আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

হলুদ তরমুজ চাষে ১০ গুণ বেশি লাভ দেখছেন জয়পুরহাটের চাষিরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জয়পুরহাট প্রতিনিধি:

কৃষির উপর নির্ভরশীল দেশের উত্তরের জেলা জয়পুরহাট। ধান ও আলুর উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটের কৃষকরা এবার গ্রীষ্মকালীন তরমুজ ইয়োলো, গ্রিন, বস্ন্যাকবেরি, মধুমালা, জেসমিন ও তইওয়ানের গোল্ডেন ক্রাউনসহ কয়েক রকমের তরমুজ চাষে সফলতা অর্জন করেছে। কম খরচে অধিক লাভ আর বারোমাস ফলন হওয়ায় এ তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন এই অঞ্চলের চাষিরা। নিজ জেলার চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বানিজ্যিকভাবে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মাচা পদ্ধতিতে বিদেশী নানান জাতের এই তরমুজের চাষ।

পাঁচবিবি উপজেলার শিরট্টি, ভূতড়াড়ি ও মাধাইনগর এলাকার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় অন্য ফসল বাদ দিয়ে অসময়ের ফসল এ তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন এলাকার কৃষকরা। সাধারন  অসময়ে ক্ষেতে তরমুজ মাচায় মাচায় ঝুলছে চায়না ও থাইলান্ডের মধুমালা আর তৃপ্তি জাতের তরমুজ। বাজার মূল্য অনেক ভালো হওয়ায় ধানসহ অন্যান্য ফসল বাদ দিয়ে কালচে ও হলুদ রঙের তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন এখানকার কৃষকরা। খাদ্য গুণাগুণে সমৃদ্ধ এ ফলের ভেতরে দেখতে লাল ও রসাল, খেতেও অনেক সুস্বাদু এবং মিষ্টি। ফলে বাজারে এ তরমুজের চাহিদাও অনেক বেশি। বর্তমানে এ তরমুজ জেলার বিভিন্ন আনাচে-কানাচে বিক্রির পাশাপাশি পাঠানো হচ্ছে ঢাকা সহ  দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের ভূতগাড়ি গ্রামের সোহেল, সুজাউল, ডাবলু, দুলু মিয়াসহ অনেকেই বিদেশী জাতের এই তরমুজের চাষ করছেন। জমিতে বেড করে মাটির সঠিক আদ্রতা ধরে রাখতে মালচিং পেপার দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। ১৮ ইঞ্চি ফাঁকে জুন মাসে চায়না ও থাইল্যান্ডের মধুমালা আর তৃপ্তি জাতের তরমুজের বীজ রোপন করেন কৃষকেরা। পুরো ক্ষেতে বাঁশের খুঁটির উপরে চিকন দড়ি জালের মতো করে বিছিয়ে মাচা তৈরী করা হয়েছে। মাত্র ৪০ দিনের মধ্যে গাছে ফুল ও কুঁড়ি আসে। আর ৭০-৮০ দিনে পরিপক্ক হয়ে মাচার ডগায় ডগায় ঝুলে পড়ে হলুদ, কালো, ডোরাকাটা নীল রঙের এ তরমুজ। ওইসব তরমুজের ওজন আড়াই থেকে চার কেজি হয়। এখানকার তরমুজগুলো বিষ ও ফরমালিন মুক্ত ও পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ বলে দাবী চাষিদের। চহিদা বেশি, ভলো দাম পাওয়ায় খুশি বলেও জানান তারা। অন্যান্য ফসলের মতো তরমুজ বিক্রির জন্য বাজারে যেতে হয় না। ব্যবসায়ীরা ক্ষেত থেকে সরাসরি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

হাজীপাড়া গ্রামের সফল তরমুজ চাষি পাপ্পু মন্ডল বলেন, পাশের গ্রাম ভূতগাড়ী এলাকায় তরমুজ চাষ হচ্ছে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আমার ১০ শতাংশ জমিতে বেড করে চায়না ও থাইল্যান্ডের মধুমালা জাতের তরমুজের বীজ বপন করি। ৪০দিনের মধ্যে গাছে প্রচুর ফুল ও কুড়ি আসে। এখন মাচায় ডোগায় ডোগায় দোল খাচ্ছে আড়াই থেকে চার কেজি ওজনের তরমুজ। তরমুজগুলো কাটলে ভেতরে টুকটুকে লাল, রসাল আর খেতে মিষ্টি ও খুব সুস্বাদু। বর্তমানে বাজারে এ তরমুজের চাহিদা অনেক বেশি, দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিটি তরমুজ গড়ে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রী হচ্ছে। খরচ বাদে প্রায় দেড় লাখ টাকার তরমুজ বিক্রী করার আশা করছেন পাপ্পু মন্ডল।

