আজঃ বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইমরানের স্ত্রীর বান্ধবী কে এই ফারাহ

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট নিয়ে দেশটি যখন সরব ঠিক তখনই অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী বুশরা বিবির ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ফারাহ খান দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। কে এই ফারহা খান? টুইটার-ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে দামি হাতব্যাগ-সহ ফারাহ খানের একটি ছবি। তিনি রীতিমত ভাইরাল নেটমাধ্যমে। পাকিস্তানের বহু বিরোধী নেতা-নেত্রী ফারাহ’র ওই ছবিটি চালাচালি করেছেন। তাদের মধ্যে রোমিনা খুরশিদ আলমও রয়েছেন।

৫ এপ্রিল সেই ছবি টুইট করেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)-এর ওই নেত্রী তথা পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য। ছবির নিচে রোমিনা লিখেছেন, বুশরার ফ্রন্টউইম্যান ফারাহ খান, যিনি পালিয়ে গিয়েছেন। তার সঙ্গের ব্যাগটির দাম ৯০,০০০ আমেরিকান ডলার। হ্যাঁ! সেটা ৯০ হাজার আমেরিকান ডলারের!

ছবিতে দেখা গেছে, বিমানের আসনে বেশ আয়েশ করে বসে রয়েছেন ফারহা। উজ্জ্বল হলুদ পোশাকের সঙ্গে একই রঙের মানানসই জুতা। সঙ্গে রয়েছে একটি বেগুনি রঙের হাতব্যাগ। বিরোধীদের দাবি, সেটির দাম, ৯০,০০০ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৮ লাখ টাকার বেশি)।

ফারাহ’র বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তান মুসলিম লিগের (নওয়াজ) নেতা মিফতাহ ইসমাইলও। সাংবাদিকদের কাছে তিনি দাবি করেছেন, কোটি কোটি টাকার দুর্নীতিতে জড়িত ফারাহ। বিষয়টি পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমে ঝড় তুললেও ইমরান খান ব্যস্ত নিজের গদি বাঁচাতে।

গত রোববার (৩ এপ্রিল) পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছিল বিরোধী জোট। তবে ভোটাভুটির আগেই তা খারিজ করেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। এরপর ইমরানের সুপারিশ মেনে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। যদিও একে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে খারিজ করে দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে শনিবার আবারও অনাস্থার মুখোমুখি হতে হবে ইমরানকে।

পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি বাঁচানো ইমরানের পক্ষে কঠিন বলে মনে করছেন রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা। কারণ, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৩৪২টি আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় ১৭২ জন সদস্যদের সমর্থন প্রয়োজন। তবে রোববারই অনাস্থা প্রস্তাবের সমর্থনে ছিলেন ১৯৭ জন সদস্য। ফলে বাউন্সি পিচে প্রথম দিকে ধরে ফেললেও উইকেট শেষমেশ বাঁচানো যাবে না বলেই মত অনেকের।

ইমরানের এ বিপত্তিতে মাথাচাড়া দিয়েছে ফারাহ’র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থার প্রস্তাব পেশ করার দিনই ফারাহ দেশ ছেড়ে দুবাই পালিয়েছেন বলে দাবি। এমনকি তার স্বামী এসসান জামিল গুজ্জর নাকি আগেই আমেরিকার পথে রওনা দিয়েছেন। পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) সহ-সভাপতি মারিয়ম নওয়াজের দাবি, ইমরান এবং তার তৃতীয় স্ত্রী বুশরা বিবির নির্দেশেই দুর্নীতিতে মগ্ন ছিলেন ফারাহ।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, কর্মকর্তাদের পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে বদলি বা নিয়োগের বিনিময়ে প্রায় ৩.২ কোটি টাকা হাতিয়েছেন তিনি। ওই প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রীর উসমান বুজদারের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় নাকি এভাবে কোটি কোটি টাকা পকেটে পুরেছেন ফারাহ।

