আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

জাসদ পরিবেশিত শেখ কামালের সেই ব্যাংক ডাকাতির কল্পকাহিনি

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৭ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বিশ্বখ্যাত লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফের স্বনামধন্য সাংবাদিক পিটার হেজেল হার্স্ট বলেছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর পুত্রের ব্যাংক ডাকাতির দরকার হয় না। টাকা চাইলে তো ব্যাংকের ম্যানেজাররাই বাসায় পৌঁছে দেবেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পুত্র শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত মর্মে তথ্য সরবরাহ করা হলে বিদেশি সাংবাদিক পিটার উপর্যুক্ত মন্তব্য করেছিলেন বাংলাদেশি সোর্সের প্রতিত্তোরে।

বিদেশি সাংবাদিককে টোপ গেলানো না গেলেও এদেশীয় পত্রিকা দৈনিক গণকণ্ঠ ও হককথা ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭৩ বিজয় দিবসে দেশ ও জাতিকে বিভ্রান্ত করতে জাতির পিতার পুত্রকেই মঞ্চস্থ করলো ব্যাংক ডাকাত বানিয়ে দিয়ে। পত্রিকা দুটোর পুরো ব্যানারজুড়ে শিরোনাম ছিল- প্রধানমন্ত্রীর পুত্র শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত। সিরাজ শিকদারের নিষিদ্ধ ঘোষিত সর্বহারা পার্টি বিজয় দিবসকে কালো দিবস ঘোষণা করে জাতীয় কর্মসূচি ভণ্ডুলের প্রকাশ্য ঘোষণা করেছিল সারাদেশে লিফলেট ছড়িয়ে। জাসদ তাদের কর্মসূচিকে গোপনে সমর্থন দিয়ে সশস্ত্র সহায়তা করেছিল। সিরাজুল আলম খানের মন্ত্রতন্ত্রে জাসদের সভাপতি মেজর (অব.) এম এ জলিল সাধারণ সম্পাদক আসম আব্দুর রব যুগ্ম সম্পাদক শাজাহান সিরাজ। জাসদের গণবাহিনীর প্রধানই কেবল নয়- পরবর্তীতে হাসানুল হক ইনু নিজেই স্বীকার করেছেন যে - ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বিপ্লবের উপপ্রধান ছিলেন তিনি। কর্নেল (অব.) আবু তাহের বীর উত্তম ছিলেন সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরের গোপন সংগঠন বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার প্রধান। উল্লেখ্য, জাসদ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের লোভে জেনারেল জিয়ার উত্থান ঘটালেও সে স্বপ্ন ভেস্তে যায়। জেনারেল জিয়াই ক্ষমতা দখল করে কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি দেন এবং জলিলকে যাবজ্জীবন- সিরাজুল আলম খান-আসম রবকে দশ ও ইনুকে সাত বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন।

ছাত্রলীগকে দ্বিখণ্ডিত করে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল আলম খান- কাজী আরেফ আহমেদ - এম এ আউয়াল-আসম রব- শাজাহান সিরাজ -শরীফ নূরুল আম্বিয়া- হাসানুল হক ইনু জাসদ গঠন করেন। জাসদ ছাত্রলীগের নেতৃত্ব তুলে দেন- আফম মাহবুবুল হক-মাহমুদুর রহমান মান্না -আখতারুজ্জামান - শিরীন আক্তারের হাতে।

স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের ঘোষণা দিয়ে ১৯৭২ সালে অক্টোবরে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল বা জাসদ। দলটির মুখপাত্র ছিল দৈনিক গণকণ্ঠ। যার সম্পাদক ছিলেন কবি আল মাহমুদ। মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপের মুখপাত্র ছিল হককথা। দৈনিক গণকণ্ঠ ও হককথা বঙ্গবন্ধু সরকারকে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিয়েছিল শেখ কামালের বিরুদ্ধে এরকম ভয়ঙ্কর মিথ্যা সংবাদ ছাপিয়ে। 

আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা ও ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রাণপুরুষ শেখ কামাল সম্পর্কে জনমানসের দৃষ্টি ফেরাতে চাই সেদিনের প্রকৃত ঘটনার বস্তুনিষ্ঠ তথ্য-উপাত্ত দিয়ে। ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭৩ সাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের বিজয় দিবস। কিন্তু মানে না এ বিজয় দিবস সিরাজ সিকদারের সর্বহারা পার্টি। বিজয় দিবসের জাতীয় কর্মসূচি প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় তারা। বিজয় দিবসকে কালো দিবস ঘোষণা করে ওদিনই হরতাল ডেকে বসে সর্বহারা পার্টি। পার্টির ঔদ্ধত্য হুঙ্কার এতোটাই ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল যে, তারা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সাংবিধানিক অস্তিত্ব অস্বীকার করে পার্টির নামকরণ করে পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি। রাজধানীতে লিফলেট বিতরণ করে। বিভিন্ন হ্যান্ডবিলের মাধ্যমে তারা ঘোষণা করে জাতীয় প্রেসক্লাব, পত্রিকা অফিস, কমলাপুর রেলস্টেশন, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ বোমা মেড়ে উড়িয়ে দেয়ার।

ঢাকার তৎকালীন পুলিশ সুপার মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম এর ভাষ্যমতে, রাজধানীতে তখন মোটে আটটি থানা। প্রতিটি থানায় ২৪ জন করে পুলিশ সদস্য ছিল। পুলিশ লাইনেও অস্ত্রধারী পুলিশের সংখ্যা খুব বেশি ছিল না। নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন দুরূহ বিষয় ছিল। কালো দিবস এর লিফলেট প্রচারের পর পুলিশকে সাহায্য করতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও লাল বাহিনীসহ আওয়ামী লীগের কর্মীরা মাঠে নামে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন নম্বর এবং স্ব স্ব নাম লিপিবদ্ধ করে পুলিশের সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের সঙ্গে সহঅবস্থান নেয় তারা। ১৫ ডিসেম্বর বিকাল থেকে এ তৎপরতা জোরেশোরে চলতে থাকে। শেখ কামাল সেদিন রাতে ঢাকা কলেজের সামনে ছাত্রলীগের কার্যালয়ে ছিলেন। তিনি সর্বহারা পার্টির অপতৎপরতারোধে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে সহকর্মীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পর একটি মাইক্রোবাসে ওঠেন। শেখ কামালের সঙ্গে ছিলেন কাজী সিরাজ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সাহেদ রেজা, আনোয়ারুল হক তারেক, রুহুল আমিন খোকা, শাহীন চৌধুরী, রেজাউল কবির, বরকত-ই-খোদা, তারেক, শাহান, সানি, বরকত, মনির প্রমুখ।

আরেকটি জিপ গাড়িতে ছিলেন শেখ রফিকসহ আরো কয়েকজন। শেখ কামালকে নিয়ে মাইক্রোবাসটি মতিঝিলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় এবং একপর্যায়ে গাড়ি থামিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন চিটাগং হোটেল থেকে খাওয়ার জন্য বিরিয়ানি নিয়ে নেয়। বের হওয়ার আগে শেখ কামাল ও তার সঙ্গীরা পুলিশ কন্ট্রোল রুমের খাতায় তাদের নাম এবং গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন নম্বর লিখে না রাখায় বিপত্তির আশঙ্কা দেখা দেয়। টহলরত পুলিশের ম্যাসেজ চলে যায় কন্ট্রোল রুমে। পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে ওয়ারলেসের মাধ্যমে সংবাদ প্রেরণ করতে থাকে যে, লোকজনভরা একটি মাইক্রোবাস। সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছে।

