ঘুমানোর সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। ঘুমের মধ্যে ঝাঁকুনি দিয়ে জেগে ওঠেন এবং কিছু সময়ের জন্য হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়।

অনেক সময় ঘুমানোর পরও ক্লান্ত লাগে, কাজ করতে গিয়ে বা গাড়ি চালাতে গিয়ে হুট করে ঘুমিয়ে পড়েন।

মেজাজ খিটখিটে থাকে। কারও সাথে কথা বলতে ভালো লাগে না, অবসাদগ্রস্ত লাগে। কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না।

ওষুধ খেয়েও রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকছে না।

করণীয়: প্রাথমিক পর্যায়ের স্লিপ অ্যাপনিয়া ধরা পড়লে সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিন্তু দীর্ঘদিনেও চিকিৎসা না করলে সমস্যা জটিল আকার নিতে পারে। এতে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা ও ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যাবে; যার প্রভাবে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা খুব বেশি হলে চিকিৎসক রোগীকে কন্টিনিউয়াস পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেশার বা সি প্যাপ নামে একটি যন্ত্রের সাহায্য নিতে বলেন। এই যন্ত্রটি অনেকটা বক্সের মতো এবং এর সঙ্গে মোটা পাইপের সংযোগ দিয়ে একটি মাস্ক বসানো থাকে। রোগীকে প্রতিবার ঘুমের সময় এই মাস্কটি পরতে হয়। এই যন্ত্রটি মূলত ঘুমের মধ্যে রোগীর শ্বাসনালি খোলা রাখতে সাহায্য করে এবং অক্সিজেনের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখে। ফলে শরীরের অঙ্গগুলোকে আর অক্সিজেনের ঘাটতিতে ভুগতে হয় না। এতে অনেক জটিল রোগের নিরাময় সম্ভব হয়।

তবে যারা সি-প্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না, তাদেরকে বিকল্প চিকিৎসা নিতে হয়। যেমন, গলার টনসিল বা নাকের পেশি বড় হয়ে গেলে তা অপারেশন করা। ম্যান্ডিবুলার অ্যাডভান্সমেন্ট ডিভাইস-ম্যাড ব্যবহার। এটি মুখের নীচের চোয়ালকে সামনে এগিয়ে রাখতে দাঁতের চারপাশে বসানো এক ধরনের যন্ত্র, যা শ্বাসনালি খোলা রাখতে সাহায্য করে।

লেজার অপারেশনের মাধ্যমে শ্বাসনালীর পরিধি বড় করাও একটি প্রক্রিয়া। এছাড়া জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলেও স্লিপ অ্যাপনিয়া অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। যেমন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, সুষম খাদ্যাভ্যাস, ডায়াবেটিস/রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান ও মদপান পরিহার, কাত হয়ে ঘুমানো।

নিউজ ট্যাগ: স্লিপ অ্যাপনিয়া

আরও খবর



সাভারে জামায়াতের ২২ নেতাকর্মী আটক

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

ঢাকার সাভারে একটি রেস্তোরায় গোপন বৈঠকের সময় জামায়াতে ইসলামীর ২২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার  করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার ফুড প্লানেট রেস্টুরেন্টে গোপন বৈঠকের সময় তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন, রাজবাড়ীর পাংশা থানার জিল্লুর রহমান (৪৫), নাটোরের বাগাতিপাড়ার আশিকুর রহমান (৪০), চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের আনোয়ার (২৯), জামালপুর জেলার মেলান্দহের আব্দুর রাজ্জাক (৫০), টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার রফিকুল ইসলাম (৪২), মেহেরপুরের গাংনীর আবুল বাশার (৪৩), টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার আব্দুল কাদের (৬০), সিরাজগঞ্জ সদরের আমিনুল ইসলাম (৩৩), আশুলিয়ার আরমান হোসেন (৩৭), মাদারীপুর জেলার শিবচরের জলিল খান (৪২), লক্ষীপুরের রামগঞ্জের সোহেল রানা (২৮), চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার আবুল কালাম আজাদ (৫৩), বগুড়ার ধনুটের আব্দুল করিম (২৯), নীলফামারীর ডোমারের নুরনবী (৩৮), লক্ষীপুরের রামগঞ্জ থানার তৈয়ব উল্লাহ (৪৭), ময়মনসিংহের ত্রিশালের মোজাম্মেল হক (৪০), দিনাজপুরের মিরাজ হোসেন (৩৪), আশুলিয়ার পলাশবাড়ি বটতলা এলাকার মানিক (৩৪), বরিশালের মুলাদির মো. হাসান (৩৫), বরিশাল সদরের জসিমউদ্দীন (৪০) ও সিরাজগঞ্জের চৌহালীর জাহিদ হাসান (৪১)। গ্রেপ্তার আরেকজনের নাম জানা যায়নি।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) মাসুদুর রহমান বলেন, নাশকতার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জামায়াতের ২২ নেতা-কর্মীকে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



ইসরাইলের সঙ্গে সকল বাণিজ্য বন্ধ করল তুরস্ক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অবৈধ দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক। তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনি অঞ্চলে মানবিক ট্র্যাজেডি আরও খারাপ’ উল্লেখ করে এ ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি ইসরায়েল সরকার গাজায় নিরবচ্ছিন্ন এবং পর্যাপ্ত মানবিক সাহায্য প্রবাহের অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত তুরস্ক এই সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে বলে বলা হয়েছে।

তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের পণ্য আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বৃহস্পতিবার থেকে তুরস্ক ইসরায়েল থেকে সব রপ্তানি এবং আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে।

২০২৩ সালেও দেশ দুইটির মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে এক্সে একটি পোস্ট করেছেন। এতে তিনি অভিযোগ করেছেন, বন্দর দিয়ে ইসরায়েলি পণ্য আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ করে দিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বাণিজ্যিক চুক্তি ভঙ্গ করছেন।

তুরস্ক বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ায় বিকল্প হিসেবে অন্য দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানি এবং স্থানীয়ভাবে পণ্য উৎপাদনের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন দখলদার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


আরও খবর