আজঃ মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

জাহাঙ্গীরনগর বাঁচাও আন্দোলনে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সংহতি সমাবেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বনভূমি উজাড় করে যত্রতত্র ভবন নির্মাণ না করে অংশীজনের মতামত নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের দাবিতে সংহতি সমাবেশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম জাহাঙ্গীরগর বাঁচাও আন্দোলন এর আয়োজনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের  শিক্ষকরা।

সংহতি সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের  শিক্ষার্থী জোবাঈদা মৌটুসী ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী  প্রাপ্তি দে তাপসীর  সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ  ছাত্র ইউনিয়ন  কেন্দ্রীয় সংসদের একাংশের  সাধারণ সম্পাদক  রাকিবুল রনি। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১৪ শত ৪৫ কোটির যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে সেই  অর্থই অনর্থের মূল হয়ে দাঁড়িয়েছে। টাকা পেয়ে প্রশাসন খরচ করার জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়েছে। পরকল্পনা ছাড়া যত্রতত্র ভবন নির্মাণ করছে। গাছ কেটে উজাড় করছে। উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন লেকচার থিয়েটারে প্রতিটি কক্ষে ১০০ জন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন  ৬২ টি কক্ষ তৈরি হচ্ছে। তাহলে নতুন ভবন তৈরি করার প্রয়োজন কোথায়? আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের জন্য আন্দোলন করে আসছি। প্রশাসন মনে করছে টাকার ভাগ দিয়ে  আন্দোলনকে দমিয়ে রাখবে।  ২০১৯ সালে তৎকালীন উপাচার্য ফারজান ইসলাম আন্দোলনকারীদের বলেছিলেন তোমাদেরও টাকার দরকার? তাদের কাছে  টাকাই সবকিছু। আমরা দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চর জন্য বরাদ্দ  দেওয়া হয় মাত্র ২ হাজার টাকা। যেখানে বরাদ্দ দেওয়া দরকার সেখানে না দিয়ে অপ্রয়োজনীয় খাতে অর্থ খরচের প্রবণতা প্রশাসনকে বন্ধ করতে হবে

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের ১৫শত কোটি বরাদ্দের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চরিত্র নষ্ট হয়েছে, কর্মকর্তা-কর্মকর্তদের চরিত্র নষ্ট হয়েছে, শিক্ষার্থীদের একটি অংশের চরিত্র নষ্ট হয়েছে। পাবলিক বিশ্বিবদ্যালয়ে যত্রতত্র  ভবন বানিয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বানানোর পাঁয়তারা করছে। আমার মনে হয় উইকেন্ড প্রোগ্রাম চালু হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ই তার চরিত্র হারিয়েছে। উইকেন্ড প্রোগ্রামের টাকা জমিয়ে যখন কোন বিভাগ স্বতন্ত্র ভবন নির্মাণ করতে চায়, তখন প্রশাসনও  নিজেদের টাকা খরচ না করার উল্লাসে সম্মতি জ্ঞাপন করে। কোথায় ভবন নির্মাণ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি হবে সে বিষয়টিও বিবেচনা করে না। আমাদের দাবি উন্নয়ন হোক তবে পরিকল্পিতভাবে

মাহা মির্জা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হয়ত মনে করছেন ক্যাম্পাসে অনেক বেশি বনভূমি রয়েছে। এর থেকে কিছু গাছ কেটে ভবন নির্মাণ করলে পরিবেশের কোন ক্ষতি হবে না। কিন্তু আমরা জানি বাংলাদেশের মোট আয়তনের তুলনায় বনভূমি অনেকটাই কম। এজন্য আমাদের দেশের যে প্রান্তেই বনভূমি রয়েছে সেগুলো সংরক্ষণ করা জরুরি। কারণ আমরা গেল গ্রীষ্মের মৌসুমে দেখেছি পরিবেশের তাপমাত্রা রেকর্ড মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য প্রশাসনের উচিত পরিকল্পিতভাবে প্রকৃতি ধ্বংস না করে উন্নয়ন করা

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিগের অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, ২০১৮ সাল থেকে শুনে আসছি একটি মাস্টারপ্ল্যান হচ্ছে। প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তিদের থেকে শুনে আসছি যে, এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বিভাগে ক্লাশ করার জন্য ও শিক্ষকদের বসার জায়গার অভাব রয়েছে। এই সমস্যাগুলো সমাধান না করে প্রশাসন একের পর এক নতুন  বিভাগ খুলছে । অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। আমরা দেখেছি লেকের পাড়ে রাস্তার পাশে নতুন কলা ভবন নির্মাণ করার ফলে রাস্তার পাশে গাড়ির শব্দে শিক্ষার্থীদের ক্লাশ- পরিক্ষায় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। জহির রায়হান মিলনায়তনের ভিতরে গরমে বসা যায় না।এইভাবে নির্মাণ কাজ করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয় কারা তার জবাব পাওয়া যায় না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাশরুম সংকট নিরসনে ভবন নির্মাণের জন্য মাস্টারপ্ল্যান করা দরকার। কিভবে নির্মাণ করলে প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস হবে না, কারো ক্ষতি হবে না সেভাবেই পরিকল্পনা করা দরকার। পূরাতন অব্যবহৃত ভবনগুলো  ফেলে না রেখে সেগুলো বহুতল ভবনে রুপ দিয়ে চাহিদা মেটানো যেত। আমরা জানাতে চাই সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো সমাধান করা হোক।

