আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

হোয়াটসঅ্যাপ কি নিরাপদ!

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

সারাবিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ এখন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। হোয়াটসঅ্যাপের মূল উদ্ভাবক মেটার দাবি, তাদের প্ল্যাটফর্মে মেসেজ এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড, যার কারণে সিকিউরিটি বেশ শক্তিশালী। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে এমনও বহু অভিযোগ আছে যে অ্যাপ ব্যবহারকারীদের অজান্তেই মেসেজ পড়েন অন্যরা।

নিজের অজান্তের মেসেজ শনাক্ত

হোয়াটসঅ্যাপ ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ ডিভাইসে কিউআর স্ক্যান করে লগইন করতে হয়। ভুলবশত লগআউট না করলে সংশ্লিষ্ট ডিভাইসে প্রবেশ করে অনাহূত ব্যবহারকারীর মেসেজ দেখতে পারে। তাই অন্য কোনো ডিভাইসে লগইন করলে অবশ্যই লগআউট নিশ্চিত করতে হবে। যার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ওপেন করে থ্রি-ডট অপশনে ক্লিক করলে লিঙ্কড ডিভাইস নামে অপশন দৃশ্যমান হয়। ওই অপশনে কতগুলো ডিভাইসে লগইন হয়ে আছে, তা দেখা যাবে। লিঙ্কড ডিভাইসের ওপর ক্লিক করলেই লগআউট অপশন পাওয়া যাবে। লগআউটে ক্লিক করলে অন্য ডিভাইস থেকে অ্যাপটি পুরোপুরি লগআউট হয়ে যাবে।

প্রোফাইল সিকিউরিটি কন্টাক্ট লিস্ট সতর্কতা

স্মার্টফোনে এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক কন্টাক্ট সংরক্ষণ করে রাখা যায়। হোয়াটসঅ্যাপ সরাসরি ফোন কন্টাক্টের অ্যাকসেস নিয়ে থাকে। হোয়াটসঅ্যাপের বর্তমান নীতি অনুযায়ী যে কোনো ব্যক্তির কাছে কন্টাক্ট নম্বর থাকামাত্রই সে চাইলে কন্টাক্ট করার চেষ্টা করতে পারবে। সচেতন হতে হবে যে কার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে সংযুক্ত থাকতে চাই বা যোগাযোগ করতে চাই। বহু অপ্রয়োজনীয় নম্বরও কন্টাক্ট লিস্টে থাকতে পারে বা বহু পুরোনো কেউ, যার সঙ্গে বর্তমানে তেমন একটা যোগাযোগ নেই; সে ক্ষেত্রে এসব কন্টাক্ট ডিলিট করে দেওয়া বা তাদের হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করতে না দেওয়াই উত্তম।

ছবি নির্বাচনে সাবধানতা

হোয়াটসঅ্যাপে অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার মতো প্রোফাইল ছবি দেওয়া যায়। প্রোফাইলের ছবি নির্বাচনে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। যাতে প্রোফাইলের ছবি পরে কোনো বিব্রতকর পরিস্থিতিতে না ফেলে। প্রোফাইলের ছবি নিজের বা কর্মক্ষেত্রের খুব সাধারণ কোনো ছবি হওয়া উচিত। প্রোফাইলের ছবিটি যদি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া থাকে, তাহলে অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে ছবিটি হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত যে কারও নজরে আসতে পারে।

দুই স্তরের ভেরিফিকেশন

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে অবশ্যই দুই স্তরের ভেরিফিকেশন পদ্ধতি চালু রাখা উচিত। যাতে ব্যবহারকারীর অগোচরে অন্য কেউ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে অন্য কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে। সাধারণত ফোন নম্বর ব্যবহার করে ফোন ছাড়া অন্য ফোনে বা কম্পিউটারে হোয়াটসঅ্যাপ লগইন করার চেষ্টা করা যায়। অবশ্যই দুই স্তরের ভেরিফিকেশন পদ্ধতিতে অনুমোদনহীন লগইন প্রতিহত করা যায়।

পাবলিক শেয়ারে সতর্ক

অনেকে হয়তো জানেন না, হোয়াটসঅ্যাপে স্ট্যাটাস মেসেজ দেওয়া যায়, যা কিনা ভুল সেটিংসের কারণে পাবলিক মেসেজ হিসেবে সবার কাছে উন্মোচিত হতে পারে। এটা না করে সব সেটিংস বদলে স্ট্যাটাস মেসেজগুলো শুধু পরিবার, বন্ধু বা যারা হোয়াটসঅ্যাপে সংযুক্ত আছেন, তাদের জন্য উন্মুক্ত করা যেতে পারে।

