আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

হাত পাখায় ঘুরছে ভাগ্যের চাকা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ এপ্রিল ২০22 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ এপ্রিল ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
Image

নওগাঁ প্রতিনিধি:

গরমের তীব্রতা আর ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণে কদর বেড়েছে তালপাতার তৈরি হাতপাখার। তালপাতার হাতপাখার কদর বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় অর্ধশতাধিক পরিবারে ফিরে এসেছে কর্মচঞ্চলতা। তালপাতার হাতপাখা তৈরি করে সচ্ছলভাবে জীবিকা নির্বাহের আশায় উপজেলার পাখা গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার বরাবরই বছরের এ সময় নিজেদেরকে ব্যাপকভাবে নিয়োজিত করেন হাতপাখা তৈরির কাজে। যত গরম তত কদর। এ ছাড়াও বৈশাখে অনুষ্ঠিত গ্রামীণ মেলা গুলোতে পাখার চাহিদা থাকে দেখার মত। আর এ কদর থেকেই ব্যাপক সফলতা পাচ্ছেন পাখা কারিগররা।

রান্না করার পাশাপাশি চলছে হাতপাখা তৈরির কাজ। উঠানে বিশ্রামের সময় গল্প করতে করতেও চলছে পাখা তৈরির কাজ। ১০ বছরের শিশু থেকে ৭০ বছরের বৃদ্ধা পর্যন্ত করছেন এ কাজ। যে গ্রামে প্রতিনিয়তয় এমন দৃশ্য চোখে পড়বে সেই গ্রামের নাম ভালাইন হলেও পাখা তৈরির কাজে নিয়োজিত অর্ধশতাধিক পরিবারের কারণে গ্রামটি এখন পাখা গ্রাম হিসেবেই পরিচিত। নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কিমি. দক্ষিণ-পূর্বে উত্তরগ্রাম ইউনিয়নে অবস্থিত এ ভালাইন গ্রাম। সাজানো-গুছানো এ গ্রামটি যেন হাতপাখার রাজ্যে পরিণত হয়েছে। তালপাতার নানা ডিজাইনের হাতপাখা তৈরি ও বিক্রি করাই এ গ্রামের মানুষের অন্যতম পেশা। এ গ্রামের গৃহবধূরা সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন তালপাতার নজরকাড়া হাতপাখা তৈরির কাজে। এখানকার অর্ধশতাধিক পরিবারের শত শত সদস্যগণের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে তাল পাতার তৈরি হাত পাখায়। প্রতি বাড়িতেই এ সময় চলে ধুম করে পাখা তৈরির কাজ। এ সময়গুলোতে যেন কারো ফুরসত নেই। বাড়ির মেয়েরা ব্যস্ত পাখা তৈরির কাজে। পাখা তৈরি ও সুতা দিয়ে বাঁধাইয়ের কাজটি বাড়ির মেয়েরাই করে থাকেন। বিভিন্ন স্থান থেকে তালপাতা সংগ্রহ, পাতা ছাঁটাই ও তৈরি পাখা বিক্রির কাজ করেন বাড়ির পুরুষ সদস্যরা।

পাখা গ্রামের পাখা কারিগর সালমা বানু জানান, বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ির অন্যান্যদের সহায়তায় তিনি এখন পাখা তৈরিতে পারদর্শী হয়ে উঠেছেন। তালের পাতা মাপমত কাটা ও ছাঁটাই থেকে শুরু করে কয়েক ধাপে শেষ হয় পাখা তৈরির কাজ। পাখা তৈরির শেষ ধাপে রয়েছে সুতা দিয়ে বাঁধাই। সালমা জানান, তিনি এখন প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৭০টি পাখা প্রস্তুত করতে পারেন। সালমার এখন প্রতিদিন গড় আয় ৩শ থেকে ৩৫০ টাকা। পাখা তৈরি থেকে পাওয়া আয়ের এ টাকা দিয়ে সংসার চালানোর পাশাপাশি সস্তানকে লেখাপড়া করানোর দায়িত্ব বহন করেন তিনি। শুধু সালমা নয়, এ গ্রামের ফাতেমা, শিউলি, মোরশেদা, আসিয়া, পারুলসহ অধিকাংশ পরিবারই পাখা তৈরি ও বিক্রির উপর নির্ভরশীল। পাখা কারিগর পারুল জানান, গরমকালে পাখার চাহিদা ও দাম দুটোই বাড়ে। শীতকালে পাখার চাহিদা না থাকার কারণে ও মজুদ করে রাখারমত সামর্থ্য না থাকায় পেটের দায়ে অল্প দামে মহাজনদের কাছে তারা পাখা বিক্রি করতে বাধ্য হয়। কারিগররা জানান, একটি পাখা তৈরি করতে ৭ থেকে ৮ টাকার উপরে খরচ হয়। সেই পাখা তারা ২ থেকে ৩ টাকা লাভে মহাজনদের কাছে বিক্রি করে দেন। মহাজনরা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে ওই পাখা ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করেন। এতে পাখার মহাজনরা শুধুমাত্র পুঁজি খাটিয়ে বেশি লাভবান হলেও হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে পাখা তৈরি করেও লাভবান হতে পারে না তারা।