সংহতি সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক  মাফরুহী সাত্তার, বাংলাদেশ পরিবেশ  আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবীর,  ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস এর শিক্ষক অলিউর রহমান সান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রফিকুজ্জামান ফরিদ,জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট সাবেক সভাপতি মুশফিক উস সালেহীন  গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক সাদিকুল ইসলাম সোহেল,  পরিবেশ উপ-পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক  পারভীন ইসলাম, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক  মেহের বিশ্বাস, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক  সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতা মাহাথির মোহাম্মদ, সাভার উপজেলা সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম পাটওয়ারী, পরিবেশ বিষয়ক উপ পরিষদের সদস্য সৈয়দ রত্না।


আরও খবর



হিট ওয়েভ সম্পর্কে যে তথ্যগুলো জানা জরুরি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চৈত্রের শেষেই তাপপ্রবাহের কবলে দেশের বিভিন্ন অংশ। ইতোমধ্যে দেশে চলতি মৌসুমে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। যা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। এমনকি আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে যে, চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে চলতি মাসেই তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে বলেও আগেই সতর্ক করা হয়েছে।

এ অবস্থায় প্রয়োজন না থাকলে বাড়ির বাইরে না বেরনোই ভাল। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রতি বছরই বিশ্বে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয় এই হিট স্ট্রোকে। অনেকেই রোদের মধ্য থেকে বাড়িতে ফিরে প্রথমেই ঢকঢক করে ঠাণ্ডা পানি খেয়ে ফেলেন। যা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ এতে যেমন ঠাণ্ডা বসে যায় তেমনই কিন্তু স্ট্রোকের (হিট ওয়েভ) সম্ভাবনাও বেড়ে যায় অনেকখানি।

হিট ওয়েভ বা হিট স্ট্রোক বাঁচতে তাই সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে যেসব বিষয় মেনে চলার ওপর বিশেষজ্ঞরা গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, তার কয়েকটি সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলো-

স্বভাবিক পানি পান করুন, তাও আবার ধীরে ধীরে।

ঠাণ্ডা পানি পান পরিহার করুন। বরফ/বরফ পানি পুরোপুরিই পরিহার করুন।

যখন তাপমাত্রা ৪০° সেলসিয়াসে পৌঁছে তখন খুব ঠাণ্ডা পানি পান করতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। কারণ এতে রক্তনালী হঠাৎই সংকুচিত হয়ে স্ট্রোক হতে পারে।

যখন বাহিরের তাপমাত্রা ৩৮° সেলসিয়াস অতিক্রম করে তখন ঘরে চলে আসুন বা ছায়ায় অবস্থান করুন। ঠাণ্ডা পানি পান করবেন না। স্বভাবিক তাপের পানি পান করুন বা ঈষৎ গরম পানি এবং ধীরে ধীরে পান করুন।

ঘরে এসেই হাত-পা-মুখ ধুবেন না। হাত-মুখ ধোয়ার আগে একটু অপেক্ষা করুন। দেহকে ঘরের তাপের সাথে খাপ খাইতে দিন। অন্তত আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন হাত-মুখ ধোয়ার আগে বা গোসলের আগে।

অল্প অল্প করে বারে বারে স্বাভাবিক পানি পান করুন। জুস বা এ জাতীয় পানীয় পরিহার করুন। স্বাভাবিক শরবত, ডাব বা লবণ পানির শরবত পান করতে পারেন- যদি তা আপনার জন্য অন্য কারণে নিষিদ্ধ না হয়ে থাকে। তবে তাও স্বল্প পরিমাণে।

প্রচণ্ড গরমে বা যদি আপনি খুবই ক্লান্ত থাকেন তবে ভুলেও বরফ মিশ্রিত পানি বা ফ্রিজের পানি পান করবেন না, যদিও ওই সময় ঠাণ্ডা পানি খুব ভালো লাগে। এটা শরীরে প্রশান্তি ভাব এনে দিলেও হঠাৎই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন নিয়ে যা জানালেন রিজভী

