আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

ইতালির বিখ্যাত ৭ জাদুঘরের অজানা তথ্য

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

ইতালি ভ্রমণ সবার কাছেই স্বপ্নের মতে। ইতিহাস-ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে ভরপুর এই দেশ। পাশাপাশি বিশ্বের প্রাচীনতম গীর্জাসমূহ ও বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক বিস্ময়েরও আবাসস্থল ইতালি। দক্ষিণ-মধ্য ইউরোপের দেশ ইতালি বেশি বিখ্যাত তার খাবার-দাবার, গ্রিক মন্দিরসমূহ ও রোমান সাম্রাজ্যের জন্য। এর পাশাপাশি চমৎকার দেশটির বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি ও সমৃদ্ধ ঐতিহ্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে।

খাদ্য আর মন্দিরের বিষয়টি বাদ দিলে ইতালিতে আছে বিশ্বের কিছু আকর্ষণীয় ও নজরকাড়া জাদুঘর, যেগুলোতে আছে সেরা চিত্রকলার সংগ্রহ। এই জাদুঘরগুলো চমৎকারভাবে উপস্থাপন করে ইতালিয়ান চিত্রকলা ও সংস্কৃতিকে। তাই ইতালি ভ্রমণে বিখ্যাত এসব জাদুঘর পরিদর্শন করার চেষ্টা করবেন। এবার দেখা যাক কী কী আছে ইতালিয়ান জাদুঘরগুলোতে-

ক্যাস্টেল সান্ট অ্যাঞ্জেলো: ১২৩ খ্রিস্টাব্দে স্থাপিত ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ক্যাস্টেল সান্ট ইতালির রাজধানী রোমে অবস্থিত এক অনুপম সুন্দর স্থাপত্যকর্ম। স্থাপিত হওয়ার পর থেকে এই জাদুঘর নানা স্থাপত্যবিষয়ক ও কাঠামোগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। উপর থেকে নিচ পর্যন্ত দারুণ আকর্ষণীয় জাদুঘরটি রোম নগরীর বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলোর একটি। বাঁকা দেওয়াল, রং, গভীরতা, চিত্রকর্মসমূহ ও জমকালো মূর্তিসমূহ মিলিয়ে ক্যাস্টেল সান্ট অ্যাঞ্জেলো পুরোপুরি ইতিহাসের প্রতিমূর্তি। পাঁচতলাবিশিষ্ট কাঠামোটি তৈরি হয়েছে সর্পিল আকৃতিতে। একেবারেই প্রাকৃতিক স্মৃতিচিহ্নসমৃদ্ধ জাদুঘরটি ইতালির ইতিহাসে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ইতালি ভ্রমণে এটি অবশ্যই ঘুরে দেখা উচিত।

ভ্যাটিকান মিউজিয়ামস, রোম: পিয়ো-ক্লেমেন্তিনে মিউজিয়াম ও সিস্টিন চ্যাপেল মিউজিয়ামসহ মোট ২৩টি জাদুঘরকে একসঙ্গে বলা হয় ভ্যাটিকান মিউজিয়ামস। সবগুলোই ইতালিয়ান শিল্পকলাকে সূক্ষ্মভাবে উপস্থাপন করে বলে এগুলোর একটিও মিস করা উচিত নয়। ১৫০৬ খ্রিস্টাব্দে পোপ দ্বিতীয় জুলিয়াস ভ্যাটিকান মিউজিয়াম কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করেন ও এখানে একসাথে পাওয়া যাবে সালভাদর দালি, ভিনসেন্ট ভ্যানগগ, আলবার্তো বুরি প্রমুখ কিংবদন্তি শিল্পীদের চিত্রকর্ম। ২৩টি জাদুঘরের মধ্যে ভ্যাটিকান মিউজিয়ামসের প্রধান আকর্ষণ হলো সিস্টিন চ্যাপেল। অন্য ২২টিকে যদি মিস করতেই হয় তাহলে অবশ্যই সিস্টিন চ্যাপেল খুব ভালোভাবে ঘুরে দেখার চেষ্টা করবেন। সুবিশাল মিউজিয়াম কমপ্লেক্সে আবার হারিয়ে যাবেন না যেন!

