আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইবিতে শোক দিবসের অনুষ্ঠান শেষে ছাত্রলীগের মারামারি

প্রকাশিত:রবিবার ২০ আগস্ট ২০23 | হালনাগাদ:রবিবার ২০ আগস্ট ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
ইবি প্রতিনিধি

Image

শোক দিবসের আলোচনা সভা শেষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ কর্মীদের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

রবিবার (২০ আগস্ট) দুপুর ২ টার দিকে ক্যাম্পাসের বাংলা মঞ্চের সামনে আম বাগানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় হলের কয়েকজন আহত হয়।

আহতরা হলেন শেখ রাসেল হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মুফতায়িন আহমেদ সাবিক, ফারহান লাবিব ধ্রুব, আশিক কুরাইশি, সাদ্দাম হোসেন হলের তাজওয়ার আহমেদ তনয় ও সাদিদ খান এবং জিয়া হলের কর্মী আকিব, রাকিব ও জাফর।

এর আগে রোববার সকালে ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 'মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব' শীর্ষক এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাংসদ মাহবুবউল আলম হানিফ। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন আওয়ামী লীগের ঝিনাইদহ জেলার শাখার সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল হাই।

আলোচনা সভা শেষে মিলনায়তন থেকে বের হওয়ার সময় কথা-কাটাকাটি শুরু করে উভয় হলের কর্মীরা। পরে তাদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে শেখ রাসেল হলের মুফতায়িন আহমেদ সাবিক গুরুতর আহত হলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসা কেন্দ্রের নার্স শামীমা আক্তার।

এদিকে সাদ্দাম হলের তাজওয়ার আহমেদ তনয়, জিয়া হলের কর্মী আকিব, শেখ রাসেল হলের কর্মী সাবিককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ শেখ রাসেল হল শাখা ছাত্রলীগ কর্মীদের।

এ বিষয়ে কুরাইশি বলেন, আমি অডিটোরিয়ামের দুই তলায় দায়িত্বে ছিলাম। প্রোগ্রামের আগে জিয়া হল নিয়ম বহির্ভূতভাবে ঢুকে পড়ে। আমি মানা করায় সামিম ভাই আমাকে বলে, আমি তোমাকে দেখে নিবো, চোখ দুইটা তুলে নিব। প্রোগ্রাম শেষে সবাইকে নামিয়ে দিতে গেলাম। আমি ওই ভাইদের বললাম, আপনারাও নামেন। তখন তাদের কয়েকজন আমাকে ধাক্কা ধাক্কায় নিচে নামায়। তারা আমার উপর অতর্কিত হামলার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে আকিব ছুরি দিয়ে মারার চেষ্টা করে। তখন ওই ছুরি সাবিকের গিয়ে লাগে।

তবে ছুরিকাঘাতের বিষয়টি অস্বীকার করে আকিব বলেন, প্রোগ্রাম শেষে জিয়া হলের বড় ভাই ও রাসেল হলের বড় ভাইদের ঝামেলা হয়। পরে রাসেল হলের ধ্রুব, নাইমুর রহমান জয় ভাই, সাবিক আমাদের থ্রেট দেয়। আমি নিচে পড়ে যায়। পরে আমাকে ভ্যানে করে উঠায়া চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। হাতাহাতি হয়েছে। আমাকে মারার সময় ঠেকাইছি। হলের পলিটিক্যাল বড় ভাইরা তরকাতর্কি করছিল। কিন্তু বড় ভাইদের নাম আমি জানিনা। তবে আমি ছাত্রলীগের ছিটে থাকি।

এ বিষয়ে শেখ রাসেল হলে থাকা শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি নাঈমুর রহমান জয় বলেন, আমি মূলত মারামারির ঘটনাটিকে ঠেকানোর চেষ্টা করছিলাম যাতে মারামারি না হয়। কিন্তু ঠেকাতে গিয়ে আমি আঘাত পাই। তবে আমার কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই।

