আজঃ মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ইউক্রেন যুদ্ধে ৫০ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত: বিবিসি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ৫০ হাজারের বেশি সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই মৃত সেনাদের তথ্য সংগ্রহ করে আসছে বিবিসি’র প্রতিবেদকরা। তাদের সংগ্রহ করা এসব তথ্যের ওপর ভিত্তিতে করে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে। ওই সমীক্ষায় এমন দাবি করেছে বিবিসি। তাদের দাবি, নিহত সেনার প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গেছে, যুদ্ধক্ষেত্রের সম্মুখভাগে প্রথম বছরের তুলনায় পরবর্তী ১২ মাসে মৃত রুশ সেনাদের সংখ্যা প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রুশ সেনাদের মৃত্যুর সংখ্যা গণনা করে আসছে বিবিসির রুশ স্বাধীন মিডিয়া গ্রুপ মিডিয়াজোনা এবং স্বেচ্ছাসেবীরা। তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে বিবিসি বলছে, কবরস্থানে পাওয়া নতুন কবর থেকেও অনেক সেনার নাম সংগ্রহ করেছেন তারা।

এছাড়া, সরকারি প্রতিবেদন, সংবাদপত্র এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মতো উন্মুক্ত উৎস থেকেও তথ্য সংগ্রহ করছে দায়িত্বরত দলগুলো।

বিবিসির তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, যুদ্ধের দ্বিতীয় বছরে ২৭ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি রুশ সেনা নিহত হন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ।

বিবিসি দাবি করছে, তাদের সমীক্ষায় পাওয়া নিহত রুশ সেনার সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি যা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার সরকারের প্রকাশ করা মৃত্যুর সংখ্যার আট গুণ।

এমন ভাবনার কারণ হিসেবে বিবিসি জানিয়েছে, তাদের বিশ্লেষণে পূর্ব ইউক্রেনে রুশ-অধিকৃতে ডোনেস্ক এবং লুহানস্কে নিহত হওয়া মিলিশিয়া বা যোদ্ধাদের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এগুলো যুক্ত করা হলে মৃত রুশ সেনার সংখ্যা আরও বেশি হবে।

এদিকে, যুদ্ধক্ষেত্রের প্রাণহানির সংখ্যা নিয়ে খুব কমই মন্তব্য করে থাকে ইউক্রেন। ফেব্রুয়ারিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, যুদ্ধে ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত হয়েছেন। তবে মার্কিন গোয়েন্দাদের তথ্যানুযায়ী এই সংখ্যা আরও অনেক বেশির ইঙ্গিত দেয়।


আরও খবর



শুরু হলো শবে কদর তালাশের দশক

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান শুরুর পর ইতোমধ্যে প্রথম দুই দশক অর্থাৎ, রহমত ও মাগফিরাত শেষ হয়েছে। আজ থেকে শুরু হয়েছে নাজাতের দশক। এই নাজাতের দশকে এমন একটি রাতের কথা বলা হয়েছে, যেই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। কারণ, এ রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কার হেরা পর্বতের গুহায় মহান আল্লাহ মুহাম্মাদ (সা.)-এর কাছে পবিত্র কোরআন নাজিল করেন।

আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি একে (কোরআন) নাজিল করেছি কদরের রাতে। আপনি কি জানেন মহিমাময় কদর রজনী কী? মহিমান্বিত কদর রজনী হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। (সুরা কদর: ১-৩)