এদিকে জাসদ ও সর্বহারা পার্টি বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান পণ্ড করতে মাঠে নামে। একটি টয়োটা গাড়ি করে যাচ্ছিলেন সার্জেন্ট শামীম কিবরিয়া। তিনি ফাঁড়িতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে সব আলো নিভিয়ে দেয়া হয়। সবাইকে পজিশন নিতে নির্দেশ দিলেন ওয়াকিটকির মাধ্যমে। পুলিশ একটু ভড়কে গিয়ে ফাঁড়ির দিকে ছুটে। শেখ কামালের গাড়িও পিছে পিছে যাচ্ছিল। হঠাৎ সামনের গাড়িটা স্টার্ট বন্ধ করে দিয়ে ওয়াকিটকির মাধ্যমে সবাইকে জানায় যে, পেছনে দুটো গাড়ি আছে এবং নিশ্চয়ই সেই গাড়ি দুটো সন্ত্রাসীদের হবে। অথবা সর্বহারা পার্টির হবে। হঠাৎ লাইট বন্ধ করে এলোপাতাড়ি গুলি করা শুরু করে। চারদিক থেকে থ্রি-নট-থ্রি রাইফেলের গুলি। অজস্র ধারায় গুলি। তাতে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়। একজনের তিনটি আঙুল উড়ে যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দরজা খুলে শেখ কামাল দৌড়ে ভেতরে চিৎকার করে বলতে থাকে, আমি শেখ কামাল, আমি শেখ কামাল। সার্জেন্ট শামীম কিবরিয়া ও এসআই নিয়ামত আলী গুলি করা বন্ধ করে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। এবং শেখ কামালকে বলেন -স্যার ভুল হয়ে গেছে, আমরা ভেবেছি সন্ত্রাসীদের গাড়ি।

প্রকৃতপক্ষে সার্জেন্ট কিবরিয়া দ্রুত ফাঁড়িতে ঢুকে চিৎকার করে বলে ওঠেন, পেছনের দুটো গাড়ির সন্ত্রাসীরা আমাদের আক্রমণ করেছে। তখনই গুলিবর্ষণ করা হয়।

গুরুতর জখম অবস্থায় শেখ কামাল ও একে একে সবাইকে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে পুলিশ তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কামালের কাঁধ থেকে দুটি গুলি বের করা হয়। আরেকটি গুলি পরবর্তীতে বের করা হয় মস্কোতে। এসআই মতিন ও তার সহকর্মীরাও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাজির হয়। শেখ কামালের গুলিবিদ্ধ হওয়ায় স্থানটি ছিল মতিঝিল শাপলা চত্বরের উত্তর দিকে জনতা ব্যাংক ও পেট্রোল পাম্পের বিপরীত দিকে জেনারেল আইয়ুব খানের বাণিজ্য মন্ত্রী ওহিদুজ্জামানের বাড়ি হতে একশ গজ উত্তরে কালভার্টের ওপরে। শেখ কামালের সঙ্গীরা কমলাপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন চিটাগং হোটেল থেকে যখন বিরিয়ানি নিচ্ছিলো তখন আজম খান (পপ সম্রাট), মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল মেসবাহউদ্দিন সাবু, বরিশালের বাহাউদ্দীন, হিলু, ইকবাল, জহুর ও মুসলেউদ্দীন ও সরফুদ্দিন সান্টুসহ ৭/৮ জন যুবক আড্ডা দিচ্ছিল। ওইদিন আজম খান ও বাহাউদ্দীন পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে গালগল্প করছিলেন। তারা শেখ কামালের চিৎকার শুনে মাইক্রোবাসের দিকে এগিয়ে গিয়ে যান। মতিঝিল ফাঁড়ির ইনচার্জ সার্জেন্ট রউফ ও কন্ট্রোল রুমের সার্জেন্ট সুলতানও তখন উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ টিমের পুলিশ সদস্যরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে রমনা থানায় হাজির হয়ে প্রাণভিক্ষা প্রার্থনা করেন। তাদের তাৎক্ষণিক ক্লোজ করা হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার এবং ডিএসপি মোল্লা তৈয়বুর রহমান তাদের থানাতেই আটকে রাখেন।

এ বিষয়ে ঢাকার তৎকালীন পুলিশ সুপার মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম আমাকে বলেন, সেদিন শেখ কামালের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবেই পুলিশ সদস্যদের রমনা থানায় ক্লোজ করি এবং হাসপাতালে ছুটে যাই। ততক্ষণে শেখ কামালকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়েছে। 

কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, আউট অব ডেঞ্জার, ভয় নেই, গুলি ভাইটাল অর্গানে বিদ্ধ হয়নি। সেদিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে শেখ কামালের সুচিকিৎসা ও অপারেশনের ব্যবস্থা করে বাসায় ফিরি, তখন প্রায় রাত ভোর হয়ে গেছে। তিনি বলেন, পরদিন সাতসকালে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করে বলি চিকিৎসকরা জানিয়েছেন জীবনাশঙ্কা নেই। বঙ্গবন্ধুকে বলি, আমার পুলিশ অফিসাররা কামালকে গুলি ছুঁড়ে আহত করেছে বিধায় দায় আমার। এ ঘটনা ভুল বোঝাবুঝির জন্য হয়েছে। যদি দোষ হয়ে থাকে সবটাই আমার, যদি শাস্তি কাউকে দিতে হয়, সবার আগে আমাকে দেবেন। বঙ্গবন্ধু আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন, তুই যা, ভালো মতো খোঁজখবর নে। যদি কোনো ষড়যন্ত্র থাকে আমাকে বলবি।

এসপি মাহবুব বললেন, বঙ্গবন্ধু প্যারেড গ্রাউন্ডে নিয়ে গেলেন আমাকে। কুচকাওয়াজের ফাঁকে কানে কানে বললেন, তোর ভাবী শুনলে ভীষণ চটে যাবে। যারা গুলি করেছে তাদের আপাতত ক্লোজ করে রাখ। ছাত্রলীগের কাছ থেকে যেনো ওরা দূরে থাকে। ক'টা দিন গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে।

এরপর আইজিপি নূরুল ইসলামের পরামর্শে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এম মনসুর আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। তিনি বললেন, বঙ্গবন্ধুকে তুমি যখন বলেছো, তখন চিন্তা বেশি করো না। আমি দেখব।

পরের দিন বঙ্গবন্ধু আমায় ডেকে পাঠালেন। বললেন হাসপাতালে যাব গোপনে, তুই সঙ্গে যাবি। আমি সন্ধ্যার পর গাড়ি নিয়ে বাড়ির পেছনে উপস্থিত হলাম। বঙ্গবন্ধু গাড়িতে বসলেন। বললেন, চালা, দেখিস তোর ভাবি তোর ওপর রাগ করতে পারে, কিছু মনে করিস না। কেবিনে ঢুকলেন বঙ্গবন্ধু, আমি সামনে দাঁড়িয়ে থাকলাম। ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ভাবী বেদনা ভারাক্রান্ত কণ্ঠে বেশ জোরেশোরে বললেন, তোমার রাজত্বে তোমার ছেলে তোমার পুলিশের গুলি খায়। আমি আর এ দেশে থাকব না। আমার ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বিদেশ চলে যাব। বঙ্গবন্ধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা আইজিপি কাউকেই কোনো নির্দেশনা দেননি। ফলে পুলিশ ও প্রশাসনের কোনো তেমন তৎপরতা ছিল না।

মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম বলেন, তৎকালীন সিটি এডিশনাল এসপি আব্দুস সালাম এবং আমি উভয়ই তদন্ত করেছি। ঢাকার তৎকালীন পুলিশ সুপার হিসেবে বলছি বাংলাদেশ ব্যাংকে ডাকাতি করতে হলে হাজার টন বোমা ফেলে ব্যাংকের ভল্টে ঢোকা যাবে না। রাস্তা হতে ব্যাংকের ভল্টে পৌঁছতে হলে অনেকগুলো দরজা ভাঙতে হবে, বড় বড় তালা খুলতে হবে এবং শক্তিশালী দরজা ভাঙতে হলে হেভি মর্টার ফায়ার করতে হবে। সুতরাং ব্যাংক ডাকাতির প্রপাগাণ্ডা যারা ছড়িয়েছে তারা জ্ঞানপাপী, অপশক্তি। ডাকাতি করতে হলে ডাকাতির সরঞ্জাম কই? নিদেনপক্ষে তালা ভাঙার যন্ত্র কিংবা গুচ্ছ গুচ্ছ চাবি! অথবা লোহার শিকের দরজা ভাঙা শাবল কিংবা গাইত! বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান ফটকে গার্ড পাহারাদার? কই কারো আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার খবর তো ছিল না।