শেখ রাসেল হলে থাকা ছাত্রলীগ কর্মী ফারহান লাবিব ধ্রুব নাঈমুর রহমান জয়ের বক্তব্যের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, আমরা মূলত মারামারি ঠেকাচ্ছিলাম। মধ্যখানে জিয়াউর রহমান হলের আকিব ছুরি জাতীয় কিছু দিয়ে সাবিক ও তনয়কে আঘাত করে। সেটা ঠেকাতে গিয়ে আমিও আঘাত প্রাপ্ত হই।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তবে এতে কারো ইন্ধন আছে কিনা বিষয়টি খুঁজার চেষ্টা করছি। যদি কারো সংশ্লিষ্টতা পাই তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, আলোচনা সভা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। তবে সভা শেষে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি নিয়ে বসবো। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবো।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে রাখা অবৈধ: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত একইসঙ্গে জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন। সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম রাজু।

আইনজীবীরা বলেছেন, এটা একটা ঐতিহাসিক রায়।

এর আগে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

গত বছরের ৫ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনকারী হলেন চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামির আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।


আরও খবর



চাকরি দেওয়ার নামে ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ, দম্পতি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ মে) সন্ধ্যায় জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সরদারপাড়ার নিজ বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে নাটোরের লালপুর উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম জুয়েল বাদী হয়ে জয়পুরহাট থানায় দম্পতিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন। জাহিদুল ইসলাম কর্মসংস্থান ব্যাংক ক্ষেতলাল শাখায় কর্মরত আছেন। তিনি পরিবার নিয়ে জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সরদারপাড়া মহল্লায় বসবাস করেন।

গ্রেপ্তার দম্পতি হলেন আবু হেনা ফুল মিয়া (৪৬) ও তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার (৪০)। তারা জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সরদারপাড়া মহল্লায় বসবাস করেন।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী ফারহানা মোস্তারী জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা পদে চাকরি করেন। তারা সরদারপাড়া মহল্লার একটি পাঁচতলার বাসার তিনতলায় ভাড়া থাকতেন। এ সুবাদে একই মহল্লার আবু হেনা ফুল মিয়া, তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার ও আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে তাদের সখ্যতা গড়ে ওঠে। এরপর তারা জাহিদুল ইসলামকে এসেনসিয়াল ড্রাগস ওষুধ কোম্পানিতে চাকরির প্রলোভন দেখান। তাদের কথায় প্রলুব্ধ হয়ে ২০২০ সালের ১ অক্টোবর জাহিদুল ইসলাম তার শ্বশুরবাড়ি এলাকার ৬ জন ব্যক্তির কাছ থেকে ২৪ লাখ এনে দেন। টাকা দেওয়ার পরও অভিযুক্তরা আর চাকরি দিতে পারেননি। পরে টাকা ফেরত দিতে তালবাহনা শুরু করেন।

চলতি বছরের গত ২২ এপ্রিল আবু হেনা ফুল মিয়া তার নামীয় ব্র্যাক জয়পুরহাট শাখার দুটি চেক জাহিদুলের স্ত্রী ফারহানাকে দেন। ব্যাংকে প্রয়োজনীয় অঙ্কের টাকা না থাকায় দুটি চেক নগদায়ন হয়নি। পরে গত ২৭ এপ্রিল ওই দম্পতি ও আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধ প্রতারণার অভিযোগ এনে জয়পুরহাট জজ আদালতের আইনজীবী ফরিদুজ্জামান সংবাদ সম্মেলন করেন।

আইনজীবী ফরিদুজ্জামান বলেন, হজে যাওয়ার জন্য টাকা রেখেছিলাম। সেখান থেকে আবু হেনা ফুল মিয়া, তার স্ত্রী সেলিনা ও আনোয়ার হোসেন আমার কাছ থেকে ২০ দিনে ৫ লাখ টাকা ধার নেন। তারা আমাকে ধারের টাকা ফেরত দেননি। পরে আমাকে চেক দিয়েছিল। সেই চেক নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে টাকা পাইনি। এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছি।

মামলার বাদি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছয় জনকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার কাছে আবু হেনা ফুল মিয়া, তার স্ত্রী ও ফুল মিয়ার শ্বশুর আনোয়ার হোসেন ২৪ লাখ টাকা নিয়েছেন। তারা চাকরি দিতে পারেননি, টাকাও ফেরত দেননি। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছি।