সাধারণত কদর রজনী শেষ দশকে হওয়াই বিশুদ্ধ অভিমত। হজরত আবু সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবু সায়িদকে জিজ্ঞেস করেছি, সে আমার বন্ধু ছিল। তিনি বলেন, আমরা নবী করিম (সা.) এর সঙ্গে রমজানের মধ্য ১০ দিন ইতিকাফে ছিলাম। তিনি ২০ তারিখ সকালে বের হন এবং আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। ভাষণে বলেন, আমাকে কদরের রজনী দেখানো হয়েছিল, অতঃপর ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তোমরা তা শেষ ১০ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে তালাশ করো। আমি নিজেকে মাটি ও পানিতে সিজদা করতে দেখেছি। তাই যারা রাসুলের সঙ্গে ইতিকাফে ছিল, তারা যেন ফিরে আসে। তখন আমরা ফিরে এসেছি। আমরা আকাশে কোনো মেঘ দেখিনি। হঠাৎ একরাতে মেঘ এলো, বৃষ্টি হলো, মসজিদের ছাদ ভেসে গেল। তা ছিল খেজুরগাছের ঢালের এবং নামাজ শুরু হলো, তখন আমি রাসুল (সা.) কে দেখেছি, তিনি পানি ও মাটিতে সিজদা করছেন। এমনকি তার কপালে মাটির চিহ্ন ছিল। (বুখারি, হাদিস : ২০১৬)

শবে কদর অনুসন্ধান ও আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ লাভে প্রত্যেক পাড়া-মহল্লার মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ইতোমধ্যে ইতিকাফে বসেছেন।

ইতিকাফ হচ্ছে আল্লাহতায়ালার নৈকট্য ও ক্ষমা লাভের এক অনন্য সুযোগ। রমজানের ইতিকাফ শুরু করতে হয় ২০ তারিখের সূর্যাস্তের আগ থেকে। আর তা শেষ হয় রমজান শেষ হলে। অর্থাৎ ২৯ তারিখে চাঁদ দেখা গেলে বা ৩০ তারিখ পূর্ণ হলে। সুতরাং যারা রমজানের শেষ দশকে আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ, অনুকম্পা, ক্ষমা ও করুণার আশায় মসজিদে ইতিকাফ পালন করবেন, তারা আজ সন্ধ্যার মধ্যে মসজিদে যেয়ে অবস্থান নেবেন।

ইতিকাফের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আল্লামা হাফেজ ইবনে রজব বলেছেন, ইতিকাফের উদ্দেশ্য হলো- সৃষ্টির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং স্রষ্টার সঙ্গে সম্পর্ক কায়েম করা। আল্লাহর সঙ্গে পরিচয় যতো গভীর হবে, সম্পর্ক ও ভালোবাসা ততো নিবিড় হবে এবং তা বান্দাকে পুরোপুরি আল্লাহর কাছে নিয়ে যাবে।

শবে কদর তালাশ করতে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রমজানে ইতিকাফে বসতেন। এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি কদরের রাতের সন্ধানে (রমজানের) প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করলাম। এরপর ইতিকাফ করলাম মধ্যবর্তী ১০ দিন। তারপর আমার প্রতি ওহি নাজিল করে জানানো হলো যে, তা শেষ ১০ দিনে রয়েছে। সুতরাং তোমাদের যে ইতিকাফ পছন্দ করবে, সে যেন ইতিকাফ করে। তারপর মানুষ (সাহাবায়ে কেরাম) তার সঙ্গে ইতেকাফে শরিক হয়। (মুসলিম শরীফ)

মুহাক্কিক ইমামগণ বলেছেন, আরবিতে লাইলাতুল কদর শব্দদ্বয়ে ৯টি হরফ বা বর্ণ রয়েছে; আর সুরা কদরে লাইলাতুল কদর শব্দদ্বয় তিনবার রয়েছে; নয়কে তিন দিয়ে গুণ করলে সাতাশ হয়, তাই (ছাব্বিশ দিবাগত) সাতাশ রমজানের রাতে শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা প্রবলভাবে বিদ্যমান রয়েছে। (তাফসিরে মাজহারি)।

শবে কদরে নির্ধারিত ফরজ ইবাদতগুলো সযত্নে পালনপূর্বক সামর্থ্যমতো সর্বাধিক নফল ইবাদতের মাধ্যমে রাত্রি জাগরণ করা সুন্নত। রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের উদ্দেশ্যে আত্মমূল্যায়নসহ কদরের রাত জেগে ইবাদত করবে, তার অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৩০, হাদিস : ৩৪)।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




