আজঃ শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪
শিরোনাম

জাতির পিতার সমাধিতে বরিশাল নগর পিতার শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র (নগর পিতা) আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ।

শনিবার (৮ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে তিনি নবনির্বাচিত কাউন্সিলর ও সহস্রাধিক নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধুসহ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় পবিত্র ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর পুরোনো বাড়িতে বিশ্রামে যান মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ। পরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের প্রশাসনিক ভবনের রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।


আরও খবর



নৃ-গোষ্ঠীর দুই শিশু ও মা-বাবাকে পাশবিক নির্যাতন, মায়ের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ঠাকুরগাঁওয়ের পৌর শহরের পরিষদ পাড়ার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর দুই শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর এক শিশুর বাবা-মাকেও মধ্যযুগীয় নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের পরে ওই এক শিশুর মা দায়নি ঋষির (৪২) মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তবে এটি আত্নহত্যা নয়, হত্যা বলে দাবি নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের। আর ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার বলছেন, অপরাধী যেই হউক ছাড় পাবে না।

বুধবার (২২ মে) সকালে পৌর এলাকার ৯নং ওয়ার্ড পরিষদ পাড়ার একটি লিচু গাছে ওই নারীর লাশ ঝুলে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নিহত দায়নি বিষু ঋষির স্ত্রী। তাদের ঘরে দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের অভিযোগ, গত সোমবার পরিষদ পাড়ার লিটনের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় লিটনসহ তার লোকজন পরদিন চোর সন্দেহে দয়ান ঋষির ছোট ছেলে রাজেন (১৩) ও একই গ্রামের মৃত যোগেন এর ছেলে সঞ্জিত (১৫) কে তারা বাসায় আটক করে রাখে। কিন্তু তাঁরা চুরি করেনি তার পরেও ছেড়ে না দিয়ে মারপিট করতে থাকে। এরপর বিষু ঋষিকেও ধরে নিয়ে যায় তাঁরা। তবে বিষু ঋষিকে ছেড়ে দিলেও রাজেনকে ছাড়েননি। এরপর রাজেনকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আরও মারপিট করে। রাজেন মারপিটের ঠেলায় বলে, এলাকার সঞ্জিত এর নাম বলে সে চুরি করেছে। এরপর সঞ্জিতকে খুঁজে বের করে। পরে দুজনকে একদল উচ্ছৃংখল যুবকের হাতে তাদের তুলে দেন লিটন। পরে লিটনের আত্মীয় আমজাদসহ কয়েকজন মিলে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দোলন কুমার মজুমদারের সাথে দেখা করে চুরির বিষয়টি অবগত করেন। এসময় কাউন্সিলর তাদের পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতা নেয়ার পরামর্শ দেন।

কিন্তু বাড়ির মালিক লিটন কাউন্সিলরের কথা না শুনে চুরি ঘটনায় কয়েক লক্ষ টাকা ও কয়েক ভরি স্বর্ণ অলংকার খোয়া গেছে দাবি করে আটকৃতদের কয়েক দফায় বেধরক মারপিট করে লিটনসহ তার লোকজন।

তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, ওই দুই কিশোর ও বিষু ঋষিকে ছেড়ে দেয়ার পর ওই দিন রাতে অজ্ঞাতরা রাজেনের মা দায়নি ঋষিকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয় চুরির বিষয়টি সমাধানে। সে বাসায় না ফিরলে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন স্বজনরা। পরে বুধবার সকালে স্বজনরা তার লাশ গাছের ডালে ঝুলতে দেখে।

রাজেন ও সঞ্জিত জানায়, ২০-২৫জন আমাদের শহরের গোবিন্দ নগর বড়বাড়ি এলাকায় নিয়ে গিয়ে লোহার রড, গাছের ডাল দিয়ে অনবরত পেটাতে থাকে আর বলে বলআমরা টাকা চুরি করছি। শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল তাও মারছিল। সঞ্জিত বলে সহ্য করতে না পেরে বলি রাজেনের মাকে চুরির টাকা গয়নাপাতি রাখতে দিয়েছি। এরপর রাজেনের মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন করে। টাকা স্বর্ণ অলংকার তাদের কাছে উদ্ধার করতে না পেরে থানা নিয়ে যায়।