জয়পুরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির বলেন, প্রতারণার মামলায় এক দম্পতিকে রোববার ভোরে নতুনহাট সরদারপাড়ার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে রোববার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



‘কেএনএফের কার্যক্রম যতদিন থাকবে, যৌথবাহিনীর অভিযান ততদিন চলবে’

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, কেএনএফের কার্যক্রম যতদিন থাকবে যৌথ অভিযান ততদিন চলবে। সরকারের আদেশে কুকি-চিন সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে বিভিন্ন বাহিনী মিলে যৌথ বাহিনী হিসেবে অভিযান এখনো চলমান রয়েছে। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে বান্দরবানের থানচি ও রুমা উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে সেনাবাহিনীর আওতাধীন বিভিন্ন বাহিনী মিলে যৌথ বাহিনী হিসেবে সরকারের আদেশে কুকি-চিন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, তা সরেজমিনে দেখতে এসেছেন। থানচি বলিপাড়া ৩৮ বিজিবি ও রুমা ৯ ব্যাটালিয়ান বিজিবি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। তাদের উৎসাহ, পরামর্শ প্রদান করার জন্য তিনি এসেছেন বলে জানান।

তিনি আরও বলেন, বলিপাড়ায় একটি নতুন বেইস ক্যাম্প করা হয়েছে। বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অপারেশন এবং সীমান্তের ওপারে যাতে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য বিজিবির সব সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানান তিনি।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যাংক ডাকাতির মতো দুঃসাহসিক সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দেখিয়ে কেউ পার পাবে না। এ এলাকার সাধারণ বম জনগোষ্ঠীরাও কেএনএফের সন্ত্রাসী ঘটনা সমর্থন করে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিরীহ বম সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচারের অপপ্রচারের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানান তিনি।

মতবিনিময়কালে বিজিবি মহাপরিচালক সবাইকে অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। পরে তিনি বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ স্পটহাইট টিওবি, থানচি বিওপি এবং থানচি বাজার পোস্ট পরিদর্শন করেন।

এ ছাড়া বিজিবির মহাপরিচালক রুমা ব্যাটালিয়নের (৯ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সদর এবং অধীনস্থ দোপানিছড়া বিওপি পরিদর্শন করেন এবং সব পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় বান্দরবান বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সোহেল আহমেদ, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম, বান্দরবান ব্রিগেড কমান্ডার মেহেদি হাসান, ররুমা ৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেনান্ট কর্নেল হাসিবুল হকসহ বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপক অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ব্যাংক ব্যবস্থাপক উদ্ধার হলেও লুট হওয়া অস্ত্র ও টাকা উদ্ধার করা যায়নি। সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারের অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।


আরও খবর



ফের জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় তার আইনজীবী নিখিল কুমার সাহার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এক সপ্তাহের জন্য আদালতে প্রবেশ করতে মানা করা হয়েছে তাকে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী এক সপ্তাহ কোনো মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন না অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার সাহা। একই সঙ্গে অর্থ পাচারের মামলায় জি কে শামীমের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন আদালত।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জি কে শামীমের জামিনের আদেশ কার্যতালিকার ৪ নাম্বার সিরিয়ালে ছিল, যা দেখে অবাক হয়ে যান প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, এটি কীভাবে আদেশের জন্য আসে, এ বিষয়ে শুনানিই তো হয়নি।

পরে আইনজীবী নিখিল কুমার সাহাকে এজলাসে ডাকেন প্রধান বিচারপতি। তিনি আইনজীবীকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন, এটা কি করে হলো? এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি আইনজীবী নিখিল কুমার। এ সময় প্রধান বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চালাকি করেন? কটা টাকার জন্য এসব করেন! কেন করেন?’

