আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

ঝিনাইগাতীতে রঙিন ফুলকপি চাষ করে শফিকুলের চমক

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

শেরপুর প্রতিনিধি:

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের বনগাঁও নয়াপাড়া গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম। তিনি সারাবছরই তার জমিতে নানান ধরনের সবজি চাষাবাদ করে থাকেন। তবে এবার তিনি স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে রঙিন ফুলকপি চাষ করে চমক দেখিয়েছেন। শফিকুল ইসলাম তার অল্প জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু জৈব সার প্রয়োগ করে চার রঙের ফুলকপি চাষ করে দ্বিগুণ লাভবান হয়েছেন। তার এমন সফলতা দেখে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরাও।

আর রঙিন ফুলকপির সৌন্দর্য দেখতে শফিকুল ইসলামের জমিতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন স্থানীয় কৃষকসহ উৎসুক জনতা। কেউ নিচ্ছেন পরামর্শ আবার কেউ তুলছেন ছবি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কৃষক শফিকুল ইসলাম কৃষি অফিসের পরামর্শে তার নিজস্ব ১৫ শতক জমিতে চার রঙের ফুলকপির বীজ বপন করেন। এতে তিনি কোন প্রকার রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু জৈব সার ব্যবহার করছেন। এতে চারাসহ সব মিলে তার খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। চারা রোপনের ৭০ থেকে ৭৫ দিন পর বাগানে আসে রঙ্গিন ফুলকপি। 

শফিকুল জানান, বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। তিনি আশা করছেন, পুষ্টিগুণে ভরপর এই রঙ্গিন ফুলকপিগুলো ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, মজার ব্যাপার হলো রঙিন এসব ফুলকপি দেখতে প্রতিদিনই এলাকার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ আমার জমিতে ভীড় করছেন। কেউ নিচ্ছেন চাষের পরামর্শ আবার কেউ কেউ তুলছেন ছবি। তাছাড়া বাজারে নেওয়া মাত্রই বিক্রি হয়ে যায় এসব রঙিন কপি।

একই গ্রামের কৃষক জামিল মিয়া জানান, আমাদের এলাকায় শফিকুল ইসলামের আগে অন্য কেউ রঙিন ফুলকপির চাষ করেনি। আমিও ফুলকপিগুলো এর আগে দেখেছি। তবে এখানে খুব ভালো ফলন হয়েছে। এসব কপি আবাদে খরচ কম এবং বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি। আগামীতে আমিও আমার জমিতে রঙিন ফুলকপির চাষ করব।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, কৃষক শফিকুল ইসলাম শাকসবজি চাষে খুবই আগ্রহী। তিনি প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। তার দেখাদেখি স্থানীয় অনেক কৃষকই এখন রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আমরা কৃষকদের পাশে সব সময় আছি। তিনি আরও বলেন, ফুলকপি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি সবজি। বিশেষ করে ফুলকপিতে ভিটামিন সি, ই, কে, ফলিক এসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। এটি ক্যানসার প্রতিরোধেও কাজ করে।

জেলা কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক কর্মকর্তা সুলতান আহম্মেদ বলেন, সাধারণ কপির চেয়ে রঙিন ফুলকপির চাহিদা বাজারে বেশি। উৎপাদন খরচও তুলনামূলক খুব একটা বেশি না। কৃষকদের সকল পরামর্শ দিতে জেলা কৃষি বিভাগ সব সময় পাশে আছে।


আরও খবর



মিরপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের ঘোষণার প্রতিবাদে মিরপুর ১০ এর সড়ক অবরোধ করেছেন অটোরিকশার চালকরা। এ সময় কয়েকশো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালককে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

রবিবার (১৯ মে) সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করেন অটো চালকরা। গত কয়েকদিন ধরেই পুলিশ তাদের ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক করছে।

জানা গেছে, অটোরিকশা চালকরা মিরপুর ১০, ১১ ও বাংলা কলেজ এলাকায় মিছিল করে ১০ নম্বর মোড়ে অবস্থান নেন। তবে যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ওই এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে, সড়ক অবরোধ করার ফলে মিরপুর ১০ এলাকা দিয়ে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে আশপাশের এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ মে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) উপদেষ্টা পরিষদ ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। বৈঠক শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।


আরও খবর



সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিষয়ে অনুসন্ধান করবে দুদক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শকের স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলো অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

জাতীয় ওই দৈনিক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে বেনজীর আহমেদের নানা অর্থ-সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি। অথচ, গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদের বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


আরও খবর



দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে ৪৩.৮ ডিগ্রি

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে টানা দ্বিতীয় দিনের মত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা দেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা গণমাধ্যমকে বলেন, বুধবার যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি।

যশোরে মঙ্গলবারও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। আর চুয়াডাঙ্গায় ছিল ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এতদিন দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। মঙ্গলবার তা ভেঙে যায়।

আর স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা বাংলাদেশের নথিভুক্ত ইতিহাসের সর্বোচ্চ।