পাশের তরমুজ চাষি দোলন কুমার বলেন, এক ময় ধান, আলু, বেগুনসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করতাম। অনেকেই বিদেশী জাতের তরমুজ চাষ করছে দেখে আমি এবার পরীক্ষামূলকভাবে ১ বিঘা জমিতে তিন রকম জাতের তরমুজ চাষ করেছি। ১ বিঘায় খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি হয়েছে বলে জানান দোলন কুমার। তিনি বলেন- জমিতে থাকা তরমুজ বিক্রি হবে আরও প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। সবকিছু মিলিয়ে খরচ বাদে প্রতি বিঘা জমিতে লাভ থাকবে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

এদিকে দেখা গেল তরমুজের ক্ষেত দেখতে ভিড় করছেন বিভিন্ন এলাকার লোকজন। আবার কেউ কেউ তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন জমি থেকে। অসময়ে এ তরমুজ বাজারে বিক্রি হয় ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে এবং জমির পাশে রাস্তায় বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা দরে।

কথা হয় তরমুজ ক্ষেত দেখতে আসা ইলিয়াস, আলমগীর হোসেন, কনকসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা বেশ কয়েক জনের সঙ্গে। তারা বলেন, অসময়ে তরমুজ চাষ হচ্ছে এবং এর ফলনও বেশ ভালো। এছাড়া স্বাদ ও গুনগতমান ভালো হওয়ায় এখন আগ্রহভরে তরমুজ চাষের জন্য পরমর্শ নিতে আমাদের মতো অনেকেই আসছেন।

জয়পুরহাট পৌরশহরের তরমুজ ব্যবসায়ী সুমন কুমার বলেন, আওলাই ইউনিয়নের উৎপাদিত তরমুজগুলোর গুনগত মান অনেক ভালো। এ এলাকার তরমুজগুলো বিষ ও ফরমালিন মুক্ত হওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদা অপনেক বেশি। বর্তমানে প্রতি মণ তরমুজ ১ হাজার ৮শ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত কিনে ঢাকা, রাজশাহী, বগুড়া, নওগাঁ, নাটোর সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে।

জানা গেছে, ২০১৮ সালে স্থানীয় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা এহেড সোস্যাল অর্গানাইজেশন এসো সর্ব প্রথম জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের ভাড়াহুত গ্রামের কৃষক আবু মুসা মাত্র আড়াই শতক জমিতে মাচায় বস্ন্যাকবেরি মধুমালা তরমুজ চাষ শুরু করেন। মাত্র ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ করে এ তরমুজের চাষ করে ৭০ দিনে লাভ হয় ২২ হাজার টাকা। তার এ সাফল্য দেখে জেলার বিভিন্ন এলাকায় তরমুজ চাষ চড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে জেলার তিনটি উপজেলার বিভিন্ন  এলাকায় প্রায় ৪০০ বিঘার বেশি জমিতে এই তরমুজের চাষ চলছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম ও এসো এনজিও নির্বাহী পরিচালক মোঃ মতিনুর রহমান বলেন, কৃষি অফিস ও এনজিওর উদ্বুদ্ধকরনের মাধ্যমে এলাকার কৃষকেরা অসময়ে মাচায় তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। ফলে আগামী বছরে এ জাতের তরমুজ চাষে কৃষকদের আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

তিনি জানান, জেলার তিনটি উপজেলয় প্রায় ৪০০ বিঘারও বেশি জমিতে এবার মাচায় তরমুজ চাষ হয়েছে। ইয়োলো, গ্রিন, বস্ন্যাকবেরি, মধুমালা, জেসমিন ও তাইওয়ানের গোল্ডেন ক্রাউনসহ কয়েক জাতের তরমুজ চাষ এখানে হচ্ছে। এলাকারয় তরমুজ চাষের জন্য কৃষকদের উন্নত জাতের বীজ সংগ্রহের পরামর্শ এবং বালাইনাশক ব্যবহারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধমে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। নতুন পদ্ধতির এ তরমুজ চাষ করে বাড়তি আয় হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবেও স্বাবলম্বী হচ্ছেন জেলার কৃষকরা। সফল হওয়ায় এ তরমুজ চাষ নিয়ে এলাকার কৃষকের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।


আরও খবর



নয়াপল্টনে চলছে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে শ্রমিক দলের উদ্যোগে দুপুর সাড়ে ৩টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হয়।

তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে সমাবেশে যোগ দিতে নয়াপল্টনে জড়ো হয়েছে শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা। বেলা ১২টার পর থেকে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়াপল্টন সরগরম হয়ে উঠে।

৫টি ট্রাকের উপর অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন ইউনিট থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শ্রমিক নেতা-কর্মীরা কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে, নেচে-গেয়ে, নানা রঙ্গের পোশাক পরে তারা সমাবেশে অংশ নিয়েছে। মাথায় লাল ক্যাপ পরিধান করেছেন সমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা।

এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও বক্তব্য রাখবেন জাতীয়, শ্রমিক ও অঙ্গ সংগঠন নেতারা। সভাপতিত্ব করছেন শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া সাদা পোশাকে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিতি রয়েছেন।


আরও খবর



মরুভূমিতে উত্তাপ ছড়ালেন অধরা, ছবি ভাইরাল

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা অধরা খান। ঈদের পরপরই অবকাশ যাপনে উড়াল দিয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অধরা। সেখানে গিয়ে শখের বসে কিছু ছবি তুলেন। নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে আবেদনময়ী কিছু ছবি শেয়ার করেছেন ভ্রমণপ্রিয় এই আলোচিত চিত্রনায়িকা।

ছবিতে এলিগ্যান্ট লুজ কটন লিনেন লং ডিপ নেক ল্যান্টার্ন ফুল স্লিভ ড্রেসে দেখা গেছে অধরাকে। ম্যাট গোল্ডেন কালারের এই ড্রেসটা তিনি আমেরিকার লাসভেগাস থেকে কিনেছিলেন বলে জানিয়েছেন। উরু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত খোলা এই ড্রেসের সঙ্গে অধরা পরেছেন স্পোর্টস কেডস। একের পর এক পোজ দিয়ে ছবি তুলে গেছেন মরুর বুকেই।

জানা গেছে, বর্তমানে মা এবং বড় বোনসহ দুবাইতে অবস্থান করছেন এই নায়িকা। সেখানকার ডেজার্ট সাফারি করতে গিয়ে অধরা অপ্সরা রূপে ধরা দিয়েছেন।

দুবাই থেকে অধরা খান জানান, মাকে নিয়ে দুবাই গেছেন মূলত ঈদের ছুটি কাটাতে। সেখান থেকে সৌদি আরবে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল উমরাহ পালনের জন্যে; কিন্তু সৌদি সরকার উমরাহ ভিসানীতি পরিবর্তনের কারণে সেখানে আর যাওয়া হয়নি। এরপর দেশে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন; কিন্তু দুবাইয়ে অতিবৃষ্টির কারণে বিমানবন্দরে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় দেশে ফিরতে পারেননি। তবে ফ্লাইট চালু হওয়ায় ৩০ এপ্রিল মাকে নিয়ে দেশে ফিরছেন।

দুবাই সফর নিয়ে অধরা খান বলেন, পারিবারিক ব্যবসায়ের কারণে বছরে কয়েকবার আমাকে দুবাই যেতে হয়; কিন্তু এবারের সফরটা ছিল আম্মু, আমি এবং প্রবাসী বড় বোন অহনাকে নিয়ে দুবাইয়ের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়ানো। বলতে পারেন, সময়টায় আসলে চেষ্টা করেছি একটা ফ্যামিলি ভ্যাকেশন করার।’

ছবিগুলো প্রসঙ্গে এই নায়িকা বলেন, ছবিগুলো গেল ২২ এপ্রিল তোলা। সেখানে যারা ডেজার্ট সাফারি ট্যুরে আমাদের গাইড করেছেন, ছবিগুলো তারাই তুলে দিয়েছেন। ভাবতে পারিনি মোবাইলে ক্যাপচার করা ছবিগুলো এত সুন্দর এবং ভাইরাল হবে।’


আরও খবর



সোনারগাঁওয়ে লিচু চাষিদের মাথায় হাত

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সোনারগাঁও (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

সোনারগাঁয়ে এখন প্রতিটা বাড়ির আঙিনা ও উচু জমিতে ব্যপক ভাবে লিচুর চাষ হচ্ছে। লিচু চাষের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও লিচু ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় সোনারগাঁয়ে এখন  ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় তিন শতাধিক লিচু বাগান রয়েছে। এর মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে সোনারগাঁয়ের লিচু।

তবে এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ও সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় কারণে সোনারগাঁয়ে লিচুর ফলন অনেকটা কম হয়েছে। তাছাড়া গুটি থাকার সময় শিলাবৃষ্টিতে লিচুর মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। ফলে সোনারগাঁয়ের লিচু ব্যবসায়ীদের এবার মাথায় হাত।

খরার কারণে ঝরে পড়েছে অধিকাংশ বাগানের লিচু। অনাবৃষ্টি ও অতি তাপের কারণে লিচুর সাইজও হয়েছে অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক ছোট। এ বছর বেশিরভাগ লিচু ব্যবসায়ীই লিচুর সঠিক দাম পাচ্ছেনা।

সোনারগাঁয়ে সাধারণত তিন প্রজাতির লিচুর ফলন হয়ে থাকে। পাতি লিচু, কদমী লিচু ও বোম্বাই (চায়না-৩) লিচু।

