আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

হত্যা মামলার ৩০ বছর পর পলাতক আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবুল খায়েরকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। বুধবার রাতে তাকে চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত খায়ের উপজেলার দক্ষিণ বল্লভপুর গ্রামের অলি আহাম্মদের ছেলে।

র‍্যাব জানায়, ১৯৯৩ সালের ২৭ জুন বল্লভপুরের নিজ বাড়িতে জমির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বাগবিতণ্ডায় নিজ ভাই আবু তাহেরকে কুপিয়ে হত্যা করেন আবুল খায়ের ও আবদুল কাদের। এ ঘটনায় নিহতের বোন আমেনা বেগম বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আদালত দুই সহোদর আবুল খায়ের ও আবদুল কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এরপর থেকে দণ্ডপ্রাপ্তরা দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজেদের নাম পরিবর্তন করে বসবাস করে আসছিলেন। গ্রেফতার এড়াতে আবুল খায়ের নিজের নাম মিজান দাবি করে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রও তৈরি করেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে র‍্যাব-৭ ফেনীর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নূরুল আবছার সংবাদ সম্মেলনে জানান, দীর্ঘদিন পর্যন্ত র‍্যাব আবুল খায়েরকে নজরদারি ও আবদুল কাদেরকে গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রাখে। বুধবার রাতে পটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবুল খায়েরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের নাম আবুল খায়ের বলে স্বীকার করেন। সেইসঙ্গে তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে গ্রেফতার এড়াতে নাম পাল্টে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নিউজ ট্যাগ: ফেনী

আরও খবর



অন্তরঙ্গ অবস্থায় ধরা খেলেন প্রধান শিক্ষক, গাছের সঙ্গে বেঁধে গণধোলাই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তালুক ফলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বকুল (৫০) পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে মধ্যরাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার চ্যাটার্জি।

সোমবার রাতে এ-সংক্রান্ত ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে রোববার (১২ মে) রাতে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গণধোলাইয়ের শিকার গোলাম রব্বানী বকুল ওই ইউনিয়নের আরাজি দহবন্দ গ্রামের নিয়ামতুল্লাহ সরকারের ছেলে ও দহবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুলের বড় ভাই।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামের মোস্তাফিজার রহমানের স্ত্রী আলেমা বেগমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক গোলাম রব্বানী বকুলের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। প্রায় রাতেই তিনি ওই নারীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার গভীর রাতেও ওই নারীর সঙ্গে তার বাড়িতে দেখা করতে যান গোলাম রব্বানী বকুল। তাদেরকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখতে পেয়ে ওই নারীর ছেলে গোলাম রব্বানীকে আটক করে স্থানীয়দের খবর দেন। স্থানীয়রা এসে তাকে গণধোলাই দিয়ে বাড়ির পাশে একটি সুপারি গাছে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন।

পরে অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম রব্বানীর ছোট ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুল ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম ফুলবাবুসহ তার কয়েকজন আত্মীয় এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বকুল ও তার ছোট ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।

তবে সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম ফুলবাবু বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি স্থানীয়রা গোলাম রব্বানী বকুলকে সুপারি গাছে বেঁধে রেখেছেন। পরে তার ছোট ভাই গোলাম কবির মুকুল ও ভাতিজারা এসে নিয়ে যান।’

তিনি এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিলেন বলে এ ইউপি সদস্য জানান।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার (প্রাথমিক) মো. আশিকুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি আমার ক্লাস্টারের আওতাভুক্ত ফলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তবে আমাদেরকে বিষয়টি এখনও কেউ জানায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দহবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মো. রেজাউল আলম সরকার রেজা বলেন, এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক কাজ করার সময় গোলাম রব্বানী বকুলকে স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়েছেন বিষয়টি শুনেছি।’

সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. মাহবুব আলম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


আরও খবর



মালদ্বীপ নির্বাচন: ভারতবিরোধী মুইজ্জুর দলের নিরঙ্কুশ জয়

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মালদ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি) বিশাল জয় পেয়েছে, প্রকাশিত প্রাথমিক ফলাফলে এমনটি দেখা গেছে। দেশটির ৯৩ আসনের পার্লামেন্টে পিএনসির প্রার্থীরা দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি আসনে জয়ী হয়েছে।

নির্বাচনের এই ফল ভারত মহাসাগরের দ্বীপ দেশটিকে দীর্ঘ দিনের মিত্র ভারত থেকে দূরে সরিয়ে চীনের আরও ঘনিষ্ঠ করে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মালদ্বীপের ভোটাররা প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর চীনমুখি নীতির প্রতি ব্যাপক সমর্থন দিয়েছে।

মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশন পার্লামেন্টের যে ৮৬টি আসনের ফল প্রকাশ করেছে তার মধ্যে পিএনসির প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬৬টি আসন। পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য এ অবস্থান যথেষ্ট।

ফলাফলের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর মে মাসের প্রথম দিক থেকে নতুন পার্লামেন্টের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা আছে।

