আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইসরায়েলের কোনও দূতাবাস নিরাপদ নয়: ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার একজন উপদেষ্টা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানীতে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সাত সদস্য নিহত হওয়ার পর কোনো ইসরায়েলি দূতাবাস আর নিরাপদ নয়’।

খবর অনুসারে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি বলেন, ইহুদিবাদী সরকারের দূতাবাসগুলো এখন আর নিরাপদ নয়।

ইরানের বার্তা সংস্থাটি একটি গ্রাফিকসও প্রকাশ করেছে যাতে দাবি করা হয়েছে, নয় ধরণের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম।

গত সোমবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এই হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি ছাড়াও ছয়জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানের আরেক জেনারেল আছেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, কূটনৈতিক মিশনে দিবালোকের এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে অনুশোচনা’ করিয়ে ছাড়বে তেহরান।


আরও খবর



লিচুতে অনেক উপকার, তবে যে কারণে আছে ক্ষতির ঝুকি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বাজারে এখন ফলের সমাহার। হরেক রকম দেশি ফলের ঘ্রাণে সুরভিত আশপাশ। পাকা আমের সঙ্গে রসালো টসটসে লিচু আমাদেরকে আকৃষ্ট করে। এসব দেশি ফল যেমন মুখরোচক সঙ্গে রয়েছে নানা গুণে সমৃদ্ধ। লিচু আমাদের শরীরের হাজারো উপকার করে। তবে এর যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই তা নয়।

লিচুতে যত উপকার

লিচুতে রয়েছে ভিটামিন এ ও সি, নানা খনিজ উপাদান যেমন ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ, কপার, ফলেট যেগুলো রক্তের উপাদান তৈরিতে সহযোগিতা করে। রয়েছে এনটিঅক্সিডেনট যা আমাদের ত্বকের উজ্জল্য বৃদ্ধি করে।

লিচুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যেটি আমাদের রক্ত ও নালীর চাপ কমিয়ে রক্তের স্বাভাবিক গতি বৃদ্ধি করে। তাই লিচু সেবনের একটি উপকার হল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকা।

ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকায় এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ফলে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস থেকে আমরা রক্ষা পাই।

মাত্রাতিরিক্ত লিচু খেলে যেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে

১) রক্তের গ্লুকোজ কমে যায়। লিচু আমাদের রক্তের গ্লুকোজ কমাতে সহায়তা করে। তাই পরিমাণে বেশি খেয়ে ফেললে তা হাইপোগ্লাইসেমিয়া করতে পারে বিশেষত ইফতারের সময় এমনটি করলে। যাদের ডায়াবেটিস আছে, যারা ওষুধের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করেন, তারা লিচু গ্রহণে সাবধান থাকা উচিত। কারণ ওষুধ এমনিতেই রক্তে গ্লুকোজ কমিয়ে রাখে সঙ্গে লিচুও যদি একই কাজ করে তাহলে যেকোনো বিপত্তি ঘটতে পারে। ছোট বাচ্চারা লিচু গ্রহণ করলে কোনও অবস্থাতেই খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়। পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে এতে।

২) রক্তচাপ পড়ে যাওয়া- মাত্রাতিরিক্ত লিচু খেলে রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে পারে। লক্ষণ হিসাবে শ্বাসকষ্ট হওয়া, বুক ধড়ফড় করা, মাতাহ ঘুরানো, বমি ভাব ইত্যাদি হতে পারে।

৩) লিচু একটি গরম ফল- গরম ফল হওয়াতে বেশি পরিমাণে লিচু খেলে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার ব্যালেন্স নষ্ট হয় ফলে গলা ব্যাথা হওয়া, মুখের ভিতরে ক্ষত হওয়া এমন কি নাক দিয়ে রক্তপাতও হতে পারে বিশেষ করে আমাদের দেশের বর্তমান আবহাওয়ার কারণে।

৪) লিচু খেলে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যেতে পারে- লিচু একটানা বেশ কয়েকদিন পরিমানের বেশি লিচু খেলে নানা রোগ যেমন রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস, মাল্টিপল স্ক্লেরসিস, লুপাস ইত্যাদি রোগ থাকলে তা বেড়ে যেতে পারে অতিমাত্রায় আমাদের ইমিউনিটি বেড়ে যাওয়ার ফলে।

৫) সার্জারির রোগীদের অতিরিক্ত লিচু খাওয়ার ঝুঁকি: রক্তচাপ এবং রক্তের গ্লুকোজের ওপর সরাসরি প্রভাব থাকাতে যাদের সার্জারির প্রয়োজন তারা সার্জারির পূর্বের দুই সপ্তাহ এবং পরের দুই সপ্তাহ লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

৬) লিচু ওজন বৃদ্ধি করে- প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে ৬৬ ক্যালোরি রয়েছে। পরিমাণে বেশি লিচু খেলে তাই যে পরিমাণ ক্যালোরি জমা হয় তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারলে তাতে আমাদের ওজন বেশ ভালোভাবেই বৃদ্ধি পায়।