ফারাহ শাহজাদি নামে পরিচিত ইমরানের স্ত্রীর এই বান্ধবীর বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের মধ্যে রয়েছেন পাঞ্জাব প্রদেশের সাবেক গভর্নর চৌধুরী সারওয়ার এবং আলিম খান। সম্প্রতি সারওয়ারকে গভর্নর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ইমরানের পুরোনো বন্ধু বলে পরিচিত আলিম। ইমরানের আমলে নাকি ফারাহ’র সম্পদও চার গুণ বেড়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে দাবি, ২০১৭ সালে ফারাহ’র সম্পদ ছিল পাকিস্তানি টাকায় ২৩১ মিলিয়ন। গত বছর তা বেড়ে হয়েছে ৯৭১ মিলিয়ন। গত পাঁচ বছরে সম্পত্তি বেড়েছে ৭৮ শতাংশ।

লাহৌর এবং ইসলামাবাদে বিলাসবহুল ভিলা-সহ বিপুল সম্পত্তিও করেছেন বলে ফারাহ’র বিরুদ্ধে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। ওই শহরে বিশাল বড় বাড়িও করেছেন বলে সংবাদমাধ্যমের দাবি। ফারাহ’র বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে মুখ না খুললেও একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি ইমরানের দাবি ছিল, দেশবাসীকে জানিয়ে রাখা ভালো যে আমার জীবনের আশঙ্কা রয়েছে। (বিরোধীরা) ওরা আমার চরিত্রহননের পরিকল্পনা করছেন। শুধুমাত্র আমার নয়, আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধেও একই চেষ্টা চলছে।’

নিউজ ট্যাগ: ইমরান খান

আরও খবর



কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় অন্ততপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা খোদাইবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

ঈদগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিস্তারিত আসছে...


আরও খবর



স্কুল ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার সুজানগরে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

রোববার (১৯ মে) সকালে সুজানগর সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ভাটপাড়া এলাকায় ধর্ষণকারীদের বিচারের দাবি জানিয়ে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে ভাটপাড়া এলাকার সাবিনা খাতুন বলেন, ক'দিন হলো দেখছি এলাকায় বখাটেদের উৎপাত খুব বেড়ে গেছে, বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর থেকে শুরু করে এখন ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা। এ ধরনের ঘটনায় এলাকার মেয়েরা খুব আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

একই এলাকার রানা ও নাড়ুহাঁটি গ্রামের মোহাম্মদ আলী বলেন, স্কুল শিক্ষার্থী যে মেয়েটির সাথে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে মেয়েটির মা স্বামী পরিত্যক্তা, মামার বাড়ি থেকে মেয়েটি পড়াশোনা করে। শুক্রবার রাতে বাড়িতে কেউ না থাকায় ওত পেতে থাকা বখাটেরা তাকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। তারা জানান, ধর্ষণের ঘটনায় অনেক ভুক্তভোগী নারী ন্যায়বিচার পায় না। যার কারণে অপরাধীরা এ ধরণের ঘটনা ঘটানোর সাহস পায়। ধর্ষণকান্ডে অভিযুক্তদের অতিবিলম্বে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তারা।

এদিকে নির্যাতিতা শিক্ষার্থীর নানীর দাবি, ৩২ বছর ধরে তারা ভাটপাড়ার বাসিন্দা হলেও এমন পরিস্থিতি আগে কখনো হয়নি। গত ৮ মে উপজেলা নির্বাচনে আনারস প্রতীকে শাহীনুজ্জামানকে ভোট দেয়ায় তাদের উপর এই অমানবিক নির্যাতন চলছে বলে জানান তিনি।

রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।

উল্লেখ্য: গত শুক্রবার রাতে ভাটপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে বারেক, সাজিদ ও ইমন নামের তিন বখাটে ওই শিক্ষার্থীকে মুখ চেপে ধরে পাশের নির্মানাধীন ভবনে নিয়ে যায়। পরে সাব্বির ও তুহিন নামের আরও দুজন যোগ দিয়ে ওই শিক্ষার্থীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর নানি বারেককে প্রধান আসামি করে ৫ জনের নামে সুজানগর থানায় মামলা দায়ের করলেও এখনো কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।