এই নির্বাচনে মোট ৪১ জন নারী প্রার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র তিনজন নির্বাচিত হয়েছেন। তারা সবাই মুইজ্জুর দল পিএনসির বলে জানিয়েছে স্থানীয় মিহারু সংবাদপত্র।

গত বছর নির্বাচনে জয়ী হয়ে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হন মুইজ্জু। তিনি নির্বাচনি প্রচার শুরুই করেছিলেন তার দেশের দীর্ঘদিনের ভারত-প্রথম’ নীতির অবসান ঘটনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি প্রথা ভেঙে প্রথম আন্তর্জাতিক সফরে দিল্লি না গিয়ে বেইজিং যান। যেখান থেকে ফিরে তিনি মালদ্বীপে অবস্থান করা ভারতীয় সব সেনাদের দ্রুত সে দেশ ত্যাগ করতে বলেন। চলতি মাসেই দেশটিতে থাকা ৮৯ জন ভারতীয় সেনা নিজ দেশে ফিরে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


আরও খবর



৪৫ টাকা দরে চাল, ৩২ টাকা দরে ধান কিনবে সরকার

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন বোরো মৌসুমের ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আজ রবিবার মন্ত্রীপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভায় এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

সভায় আসন্ন বোরো সংগ্রহ ২০২৪ মৌসুমে ৫ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, আতপ চাল ১ লাখটন এবং ৫০ হাজার টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা, আতপ চাল ৪৪ টাকা এবং গম ৩৪ টাকা। ২০২৩ সালে ধান-চালের সংগ্রহ মূল্য ছিল যথাক্রমে ধান ৩০ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা এবং গম ৩৫ টাকা।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বেগম রোকেয়া সুলতানা অংশ নেন।


আরও খবর



মির্জা ফখরুলের এলাকায় ভোটার আনতে মরিয়া আ.লীগ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

আর মাত্র তিনদিন পরেই ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট। শেষ সময়ে রাত-দিন এক করে প্রার্থীরা ভাগ্য নির্ধারকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। দিচ্ছে উন্নয়নের নানান ফর্মুলা। তবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নির্বাচনি এলাকা ঠাকুরগাঁও। কিন্তু জনপ্রিয়তায় তিনিও শীর্ষে রয়েছেন। ঘরে বসে নেই স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে ভোট বর্জন লিফলেট বিতরণসহ কেন্দ্রে আসতে মানা করছেন। শুনাচ্ছেন সরকারের নানান অনিয়মের গল্প।

গেল বুধবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর উপজেলায় ভোট কেন্দ্রেগুলোতে তেমন একটা ভোটারের দেখা মেলেনি। একটি পৌরসভা ও ২২ ইউনিয়ন নিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা গঠিত। এ উপজেলায় বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলের কোনো প্রার্থী নির্বাচনে অংশ না নিলেও আওয়ামী লীগ থেকে চারজন প্রার্থী নির্বাচনি মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন।

চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুনাংশু দত্ত টিটো (আনারস), সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকার (মোরটসাইকেলর), সহ-সভাপতি রওশনুল হক তুষার (ঘোড়া) ও সাবেক ছাত্র নেতা কামরুল হাসান (কাপ-পিরিচ) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও প্রচারণায় এগিয়ে আছেন অরুনাংশু দত্ত টিটো ও মোশারুল ইসলাম।

ভোট নিয়ে কথা হয় কৃষক মকবুল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, উপজেলার ভোট হবে মঙ্গলবার (২১ মে)। এবার ভোট দিবা যাবার আগ্রহই নাই। আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ ভোট করছে, এখানে তো বিএনপি নাই। ওরা ওরাই তো, ভোট দিলেও চেয়ারম্যান হবে, না দিলেও চেয়ারম্যান হবে। কাজ কাম ফালায় তাই ভোট দিতে যাব না। পাশ থেকে আরেক ভোটার বলেন, আগে ভোট আসলে এলাকায় পোস্টার আর মিটিং মিছিলে থাকা যাইত না। এখন শুধু মাঝে মাঝে প্রার্থীদের হালকা মাইকিং শুনি। তেমন মিটিং নাই। এইভাবে মানুষের মধ্যে ভোটের আগ্রহ হারায় গেছে। চারজন প্রার্থী সব এক দলের তারাই তো হবে।

ভোটার কালাম, হাসান, আবুল ও মুনসুর বলেন, দুজন ভোটার কয়েকদিন আগে আসে ভোট চাইছে। ফের দুই দিন আগে বিএনপির কয়েকজন আসে ভোট বর্জনের কাগজ দিয়ে গেছে। আগের মতো আর ভোটা দেওয়ার আগ্রহ নাই। বিরোধী দল থাকলে খেলা জমত। এক দলের লোক তাই ভোটের খেলা জমে না।

ভোটার আসা নিয়ে কথা হয় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে। আনারস মার্কার প্রার্থী অরুণাংশ দত্ত টিটো বলেন, আমি প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছি। সরকার উন্নয়নের কথা তুলে ধরছি। যাতে তারা এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ভোট দিতে আসে এবং পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে।