৭) অন্যন্য প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি- লিচুতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, জরুরি ফ্যাটি এসিড নেই। ফলে বেশি পরিমাণে লিচু খেলে তা শরীরের স্বাভাবিক ব্যালেন্স নষ্ট করে।


আরও খবর



আচরণবিধি লঙ্ঘন: শ্রীপুরের এক প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করল ইসি

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে শ্রীপুর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে মো. জামিল হাসানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (১৫ মে) নির্বাচন ভবনে শুনানি শেষে এই তথ্য জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আচরণবিধি ভঙ্গ করায় গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. জামিল হাসানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে কমিশন। প্রার্থীর শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশন এ সিদ্ধান্ত দেয়।

জামিল হাসান গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। কয়েক দফা আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে তাকে তলব করে কমিশন।

এছাড়া গেল ৮ মে উপজেলা ভোটে বরিশাল-৬ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল হাফিজ মল্লিক প্রকাশে ভোট দেওয়ার কমিশনের সামনে এসে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব।


আরও খবর



প্রতিবন্ধীর প্রশিক্ষণ ভাতা প্রধান শিক্ষকের পেটে!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

প্রতিবন্ধী জান্নাতী আক্তারের প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ ভাতা না দিয়ে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শাহ আলম কবির আত্মসাৎ করেছেন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে জান্নাতীর বাবা নিজাম মীর আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ইউএনও মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিবন্ধীর বাবা আরো অভিযোগ এ বিষয়টি নিয়ে ইউএনওকে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় প্রধান শিক্ষক তার মেয়েকে টিসি দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন।

জানা গেছে, আমতলী পৌর শহরের নয়াবেঙ্গলী গ্রামের নিজাম মীরের প্রতিবন্ধী কন্যা জান্নাতী আক্তার মফিজ উদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোকেশনাল শাখায় নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। জান্নাতী প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার মা ফাতেমা বেগমকে ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো ডেভেলটমেন্টাল ডিজএ্যাবিলিটিজ প্রকল্পে আয়োজিত ৫ দিন ব্যাপী প্রতিক্ষণে আমন্ত্রণ পায়। অভিযোগ রয়েছে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শাহ আলম কবির প্রতিবন্ধী জান্নাতী আক্তারের মাকে প্রশিক্ষণে না পাঠিয়ে তার বোনকে ভূয়া প্রতিবন্ধীর অভিভাবক বানিয়ে প্রশিক্ষণ ভাতা আত্মসাৎ করেছেন। এ বিষয়ে জান্নাতির বাবা নিজাম মীর আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ইউএনও মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন। তার আরো অভিযোগ এ বিষয়টি নিয়ে ইউএনওকে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় প্রধান শিক্ষক তার মেয়েকে টিসি দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন।

প্রধান শিক্ষক শাহ আলম কবির প্রতিবন্ধীর প্রশিক্ষণ ভাতা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা প্রশিক্ষণে যাকে পাঠিয়েছি তার ফরোয়াডিং চেয়েছেন। অল্প দিনের মধ্যেই ফরোয়াডিং এনে দেয়া হবে।

আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তা অলী আহাদ বলেন, অল্প দিনের মধ্যেই তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



হ্রাস পাচ্ছে ফসল উৎপাদন

রামগঞ্জে ফসলি জমির মাটি গিলে খাচ্ছে ইটভাটা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নে ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে কৃষি ও ফসলি জমির মাটি। মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির ফলে উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের একটি বিলেই রয়েছে প্রায় দুই শতাধীক পুকুর। সরকারি খাল-ডোবা নালা, আবাদি জমির মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কাটার ফলে যত্রতত্রে পুকুরে সয়লাভ। এসব জমির বেশিরভাগই ধানের জমি। এতে দিনদিন কমছে চাষাবাদের জমি। ফলে হ্রাস পাচ্ছে ফসল উৎপাদন।

অন্যদিকে একের পর এক গড়ে ওঠা ইটভাটা গ্রাস করে নিচ্ছে ফসলি জমি। বৈধ-অবৈধ ইটভাটাগুলো এখন কৃষকদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চলতি মৌসুমে ইট ভাটার আশপাশে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। মাটি খেঁকোদের খপ্পরে পড়ে জমির টপ সয়েল যাচ্ছে ইটভাটায়, পুড়ছে আগুনে।

শুক্রবার বিকালে ভোলাকোট ইউনিয়নের একটি মাঠে গিয়ে দেখা যায় মাটি কাটার এ কর্মযজ্ঞ।

রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা গ্রামের আমির হোসেন ডিপজলের ইটভাটার পিছনে দেহলা ও সমেষপুর কৃষি জমির চিত্র এটি।

পুরো ফসলি জমির মাঠ জুড়ে বিশাল বিশাল পুকুরে সয়লাভ। এসব পুকুরের কারণে কোন ধরনের ফসল ফলানো স্থানীয় কৃষকদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, চলতি বছরের জানুয়ারী মাস থেকে উক্ত বিলে ৩০টির বেশী পুকুর খনন করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এলাকার ভুক্তভোগী কৃষক ও এলাকাবাসী কয়েকবার  মানববন্ধন, প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ, গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্বারকলিপি প্রদান, সাংবাদিক সম্মেলন করে আসলেও বন্ধ হয়নি মাটি কাটা।