মিল্টন সমাদ্দারের বৃদ্ধাশ্রমে ‘টর্চার সেল’ আবিষ্কার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মানুষের দানের টাকায় নির্মাণ করা বৃদ্ধাশ্রমের মধ্যেই তিন কক্ষ বিশিষ্ট টর্চার সেল গড়ে তুলেছেন মিল্টন সমাদ্দার। চাইল্ড এন্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামের প্রতিষ্ঠানের ভবনের ওই টর্চার সেলে মানুষকে ধরে নিয়ে পেটানো হয় নির্মমভাবে। টর্চার সেলের মধ্যে মানুষ পেটানোর জন্য রয়েছে নানা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র। সেলের মধ্যে নির্যাতনের একাধিক ঘটনা উঠে এসেছে অনুসন্ধানে। সেখানে কিভাবে নির্যাতন চালানো হয় সেই বর্ণনা দিয়েছেন নির্যাতনের শিকার হওয়া একাধিক ব্যক্তি।

সর্বশেষ গত ঈদুল ফিতরের আগের দিন ১০ এপ্রিল সাভারের কমলাপুর এলাকার বাহেরটেকে নিজের কেনা জমি দেখতে গিয়ে বেধড়ক মারধরের স্বীকার হন মো. সামসুদ্দিন চৌধুরী নামের ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মেয়ে এবং মেয়ের জামাই। বাধা দিতে গিয়ে মারধরের স্বীকার হন তারাও। মারধরে মেয়ের জামাই ফয়েজ আহমেদের হাতের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায় এবং সামসুদ্দিন চৌধুরীর একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। সামসুদ্দিনের মেয়ে সেলিনা বেগমও মারধর থেকে রক্ষা পাননি। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে প্রায় এক ঘণ্টা পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কে ভুক্তভোগী সেলিনা বেগম জানান, আমাদের জমি সে কম দামে ক্রয় করতে চেয়েছে। জমি না বিক্রি করায় সে আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। মিল্টন সরকারি রাস্তায় বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে রেখেছে। যে কারণে আমাদের গাড়ি যাচ্ছিল না। পরে সরকারি রাস্তায় বেড়া দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে বেধড়ক মারধর করে। এরপর আমার বাবা আর স্বামীকে মিল্টনের আশ্রমের ভেতরে নিয়ে একটি রুমের মধ্যে আটকে রাখে। ওখানে ৩টা রুম পাশাপাশি, একটা দিয়ে আরেকটায় যাওয়া যায়। রুমের মধ্যে অনেক লাঠিসোঁটা, পাইপ ও ছুরি ছিল। পাইপ দিয়ে একজনের পর একজন করে পেটাতে থাকে। মিল্টন নিজেও একটু পরপর এসে মারধর করে। আমি তখন মিল্টনের পায়ে ধরে আমার স্বামী ও বাবাকে ছেড়ে দিতে বললে আমাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে লোকজন এগিয়ে এলে আমাদের ছেড়ে দেয়।

মিল্টন সমাদ্দার নিজেকে মানবতার ফেরিওয়ালা এবং বয়স্কদের সেবা করার দাবি করলেও নিজের হাতেই বৃদ্ধদের নির্যাতন চালান তিনি। এমনকি হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকেও কোনো দয়া দেখায়নি এ কথিত মানবতার ফেরিওয়ালা।

মিল্টনের হাতে মারধরের শিকার ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজ বলেন, আমার হার্টে রিং বসানো; আমার স্ত্রী এটা বারবার তাদের বলে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা আমার বুকে দফায় দফায় লাথি মারে। আমার স্ত্রী মিল্টনের হাতে-পায়ে ধরলেও কাজ হয়নি।

মানবসেবার নামে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানে মানুষকে নির্যাতনের জন্য মিল্টন সমাদ্দারের রয়েছে বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনী। যাদের মানুষের দানের টাকা দিয়ে পেলেপুষে রাখেন মিল্টন সমাদ্দার। জমি দখল ও নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে এই বাহিনীকেই ব্যবহার করেন তিনি।

ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজ আরও জানান, মিল্টন সমাদ্দার নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। যাদের মাসিক ভাতাও দেওয়া হয়। এই সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন জমি দখল ও আধিপত্য বজায় রাখে।

আরেক ভুক্তভোগী হেমন্ত রোজারিও জানান, আমি গরিব মানুষ। মিল্টন আমার জমি কিনতে চাইছে। আমি বেচি নাই। আমার জমি জোর করে দখল করে একটা ঘর বানাইছে। বাধা দেওয়ায় আমারে ধইরা মারছে। পরে আমারে বলছে, তুই ওই জমিতে আসবি না। এলে তোরে মাইরালামু।

নন্দন রোজারিও নামের আরেক ব্যক্তি জানান, ওকে এখানে আশ্রম বানাতে আমরাই সাহায্য করেছি। আমার জায়গায় জিনিসপত্র রেখে আশ্রমের কাজ করেছে। ভালো কাজ করে বলে আমরা কিছু বলিনি। পরে দেখি এসবের আড়ালে তার অন্য উদ্দেশ্য। তিনি এখানকার খ্রিস্টানদের জমি দখলের উদ্দেশ্যে এসেছে। কেউ জমি বেচতে না চাইলেই তার ওপরে নেমে আসে নির্যাতন। ওর লোকজন তাকে মারধর করে।

মিল্টনের মারধরের হাত থেকে রক্ষা পায়নি তার জন্মদাতা পিতাও। ২০০১ সালে নিজের পিতাকে বেধড়ক মারধর করে মিল্টন। সেই ঘটনার জেরে তাকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল বলে এলাকাবাসীরা জানান।

মিল্টন সমাদ্দারের গ্রামের শাহাদাত হোসেন পলাশ নামে একজন জানায়, মিল্টন সমাদ্দার তার বাবাকে বেধড়ক মারধর করে। এ কারণে তাকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে সে পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে ওঠে। এখন শুনতাছি, ও না কি মানবতার ফেরিওয়ালা। এটা শুনে আমরা আশ্চর্য হয়েছি।

বরিশালে চন্দ্রকোনা খ্রিস্টান মিশনারি চার্চ’ দখল চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে। দখলের উদ্দেশ্যে তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিল-স্বাক্ষর জাল করে চার্চের নতুন কমিটি গঠন করে বরিশাল জেলা প্রশাসকে একটি চিঠি দেন। ওই কমিটিতে সভাপতি করা হয় মিল্টন সমাদ্দারকে। কমিটির বাকি সদস্যদের প্রায় সবাই মিল্টনের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না চার্চের দায়িত্বরত যাজকরা। পরে তারা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে মন্ত্রণালয় থেকে তাদের জানানো হয়, এ ধরনের কোনো চিঠি ইস্যু করা হয়নি। এরপর তারা কোর্টে মামলা করলে কোর্ট জালিয়াতি করে চার্চ দখল করতে চাওয়া ব্যক্তিদের ওই চার্চের সীমানায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেন।

হেনসন দানিল হাজরা নামে এক সহকারী যাজক বলেন, চার্চ দখল করার জন্য আমাকে গুম করে যাজকদের নামে মামলা দিয়েছিল মিল্টন। মামলায় আমি গুম হয়ে গেছি দেখানো হয়। আসামি করা হয় আমার সহকর্মীকে। আমার বাবাকে ম্যানেজ করে মিল্টন এ কাজ করে। তারা আমাকে গুম করে ফেলতে চেয়েছিল; কিন্তু পারেনি। পরে আমি পালিয়ে এসপি অফিসে হাজির হয়ে জানাই, আমি গুম হইনি।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিল্টন ও তার বড় ভাই মোল্লা বাড়ির ব্রিজের ওপরে মসজিদের পাশে আমাকে একবার বেধড়ক মারধর করেন।