আরও খবর



চট্টগ্রামে পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ ৫

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ। যা গতবছর ছিল ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। সে হিসেবে এ বছর চার দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়েছে পাসের হার।

এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৮২৩ জন পরীক্ষার্থী। গত বছর যে সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৪৫০। অর্থাৎ, পাসের হার বাড়লেও চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবার কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা।

রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এএমএম মুজিবুর রহমান।

এর আগে, সকাল সোয়া ১০টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এরপর ফল প্রকাশের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ১১টায় ফলাফল নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশ করা হয়।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এবার ছাত্র পাসের হার ৮২ দশমিক ২৯ শতাংশ ও ছাত্রী পাসের হার ৮৩ দশমিক ২১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঁচ হাজার ৭৩ জন ছাত্র ও পাঁচ হাজার ৭৫০ জন ছাত্রী।

গতবছর ছাত্র পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ ও ছাত্রী পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ছিল পাঁচ হাজার চারজন। ছাত্রী ছয় হাজার ৪৪৬ জন।

বিভাগভিত্তিক ফলাফলে এগিয়ে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ বিভাগে পাসের হার ৯৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। মানবিকে পাসের হার ৭৩ দশমিক ২৩ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পাসের হার ৮৪ দশমিক ১১ শতাংশ।

এবারের পরীক্ষায় এক হাজার ১২৫টি প্রতিষ্ঠানের জন্য কেন্দ্র ছিল ২১৯টি। পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৬৩ হাজার ৫৮১ জন ও ছাত্রী ৮১ হাজার ৪৪৩ জন। তিন বিভাগেই বেড়েছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

উপজেলা নির্বাচনের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী ৮ মের কয়েকটি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ওইদিন অনার্স ৩য় বর্ষ ও ডিগ্রি (পাস) ১ম বর্ষের পরীক্ষা ছিল। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থগিত অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী ৯ মে এবং ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষা ১৪ মে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া পূর্ব ঘোষিত অন্যান্য তারিখ ও সময়সূচি অপরিবর্তিত থাকবে।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। এ কারণে ওইদিনের পরীক্ষা পিছিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসিকে (ভাইস চ্যান্সেলর) পাঠিয়েছে ইসি।

ভোটগ্রহণের দিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা/কর্মচারীকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একই দিনে ভোটগ্রহণ ও উল্লিখিত পরীক্ষা কার্যক্রম একসঙ্গে চালানো সম্ভব নয় বলে পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




তিনদিন বন্ধ থাকতে পারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটের ওসমানীনগরে কুশিয়ারা নদীর ওপর নির্মিত শেরপুর সেতুর নিচের আরসিসি ঢালাই খসে পড়ায় মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে যান চলাচল। সেতুর ওপরের দিকের একাধিক স্থানেও ফাটল দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার দিনভর সেতুর একপাশে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে রাতে ঝুঁকিপূর্ণ অংশ ঢালাই করে সাময়িকভাবে দুপাশে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। ফলে গতকাল বুধবার সকাল থেকে সেতু দিয়ে যান চলাচল করছে।

তবে সেতুর ওপরের অংশ সাময়িক শঙ্কামুক্ত হলেও সেতুর নিচ দিয়ে চলাচলের রাস্তা ঝুঁকির মধ্যেই থেকে গেছে। এতে করে অন্তত ১০ গ্রামের মানুষকে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হবে। এ পরিস্থিতিতে স্থায়ীভাবে মেরামত করতে হলে অন্তত তিনদিন সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ছয়লেন প্রকল্পের দায়িত্বশীলরা। এতে করে ওই তিনদিনই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।