পরিবারের অভিযোগ লিটন ও তাঁর ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা দায়নিকে হত্যা করে গলায় শাড়ি পেছিয়ে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। এ হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তাঁরা।

আদিবাসী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল টিজ্ঞা জানান, দায়নি ঋষিকে পিটিয়ে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখা রয়েছে। আর কত নির্যাতন হলে বা মারা গেলে আদিবাসী নিরিহ মানুষগুলোর ওপর নির্যাতন বন্ধ হবে? কেউ অপরাধ করলে পুলিশ-প্রশাসন আছে। তাই তাই বলে এভাবে নির্মমভাবে নির্যাতন করতে হবে। তাঁরা তো চুরির সময় ধরা পড়েনি। সন্দেহজনক ধরা হয়েছে। তবে এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। আর কত নির্যাতিত হলে আমরা বিচার পাবো?

এ বিষয়ে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দোলন কুমার মজুমদার জানান, চুরির ঘটনায় দুই কিশোরকে আটকের পর মারপিট করা হয় সেই বিষয়টি জানানো হলে পুলিশের সহযোগীতা নেয়ার পরামর্শ দিলেও তারা শুনেনি। পরে সকালে জানতে পারি এক কিশোরের মা গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। নিশ্চই বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন পুলিশ।

আর পুলিশ সুপার (এসপি) উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন, ইতিমধ্যে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এটা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। তবে অপরাধী যেই হউক সে ছাড় পাবে না।


আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে তিন মামলা, রিমান্ডের আবেদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আশ্রমে দুস্থদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি, মানবপাচার, অর্থ আত্মসাৎ, শিশুদের ওপর হামলা, টর্চার সেল গঠনের মতো গুরুতর সব অভিযোগের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এরমধ্যে প্রতারণা, মানবপাচার, নির্যাতনসহ কয়েকটি অভিযোগ এনে দু‌টি মামলা করা হয়েছে মিরপুর ম‌ডেল থানায়। এর মধ্যে এক‌টি মামলার বাদী হয়েছে পু‌লিশ।

আর এসব অভিযোগে বিষয়ে আরো তথ্য বের করতে মিল্টনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার আদালতে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে তোলা হবে দুপুর আড়াইটায়।

নিজেকে দাতব্য কাজে জড়িত থাকার প্রচারণা চালানো মিল্টনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমেছে। এসব নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বুধবার রাতে তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।

গ্রেপ্তারে পর তাৎক্ষণিকভাবে গোয়েন্দা প্রধান হারুন সাংবাদিকদের বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে অনেকগুলো সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে, এরপর রিমান্ড চাওয়া হবে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত বলা যাবে।

বরিশালের উজিরপুরের মিল্টন নিজের বাবাকে পিটিয়ে এলাকা ছাড়েন মিল্টন। ঢাকায় এসে একটি দোকানে ওষুধ বিক্রি করতেন। সেখান থেকেই তার উত্থান।

এক নার্সকে বিয়ের পর মিল্টন বৃদ্ধাশ্রমের স্বপ্ন দেখেন এবং এরপরই তিনি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার গড়ে তোলেন বলে জানান ডিবির হারুন। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মিরপুরের সেই চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের কার্যালয় থেকে আটক করা হয় মিল্টন সমাদ্দারকে।

মিল্টনের বিরুদ্ধে অসহায় মানুষের নামে সংগ্রহ করা অর্থ আত্মসাৎ এবং তাদের কিডনিসহ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চুরি করে বিক্রির অভিযোগ ওঠে। এছাড়া জাল মৃত্যু সনদ তৈরি এবং জমি দখলের মতো গুরুতর সব অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের প্রচারণার জন্য বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন মিল্টন। ফেইসবুকে তার তার দুই কোটি ফলোয়ার। প্রায় দেড় ডজন লোকবলের একটি দক্ষ টিম মিল্টনের দাতব্য কাজের গুণকীর্তন গেয়ে কনটেন্ট তৈরি করতো। আর সেসব কনটেন্ট মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে সংগ্রহ করা হতো কোটি কোটি টাকার তহবিল।