অন্য আরেক যাজক বলেন, এই চার্চ দখল করার জন্য মিল্টন সমাদ্দার আমাদের শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করেছে। মারধর করেছে। আমাদের নামে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। যদিও সব মামলাই কোর্টে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



নতুন গাড়ি কিনে আলোচনায় নীতা আম্বানি

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নীতা মুকেশ আম্বানি একজন ভারতীয় ব্যবসায়ী ও জনহিতৈষী। তিনি রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন, ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারপার্সন ও প্রতিষ্ঠাতা এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের একজন পরিচালক। তিনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুকেশ আম্বানির স্ত্রী।

বিলাসবহুল জীবনযাত্রার জন্য সুপরিচিত নীতা আম্বানি। দামি শাড়ি, গয়না, জিনিসপত্র, বিমান, জুতা, ঘড়ি সব কিছুর প্রতি বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে নীতা আম্বানির। সম্প্রতি ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির বিবাহ অনুষ্ঠানের পর ফের আলোচনায় এলেন তিনি।

সম্প্রতি বিলাসবহুল রোজ কোয়ার্টজ শেডের Rolls Royce Phantom VIII EWB গাড়ি কিনেছেন নীতা আম্বানি। প্রায় ১২ কোটি টাকা দামের গাড়িটির ডিজাইনেও রয়েছে বিশেষত্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল চর্চা চলছে এই গাড়ি নিয়ে। গাড়িটি কাস্টোমাইজ করা, তাই আসলে কত দাম পড়েছে সেটা এই মুহূর্ত অনুমান করা যাচ্ছে না।

ভারতে এই বিলাসবহুল সেডানের গাড়ির দাম প্রায় ১২ কোটি টাকা (অন-রোড)। কাস্টমাইজেশন বিকল্পগুলির জন্য আলাদা মূল্য দিতে হবে। নীতা আম্বানি যে বিলাসবহুল সেডানটি কিনেছেন সেটিক সবচেয়ে বিশেষ জিনিস হল এর রং। এর লোয়ার বডি রোজ কোয়ার্টজ এবং আপার বডি ভেলভেট অর্কিড।


আরও খবর



তীব্র গরমে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চলমান দাবদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে ৭ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, তীব্র গরমের কারণে ২১ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

এর আগে সকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, গরমের কারণে স্কুল শুরুর আগে অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। কিন্তু ক্লাস চলমান থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

রমজান, ঈদ ও বৈশাখের টানা ২৬ দিনের ছুটি কাটিয়ে রোববার (২১ এপ্রিল) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা ছিল। তবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ছুটি আরও বাড়ানোর দাবি জানায় অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।


আরও খবর



তীব্র গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার ১০ উপায়

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। আবহাওয়া অফিস থেকেও জানানো হয়েছে আগামী দুই দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

পূর্বাভাস বলছে, চলমান দাবদাহ আরও চার দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি। তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে যা করবেন

১. পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন

২. বাড়ির বাইরে থাকার সময় সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন

৩. শরীরে পানিশূন্যতা এড়াতে অতিরিক্ত পানি ও শরবত পান করতে হবে

৪. স্যালাইন পানিতে থাকা সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও চিনি শরীর সজীব রাখতে বিশেষভাবে কার্যকর। দীর্ঘ সময় গরমে থাকলে স্যালাইন পান করুন।

৫. গ্রীষ্মকালীন ফল দিয়ে তৈরি তাজা জুস পান করুন

৬. মাংস এড়িয়ে বেশি করে ফল ও সবজী খান

৭. প্রস্রাবের রঙ খেয়াল করুন। প্রস্রাবের গাঢ় রঙ পানি স্বল্পতার লক্ষণ।

৮. সব সময় ছাতা বা টুপি সাথে রাখুন

৯. ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন

১০. চেষ্টা করুন যেন দিনে কম বাইরে যেতে হয়


আরও খবর
গরমে যে কারণে দই খাওয়া জরুরি

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