যান চলাচল বন্ধ না রাখার বিকল্প কোনো পথ না থাকায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে কীভাবে কাজ করা যায় তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিশেষজ্ঞরা পরিকল্পনা করবেন বলে জানিয়েছে সওজ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার মধ্যরাত ১২টার দিকে হঠাৎ করে সেতুর উত্তরপাড়ের দক্ষিণ অংশের নিচের আরসিসি ঢালাই ভেঙে পড়া শুরু হয়। এ সময় ঢালাইয়ের একটি টুকরো গায়ে পড়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহত সুয়েব আহমদ উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আছেন।

খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ওসমানীনগর থানার ওসি ও শেরপুর হাইওয়ে থানার ওসি সেতু পরিদর্শন করেন। পরে বস্তা ও প্লাস্টিকের স্ট্যান্ড দিয়ে ভাঙা অংশসহ একপাশে যান চলাচল বন্ধ করে দেন সংশ্লিষ্টরা। পরে মঙ্গলবার রাতে সেতুর ঝুঁকিপূর্ণ অংশ ঢালাই করে সাময়িক মেরামত করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, সেতুতে যখন যানবাহন চলাচল করে তখন কম্পনের সৃষ্টি হয়। পুরো সেতুই দুলতে থাকে। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। একইভাবে সেতুর নিচ দিয়ে শেরপুর নতুন বাজার-লামা তাজপুর রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন অন্তত ১০ গ্রামের বাসিন্দা।

শেরপুর সৈয়দপুর গ্রামের আনোয়ার আলী বলেন, সোমবার রাতে তাজপুর-সৈয়দপুর রাস্তা দিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে শেরপুর সেতুর নিচে পৌঁছামাত্র হঠাৎ করে সেতুর নিচ থেকে ঢালাই ভেঙে মাটিতে পড়ে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি। একজন ব্যক্তির ওপর ঢালাইয়ের টুকরো ভেঙে পড়ায় তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। এ অবস্থায় মানুষজন সেতুর নিচ দিয়ে খুবই আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করছেন।

সাদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাহেদ আহমদ মুছা বলেন, সেতুর বেশকিছু অংশ ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে সোমবার রাতেই ঘটনাস্থলে যাই। দ্রুত সেতু সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, সেতুর নিচের অংশ থেকে আরসিসি ঢালাইয়ের টুকরো ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরে এটি সংস্কারের জন্য ঢাকা-সিলেট ছয়লেন প্রকল্পের দায়িত্বশীলদের জানানো হয়। ছয়লেন প্রকল্প থেকে আমাদের অনুরোধ করা হয় সাময়িকভাবে সেতুটি সংস্কার করে দেওয়ার জন্য। মঙ্গলবার রাতে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ অংশ ঢালাই করে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছি। একইভাবে সেতুর নিচ থেকে যাতে আর ঢালাইয়ের টুকরো ধসে না পড়ে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে সেতুর নিচ দিয়ে যান চলাচলের পথ কিছুটা সীমিত করা হয়েছে।

সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, স্থায়ীভাবে সমাধান করতে হলে এ সেতুতে যান চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। এর আগেও একবার যান চলাচল বন্ধ রেখে কাজ করা হয়েছে। এবারও অন্তুত তিনদিন যান চলাচল বন্ধ না রেখে এ কাজ করা যাবে না।

তবে বিষয়টি যেহেতু ছয়লেন প্রকল্পের অধীনে, তাই প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা ভালোভাবে বলতে পারবেন বলে জানান তিনি।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ছয়লেন প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন বলেন, সেতুটি মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ঢাকা থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল এসে পরিদর্শন করবে। এরপর কীভাবে কাজ করা যাবে তা জানানো হবে। তবে যান চলাচল বন্ধ করা ছাড়া বিকল্প পথ নেই।

কবে থেকে কাজ শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনই বিষয়টি বলা যাচ্ছে না। আমাদের টিম পরিদর্শন করার পর বলতে পারবে কবে কাজ শুরু হবে। তবে এ কাজে বেশি দেরি করা হবে না।


আরও খবর