প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধু সরকারকে অস্ত্র বলে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে চেয়েছিল জাসদ এবং সর্বহারা পার্টি। তারা তা না পারলেও বঙ্গবন্ধু শুধু নয় তাঁর পরিবারেরও হত্যার পথ ঠিকই প্রশস্ত করেছিল।

শেখ কামাল ছিলেন দীর্ঘ ও ঋজু দেহের অধিকারী শৌর্যবীর্যে ঠাসা এক সুপুরুষ। ঠোঁটের ওপর ঘনগোঁফ, চোখে কালো ফ্রেমের মোটা কাঁচের চশমা শেখ কামালকে পরিণত করেছিলো ছাত্র যুবসমাজের আইকন রূপে। আগস্টেই তার জন্মমৃত্যু, ১৯৪৯ এর ৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট এই ছাব্বিসটি বছর তার জীবনকাল। একুশ বছর বয়সেই মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি কর্নেল এমএজি ওসমানীর এডিসি হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকার স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে কমিশনপ্রাপ্ত হন এবং ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার সামরিক কর্মকর্তার পদ ছেড়ে দেন। নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে এমএ শেষ বর্ষের ছাত্র থাকা অবস্থায়। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সক্রিয় সংগঠক শেখ কামাল বাকশাল ভুক্ত জাতীয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। স্বাধীনচেতা মুক্তবুদ্ধি ও প্রতিভা উদীপ্ত এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট ও ইতিহাস গবেষক


আরও খবর



সৃজনশীলতাকে সম্মান জানাতে আসছে ‘মিস এআই’

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

প্রযুক্তির অন্যতম আবিষ্কার এআই বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের মস্তিষ্কের মতো করে কাজ। ধীরে ধীরে প্রতিটি ক্ষেত্রেই এটির ব্যবহার শুরু হচ্ছে। এবার এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি নারীদের নিয়ে সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছে ওয়ার্ল্ড এআই ক্রিয়েটার অ্যাওয়ার্ডস। মূলত বিশ্বব্যাপী এআই ক্রিয়েটরদের সৃজনশীলতাকে সম্মান জানাতেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন।

পুরস্কার হিসেবে মিস এআই বিজয়ীকে দেয়া হবে নগদ ৫ হাজার ডলার। প্রতিযোগিতায় সব মিলিয়ে মোট ২০ হাজার ডলারের পুরস্কার থাকছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার বিতরণের তারিখ ঘোষণা করা হয়নি এখনও। তবে ১০ মে বিজয়ীদের নাম ঘোষণার দিনই পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে মিস এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন। বিশ্বের কোনো দেশের ক্রিয়েটররা তাদের এআই মডেলের নাম লেখাতে পারবেন মিস এআই প্রতিযোগিতায়। তবে অংশগ্রহণকারীদের অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থিতি থাকতে হবে।

জানা গেছে, ফোবর্স দ্বারা হাইলাইট করা মিস এআই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে ওয়ার্ল্ড এআই ক্রিয়েটার অ্যাওয়ার্ডস। ফ্যাশন বৈচিত্র্য এবং এআই উৎপাদিত পুরুষ মডেলের মতো বিভিন্ন থিম থাকছে। তবে এআই জেনারেটেড নারী মডেলদের উপরই বিশেষভাবে ফোকাস করা হয়েছে। এআই টুলের মাধ্যমে তৈরি মডেল হতে হবে। সফটওয়্যার ব্যবহারে কোনো বিধিনিষেধ নেই। জনপ্রিয় টুলগুলোর মধ্যে ওপেনএআই এর ডাল-ই ৩ মিডজার্নি এবং কপিলট ডিজাইনার অন্তর্ভুক্ত।