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার নামের বৃদ্ধাশ্রম ঘিরে তার অপকর্মের ফিরিস্তি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর গত ২৮ এপ্রিল মানবাধিকার কমিশন থেকে মিল্টনের অভিযোগের বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে বলা হয়।

ডিবি প্রধান বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে মানবপাচার, শিশু ও বৃদ্ধদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করার অভিযোগ আছে। এগুলো আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখবো।

এছাড়া তিনি যে অনুদানের টাকা পেতেন তা যথাযথভাবে খরচ করা হতো কি না, তার শেল্টার হোমে শিশু ও বৃদ্ধ যারা আশ্রিত থাকতেন তাদের অভিভাবকরা এলে তাদের যে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে সেগুলোও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

একইসঙ্গে মিল্টন যে ৯০০ লাশ দাফন করার কথা প্রচার করেছিলেন এবং ডেথ সার্টিফিকেটে নিজেই সিল বানিয়ে চিকিৎসকের স্বাক্ষর দিতেন এসব অভিযোগও বিস্তারিত তদন্ত করা হবে বলে জানান হারুন।


আরও খবর



বাণিজ্য ব্যবস্থাপনায় শতভাগ অটোমেশন বাস্তবায়ন চাই: বিজিএমইএ

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

বিজিএমইএ সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশের ব্যবসা পরিবেশবান্ধব নিশ্চিতকরণ, সকল ক্ষেত্রে সহজী অগ্রসর ও পরিচালনায় ব্যয় হ্রাস করে সহনীয় পর্যায়ে করার জন্য কাস্টমস ব্যবস্থাপনায় শতভাগ অটোমেশন এখন সময়ের দাবী।

সোমবার (২৭ মে) বিজিএমইএ ভবনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন তৈরী পোশাক শিল্পের কর্মকর্তাদের নিয়ে বিজিএমইএ, এনবিআর ও কাস্টম বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিভিএমএস) প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ পরিচালক মোস্তফা সরওয়ার রিয়াদ, রাকিব আল নাসের, গাজী মোঃ শহীদউল্লাহ্, কাস্টম বন্ড কমিশনারেট উপ-কমিশনার শাহেদ আহমেদ।

 রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, বতর্মান বিশ্ব এক প্রতিযোগিতার বিশ্ব। এখানে প্রতিযোগিতা করে আমাদের টিকে থাকতে হচ্ছে। তার জন্য প্রয়োজন প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার। অটোমেশন ব্যবসা বাণিজ্যে তরান্বিত করণে বড় ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে পণ্যের এইচ.এস. কোড, ডিকলারেশেন এবং কাস্টমস্ সংক্রান্ত নানা জটিলতার কারণে ব্যবসা বাণিজ্য বিঘ্ন হচ্ছে। অন্যদিকে ব্যয় বেড়ে গিয়ে হতে হচ্ছে হয়রানির শিকার। এই অবস্থায় কাস্টমস্ এর ব্যবস্থাপনায় শতভাগ বাস্তবায়ন অতীব জরুরী।

এসময় চট্টগ্রামের বিভিন্ন গার্মেন্টস্ শিল্পের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ও সিনিয়র কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: শিলাস্তি-আমানসহ গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা থেকে আটক তিন ব্যক্তিকে অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ তিন জন হলেন- সৈয়দ আমানুল্লাহ, ফয়সাল আলী ও শিলাস্তি রহমান।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা। তিনি জানান, এমপি আনারকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়। এই তিনজন ঘটনার পর ভারত থেকে দেশে ফিরেছিলেন।

ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করছেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যায় তারা জড়িত। যেহেতু এমপি আনারের মেয়ে তার বাবাকে অপহরণের অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছেন, সেই কারণে তিনজনকে অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

শুক্রবার তাদের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই তিন নিখোঁজ ছিলেন।

বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচদিন পরে, গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এই সংসদ সদস্যের।

বুধবার (২২ মে) হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। তবে মেলেনি মরদেহ।


আরও খবর



গরমে গ্লুকোজ পানি পান করা কি ভালো না ক্ষতিকর

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তাপদাহের মধ্যে প্রচণ্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। একদিকে গরমের তীব্রতা অসহ্য, আরেক দিকে প্রচুর ঘাম। আর ঘামের কারণেই পানিশূন্যতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে তৃষ্ণার কারণে এই সময়ে কম-বেশি সবাই শরীর ঠান্ডা থাকে এমন পানীয় পান করেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গ্লুকোজ পানি পান।

তীব্র গরমে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময়ে বেশি বেশি পানি পান এবং স্যালাইন পানি পানের প্রয়োজন হয়। এ জন্য কেউ বিকল্প হিসেবে গ্লুকোজ পানি পান করেন। গ্লুকোজ পানি উপকারী। কিন্তু কেউ কেউ গ্লুকোজ পানি অনেক বেশি পান করেন। তবে গ্লুকোজ পানি বেশি পরিমাণে পান করা ঠিক কিনা- এ প্রশ্ন অনেকের। এবার তাহলে এই চিকিৎসকের ভাষ্যমতে গ্লুকোজ পানি পানের বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।

গ্লুকোজ পানি পান করা উচিত কি: বাজারে সচরাচর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গ্লুকোজ পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, গরমের সময় এ ধরনের গ্লুকোজ পানি শরীরকে সুস্থ রাখে বিভিন্নভাবে। এই গ্লুকোজ শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে, লবণের ঘাটতি মেটায় ও শরীরে শক্তি সরবরাহ করে- এমন বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই তা নেন।

সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, এ জাতীয় এনার্জি ড্রিংক শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য শরীরের জন্য গ্লুকোজ পানি উপকারী। যেমন, গরমের সময় যদি হাইপোগ্লাইসেমিয়া অর্থাৎ, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায়, তাহলে গ্লুকোজ পানি পান করা যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, এ জাতীয় গ্লুকোজ পানিতে বিদ্যমান পাউডারে চিনি বা শর্করা থাকে। যা দ্রুত রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণও বাড়ায়। এ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য গ্লুকোজ পানি ভালো নয়। আর এ ধরনের শর্করা পরবর্তীতে চর্বিতে রূপ নেয়। তাই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে তাদের ক্ষেত্রেও ক্ষতিকর গ্লুকোজ।

এছাড়া একজন সুস্থ মানুষ যদি নিয়মিত গ্লুকোজ পানি পান করেন, তাহলে পেটে মেদ জমে এবং মোটা হয়ে যায়। শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বেশি পরিমাণে গ্লুকোজ পানি পানে দাঁতেরও ক্ষয় হয়। সেই সঙ্গে সুগার হার্টের রোগ, ডিমেনশিয়ার মতো জটিল রোগের জন্যও গ্লুকোজ ক্ষতিকর বলে গবেষণায় দেখা গেছে। এ জন্য খুব বেশি প্রয়োজন না হলে এ ধরনের গ্লুকোজ পানি পান না করাই উচিত।

বিকল্প উপায় ও করণীয়: গরমে পানি পান করা হচ্ছে ভালো উপায়। এ জন্য বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানে গরমে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা রোধ করা যায়। পাশাপাশি স্যালাইন ও ডাবের পানি পান করা যেতে পারে। দুটি পানীয়তেই প্রয়োজনীয় খনিজ লবণ রয়েছে। যা শরীরে দরকারি লবণের ঘাটতি মিটিয়ে থাকে। এছাড়া রকমারি ফলের জুস খেতে পারেন। তবে সেটি ঘরোয়াভাবে তৈরি হলে উত্তম।


আরও খবর