আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

হাত বদলে সবজির দাম বাড়ে দ্বিগুণ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পাইকারদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সবজি আসে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে। এসব সবজি আড়ত থেকে মাত্র এক হাত বদলি হয়ে রাজধানীর বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ দামে। কারওয়ান ও মহাখালী এবং বাড্ডা এলাকার বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। ঘড়ির কাঁটা রাত ১০টা পার হতে না হতেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে একের পর এক সবজিভর্তি ট্রাক ঢুকতে দেখা গেছে রাজধানীর এই পাইকারি কাঁচাবাজারে। ট্রাক থামানোর পর পরই মাল খালাস করা হয়। ভ্যানযোগে সবজিগুলো নেওয়া হয় আড়তে। এরপর সেখান থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে সবজি কিনতে শুরু করেন।  

বাজারটিতে দেখা দেখা গেছে, বিভিন্ন আড়তে পাইকারিতে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকা কেজিতে। তার চেয়ে একটু বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চিচিঙ্গা। এই সবজিটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে। ঢেড়স ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে। একই দরে বিক্রি হয় পটল। কাঁকরোল ও কচুরমুখী বিক্রি হয় ৩০ টাকা কেজিতে। এদিকে কাঁচামরিচ বিক্রি করতে দেখা গেছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে। এর মধ্যে সাদা কাঁচামরিচ ৯০ টাকা কেজি। কালো ঝাল বেশি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজিতে। মূলা ৩০ টাকা, করলা ৪৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫-২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাউ আকার ভেদে ২৮-৪০ টাকা। চাল কুমড়া বিক্রি হচ্ছে আকার ভেদে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। 

আরেক আলোচিত সবজির মধ্যে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। এর মধ্যে সাদা গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিতে। লম্বা কালো বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। আর বাজারে নতুন আসা লাল গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। বাজারে দেশি সবজির মধ্যে সবচেয়ে দামি হলো শসা। দেশি শসা বিক্রি হয় ৬০ টাকা কেজিতে। নতুন সিম বিক্রি হয় ১২০ টাকায়, টমেটো বিক্রি হয় ৯০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা এবং কচুরমুখী ৩০ টাকা বিক্রি হয়েছে কেজিতে। এছাড়াও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৬ টাকা কেজিতে। আমদানি পেঁয়াজ ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা, আলু ২২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে কেজিতে। আরেক আলোচিত পণ্য মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা হালিতে। অর্থাৎ ১০০ ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায়।

একই পণ্য রাজধানীর মহাখালী ও বাড্ডা বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ দামে। বাজার দুটিতে সব চেয়ে কম দামি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজিতে। অর্থাৎ ১০ থেকে ১২ টাকার পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ৯০ টাকার কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০টাকায়। ৩৫ থেকে ৪০ টাকার লম্বা বেগুন বিক্রি হয় ৮০ টাকা কেজিতে। ৬০ টাকার শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। একইভাবে কাঁকরোল ৬০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কচুর মোটা লতি ৭০ টাকা, চিকন লতি ৮০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, গাজর ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাউ ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার ফালি ৩০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ টাকা পিস হিসাবে এবং কাঁচা কলা ৪০ টাকা ও লেবু ২০ থেকে ২৫ টাকা হালি ধরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও দেশি ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। আর ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা হালিতে।

খচুরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবজি কেনা থেকে শুরু করে ‍বিক্রি পর্যন্ত পদে পদে খরচ। এই খরচের কারণেই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। তারা বলেন, আপনারা শুধু পাইকারি বাজারের দামই দেখেন। তারপর ৬ থেকে ৭ ধরনের খরচ দিতে হয়, সেটা তো দেখেন না। আমরা কেজি প্রতি ৩ থেকে ৫ টাকার বেশি লাভ করি না। 

মহাখালীর ব্যবসায়ী আশিকুর রহমান বলেন, আড়ত থেকে সবজি আনতে অনেক হিডেন কস্ট আছে। সবজি নিয়ে আসতে যাতায়াতে চাঁদাসহ ছয় থেকে সাত ধরনের খরচ আছে। এ কারণে পাইকারি বাজারের সাথে খুচরা বাজারের দামের মিল থাকে না। আমার সাথে একজন কাজের লোক থাকে তার খরচ, লেবার খরচ, যে জাগায় মাল কিনে রাখি সেখানের খরচ, ভ্যান ভাড়া এবং চাঁদাসহ নানা খরচের কারণে পাইকারি বাজারে চেয়ে খুচরা বাজারে দাম বেশি।