পরে নিখিল কুমার সাহাকে এক সপ্তাহ মামলা না লড়তে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় তিনি পাল্টা যুক্তি দিতে চাইলে প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, বেশি কথা বললে এক বছর নিষিদ্ধ করা হবে। এর আগেও জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছিল হাইকোর্টে। ২০২০ সালে মার্চ মাসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীম। পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, মাসখানেক আগে করা জামিন আবেদনে পুরো নাম উল্লেখ করেননি তিনি। যদিও জামিন আদেশে ঠিকই লেখা ছিল পুরো নাম।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আলোচিত ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় আটক সাবেক যুবলীগ নেতা ও প্রভাবশালী ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে তিনি জি কে শামীমকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। ২০১৯ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে নাটকীয় এক অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছিল।


আরও খবর



শিল্পখাতে পানি ব্যবহার নীতি শীর্ষক ওয়ার্কশপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (ওয়ারপো) বিশ্বব্যাংক কর্তৃক যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত শিল্পখাতে পানি ব্যবহার নীতি শীর্ষক কর্মশালা আজ রাজধানীর মাল্টিপারপাস কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান উক্ত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন।

কর্মশালায় কি-নোট উপস্থাপন করেন পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (ওয়ারপো) এর মহাপরিচালক মোঃ রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, সংস্থার প্রধানগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, শিল্প সমিতিসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ প্রায় ১৫০ জন সম্মানিত প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালার প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, ওয়ারপো কর্তৃক প্রস্তাবিত শিল্পখাতে পানি ব্যবহার নীতিটি একটি সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী উদ্যোগ। রুপকল্প-২০৪১ এর আলোকে জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন অভিলক্ষ্য অর্জনের অব্যাহত অগ্রগতি নিশ্চিত করতে পানি সমৃদ্ধ শিল্পায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা, জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা, জনগণের জীবনমান উন্নয়ন এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষার উদ্দেশ্যে শিল্পখাতে পানি ব্যবহার নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি-বেসরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, বিদেশী উন্নয়ন সহযোগী ও অপধফবসরধ গণ সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণ করলে এই নীতি বাস্তবায়নে সুদূর প্রসারী ফলাফল পাওয়া যাবে, যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অভূতপূর্ব সাফল্য বয়ে আনবে।

কর্মশালায় সভাপতি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান উল্লেখ করেন, স্মার্ট বাংলাদেশের প্রবক্তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন যার অন্যতম ভিত্তি হলো স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ।

সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশের পানি খাতে বিভিন্ন সেক্টর পরিকল্পনার অংশ হিসাবে টেকসই উদ্ভাবনী ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর শিল্পখাতে পানি ব্যবহার নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সভাপতি আরো উল্লেখ করেন, ওয়ারপো কর্তৃক প্রস্তাবিত শিল্পখাতে পানি ব্যবহার নীতিমালায় পানির উৎস সংরক্ষণ; পানির সংযোজক ব্যবহার; পানিধারক স্তরের সুরক্ষা; পানিধারক স্তরের নিয়ন্ত্রিত পুন:ভরণ; দূষণকারী কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থাসহ সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে, সকলের সমন্বয়ে যার যথাযথ বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

এ কর্মশালার গেস্ট অব অনার মাইকেল জন শুভেচ্ছা জানিয়ে এরকম একটি অভিনব উদ্যোগ গ্রহণকে স্বাগত জানান, তিনি আরোও বলেন যে, পানি সুরক্ষিত টেকসই শিল্পোন্নয়ন এ মাত্রায় সংযুক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত।

প্রস্তাবিত নীতিমালার উপর ৬ জন বিশেষজ্ঞ আলোচক যথাক্রমে  ড. কাজী মতিন উদ্দীন আহমেদ, অধ্যাপক, ভূ-তত্ত্ব বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ড. জিল্লুর রহমান, ডীন, আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্সেস অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ড. চৌধুরী এম. সারোয়ার জাহান, অধ্যাপক, ভূ-তত্ত্ব ও খনিজ বিদ্যা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; ড. মো. শাহিনুর ইসলাম, অধ্যাপক, কেমিকৌশল বিভাগ, বুয়েট; ড. মোহাম্মদ আবেদ হোসেন, অধ্যাপক, পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান, বুয়েট এবং জনাব মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম, যুগ্মসচিব, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সমন্বয় অধিশাখা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

আলোচকবৃন্দ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা কর্তৃক শিল্পখাতে পানি ব্যবহার নীতি প্রণয়নের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে প্রস্তাবিত নীতি-কে আজকের মতামতের ভিত্তিতে পরিমার্জিত করে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ ও শিল্পকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বারান্বিত হবে বলে মতমত দেন।


আরও খবর