তবে প্রতিযোগীদের ৩টি গুণের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। সৌন্দর্য, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং সামাজিক প্রভাব। সৌন্দর্যের মধ্যে ব্যবহার, বাগ্মিতা এবং কঠিন প্রশ্নের ঝটপট উত্তর দেওয়ার মতো দক্ষতা আছে কি না দেখা হবে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রম্পট থেকে আউটপুট তৈরির ক্ষমতা সহ এআই ব্যবহারের নির্মাতাদের দক্ষতা বিচার করবেন বিচারকরা।

সামাজিক প্রভাব ডিজিটাল বিশ্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। নির্মাতারা কতটা দর্শক টানতে পারেন, তাদের ব্যস্ততার পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম প্ল্যাটফর্মে তাদের উপস্থিতি দেখা হবে। এই বিভাগগুলোতে পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে সামগ্রিক স্কোর পাবেন প্রতিযোগীরা।

প্রতিযোগিতায় চারজন বিচারক থাকছেন। এর মধ্যে রয়েছেন এআই ইনফ্লুয়েন্সার আইতানা লোপেজ ও এমিলি পেলেগ্রিনি-র সঙ্গে উদ্যোক্তা অ্যান্ড্রু ব্লচ এবং সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার বিচারক স্যালি-অ্যান ফসেট।


আরও খবর



চলতি বছরই থাইল্যান্ডের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হতে পারে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেয় দেশটির সশস্ত্র বাহিনী।

বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেকপার্কে বিনিয়োগে থাইল্যান্ডকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। চলতি বছরই দেশটির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই হবে বলেও জানান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্র বন্দর কেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য থাইল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন বলেও জানান শেখ হাসিনা। এ ছাড়া বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগের আহ্বানও জানিয়েছেন দেশটির প্রতি।

এর আগে, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



সেপটিক ট্যাংকে নেমে প্রাণ হারালেন ৩ শ্রমিক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেপটিক ট্যাংকে নেমে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) নাসিরনগর গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে একজনের নাম আলম মিয়া। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, গুটমা বাজারের পাশে আহাদ মিয়া নামের এক ব্যক্তির ভবনে কাজ করতেন ওই শ্রমিকরা। সকালে নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকের কাঠের মাচা খুলতে ট্যাংকে নামেন ওই তিন জন। পরে তাদের কোনো সাড়া না পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে যান। এ সময় শ্রমিকদের নিথর দেহ দেখতে পান তারা।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা জানান, আমরা ধারণা করছি গ্যাসের কারণে এমনটা হতে পারে। তবে এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না তা পরবর্তীতে বলা যাবে।


আরও খবর



গরমে ঘাম হওয়া ভালো না খারাপ, যা বলছেন চিকিৎসক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ঋতু পরিক্রময়া এখন গ্রীষ্মকাল। স্বাভাবিকভাবেই এখন গরম পড়বে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এ সময় গরমের তীব্রতা যেন একটু বেশিই হচ্ছে। ফলে নাজেহাল জনজীবন। এ সময় বাইরে বের হলেও কিছুক্ষণ পরপর পানি তৃষ্ণা পায়। বেশিক্ষণ আবার থাকাও যায় না। আর ঘাম তো রয়েছেই।

গরমে ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পানি ও লবণ বের হয়। শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবণ বের হওয়ায়র ফলে এর ঘাটতি দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার পানিশূন্যতারও আশঙ্কা থাকে। এ সময় সচেতন থাকা জরুরি। কারণ, গরমে ঘাম থেকে যেমন শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হয়, একই সঙ্গে ঘাম মুছে না ফেললে তা থেকে জীবাণুর মাধ্যমে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সম্প্রতি গরমে ঘাম হওয়ার ব্যাপারে দেশর একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মতলেবুর রহমান।

এ চিকিৎসক জানিয়েছেন, গরমে যাদের ঘাম হয় তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। ঘাম অতিরিক্ত হলে ওরস্যালাইন বা ডাবের পানি পান করতে হবে। এসবের বিকল্প হিসেবে লবণ মিশ্রিত পানীয় পান করা যেতে পারে। অনেকেই মনে করেন গ্লুকোজ বা চিনি মিশ্রিত পানি পানে লবণের ঘাটতি পূরণ হয়। এটি আসলে ভুল ধারণা। অতিরিক্ত চিনি বা গ্লুকোজ গ্রহণ মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।

