আজঃ সোমবার ১৭ জুন ২০২৪
শিরোনাম

‘ইলিশের উৎপাদন যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার’

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ইলিশের উৎপাদন যাতে কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম

আজ বুধবার (৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মৎস্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২৩ উপলক্ষ্যে 'ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে জাটকা সংরক্ষণ ও অভয়াশ্রমের প্রভাব' শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এ কর্মশালা আয়োজন করে।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, একটি ইলিশের জন্য তার বর্ণাঢ্য জীবনচক্র, বৈশিষ্ট্য, চলাচল, অনুকূল পরিবেশ, নিরাপদ আশ্রয় এ বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইলিশের প্রাকৃতিক খাবারের মান কতটা কমে যাচ্ছে, জলবায়ুর প্রভাবে ইলিশের উৎপাদন কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এ বিষয়গুলো নিয়ে সরকার কাজ করবে। যাতে ইলিশের উৎপাদন কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। মা ইলিশ সংরক্ষণ, জাটকা সংরক্ষণ, অভয়াশ্রম সংরক্ষণসহ ইলিশের উৎপাদন যাতে কেউ কোনভাবে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সে জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পদ্মা, মেঘনা, যমুনাসহ সবখানে নদীর গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন হচ্ছে। বেপরোয়া বালু উত্তোলনের কারণে যে নিরাপদ জায়গায় ইলিশ মাছ ডিম দেবে, যেখানে বাচ্চা হবে সে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। যানবাহনের পোড়া তেল-মবিল, শিল্প বর্জ্য নদীর পানিতে মিশে দূষণের ভয়ঙ্কর প্রভাবে মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রগুলোতে আমাদের কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, এখন মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন অনেক সচেতন। আনন্দমুখরভাবে তারা জাটকা সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করছে। তবুও কিছু কিছু জায়গায় কিছু দুর্বৃত্ত জাটকা নিধন করে। তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। মোবাইল কোর্ট, অভিযান পরিচালনা, জেল-জরিমানাসহ বিভিন্নভাবে জাটকা নিধন বন্ধ করার জন্য কাজ চলছে।

ইলিশের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত ব্যাপক উল্লেখ করে এ সময় মন্ত্রী বলেন, ইলিশ সারাবিশ্বে বাংলাদেশকে পরিচিত করার অন্যতম একটি খাত। বিশ্বের সর্বোচ্চ ইলিশ বাংলাদেশে উৎপাদন হয়। ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ রয়েছে। ইলিশ বাঙালির কাছে সবচেয়ে সুস্বাদু ও আকর্ষণীয় মাছ। ইলিশ আহরণ, বিপণনসহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত মানুষের সংখ্যা অনেক। এ মানুষগুলোর কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর হচ্ছে। কাজেই এ মাছ আমাদের ধরে রাখতে হবে।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, দেশের মৎস্য খাতে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। মৎস্য বিজ্ঞানী-কর্মকর্তা, মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন এবং মৎস্য গবেষণার সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের সম্মিলিত কৃতিত্বেই মৎস্য খাতে এ অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আজ আমরা এখানে পৌঁছাতে পেরেছি। সরকার এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নতুন নতুন অভয়াশ্রম তৈরি, প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত করে তা সংরক্ষণসহ নানা কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। বলেশ্বর নদীতে ইলিশের নতুন প্রজননক্ষেত্র ঘোষণা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত যেখানেই মাছ উৎপাদনের জন্য নিরাপদ আশ্রয় দরকার সেখানেই অভয়াশ্রম তৈরি করা হবে। ইলিশসহ সবধরণের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার অভয়াশ্রম তৈরি করতে আগ্রহী এবং সেটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৎস্য খাতের উন্নয়নে যা যা প্রয়োজন তাই করতে বলেছেন। তিনি বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় মৎস্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান করে দিয়েছেন। তিনি মৎস্য গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছেন। আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি করে দিয়েছেন। প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

বিএফআরআই-এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। সম্মানীয় অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম। কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফআরআই-এর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম। প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশ নেন মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।


আরও খবর



রামপালে পিকআপ চাপায় এক শিশু নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটের রামপালে পিকআপ চাপায় মোসাঃ শোভা খাতুন (৮) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে।

শনিবার (২৫ মে) সকালে ওই শিশুটি মায়ের সাথে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় রামপালে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে পৌঁছালে পিকআপটি তাকে পিছন থেকে চাপা দেয়।

নিহত শোভা খাতুন রামপাল উপজেলার শ্রীফলতলা গ্রামের মো: আলমগীর হোসেনের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান, শিশুটি ময়ের সাথে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় পিছন দিকে থেকে পিক-আপ এসে চাপা দিয়ে চলে যায়। শিশুটিকে উদ্ধার করে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

রামপাল থানার ওসি তদন্ত বিধান কুমার বিশ্বাস জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘাতক পিকআপ আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে।

নিউজ ট্যাগ: বাগেরহাট নিহত

আরও খবর



দখলমুক্ত মেয়র আনিসুল হক সড়ক, ভোগান্তি কমলো লাখো মানুষের

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের প্রচেষ্টায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে মেয়র আনিসুল হক সড়ক। দীর্ঘদিন ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের দখলে থাকা ওই সড়ক দখলমুক্ত হওয়ায় কমেছে লাখো মানুষের ভোগান্তি।

রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কের একটি তেজগাঁও সাতরাস্তা-রেলগেট সড়ক। কিছুদিন আগেও সেটি ছিল পুরোপুরি ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের দখলে। যতদূর চোখ যেত দেখা যেত সারি সারি ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও পিকআপ দাঁড়িয়ে আছে। ফলে ওই এলাকায় যানজট, বিশৃঙ্খলা ছিল নিত্যসঙ্গী। তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের অক্লান্ত চেষ্টায় পাল্টেছে সেই চিরচেনা চিত্র।