গ্রুপে সবাইকে যুক্ত না করা

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রয়োজনীয় দিক হলো বিভিন্ন গ্রুপ এবং সেসব গ্রুপের আলোচনা। কাজের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজন মিলে গ্রুপ তৈরি করা যায়। যেসব গ্রুপের আলোচনা শুধু গ্রুপের সদস্যদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু কাউকে যে কোনো গ্রুপে যুক্ত করার বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। তা না হলে বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি সেটিংসে গিয়ে  (Who can add me to groups) তিনটি অপশন পাওয়া যায়। যেমন Everyone বা  My Contacts বা  My Contact Except; যার মধ্যে অবশ্যই Everyone অপশনটা বাদ দিয়ে বাকি দুটি অপশনের মধ্যে নির্বাচন করা নিরাপত্তার জন্য শ্রেয়।

হ্যান্ডসেটে ডাউনলোড না করা

হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলা বা মেসেজ বিনিময়ের বাইরেও প্রয়োজনীয় ফাইল শেয়ার করা যায়। এসব ফাইল যেন সরাসরি ফোন মেমোরিতে সেভ না হয়, সে বিষয়ে সচেতন হতে হবে। ডিফল্ট সেটিংস অনুযায়ী হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ারকৃত সব ছবি সরাসরি ফোন গ্যালারিতেই সংরক্ষিত হয়। শেয়ার করা ফাইল ব্যবহারকারীর অনুমতি সাপেক্ষে ফোন মেমোরিতে সংরক্ষিত হতে হবে। তা না হলে বহু অপ্রয়োজনীয় বা অপ্রত্যাশিত ফাইল নিজের স্মার্টফোনে সংরক্ষণ হতে থাকবে। ফলে ফোনের স্টোরেজ যেমন বেশি ব্যবহৃত হবে, তেমনি অপ্রত্যাশিত ফাইলের মাধ্যমে ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও থেকে যায়।

ক্লাউড স্টোরেজে অটো ব্যাকআপ না করা

হোয়াটসঅ্যাপে ব্যবহৃত সব তথ্য ক্লাউডে অটোমেটিক ব্যাকআপ না রাখাই শ্রেয়। তা না হলে ক্লাউডের মূল্যবান স্টোরেজ ব্যবহৃত হতে থাকবে; বরং প্রয়োজনীয় ব্যাকআপটুকু ক্লাউডে রাখার চর্চা করতে হবে। ফলে ক্লাউড স্টোরেজের বহুমাত্রিক ব্যবহার সুনিশ্চিত হবে।

আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও

হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কোনো রকম আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও শেয়ার করা থেকে বিরত থাকা উচিত। যেহেতু আমাদের দেশে পর্নোগ্রাফি শাস্তিযোগ্য অপরাধ (সাইবার ক্রাইম)। তাই এ সংশ্লিষ্ট কোনো ভিডিও, ছবি বা অডিও ফাইল অন্যের সঙ্গে শেয়ার করাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবেই বিবেচ্য। যদি কেউ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফি শেয়ার করেন, তাহলে যিনি এটি রিসিভ করছেন, তিনি চাইলে আইনি ব্যবস্থার সহায়তা নিতে পারবেন।

নিউজ ট্যাগ: হোয়াটসঅ্যাপ

আরও খবর



মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে নয়: রায় স্থগিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

‘মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে ফাঁসির আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা যাবে না’ হাইকোর্টের এই রায় ২৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

বুধবার (১৫ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

গতকাল (১৪ মে) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

এর আগে ১৩ মে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ সাড়ে ৩ ঘণ্টাব্যাপী রায় ঘোষণা করা হয়।

রায়ে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল, রিভিউ, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার ধাপগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না। বর্তমানে মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে সারা দেশে যত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে তাদের দুই বছরের মধ্যে ক্রমান্বয়ে সাধারণ সেলে রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে, বিশেষ কারণে (স্বাস্থ্যগত কারণ, সংক্রামক রোগ) কোনো ব্যক্তিকে নির্জন কক্ষে রাখতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির উপস্থিতিতে শুনানি হতে হবে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল, নাসিম ইসলাম রাজু।

গত বছরের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

গত বছরের ৫ এপ্রিল এ বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয় সেদিন। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।

২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনকারীরা হলেন- চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামির আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।