পম্পেই: মৃত শহর পম্পেইয়ের স্মৃতিবিজড়িত জাদুঘরটি নেপলস শহরের সীমানায় অবস্থিত। সযত্নে সংরক্ষিত কিছু চিত্রকর্ম আছে এখানে। জাদুঘরটির প্রতিটি প্রান্তই পম্পেইয়ের সমৃদ্ধ ইতিহাস বর্ণনা করে। এখানে দেখতে পাবেন পুরনো হস্তলিপি, মার্বেল ও ব্রোঞ্জের মূর্তি। এই জাদুঘর অ্যান্টিকুয়ারিয়াম হিসেবে পরিচিত ও ইতিহাসের বিভিন্ন ধ্বংসযজ্ঞকে নিবেদিত যা মূলত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের। ১৯৮০ সালে এটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো কিন্তু এক দশক পর পুনরায় চালু করা হয়। এটি তার দর্শনার্থীদেরকে রোমান সংস্কৃতির সমৃদ্ধ ইতিহাসের শিক্ষা দেয়। এই বিশেষ জাদুঘর ঘুরে দেখে পম্পেইয়ের ইতিহাস সম্পর্কে জানার সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়।

ন্যাশনাল আর্কিওলজিক্যাল মিউজিয়াম, নেপলস: নেপলসের ন্যাশনাল আর্কিওলজিক্যাল মিউজিয়াম হলো ইতালির সবচেয়ে বিখ্যাত জাদুঘরগুলোর একটি। এখানে আছে মোজাইকের সমাহার ও ব্রোঞ্জের মূর্তিসমূহ। বিভিন্ন প্রকার শৈল্পিক বিস্ময়সমূহের উপস্থিতির কারণে এটিকে নেপলসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোর একটি মনে করা হয়। এখানে প্রাচীন রোমের স্মৃতিচিহ্নগুলোর প্রদর্শনী হয় ও এটি প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার অপরিহার্য অংশগুলোকে তুলে ধরে। ১৫৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত জাদুঘরটির মোজাইকের সংগ্রহশালার মধ্যে আছে আলেকজান্ডার মোজাইক। এই জাদুঘরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় সংগ্রহ হলো খ্রিস্টপূর্ব ২৭০০- ২২০০ সালের মিশরীয় সংস্কৃতির ২৫০০ সামগ্রী। এই জাদুঘর মিশরীয় ইতিহাস থেকে প্রাচীন রোমের সবকিছুই তুলে ধরে। তাই নেপলসের এই প্রধান আকর্ষণটি মিস করা উচিত নয়।

উফিজি গ্যালারি, ফ্লোরেন্স: ফ্লোরেন্স শহরে অবস্থিত আকর্ষণীয় উফিজি গ্যালারি ত্রয়োদশ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর দেয়ালচিত্রগুলোকে তুলে ধরে। একেবারে নির্দিষ্ট করে বললে এটি ফ্লোরেন্সের প্রাণকেন্দ্রে পিয়াজ্জা ডেলা সিগনোরিয়া শহর দ্বারা বেষ্টিত। এটি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক আবেগময় স্থান যেখানে অন্তর্ভুক্ত আছে ইতিহাসের বিখ্যাত ইতালিয়ান শিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি, রাফায়েলো সানজিও ও সান্দ্রো বত্তিসেল্লির শৈল্পিক বিস্ময়সমূহ। সৌন্দর্য আর বৈচিত্র্যপূর্ণ ইতিহাসের কারণে উফিজি গ্যালারিকে ফ্লোরেন্স শহরের গর্ব হিসেবে গণ্য করা হয়। কেউ যদি চিত্রকলার বড় অনুরাগী হয়ে থাকে তাহলে তার জন্য এই জাদুঘর রীতিমতো এক স্বর্গ। জাদুঘরটিতে প্রদর্শন করা সবচেয়ে চমকপ্রদ চিত্রকর্ম হলো শিল্পী মাইকেল অ্যাঞ্জেলোর আঁকা দ্য হলি ফ্যামিলি

লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি মিউজিয়াম, ফ্লোরেন্স সিটি: নাম শুনে নিশ্চয়ই স্পষ্ট ধারণা করতে পারছেন, এই জাদুঘরে দেখা যাবে কিংবদন্তি এক ও অদ্বিতীয় লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির জগদ্বিখ্যাত সব চিত্রকর্ম। ফ্লোরেন্স শহরের এক বিস্ময়কর জায়গা এটি। জাদুঘরটি হচ্ছে শিল্পকলা ও বিজ্ঞানের এক নিখুঁত সমন্বয়। এখানে দর্শনার্থীরা পাবেন বিপুলসংখ্যক শিক্ষামূলক উপাদান। জাদুঘরটি আপনাকে জানাবে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির জীবনের অনেক না জানা দিক ও তার সুপরিচিত চিত্রকর্ম দ্য লাস্ট সাপার সম্পর্কে। এই চিত্রকর্ম তৈরির সময় লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি শুধুই তেল রং ব্যবহার করেছিলেন যা ছিলো তার উদ্ভাবিত একটি বিশেষ কৌশল। আপনি যদি প্রবল আগ্রহ নিয়ে এই কীর্তিমান শিল্পীকে আবিষ্কার করতে চান তাহলে জাদুঘরটিতে অবশ্যই আপনার যাওয়া উচিত।