বাংলাদেশের অনেক জেলায় লিচুর বাম্পার ফলন হলেও আবহাওয়ার বৈশিষ্ট্যের কারণে সোনারগাঁয়ের লিচু আগে পাকে। যে কারণে সোনারগাঁয়ের লিচু প্রতিবছরের মে মাসের প্রথমদিকেই বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যায় লিচু চাষিরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার খাসনগর, চিলারবাগ, দৈলরবাগ, পানাম, নোয়াইল, দত্তপাড়া, বাগমুছা, অর্জুন্দী, হাতকোপা, দরপত, ছাপেরবন্ধ, গোয়ালদী, টিপরদী, হরিষপুর, ভট্টপুর, লোকশিল্প জাদুঘর, গোবিন্দ্রপুর, গাবতলী, হারিয়া, বৈদ্যেরবাজার, তাজপুর, সাদীপুর, ইছাপাড়া, দুলালপুর, বারদী, সেনপাড়া, বালুয়া দিঘীরপাড়সহ প্রায় ৫০টি গ্রামে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে দুই শতাধিক লিচু বাগান। এসব লিচু বাগানে প্রতিবছর পাতি লিচু, কদমী লিচু ও বোম্বাই (চায়না-৩) লিচুর ফলন হয়ে থাকে।

সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, লিচুচাষিরা তাদের লিচু বাগানে অব্যাহতভাবে পাহারা দিচ্ছেন। কাক, বাদুর, চামচিকা ও চোরের হাত থেকে লিচু রক্ষা করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

হাড়িয়া চৌধুরী পাড়া গ্রামের লিচু ব্যবসায়ী তাইজুল ইসলাম জানান, সোনারগাঁয়ে এবার লিচুর ফলন খুবই কম হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় লিচু অনেকটা ঝরে পড়েছে। তাছাড়া আকারে অনেকটা ছোট হয়েছে। তাই এবছর লিচু ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হবে। আগামী ২-১ দিনের মধ্যে বিক্রি করার জন্য সোনারগাঁয়ের লিচু বাজারে তোলা হবে।

সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁয়ে লিচু পাকার জন্য চাষিরা কোনো কেমিক্যাল প্রয়োগ করে না। তবে লিচু বড় হওয়ার ক্ষেত্রে হরমোন জাতীয় ওষুধ, লিচুর কালার নষ্ট না হওয়ার জন্য ছত্রাকনাশক ও পোকার উপদ্রব বন্ধ করার জন্য তারা কীটনাশক প্রয়োগ করে থাকেন। এসব কীটনাশক মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলার কথা নয়। তবে পরিমাণে বেশি প্রয়োগ করলে অবশ্যই তা ক্ষতিকর।


আরও খবর



বৃষ্টি কবে থেকে, জানাল আবহাওয়া অফিস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহে দিশাহারা হয়ে পড়েছে মানুষ। অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠছে শ্রমজীবী মানুষরা। গরমের কারণে বাড়ছে ডায়রিয়াসহ নানা রোগ। এরইমধ্যে আবহাওয়া অফিস জারি করেছে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট। এই দুর্বিষহ সময়ে জনজীবনের একমাত্র প্রতীক্ষা বৃষ্টির। এবার সেই অন্তিম সুখবরের পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। তারা বলছে, হিট অ্যালার্ট শেষে সামনের সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯টায় দেওয়া বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়া বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বৃষ্টি। আগামী মে মাসে বৃষ্টিপাত বাড়লে দাবদাহ অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের।

এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজ থাকতে পারে।

খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামী দুদিন সিলেট অঞ্চল ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা নেই। একই সঙ্গে এ সময়ে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আরও খবর



হবিগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের হুরগাও গ্রামের হারুন মিয়া হত্যা মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ২১ বছর পর এ মামলার রায় এলো।

হবিগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ-১-এর বিচারক মো: আজিজুল হক মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জালাল মিয়া, রুহুল আমিন, কুতুব আলী, ফজল মিয়া, রফিক মিয়া, জাকির হোসেন, আব্বাছ উদ্দিন।

আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ছায়েদ মিয়া, মিজান মিয়া, আব্দুল মতলিব, কালা মিয়া, জিয়াউল হক, আয়াত আলী, ইছাক মিয়া, কুতুব আলী, জজ মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া।

২০০৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হুরগাও গ্রামে গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে হারুন মিয়াকে হত্যা করা হয়। একই দিন তার চাচাতো ভাই সুমন আহমেদ ৪৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২১ বছরে রাষ্ট্রপক্ষ ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনকে আদালতে উপস্থাপন করে। আসামিদের মধ্যে আটজন বিভিন্ন সময় স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করায় তাদেরকে হত্যা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

রায় ঘোষণার সময় একজন ছাড়া সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সালেহ উদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর