আজঃ সোমবার ০৩ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ইডেন ছাত্রলীগ সভাপতি রিভা আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছেন। সেখানে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ইডেন কলেজ প্রশাসন অ্যাম্বুলেন্সে করে রিভাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঋতু আক্তারও (২৭) জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তাদের নিয়ে আসা ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষিকা মোছা. নার্গিস আক্তার জানান, ইডেন মহিলা কলেজে সংবাদ সম্মেলনের সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোছা. রিতু আক্তার আহত হয়।আমরা আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসি। সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ইডেন কলেজের অডিটোরিয়ামের সামনে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত দশজন আহত হন।

ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে ক্যাম্পাস থেকে বের না করা পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে একটি পক্ষ, আরেকটি পক্ষ শনিবারের (২৪ সেপ্টেম্বর) ঘটনার ভুক্তভোগী পক্ষের অংশকে ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কারে দাবি জানিয়ে অবস্থান করছেন।

কলেজের দুই নম্বর গেটের সামনে একটি পক্ষকে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায়। তারা রিভা রাজিয়া, মানি না, মানবো না, রিভা-রাজিয়ার, বহিষ্কার চাই, করতে হবে, রিভা রাজিয়ার ঠিকানা, ইডেনে হবে না, রিভা-রাজিয়া, ইডেন কলেজের লজ্জা ইত্যাদি স্লোগান দেন।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ। আগামীকাল সোমবার (১৩ মে) প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এই ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ মে।

এর আগে ২ মে নির্ধারিত সময় শেষে মোট এক হাজার ৫৮৮ জন প্রার্থী তৃতীয় ধাপের ভোটের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১৮ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। উপজেলা ভোটে অংশ নিতে এবার প্রার্থীদের জন্য অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের মতো তৃতীয় ধাপের সব প্রার্থীই অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

এদিকে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠেয় পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া এবং যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী থাকায় নির্বাচন ছাড়াই তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এ ছাড়া পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ এবং সুনামগঞ্জের ছাতকে সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী রয়েছেন। নির্বাচন ছাড়াই তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করতে পারে ইসি।

এবারের উপজেলা নির্বাচন চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটের লড়াই শেষ হয়েছে।

ইসি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৯ উপজেলায় চূড়ান্ত প্রার্থী রয়েছেন এক হাজার ৮২৮ জন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৬৯৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৫২৯ জন রয়েছেন। এই ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২১ মে।


আরও খবর



ঘূর্ণিঝড় রেমাল: ২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে বঙ্গবন্ধু টানেল

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এর ফলে কর্ণফুলী নদীতে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল বন্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে। রবিবার (২৬ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে টানেল বন্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে।

কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের টোল ম্যানেজার বেলায়েত হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে টানেল বন্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে। আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে কাল সকাল ৬টা পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে বন্ধ থাকবে। বন্ধ করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে। আবহাওয়া অধিদফতরের পরবর্তী পূর্বাভাস দেখে চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গত বছরের ২৮ অক্টোবর পতেঙ্গা প্রান্তে ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে টানেল প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরদিন থেকে এটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।


আরও খবর



সীতাকুন্ডে জাতীয় ভিটামিন‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়েও সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্টিত হয়েছে দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৪।

 শনিবার সকালে জেলার সীতাকুন্ড উপজেলার ভাটিয়ারীস্থ হোসাইনীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে একটি শিশুকে ভিটামিন ক্যাপসুল খাইয়ে দিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ের জাতীয় ভিটামিন প্লাস ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুন্ড আসনের সংসদ সদস্য এস.এম আল মামুন। বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ও সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যৌথভাবে ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মোঃ ইফতেখার আহমেদের সভাপতিত্বে ও সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ নুর উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সীতাকুন্ড উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আরিফুল আলম চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে.এম রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী গোলাম মহিউদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর আক্তার, সীতাকুন্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামাল উদ্দিন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জিয়াউল কাদের, ৯নং ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাজিম উদ্দিন, সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আজিজ,  সীতাকুন্ড প্রেস ক্লাব সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী, সাবেক সভাপতি সেকান্দর হোসাইন।

সীতাকুন্ড উপজেলার মোট ২৪০টি স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্রে ৬-৫৯ মাস বয়সী মোট ৬১ হাজার ২১০ জন শিশুকে ভিটামিন ক্যাপসুল ভিটামিন ক্যাসপুল খাওয়ানো হয়। তন্মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ৯ হাজার ৪৭০ জন শিশুকে একটি করে নীল ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৫১ হাজার ৭৪০ জন শিশুকে একটি করে লাল ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার কল্যাণ সহকারী, স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ ও ওয়ার্ডের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

 প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এস.এম আল মামুন বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ কর্মসূচীর শুভ সূচনা করেন। শিশুকে সুস্থ রাখতে হলে জন্মের ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ ছাড়া আর অন্য কোন খাবার দেয়া যাবে না। শিশুর বয়স ৬ মাস পুর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মত ঘরে তৈরী সুষম খারার দিতে হবে। ভিটামিন ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, রাতকানা রোগ প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সকল ধরণের মৃত্যুর হার হ্রাস করে।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



অবহেলায় পরিত্যক্ত ভবনে পরিণত হয়েছে মহেশপুর নীলকুঠি

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য। কিন্তু এগুলোর বেশির ভাগই অবহেলিত। ফলে কালের বিবর্তনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য গুলো। এমনই এক প্রচীন স্থাপত্য নীলকরদের স্মৃতি বিজড়িত 'নীলকুঠি'। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর গ্রামের কপোতাক্ষ নদের ধারে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। স্থানীয় মানুষের কাছে কাচারী বাড়ি হিসাবে পরিচিত এই নীলকুঠি। খালিশপুর বাজারের পশ্চিমপাশে ৯ একরের ও বেশি যায়গা নিয়ে নীলকুঠি বাড়ি অবস্থিত।

দালানটি আঠারো শতকে নির্মিত হয়েছিল অনেকের এমনটিই ধারনা করে। এ কুঠি বাড়ি নির্মাণের মূল উদ্যেশ্য ছিল পূর্ব বাংলার কৃষকদের নীল উৎপাদনে উৎসাহী করা ও নীলচাষ দেখাশোনা করা। ইংরেজ মি. ডেভরেল এ কুটিবাড়ি থেকে এই অঞ্চলের নীলচাষ পরিচালনা করতো।

শিল্প বিপ্লবের পথিকৃৎ ছিল ইংল্যান্ড। ঐ সময় ইংল্যান্ডে সাদা কাপড়ের চাহিদা ছিল অত্যাধিক। কাপুড়ের সাদা রং বজায় রাখার জন্য নীলছিল একটি অত্যাবশকীয় উপাদান। ভারতবর্ষ বৃটিশদের উপনিবেশ হওয়ায় বল পূর্বক ইংরেজরা ভারতবর্ষকে নীলচাষের কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলে। নীলচাষের ফলে জমির উর্বরতা হারাতো তাই চাষিদের নীলচাষে অনীহা ছিল, অধিকাংশ চাষিরা ইংরেজদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যও পেতনা। যারা নীলচাষ করতোনা তাদের নানা ভাবে নির্যাতন করা হত। এই কুঠিরেই কিছু কক্ষ নির্যাতনের জন্য ব্যবহার করা হত।

পরবর্তীতে ইংরেজরা উপমহাদেশে থেকে বিতাড়িত হলে কুঠির ভবনটি সিও অফিস হিসাবে ১৯৫৬-৫৭ ও ১৯৮৩-৮৪ সালে ব্যবহৃত হয়েছিল। ১৯৮৪ সালের পর থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত এটি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ছিল।বর্তমানে কুঠিরটি জরাজীর্ণ, সংস্কারের অভাবে কুঠি বাড়িটি ধ্বংসের দাঁড়প্রান্তে অবস্থান করছে।

৬৫ বছর বয়স্ক স্থানীয় বাসিন্দা হোসেন আলী জানান বেশ কয়েক বছর আগে সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও তা আর আলোর মুখ দেখিনি। কুঠি বাড়ির চার পাশে রয়েছে শত বছরের বড় বড় আম গাছ। পাশে আরো অনেক বাড়ি ঘর ছিল যা বৃটিশদেও গাড়ি রাখাসহ নানা কাজে ব্যবহৃত হত। এছাড়াও ছিল বৈকালীন অবকাশ যাপনের জন্য যায়গা যা ধ্বংস হয়ে গেছে। এখনই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে নীলকুটি বাড়িটিও অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে।

কুটি বাড়ির পশ্চিম পাশে সরকারি হামিদুর রহমান কলেজ ও স্মৃতি জাদুঘর অবস্থিত এবং পূর্ব পাশে ইউনিয়ন ভূমি অফিস। এই কুটি বাড়ির যায়গা খাস জমির তালিকাভুক্ত।

স্থানীয়রা জানান ২০১৮-১৯ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশাফুর রহমান এখানে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ইকোপার্ক তৈরি উদ্যোগ নিয়ে ছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এাঁও আলোর মুখ দেখিনি।

স্থানীয়দের দাবী কুঠি বাড়িটি এলাকার মানুষের উপর অত্যাচার ও নির্যাতনের সাক্ষ্য দিচ্ছে,ফলে এটি এখন ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করছে। তাই এটি সংরক্ষণ করার দাবি তাদের।

ঝিনাইদহ ৩ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অবঃ) সালাউদ্দিন মিয়াজী বলেন, প্রাচীন ঐতিয্যে বহনকারী নীলকুঠিটি সংস্কার করে এখানে একটি ইকোপার্ক করার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

শামীম খান জনী, মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি


আরও খবর



জয়পুরহাটে কৃষক হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটে বুলু মিয়া হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২য় আদালতের বিচারক নুরুল  ইসলাম এ রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌশলী অ্যাডভেকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাট সদর উপজেলার দস্তপুর গ্রামের মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে বাচ্চু মিয়া, গনিরাজের ছেলে এমরান আলী নুহু ও আউশগাড়ার মোকছেদ আলীর ছেলে বাবু মিয়া মিয়া।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার চকদাদরা এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে বুলু মিয়া দস্তপুর গ্রামের মৃত কুদ্দুসের মেয়েকে বিয়ের পর সেখানে ঘর জামাই হিসেবে থাকতেন। ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল রাতে সে হাতে লাঠি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। সে রাতেই আসামীরা পারিবারিক বিরোধের জেড় ধরে বুলুকে গলা কেটে হত্যা করে। পরের দিন ওই গ্রামের একটি বায়োগ্যাস তৈরীর টাংকির উপর তার গলাকাটা ও জখম রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত এ রায় দেন।


আরও খবর