তিনি বলেন, যারা ব্লাড প্রেশার, দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগ বা হৃৎপিণ্ডের বৈকল্যজনিত সমস্যায় আক্রান্ত, তাদের বাড়তি লবণ খাওয়া যাবে না। এমন রোগীদের ক্ষেত্র বিশেষ আবার পানি পানেও বিধিনিষেধ থাকে। তবে অতিরিক্ত ঘাম হলে ডাবের পানি, ওরস্যালাইন বা সামান্য লবণ মিশ্রিত পানি পান করতে পারেন। ঘামের মাধ্যমে বের হওয়া পানি ও লবণের শূন্যতা পূরণ করতে হবে।

ত্বকের জন্য করণীয়: গরমের সময় ঘাম থেকে দুর্গন্ধ হয়। এ থেকে রক্ষা পেতে প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেই প্রসাধনী অবশ্যই মানসম্মত হতে হবে। ঘামের সময় ঠান্ডা পানিতে কাপড় বা তোয়ালে ভিজিয়ে নিয়ে শরীর মুছতে পারেন। এমনটা সম্ভব না হলে যেকোনো শুকনা কাপড়, টিস্যু বা রুমাল দিয়েও ত্বক মুছতে পারেন। ভেজা কিছু দিয়ে শরীর মোছার পর আবার শুকনা কিছু দিয়ে ত্বক মুছা উচিত। কারণ, ত্বক যদি ভেজা থাকে তাহলে ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শরীরের কিছু কিছু জায়গায় লোম বেশি থাকে। সেসব স্থানে ঘামও বেশি হয়। এসব স্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। লোম ছোট রাখতে হবে। যে পোশাক পরিহিত অবস্থায় ঘাম হয়, ওই পোশাক যত দ্রুত সম্ভব বদলাতে হবে।

অতিরিক্ত ঘামলে করণীয়: ঘাম যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরানো, ক্ষুধামান্দ্য বা অবসন্নতার মতো উপসর্গ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনটা হলে ঠান্ডা জায়গায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। যদি সম্ভব হয় ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর ধুয়ে নিন। মাথায়ও পানি ঢালতে পারেন। যদি এসব সম্ভব না হয় তাহলে পানি দিয়ে শরীর ও মাথা মুছে নিতে পারেন। আর এ অবস্থায় তরল খাবার বেশি খেতে পারেন।

নির্দিষ্ট কিছু হরমোনের তারতম্য থেকে ঘাম অতিরিক্ত হতে পারে। কখনো এমনটা মনে হলে একই তাপমাত্রায় আগের থেকে বেশি ঘাম ও বা ঘামের কারণে যদি লাইফস্টাইল ব্যাহত হয়, তাহলে অবশ্য বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আবার যদি ঘাম হওয়ার কোনো কারণ না থাকার পরও ঘাম হয়, তাহলে হঠাৎ ঘেমে যাওয়া বা অতিরিক্ত ঘাম হওয়া অন্য কোনো অসুখের উপসর্গ হতে পারে। কারণ, রক্তে সুগার কমে যাওয়া বা হার্ট অ্যাটাক হলেও ঘাম হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের সুগার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাদের অতিরিক্ত ঘাম হলে তাৎক্ষণিক চিনি মিশ্রিত পানি পান করাতে হয় এবং সুগার মাপতে হয়। এছাড়াও যেকোনো কারণে ঘামকে অস্বাভাবিক মনে হলে কালক্ষেপণ না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


আরও খবর



ঢাকাসহ ৩ বিভাগে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকাসহ তিন বিভাগে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে হতে পারে বজ্রপাতও। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহ: বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলা সমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপমাত্রা: সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

সিনপটিক অবস্থা: লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

দ্বিতীয় দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপমাত্রা: সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবৃদ্ধি পেতে পারে।

তৃতীয় দিনের আবহাওয়া সম্পর্কে জানানো হয়েছে, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপমাত্রা: সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবৃদ্ধি পেতে পারে।

বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে।


আরও খবর