আরও খবর



সরকারি চাকরির বয়সসীমা নিয়ে আমার করা সুপারিশের কার্যকারিতা নেই: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে সেই সুপারিশের এখন আর কোনো কার্যকারিতা নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। রবিবার (১২ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমার সুপারিশপত্রের কার্যকারিতা এখন আর নেই। এটিকে নিয়ে জলঘোলা করে নানা জায়গায় দাঁড়িয়ে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা কখনোই কাম্য না। আমি আলোচনা করে জানতে পেড়েছি, মাত্র এক শতাংশ শিক্ষার্থী ৩০ বছর বয়সে চাকরি পাচ্ছেন। যেখানে এক শতাংশ মাত্র, সেখানে ৩৫ করলে আর কতই-বা বাড়বে? সেটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, কিছু চাকরিপ্রার্থী বিষটি নিয়ে অনুরোধ করেছিলেন, তাদের সঙ্গে আলোচনাকালে মনে হয়েছিল, এ বিষয়ে একটা সুপারিশ করা যেতে পারে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেই সুপারিশপত্র পুঁজি করে অনেকেই জল ঘোলা করার চেষ্টা করছেন।’

আন্দোলনকারীদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, একটি পক্ষ দেখা যাচ্ছে, সেই সুপারিশপত্র পুঁজি করে সংঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। সেখানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। আমি তাদের বলব, তারা একটি খারাপ কাজ করার চেষ্টা করছেন। এখানেই বিষয়টির সমাপ্তি ঘটেছে।’

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছেন উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে এ বিষয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জাতীয় সংসদে পরিষ্কার করে বলেছেন, যে সরকারের বা রাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্ত কী। এই বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে এই মুহূর্তে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেই, সেটা তিনি (জনপ্রশাসন মন্ত্রী) বলে দিয়েছেন।’


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বিশাল পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

সোমবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় তারা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাপ্ত হয়।

এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হাতে ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের পতাকা, ব্যানার ও প্লাকার্ড হাতে নিয়ে পদযাত্রায় অংশ নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা ও অন্যান্য ইউনিট থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হন।

মিছিলে ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন-স্টপ জেনোসাইড, স্বৈরাচার নিপাত যাক-ফিলিস্তিন মুক্তি পাক, উই ওয়ান্ট জাস্টিস-জয় জয় ফিলিস্তিন, ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি-প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

পদযাত্রায় অংশ নেওয়া ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করছে। ধ্বংস করছে পুরো গাজাকে। আমরা সাধারণ মানুষ হিসেবে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। ইসরাইল যে গণহত্যা চাচিয়েছে তার নিন্দা জানাই এবং আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় তাদের শাস্তি জানাই।

এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে একযোগে বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ।


আরও খবর



‘মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেত মিল্টন’

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জালিয়াতি ও প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে গ্রেপ্তার চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন বলে জানিয়েছে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। আজ রবিবার (০৫ মে) ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, মিল্টন সমাদ্দার সাইকোতে (মানসিক রোগী) আক্রান্ত। তিনি কীভাবে মানবতার ফেরিওয়ালা’ হলেন, তা বোধগম্য নয়।’

তিনি আরও বলেন, মিল্টন কিন্তু স্বীকার করেছেন, তার অপারেশন থিয়েটারে ব্লেড-ছুরি আছে। এগুলো দিয়েই তিনি অপারেশন করতেন।’

ডিবির হারুন বলেন, তার স্ত্রী মিতু হালদার ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও বানাতে কারা সাহায্য করতেন, তার ব্যাংক হিসাবে কারা টাকা পাঠাতেন, কীভাবে তিনি মানবতার ফেরিওয়ালা’ হলেন, সবকিছুর তদন্ত করা হচ্ছে।’

এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে ডাকা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি।

এদিকে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে গতকাল শনিবার দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তাকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব।’


আরও খবর



চীনের মহাসড়কে ধস, নিহত অন্তত ১৯

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে গভীর রাতে একটি মহাসড়কের একাংশ ধসে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। বুধবার (১ মে) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার স্থানীয় সময় রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে মেইঝো শহর এবং ডাবু কাউন্টির মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী এস১২ হাইওয়ের ১৭.৯ মিটার (৫৮.৭ ফুট) প্রসারিত অংশ ধসে পড়ে। এতে ১৮টি গাড়িতে কয়েক ডজন লোক সেখানে আটকা পড়ে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং ৩০ জনকে হাসপাতালে জরুরি সেবা দেয়া হচ্ছে। তবে হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের জীবন বর্তমানে ঝুঁকির মধ্যে নেই।

এদিকে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য কর্তৃপক্ষ প্রায় ৫০০ জনকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে মহাসড়কটি ধসে পড়েছে তা এখনো স্পষ্ট না।


আরও খবর