বাড্ডার ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন দিপু  বলেন, আগের চেয়ে সবকিছুর দাম বাড়তি। ফলে সবজি একটু কম দামে কিনলেও অনান্য খরচের শেষে কেজি প্রতি কখনো ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করতে হয়। আমরা তো লোকসান দিয়ে বিক্রি করব না। 

ঝিনাইদহ থেকে ১৫ টন সবজি নিয়ে কারওয়ান বাজারে আসা ট্রাক ড্রাইভার আরিফ  বলেন, কুষ্টিয়া থেকে আসা যাওয়ায় তার প্রয়োজন ১০০ লিটার ডিজেল। সরকার তেলের দাম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ট্রিপে খরচ বেড়েছে ৪ হাজার থেকে চার হাজার ২০০ টাকা। এই বাড়তি খরচ বহন করে ব্যবসায়ীরা। আর কিছু অংশ বহন করেন মালিকরা। তাতে ট্রিপ প্রতি ১০ হাজারের জায়গাতে মালিকরা পায় ৮ হাজার থেকে সাড়ে আট হাজার টাকা। অর্থাৎ তাদের দেড় থেকে দুই হাজার টাকা লাভ কমেছে। কারওয়ান বাজারে ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান আকন্দ  বলেন, আমরা অল্প লাভ রেখেই সবজি বিক্রি করে দেই। কিন্তু এই সবজি খুচরা বাজারে গেলেই দাম বেড়ে যায়। কী কারণে বাড়ে তা বলতে পারব না। খুচরা বাজারে যে দামে সবজি বিক্রি হয় তা অকল্পনীয়।

নিউজ ট্যাগ: কারওয়ান বাজার

আরও খবর



বৃষ্টির পরও ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারা দেশে চলমান তীব্র দাবদাহের মধ্যে কিছুটা কমেছে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি হয়। এরপর তাপমাত্রা কমলেও বায়দূষণ কমেনি।

শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৫ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। এদিন ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৮৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি; ২২০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, ১৯৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে নেপালের কাঠমান্ডু। এ ছাড়া ১৬২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



মানবপাচার মামলায় ফের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর মিরপুর থানায় দায়ের করা মানবপাচার আইনের এক মামলায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (৫ মে) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত এই আদেশ দেন।

এদিন ভুয়া মৃত্যু সনদ প্রদানের অভিযোগে করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। তখন এ মামলায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর জোনাল টিমের উপপরিদর্শক মোহাম্মদ কামাল হোসেন।

এ ছাড়া মানবপাচার আইনের আরেক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে ডিবি পুলিশ। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালত এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখান।

এর আগে রাজধানীর মিরপুর থেকে গত বুধবার রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম। তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মিরপুর মডেল থানায় ৩টি মামলা করা হয়। আরও কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

গত বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমে জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এদিকে মিল্টন সমাদ্দারের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে মিরপুরের পাইকপাড়া এবং বরিশালের উজিরপুরের সাধারণ মানুষজন। এ ছাড়া বুধবার রাতেই রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই ভুক্তভোগীদের অনেকে মিল্টনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ষাট লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের। অভিযোগ রয়েছে এ বিশাল অনুসারীদের কাজে লাগিয়ে তার মূল টার্গেট ছিল বিভিন্ন মানবিক কাজ প্রচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।


আরও খবর



বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি, বাংলাদেশ পাচ্ছে দুই ম্যাচ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলতে ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের বিপক্ষে এই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ছাড়াও আরও দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ পাচ্ছে বাংলাদেশ। সেখানে অবশ্য একটি ম্যাচ আবার যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেই খেলতে হবে। অন্যটিতে টাইগারদের প্রতিপক্ষ ভারত।

আজ শুক্রবার (১৭ মে) বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ২৮ মে টেক্সাসের গ্রান্ড প্রেইরি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এরপর ১ জুন ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। যদিও এই ম্যাচের ভেন্যু এখনও চূড়ান্ত করেনি আইসিসি।

বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ শুরু হবে ২৭ মে থেকে। প্রথমদিন কানাডা-নেপাল, ওমান-পাপুয়া নিউগিনি ও নামিবিয়া-উগান্ডা মুখোমুখি হবে। পরের দিন শ্রীলঙ্কা খেলবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে, দিনের বাকি ম্যাচগুলোয় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া-নামিবিয়িা মুখোমুখি হবে।

২৯ মে আফগানিস্তান এবং ওমান প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। ৩০ মে নেপাল-যুক্তরাষ্ট্র, স্কটল্যান্ড-উগান্ডা, নেদারল্যান্ডস-কানাডা, নামিবিয়া-পাপুয়া নিউগিনি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ রাখা হয়েছে। ৩১ মে আয়ারল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা মাঠে নামবে। স্কটল্যান্ড খেলবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড কোন প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে না।


আরও খবর



চসিকের নগর ভবনের নির্মাণকাজের উদ্বোধন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

নতুন নগর ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এর মধ্য দিয়ে ১৪ বছর ধরে লালিত চসিকের আইকনিক' নগর ভবন নির্মাণ হতে চলেছে।

আজ সোমবার দুপুরে নগরীর আন্দরকিল্লায় চসিকের নিজস্ব জমির উপর এই ভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, পুরাতন নগর ভবনের স্থানে পার্শ্ববর্তী আরো দু'টি ভবনের স্থান সংযুক্ত করে এই আইকনিক নগর ভবন নির্মাণ করা হবে। তিনটি বেইসমেন্টসহ পুরো নগর ভবন হবে ২১ তলা। এ ভবনের প্রথম ধাপের কাজ উদ্বোধন করা হলো। আমাদের লক্ষ্য ২৮ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ের প্রথম ধাপের কাজের অংশ হিসেবে ৫-৬ তলা আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করে টাইগারপাস থেকে আন্দরকিল্লায় চলে আসা বাকী অংশ ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা হবে।

তিনি বলেন, স্থায়ী নগর ভবন না থাকায় বিদেশি অতিথিরা আসলে আমাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হত, নাগরিকদেরও সেবা প্রদান বিঘ্নিত হত৷ এজন্য নিজস্ব ফান্ডে নগর ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি৷ এ ভবনে নাগরিকরা স্বাচ্ছন্দে সেবা নিতে পারবেন৷ এছাড়া এ ভবনের একটি ফ্লোরে চট্টগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরতে গড়ে তোলা হবে জাদুঘর।

চসিকের প্রকৌশল বিভাগ জানায়, ৩৮ হাজার ৪৯০ বর্গফুট বা ৫৩ দশমিক ৪৫ কাঠা জায়গায় নগর ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রণয়ন নামে একটি কনসালটেন্ট ফার্ম আইকনিক এ ভবনের নকশা করেছে। ভবনের উপরে থাকবে সিটি ক্লক। ভবনের তিন পাশে সাজানো বাগান থাকবে। নির্মাণ করা হবে ফোয়ারা। থাকবে মাল্টিপারপাস হল, কনফারেন্স হল ও ব্যাংকুয়েট হল। তবে পুরো নগর ভবন নির্মাণ করা হবে ধাপে ধাপে। শুরুতে বেইসমেন্টসহ তিনটি ফ্লোর নির্মাণ করা হবে।

জানা গেছে, নগরীর আন্দরকিল্লায় ১৯৬৪ সালে নির্মিত একটি ভবন চসিকের প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হতো। ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে উঠায় ২০১০ সালের ১১ মার্চ নতুন নগর ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তবে নানা জটিলতায় এই কাজ আটকে যায়। এরপর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মোহাম্মদ মনজুর আলম ও আ জ ম নাছির উদ্দীনও নতুন নগর ভবন নির্মাণকাজ শুরুর উদ্যোগ নেন। এরই অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের ২০ জুন চসিকের প্রধান কার্যালয় টাইগারপাসের অস্থায়ী কার্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। তবে অর্থছাড় না পাওয়ায় নির্মাণকাজ শুরু করা যায়নি।

বর্তমান মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী দায়িত্ব নেওয়ার পর ফের নগর ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেন। জটিলতা এড়াতে তিনি চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে নতুন নগর ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে বহুতল নগর ভবন নির্মাণ হচ্ছে। চসিকের একসাথে ৩০ কোটি টাকার বেশি কাজ করার সুযোগ নেই। তাই ধাপে ধাপে নগর ভবন নির্মাণকাজ শেষ করব। প্রথমে তিনটি ফ্লোর করব।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, শৈবাল দাশ সুমন, মোঃ ইলিয়াছ, মোঃ আবদুস সালাম মাসুম, আতাউল্লা চৌধুরী, রুমকি সেনগুপ্ত, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী শাহীন-উল ইসলাম চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আকবর আলী, ফরহাদুল আলম, জসিম উদ্দিন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও এস্টেট অফিসার মোঃ রেজাউল করিম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফারজানা মুক্তা, রেজাউল বারী ভূইঁয়া, মীর্জা ফজলুল কাদের, আশিকুল ইসলাম, রিফাতুল করিম, তাসমিয়া তাহসীন, তৌহিদুল ইসলাম, সালমা খাতুন, সহকারী প্রকৌশলী আসীর হামীম।


আরও খবর



কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় অন্ততপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা খোদাইবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

ঈদগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিস্তারিত আসছে...


আরও খবর