ইরানের শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা সাইয়্যেদ
রাজি মুসাভিকে হত্যা করায় যে কোনো সময় ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে তেহরান। ইতোমধ্যে
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি ইসরায়েলকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ফার্স নিউজ এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে।
সাঈদ ইরাভানি বলেন, সিরিয়ায় ইরানের শীর্ষ
পর্যায়ের সামরিক উপদেষ্টাকে হত্যা করার জন্য ইসরায়েলকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার অধিকার
রাখে তেহরান। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে লেখা চিঠিতে ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি
এই হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল সিরিয়ায় যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে- আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী ইরান তার জবাব দেওয়ার বৈধ অধিকার রাখে। ইরান যখন প্রয়োজন মনে করবে তখন উপযুক্ত সময়ে এই হামলার চরম জবাব দেবে।
আরও পড়ুন>> সুখবর পেল ইমরান খানের দল পিটিআই
এর আগে ২৫ ডিসেম্বর সিরিয়ায় ইসরায়েলি বিমান
হামলায় ইরানের সেনাবাহিনীর এলিট ইউনিট আইআরজিসির সিনিয়র উপদেষ্টা সাইয়্যেদ রাজি মুসাভি
নিহত হন। জেনারেল মুসাভি সিরিয়া ও ইরানের সামরিক জোটের সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন। ইরানের
অভিজ্ঞ এই জেনারেল আইআরজিসির কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান কাসেম সোলাইমানির ঘনিষ্ঠ ছিলেন
বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা।
রাজি মুসাভি নিহত হওয়ার পর পরই আইআরজিসি
এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েল সরকার জেনারেল মুসাভিকে হত্যা করে একটি মারাত্মক অপরাধ
করেছে। নিঃসন্দেহে এই অপরাধের জন্য তাদের চরম মূল্য দিতে হবে।
শুধু তাই নয়, রাজি মুসাভি নিহত হওয়ার ঘটনায়
প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসিও। তিনি বলেন, ইসরায়েলকে
‘এই অপরাধের জন্য
অবশ্যই মূল্য দিতে হবে। কোনো সন্দেহ ছাড়া, এই অঞ্চলে ইসরায়েলের হতাশা, অসহায়ত্ব ও অক্ষমতার
লক্ষণ এই হত্যাকাণ্ড।’
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে,
লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর কাছে অস্ত্র সরবরাহের দায়িত্বে ছিলেন
রাজী মোসাভি। এছাড়া এই অঞ্চলে ইরান সমর্থিত আরও যেসব সশস্ত্র গোষ্ঠী ছিল তাদের কাছেও
অস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করতেন তিনি।