ফেরারি মিউজিয়াম, মারানেলো: এই জাদুঘরটি মূলত, গাড়িপ্রেমীদের জন্য। ফেরারি মিউজিয়ামে ইতালিয়ান চিত্রকলা নেই, তবে আছে বিস্ময়কর সব ফেরারি গাড়ি যা কমবেশি সবাই পছন্দ করেন। উত্তর ইতালির মডেনা শহরের কাছে ফেরারির হোমটাউন মারানেলোতে জাদুঘরটি অবস্থিত। এটি ইতালির সবচেয়ে বিখ্যাত ও সেরা কার মিউজিয়ামগুলোর একটি। জাদুঘরটি তার দর্শনার্থীদেরকে পরিচয় করিয়ে দেয় মোটরগাড়ি শিল্পের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে। জাদুঘরের সর্বত্রই ফেরারি গাড়ির উপস্থিতি থাকলেও ইতালির ইতিহাস তুলে ধরে এমন কিছু ঐতিহাসিক উপাদানও মিলবে এখানে। জাদুঘরটির বিস্তৃতি ২৫০০ বর্গমিটার জায়গা জুড়ে ও এখানে রোমাঞ্চকর কর্মকাণ্ডের কোনো অভাবই নেই।


আরও খবর



‘চার মাসে নির্যাতনে ৩৬ শ্রমিকের মৃত্যু’

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গতকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পর্যন্ত ১২৯ জন শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৬ জন। আহত হয়েছেন ২১৩ জন।

শ্রমিক নির্যাতনের এসব ঘটনা ঘটেছে কারখানা, বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং সড়ক ও নৌপথে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পাশাপাশি মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এইচআরএসএসের তথ্যে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশে ৯২টি শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় ২৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১২৮ জন। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাবে দুর্ঘটনায় ৪৪ জন শ্রমিক মারা গেছেন। এ সময়ে সাতটি গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছেন।

এ ছাড়া এপ্রিল মাসে ৩৭টি শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১১ জন শ্রমিক। এ সময়ে নির্যাতনে আহত হয়েছেন ৮৫ জন। এপ্রিল মাসে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাবে দুর্ঘটনায় ১৭ জন শ্রমিক মারা গেছেন।


আরও খবর



জয়পুরহাট হিমাগারে আলু পচন, ক্ষুদ্ধ কৃষক ও ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের কালাইয়ে মান্নান অ্যান্ড সন্স বীজ হিমাগারে রাখা আলুতে পচন ধরেছে। এতে লোকসানে পড়েছেন স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। হিমাগার কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তারা। আলুতে পচনের জন্য কৃষক ও ব্যবসায়ীদের দায়ী করেছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ।

উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের একই মালিকের দুটি হিমাগার মান্নান অ্যান্ড সন্স বীজ হিমাগার এবং মুসলিমগঞ্জ মান্নান বীজ হিমাগারে রোমানা জাতের আলু প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ কেজি ওজনের ৩০ হাজার বস্তা পচা ও দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ নিরুপায় হয়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সংবাদ দিয়ে তাদের পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত আলু বের করে দিচ্ছে। বস্তা খুলে দেখা যায় ৬০ থেকে ৬৫ কেজি ওজনের মধ্যে প্রায় ৩০ কেজি আলু পচে গেছে। বাজারে যেখানে ৬০ কেজি আলুর দাম ২৫শ টাকা সেখানে হিমাগারে শেডে পাইকারি বিক্রি করছে এক হাজার থেকে ১২শ টাকা, এতে করে কৃষক ও ব্যবসায়ীর প্রতি বস্তায় লোকসান গুনতে হচ্ছে ১৩শ থেকে ১৫শ টাকা।

হিমাগার চুক্তিভিত্তিক আলু বাছাইকারী নারী শ্রমিক দেলোয়ারা বেগম, রওশন আরা, ফিরোজা জানান, প্রতি বস্তায় ৬০ থেকে ৬৫ কেজি আলু থাকে, সেখানে প্রায় ৩০ কেজি আলু পচে গেছে।

উদয়পুর ইউনিয়নের সানাইপুকুর গ্রামের খায়রল ইসলাম বলেন, নষ্ট আলু নিতে গেলে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে উল্টো বস্তাপ্রতি ৩৪০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে। এল্লাগাড়ি গ্রামের ইয়াছিন বলেন, অভিযোগ করলেও প্রতিকার পাই না।

হিমাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, হিমাগারে নিয়ে আসা আলুর বয়স কম এবং আলুর সঙ্গে মাটি লেগে থাকার কারণে এই পচন ধরেছে। রোমানা জাতের আলু ছাড়া অন্য কোনো জাতের আলুতে পচন ধরেনি।

কালাই কৃষি কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র রায় জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই কথা বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হায়াত।


আরও খবর



মেঘনায় গোসলে নেমে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজের দুই দিন পর কিশোর আলিফ প্রধানের (১৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল পৌনে ৯টার দিকে হোসেন্দী এলাকার সিটি অর্থনৈতিক অঞ্চল সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত আলিফ গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষীপুরা গ্রামের মোহাম্মদ ফয়সাল প্রধানের ছেলে। সে এবার গজারিয়া ভবেরচর ওয়াজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান জানান, ঘটনাস্থলে অদূরে নিখোঁজ কিশোরের মরদেহ ভেসে উঠার সংবাদ পেয়ে নৌপুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে।


আরও খবর



তিনদিন বেনাপোল দিয়ে ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে নিরাপত্তাজনিত কারণে তিনদিন বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে

শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ৯টায় ভারতীয় ইমিগ্রেশনের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আযহারুল ইসলাম।

জানা গেছে, শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী সোমবার (২০ মে) ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শুধুমাত্র মেডিকেল ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করতে পারবেন। এ সময় বন্ধ থাকবে ট্যুরিস্ট ভিসায় যাতায়াত। ২১ মে থেকে এ বন্দর দিয়ে স্বাভাবিক হবে সব ধরনের যাত্রী যাতায়াত।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা নির্বাচন অফিসার সাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সব ধরনের আন্তর্জাতিক রুট সিল করা প্রয়োজন। এজন্য ১৭ মে সন্ধ্যা থেকে ২০ মে ভোটগণণা শেষ না হওয়া পর্যন্ত লোক ও যানবাহন যাতায়াত সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। শুধু মেডিকেল ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করতে পারবে। তিনদিন বন্ধ থাকবে ট্যুরিস্ট ভিসায় যাতায়াত।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, ওপারে নির্বাচনে তিনদিন ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তিনি অবগত। ইমিগ্রেশন থেকে এ বার্তা পেয়েছেন। তবে ট্যুরিস্ট, স্টুডেন্ট ও বিজনেস ভিসায় যাত্রী যাতায়াত বন্ধ থাকলেও জরুরি মেডিকেল ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা যাতায়াতে বাধা নেই জানান।

জানা যায়, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহার করে মেডিকেল, বিজনেস, ভ্রমণ ও স্টুডেন্ট ভিসায় প্রতিদিন ভারত-বাংলাদেশে মধ্যে প্রায় ৭ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করে। ভারত ভ্রমণে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে যাত্রীদের ভ্রমণ কর ১০৫৫  টাকা এবং ৫ বছর থেকে ১২ বছর পর্যন্ত যাত্রীদের ৫৫৫ টাকা পরিশোধ করতে হয়।  আর ০ থেকে ৫ বছরের যাত্রীদের বন্দর কর ৫৫ টাকা।

এদিকে চেকপোস্টের পাশাপাশি সীমান্ত পথে যাতে কোন অবৈধ অনুপ্রবেশ না ঘটে সেখানে সীমান্ত রক্ষী বিএসএফের টহল জোরদার করা হয়েছে।


আরও খবর



ফিলিস্তিনের সমর্থনে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের পতাকা উত্তোলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
তারিক লিটু, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

Image

ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ওপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নির্দেশনায় খুলনার কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা খান সাহেব কোমর উদ্দীন কলেজ ক্যাম্পাসে পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি পালন করেছে।

মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১ টার দিকে কলেজ প্রাঙ্গণে পতাকা উত্তোলন করে তারা। পতাকা উত্তোলন শেষে একটি র‍্যালিও বের করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন খান সাহেব কোমর উদ্দীন মডেল কলেজের শিক্ষক, সাধারণ শিক্ষার্থী,  কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা কর্মী ও কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন কয়রা সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক ওয়ালী উল্লাহ আল বেলাল (বিল্লু) ও আমাদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক শেখ মো. আবু তালহা সবুজ ও উপজেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের নিয়ে  কর্মসূচি পালন করা হয়।

র‍্যালি শেষে ছাত্রলীগ নেতা ওয়ালী উল্লাহ আল বেলাল (বিল্লু) বলেন, ফিলিস্তিনদের ওপর যে বর্বর হামলা করছে ইসরায়েল তা বন্ধ করতে হবে। আমরা ছাত্রলীগ কর্মীরা বিশ্বে শান্তি চাই। ফিলিস্তিনিদের ওপর এই রকম হত্যাযজ্ঞ অমানবিক অপরাধ।


আরও খবর