চলতি মৌসুমে ৩১ মার্চ থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। টানা ৩২ দিন ধরে চলা এই দাবদাহ আরো কয়েক দিন কিছু এলাকায় স্থায়ী হলেও বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির আভাস দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান বুধবার অধিদপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে অনেক জায়গার তাপমাত্রা কমে আসার সম্ভাবনা আছে৷ ময়মনসিংহ বিভাগ, সিলেট বিভাগ, ঢাকা বিভাগ এবং কুমিল্লা অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি শুরু হবে বৃহস্পতিবার৷ তবে দেশের উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিমের জেলাগুলোর তাপমাত্রা শুক্রবার পর্যন্ত আগের মতই থাকবে।

যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী এসব এলাকায় আরও দুয়েকদিন পর বৃষ্টি হবে৷ ৩/৪ তারিখের পর সারাদেশেই বৃষ্টি হবে৷ তবে জলীয়বাষ্পের কারণে অস্বস্তি ভাবটা থেকে যাবে। তারপরও সহনশীলতায় চলে আসবে।

৫/৬ দিনের বৃষ্টিপাতের পর দেশের তাপমাত্রা আবার বাড়তির দিকে যাবে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ। বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

এর আগে ২০১৪ সালে ৫ থেকে ৩০ এপ্রিল টানা ২৬ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। ২০১৬ সালে ৬-৩০ এপ্রিল টানা ২৫ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। ২০২৩ সালে ১৩ এপ্রিল থেকে ৫ মে টানা ২৩ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।


আরও খবর



বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত আমরা সরকারে ছিলাম না। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। আমাদের দেশের মানুষ প্রাথমিক যে স্বাস্থ্যসেবা পাবে সেই সুযোগটা বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে আমাদের জনসংখ্যা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্থবিরতা নেমে আসে।

বুধবার (১৫ মে) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আইসিপিডি থার্টি গ্লোব্যাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভার্সিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভলডমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ সংগ্রামের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতির পিতার নেওয়া পদক্ষেপ অনুসরণ করে সবার জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নতুন জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করি। বিশেষ করে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর জন্য সারা দেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন কাজ শুরু করি। সেই সময় জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচি গ্রহণ করি। নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে আমরা বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করি। নারী শিক্ষা বিস্তার এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে ছিল আমাদের আন্তরিক প্রয়াস।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার নিদের্শে ৭৩-৭৮ সাল পর্যন্ত প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়। তিনি একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ন্যাশনাল কাউন্সিল কমিশন গঠন করেন। জাতির পিতাকে হত্যা করার পরে এদেশে অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর সমস্ত অর্জনগুলো একে একে নষ্ট করে দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পুনরায় সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আসার পর আমরা আইসিপিডি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনের ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি ২০১২ প্রণয়ন করি। মাতৃমৃত্যু ও নবজাতক মৃত্যুহার হ্রাস, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু-কিশোর-কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প আবারও চালু করি। বর্তমানে সারা দেশে সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। এগুলোর মাধ্যমে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাসহ ৩০টি অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় তিন হাজার ক্লিনিকে স্কিলড বার্থ অ্যাটেনডেন্স সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন ৩ হাজার ২৯০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র/পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক হতে মা, শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২ হাজার ২০০টি কেন্দ্র থেকে সার্বক্ষণিক স্বাভাবিক প্রসব সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রসূতিসেবা প্রদানের জন্য এসব কেন্দ্রে চারজন করে ধাত্রী নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমি ৩০ হাজার ধাত্রী নিয়োগের অঙ্গীকার করেছিলাম। এর ধারাবাহিকতায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ২০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ করা সম্ভব হবে বলে আমি আশা করি।

শেখ হাসিনা বলেন, মাতৃ স্বাস্থ্যসেবায় জরুরি প্রসূতি সেবা নিশ্চিত করতে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে। মা টেলিহেলথ সার্ভিস’-এর মাধ্যমে প্রসূতি মায়ের গর্ভকালীন ও প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মা ও শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৩ লাখ উপকারভোগীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা, শপিংমল, রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি কর্মস্থলে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র’ স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। গত ১৫ বছরে এসব উদ্যোগের ফলে বর্তমানে বাংলাদেশে শিশুমৃত্যু হার প্রতি হাজারে ২১ জন; যা ২০০৬ সালে ছিল হাজারে ৮৪ জন। একইভাবে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ২০০৬ সালের ৩৭০ জন থেকে ১৩৬ জনে হ্রাস পেয়েছে।


আরও খবর



হবিগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে উপজেলার আগুয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই দু'জনের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন, ওই গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া ও শুকুর মিয়ার ছেলে আব্দুল কাদির। আহত কয়েকজনকে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে লিলু মিয়া নামে আরেকজনকে মৃত ঘোষণা করেন হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, উপজেলার আগুয়া বাজারে সিএনজি ষ্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ম্যানেজার বদির মিয়া ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহেল মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে বদির মিয়া ও সিএনজি চালক আব্দুল কাদিরের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টির জের ধরে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হন।

তিনি বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় কয়েকজনকে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক লিলু মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে ঘটনাস্থলে আব্দুল কাদির ও সিরাজ মিয়ার মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত অন্যান্যদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: হবিগঞ্জ

আরও খবর