পাখার মহাজন ওসমান আলী জানান, এখানে তৈরিকৃত পাখার মান ভালো হওয়ায় বাজারে চাহিদা বেশি। এতে শীত মৌসুমে পাখার বাজারে চাহিদা না থাকায় অতি কম মূল্যে কারিগরদের কাছ থেকে প্রায় ৫ হাজার পাখা ক্রয় করে রেখেছেন। বর্তমানে ক্রয় করে রাখা পাখা বাজারে দ্বিগুণ মূলে বিক্রি হচ্ছে। 

প্রবীণ পাখা তৈরির কারিগর কাশেম আলী জানান, বিদ্যুৎ আসার আগে হাতপাখার আলাদা একটা কদর ছিল। বাজারে পাখার মূল্যও ভালো পাওয়া যেত। এখনো পাখার চাহিদা আছে তবে আগের মত নয়। এক সময় এ জেলায় প্রচুর পরমান তালপাতা পাওয়া যেত। যা এখন আর তেমন পাওয়া যায় না। ফলে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে তালপাতা সংগ্রহ করতে হয়। ফলে খরচ বেশি হয় লাভ কমে যায়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাসান আলী জানান, পাখা গ্রামের বাসিন্দারা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অনেক কষ্ট করে এক একটি পাখা তৈরী করে। তবে তাদের কষ্টের তুলনায় তারা সঠিক মূল্য পায়না। অভাব-অনটনের সংসারে শীত মৌসুমে তাদের তৈরি পাখা বাজারে তেমন চাহিদা থাকে না ফলে মহাজনদের কাছে অল্প দামে পাখা বিক্রয় করে দেয়। কেউ কেউ আবার দাম ধরে আগাম টাকা নেয়। পাখার কারিগরদের অভাবের কারনে পাখা মজুদ করে রাখা সম্ভব হয় না। এতে লাভের অংশ চলে যায় মহাজনদের ঘরে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে সহজ শর্তে কারিগরদের ঋণ সুবিধা দিতে পারলে মহাজনদের হাত থেকে রেহায় পাবেন হাত পাখায় জীবন জীবিকা বাঁধা এ মানুষগুলো।

নিউজ ট্যাগ: নওগাঁ

আরও খবর



সোনার দাম ভরিতে বাড়ল ৪৫০০ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রতি ভরি সোনার দাম সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে এক লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। যা আগামীকাল বুধবার থেকে কার্যকর হবে। 

মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৮ হাজার ৯০ টাকায় বিক্রি হবে।

সোনার দাম বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

আজ (মঙ্গলবার) ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৫ হাজার ৮৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯০ হাজার ৭৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৫ হাজার ৪৮৯ টাকায় বিক্রি হয়।


আরও খবর



পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল রেকর্ড পৌনে ৮ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে এবার রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গেছে। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

২২০ জনের একটি দল দীর্ঘ সাড়ে ১৮ ঘণ্টায় এ টাকা গণনা কাজে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।

গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স খুলে পাওয়া রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা মসজিদের দোতলায় এনে গণনার কাজ চলে।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। টাকাগুলো পুলিশি নিরাপত্তায় রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সূত্রে জানা গেছে, ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাঙ্ক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়ে। তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।


আরও খবর



বনানীতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বনানীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে পোশাক শ্রমিকরা। জাহাঙ্গীর গেট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় সব সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে যারা এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন তাদের ভোগান্তি বেশি।

শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন পোশাক শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ করছেন শ্রমিকরা। তারা সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সৈনিক ক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করেন। তাদের বোঝানো হয়েছে তবুও সড়ক থেকে সরে যাচ্ছেন না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা গার্মেন্টসটির মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা ঘটনাস্থলে এলে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সড়ক স্বাভাবিক করতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।


আরও খবর



ঢাকা ছাড়লেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তিন দিনের সফর শেষে, ঢাকা ছাড়লেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। টানা দুইদিন ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ভোর পৌনে ৪টায় শাহজালাল বিমান বন্দর ছাড়ে, তাকে বহনকারী বিমান। এই সফরে তিনি সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকটি বৈঠক এবং মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

মঙ্গলবার ঢাকা পৌঁছে তিনি নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মীদের সাথে বৈঠক করেন। রাতে, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসভবনে বৈঠক করেন। সেখানেই ছিলো নৈশভোজের আয়োজন।

বুধবার, তিনি পররাষ্ট্র সচিব, পরিবেশ মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথেও বৈঠক করেন। যৌথ ব্রিফিংয়ে ডোনাল্ড লু বলেন, বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কন্নোয়ন চায় যুক্তরাষ্ট্র।


আরও খবর



ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: জবি শিক্ষার্থীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৩ মে) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে আবু মুসা রিফাত নামে এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ বলা হয়, আসামি তিথি সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের একজন শিক্ষার্থী। তিনি ১৬ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেন। যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।

আসামি তিথি সরকার বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের (জ.বি) শাখার দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার কারণে তাকে সংগঠন থেকে বরখাস্ত করা হয়। একই অভিযোগে ২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত আদেশে তিথি সরকারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।


আরও খবর