মোটরসাইকেল মার্কার প্রার্থী মোশারুল ইসলাম সরকার বলেন, গণতন্ত্র মেনে ভোট হচ্ছে। সরকারে উন্নয়ন তুলে ধরছি এবং উন্নয়নের ধারা যাতে অব্যাহত থাকে তাই তাদের ভোট দিতে আসতে বলছি। আমার বিশ্বাস ভোটাররা আসবে এবং শান্তিপূর্ণভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করবে।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে সদর উপজেলা রুহিয়ায় এক নির্বাচনি প্রচারণায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুল হাসান খোকন ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি অনেক কম, সাড়া নেই। মানুষকে টেনে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যায় না। কারণ ভোটের উপর যে মানুষের বিশ্বাস তা উঠে গেছে। আজ ভোটের প্রতি মানুষের বিশ্বাস নেই। সারাদিনে ভোট পড়ছে ২০০, অথচ গণনার সময় দেখা যাচ্ছে ভোট পড়ছে ৩ হাজার। প্রিজাইডিং অফিসাররা রাতেই ব্যালট দিয়ে বাক্স ভরায় রাখে।

তার মন্তব্যে আলোচনাও সমালোচনার ঝড় বইছে দলও দলের বাইরে। অপরদিকে ভোটের মাঠে বাড়াবাড়ি করলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনকে বিতাড়িত করার হুমকি দেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্যানেল মেয়র আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। এনিয়ে নির্বাচনি মাঠ আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

কথা হয় জেলা বিএনপি মহিলা দলের সভাপতি ফোরাতুন নাহার প্যারিস এর সঙ্গে। তিনি জানান, ঠাকুরগাঁও হলো বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বাড়ি। এ জেলার মহাসচিবের জনপ্রিয়তা আকশচুম্বী। জনগণ একতরফা ভোট বর্জন করছে এবং দলের হাইকমান্ডের নির্দেশনায় মহিলাদলের নেত্রীরা ভোট বর্জন ও ভোটারদের আসতে মানা করছে। মানুষের এখন ভোটের প্রতি তেমন কোনো আগ্রহ নেই।

এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৭৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯০৩, নারী ২ লাখ ৪২ হাজার ২৬৮ ও তৃতীয় লিঙ্গের ৪ জন। ১৮৫টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। আগামী মঙ্গলবার (২১ মে) এ উপজেলায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



ঢাকাস্থ বরিশাল বিভাগীয় আইনজীবী কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকাস্থ বরিশালের আইনজীবীদের বৃহত্তম সংগঠন বরিশাল বিভাগীয় আইনজীবী কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গঠনতন্ত্রের ১২ ধারা অনুযায়ী উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সিনিয়র অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম এমপি, অ্যাডভোকেট মো. শাহাজাদা ২০২৪-২০২৭ তিন বছরের জন্য ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরি কমিটির অনুমোদন করেন।

কমিটিতে সভাপতি হিসেবে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাধারণ সম্পাদক মো. মাগফুর রহমান শেখ ও সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খানকে।

এছাড়া কমিটির অন্যান্যরা হলেন সহ সভাপতি সৈয়দ মাহবুব হোসেন, এ কে এম আক্তার হোসেন, মোসাম্মৎ সুরাইয়া বেগম, জাকির হোসেন সরদার, মো. নাসির উদ্দিন, এম এ হালিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল হাওলাদার, মো. আসাদুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ মো. আল-আমিন রিজভী, সহ সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. আল আমিন, মো. আল-কুদরত এ্যাপোলো, পারভেজ হোসেন, শফিকুল ইসলাম মিজান, গাজী তৌহিদুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদুর হমান বাদল,  সৈয়দ বশির হোসেন চৌধুরী, মো. সাইদুর রহমান মাঈনুল,  নাসরিন হেনা, শ্যামল কুমার রায়, এম, মান্নান (মান্না), আইন সম্পাদক ব্যারিষ্টার শেখ তানভীর করিম রাসেল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা উম্মে ছালমা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার সানিয়ান রহমান, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সরদার মো. খলিলুর রহমান, সমাজ সেবা সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল মাহবুব, আবাসন সম্পাদক মো. জাফর আহম্মেদ, তথ্য সম্পাদক মো. মশিউর রহমান, শিক্ষা সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস, ক্রিড়া সম্পাদক সৈয়দ ইউনুস আলী রবি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নার্গিস পারভীন এলিজা, প্রচার সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল (বাচ্চু), দপ্তর সম্পাদক  মো. রুবেল আল মামুন, নির্বাহী সদস্য মো. নুরুল ইমান বাবুল, মো. হুমায়ুন কবির, মো. আকবর হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মোসা. মৌসুমী আক্তার, ফাতিমা আক্তার, মো. মাজহারুল আনোয়ার উজ্জ্বল, এরশাদুল কাওছার, হাফিজ আল মামুন, হাবিবা আক্তার, মাহবুবা জুই, মেহেদী মিলন, নুরুল ইসলাম সজিব এবং ৬ জেলার সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক।


আরও খবর