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপির আগের সিদ্ধান্ত (অংশগ্রহণ না করা) বহাল আছে। সেই অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, এটা আমরা আগেই পরিষ্কার করেছি। সবকিছু আমরা বলেছি। ওই সিদ্ধান্তটাই এখনো বহাল আছে। নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগেই সিদ্ধান্ত বহাল আছে। ওটা তো নাকচ হয়নি। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ হচ্ছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-নেতারা জনগণকে প্রতারিত করে ভাঁওতাবাজির মাধ্যমে মানসিক আশ্রয় খুঁজছেন। এরা রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি লুটপাটসহ মানুষের সহায়-সম্পদ আত্মসাৎ করে গণতন্ত্রকে কবর দিচ্ছে। একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সরাসরি জনগণকে প্রতারিত করেছে। নিখুঁত ধূর্ততায় জনগণের চোখে ধুলো দিয়ে বিরতিহীন ডাহা মিথ্যার আবর্তে জনগণকে প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

রিজভী বলেন, দীর্ঘ দেড় দশক ধরে জনগণের পকেট কাটার কারণে এখন দেশে হাহাকার পড়েছে। অনাহার-অর্ধাহারে ক্ষুধার্ত মানুষ এবারের ঈদে চরম দুর্দশার মাঝে দিন কাটিয়েছে। বাজারে আকাশচুম্বী মূল্যস্ফীতির কারণে ভাত-তরকারী যোগাড় করা যেখানে কষ্টকর সেখানে ঈদের পোশাক কিনবে কিভাবে?

রুহুল কবির বলেন, আওয়ামী নেতাদের অনেকেই বলেছেন, দেশে বিত্তশালীদের সংখ্যা বেড়েছে, যারা মূলত বেনজীর শ্রেণির। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- এই বিত্তশালী কারা? এই বিত্তশালী শ্রেণি হচ্ছে বেনজীর (পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ) শ্রেণি। যারা বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীদের গুম, খুন করে প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে। এছাড়া মেগা প্রজেক্ট ও অবাধে ব্যাংক লুটের কথা এখন কল্পকাহিনীতে পরিণত হয়েছে, যা অতি বাস্তব। এটা বাস্তব সত্য যে, দুর্নীতির সঙ্গে ক্ষমতার উপরের দিকে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে। অত্যাচারী শাসকের পদতলে পিষ্ট আজ বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, মিথ্যা ও সাজানো মামলায় ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, বিএনপি নেতা আনোয়ার পারভেজ বাদল এবং সাঈদ হোসেন সোহেল জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমি এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তাদের মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।


আরও খবর



রাত ১টার মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকাসহ দেশের ৮ জেলার ওপর দিয়ে আজ বুধবার দিবাগত রাত ১টার মধ্যে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আজ বিকেলে নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট থেকে দিবাগত রাত ১টার মধ্যে ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্রগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আজ সকাল থেকেই রাজধানীতে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে থাকে। তবে দুপুরের পর আকাশ মেঘে ঢেকে যায়। বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে নামে স্বস্তির বৃষ্টি। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এই বৃষ্টি পড়ে বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত। একপশলা বৃষ্টির পর তাপপ্রবাহ অনেকটাই কমে গেছে।


আরও খবর



ঝাউদিয়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়ার ইবি থানাধীন ঝাউদিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চাচাত ভাইয়ের লাঠির আঘাতে বকুল বিশ্বাস (৫৬) নামের এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৮ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সোমবার (১৩ মে) রাত সোয়া ১০ টার দিকে হাতিয়া গ্রামের খা পাড়ায় পারিবারিক মৃত ব্যাক্তির খানা রান্নাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

নিহত বকুল বিশ্বাস হাতিয়া গ্রামের আত্তাব বিশ্বাসের ছেলে এবং পেশায় একজন চাল ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, পারিবারিক মৃত খানার রান্না করাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের শাজাহান বিশ্বাস ও রাজ্জাক মেম্বার এর মধ্যে বাগবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে রান্না চলাকালীন সময়ে রাজ্জাক মেম্বার এর লোকজন তার চাচাত ভাই বকুল বিশ্বাস এর লোকের সাথে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং এক পর্যায়ে সংঘর্ষে লাঠির আঘাতে বকুল বিশ্বাস মারাত্মক জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা।


আরও খবর



ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে কলম্বিয়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। গতকাল বুধবার বোগোটায় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে এক জনসভায় দেওয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।

ইসরায়েলের রাষ্ট্রপ্রধানকে গণহত্যাকারী বলে উল্লেখ করে পেত্রো জানান, কলম্বিয়া বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, গাজার এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের কোনো দেশ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না।

এর আগে ফেব্রুয়ারিতে গাজায় খাদ্য সহায়তার জন্য লাইনে দাঁড়ানো ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালানোর পরে কলম্বিয়া ইসরায়েল থেকে অস্ত্র ক্রয় স্থগিত করে।

গুস্তাভো পেত্রো গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর থেকে প্রতিবাদে সরব ছিলেন। চলমান ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের চরম বিরোধী তিনি। এ সম্পর্কে পেত্রো বিভিন্ন সময় তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেছেন, গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের নেতাদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ কাজ সহজ করতে অন্যান্য দেশকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে কলম্বিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পরিকল্পনা সম্পর্কে ইসরায়েলি সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলের মিত্ররা ভালোভাবে নেবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।


আরও খবর