শুক্রবার ২৬ (এপ্রিল) দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ২০ থেকে ২৫টি অবৈধ ট্রলি ও ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করে মাটি নিয়ে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী আল মদিনা ও জেবিএম ইটভাটায়।

আবদুস সালাম, কালা মিয়া, রাজা মিয়াসহ কয়েকজন কৃষক জানান, ভোলাকোট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বশির আহম্মদ মানিক, আওয়ামী লীগ নেতা দুলাল পাটোয়ারী, ইটভাটা মালিক আমির হোসেন ডিপজল, জাহাঙ্গীর কোম্পানী, সিরাজ মিয়াসহ মাটি ব্যবসায়ী এই চক্রটি জমি কিনে নিয়ে ৪০ থেকে ৫০ ফুট গভীর করে মাটি নিয়ে যায়।

এত পার্শ্ববর্তী জমি ভেঙ্গে পড়ে পুকুরে পতিত হয়। পার্শ্ববর্তী জমির মালিক বাধ্য হয়ে মাটি খেকোদের কাছে অল্প দামে জমি বিক্রি করে দিচ্ছেন। আবার অনেক কৃষককে জমির মাটি বিক্রিতেও বাধ্য করা হয় কখনো কখনো। নামমাত্র মূল্যে ২বা ৩ ফুট কাটার কথা বলা হলেও অল্প কদিনেই ভেকু মেশিন দিয়ে কোথাও কোথাও তা ৪০/৫০ ফুট গভীর করে মাটি নিয়ে যায়।

সিরাজ নামের একজন কৃষক জানান, সমস্ত মাঠটাকে যেভাবে ধ্বংস করে ফেলছে, আমরা কৃষক কিভাবে চাষাবাদ করবো, কি খাবো।

শাহ আলম নামের আরেক কৃষক জানান, পুরো মাঠজুড়ে পুকুর। পুকুরের কারণে নিজের জমিতেই যাওয়া যায়না। কিছু কিছু জমির ধান পেকে আছে অথচ ধান কেটে কিভাবে আনবো-নৌকায় করেও আনা সম্ভব নয়।

ভোলাকোট গ্রামের দেহলা, শাহারপাড়া, শাকতলা ও ভাদুর ইউনিয়নের সমেষপুর ও সিরুন্দিসহ ৫ গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক যুগ যুগ ধরে এ মাঠে চাষাবাদ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। কয়েক বছর আগে থেকেই এ মাঠটি মাটি খেকোদের কুনজর পড়েছে। এখন চাষাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বেশীভাগ কৃষক কৃষিকাজ ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশা জড়িত হতে বাধ্য হচ্ছেন।

মাটিকাটায় অভিযুক্ত দুলাল পাটোয়ারী জানান, সবাই কাটে-আমরা কাটলে দোষ হয়? আপনারা আসছেন, আপনারা নিউজ করেন-আমরা আমাদের কাজ করি।

লক্ষ্মীপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক হারুন অর রশিদ পাঠান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলু জানান, আমি অসহায়। আমার কিছু করার নেই মাটিকাটা বন্ধে। আপনারা নিউজ করে দেখেন কিছু করতে পারেন কি না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শারমিন ইসলাম জানান, সর্বশেষ মাসিকসভায় এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। মাটি কাটা রোধে সরকারি সবধরনের আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

কনক মজুমদার, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর)


আরও খবর



এক লাফে ডলারের দাম বাড়ল ৭ টাকা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ডলারের দাম এক লাফে ৭ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ডলারের অফিসিয়াল দাম ১১০ থেকে বেড়ে ১১৭ টাকায় উন্নীত হলো। বুধবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ দাম ঘোষণা করেছে দেশের ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এখন থেকে ক্রলিং পেগ নামের নতুন পদ্ধতিতে ডলার কেনাবেচা হবে। এ পদ্ধতিতে ডলারের মধ্যম রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। কিন্তু গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা, যা নির্ধারণ করেছিল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাফেদা।

এর আগে, ৫ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানিয়েছিলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারণ করে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি প্রয়োগ করবে।

তিনি জানান, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য একটি সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ব্যবস্থা প্রণয়নে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং ব্যাংকারদের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ক্রলিং পেগ হলো বিনিময় হার সমন্বয়ের একটি পদ্ধতি, যেখানে একটি নির্দিষ্ট বিনিময় হারের সঙ্গে একটি মুদ্রাকে হারের একটি ব্যান্ডের মধ্যে ওঠানামা করার অনুমতি দেওয়া হয়। পদ্ধতিটি সম্পূর্ণরূপে স্থির বিনিময় শাসনের মূল বৈশিষ্ট্যগুলোর পাশাপাশি ভাসমান বিনিময় হার শাসনের নমনীয়তা ব্যবহার করে।


আরও খবর