সাতরাস্তা থেকে তেজগাঁও রেলগেট পর্যন্ত সড়কে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বহু বছরের ট্রাকস্ট্যান্ড ২০১৫ সালের ২৯ নভেম্বর উচ্ছেদ করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র আনিসুল হক।

তার মৃত্যুর পর ফের ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও পিকআপের দখলে চলে যায় সড়কটি। অথচ মেয়র আনিসুল হক সড়ক দিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করছেন। মেয়র আনিসুল হক সড়কটি কারওয়ান বাজার থেকে একদিকে তেজতুরীবাজার, ফার্মগেট ও তেজগাঁও, অন্যদিকে সাতরাস্তা হয়ে মহাখালী, বনানী, গুলশান, নিকেতন, হাতিরঝিল এবং রামপুরার সঙ্গে যুক্ত। ফার্মগেট-তেজগাঁও ঘিরে রয়েছে এক ডজন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

এছাড়াও জাতীয় নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউট, সরকারি ছাপাখানাসহ বহু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী এবং সাধারণ মানুষ এই সড়ক ব্যবহার করেন। প্রতিদিন সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলে এই রাস্তায়। রয়েছে এসেনসিয়াল ড্রাগস, বিজি প্রেস, বিসিকসহ ১০টি কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান। অথচ তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডের পার্কিং ক্ষমতা মাত্র ৭০০ যানবাহনের কাছাকাছি।

তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগ থেকে জানানো হয়, তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডে ধারণক্ষমতার প্রায় ৫ গুণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান রাখা হয়। শুক্রবার ও শনিবার অফিসিয়াল ট্রিপ না থাকায় সব গাড়ি বৃহস্পতিবার রাতে এসে শনিবার পর্যন্ত এখানে অপেক্ষা করে। এছাড়াও ট্রাক, কাভার্ডভ্যানের রুট পারমিট সারা বাংলাদেশ হওয়ায় সারা দেশ থেকেই ট্রাক, কাভার্ডভ্যান এবং পিকআপ রাত ১০টার পর থেকে এই এলাকায় এসে জড়ো হয়।

এ বিষয়ে তেজগাঁও ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার স্নেহাশীষ কুমার দাস বলেন, সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে কর্মদিবসগুলোতে মেয়র আনিসুল হক সড়ক ভোর ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শতভাগ পার্কিং মুক্ত রাখা হবে।

তিনি বলেন, ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোস্তাক আহমদের নির্দেশনায় আমরা কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন মালিক সমিতি ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করি। আলোচনা করেই মেয়র আনিসুল হক সড়ক শতভাগ পার্কিংমুক্ত রাখছি। সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার স্বার্থে এবং প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের প্রতি মানুষের মমত্ববোধ থেকে আজকের এই অবস্থা ধরে রাখতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। শুধু আনিসুল হক সড়কই নয়, ট্রাফিক পুলিশের পরিকল্পনায় রয়েছে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার কিছু রাস্তা ওয়ানওয়ে করার। এর মাধ্যমে সামগ্রিক ট্রাফিক ব্যবস্থার আরও উন্নতি হবে।


আরও খবর



উপকূলের আরো কাছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’, সাগর উত্তাল

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সাগর ও নদ-নদীর পানির উচ্চতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

রোববার (২৬ মে) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুকের দেওয়া আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১১ -এ এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল উত্তরদিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৯.৮০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৪০ পর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি রোববার (২৬ মে) সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৪০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা/মধ্যরাত নাগাদ মোংলার কাছ দিয়ে সাগর দ্বীপ (পশ্চিমবঙ্গ)-খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ০৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরসমূহকে ০৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝোড়ো হাওয়া সহ ভারী (৪৪-৮৮, মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (৯৮৯ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

উত্তর বগোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে খাবার টেবিলে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়ে দিল্লিতে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ব্যস্ত সূচির এক ফাঁকে মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন তিনি। মা-মেয়ের খাবার খাওয়ার এক মুহূর্ত শেয়ার করেছেন মেয়ে সায়মা।

নিজের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে মায়ের সঙ্গে ছবি দিয়ে ক্যাপশনে বলেন, মার সঙ্গে খাওয়ার মুহূর্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে..

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক অন্যতম নীতিনির্ধারক সংস্থা ডব্লিউএইচও এর আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন। গতকাল রবিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-এ নিজের পেইজে মায়ের সঙ্গে খাবার খাওয়ার ছবি পোস্ট করেন পুতুল। এরপর থেকেই ছবিটি তাদের অনুসারীরা শেয়ার করতে থাকেন বিভিন্ন মাধ্যমে।

শনিবার (৮ জুন) সকাল সোয়া ১০টায় শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ঢাকা ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। শপথ অনুষ্ঠান শেষে আগামী সোমবার (১০ জুন) দুপুরে দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার।


আরও খবর



চট্টগ্রামে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ২

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামে হাটহাজারীতে বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৫ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়নে মুহুরি হাট বটতল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আব্দুল মোতালেব টুকু (৭০) ও মো. আবছার (৫৫)।

জানা যায়, খাগড়াছড়ি পরিবহন নামে একটি বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এই ঘটনায় সিএনজিতে থাকা দুই আরোহীর মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নাজিরহাট হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো. আনিসুল ইসলাম বলেন, খাগড়াছড়ি পরিবহণ নামে একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি অটোরিকশায় থাকা দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান।

তাদের মধ্যে একজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যজনের মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর