আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

হারিয়ে গেছে ৫ টাকার পরোটা

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ মে ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আকার, আকৃতি, পরিমাণ সবই আগের মতো, তবে এখন দাম হয়েছে দ্বিগুণ। প্রতি পিস পরোটা এখন বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। অথচ কিছুদিন আগেও প্রায় সব হোটেল-রেস্টুরেন্টে পরোটা বিক্রি হতো ৫ টাকায়। বলতে গেলে ৫ টাকায় আর পরোটা পাওয়া যায় না। হোটেলে আসা কাস্টমাররা বলছেন, হঠাৎ করেই ঢাকা শহরে হোটেলেগুলোতে পরোটা ৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা করা হয়েছে। রাজধানীর কোথাও আর ৫ টাকার পরোটা পাওয়া যায় না। কিছুদিনের ব্যবধানে পরোটার দাম দ্বিগুণ হয়ে গেল।

রাজধানীর ফার্মগেট, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, শাহবাগ, আজিমপুর, পুরান ঢাকা, মতিঝিল, খিলগাঁও, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, মগবাজার, শান্তিনগরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে রেস্টুরেন্টগুলোতে ৫ টাকা পিস পরোটা বিক্রি হতে দেখা যায়নি। পরোটা ঠিকই আগের মতো আছে, তবে দাম হয়েছে ১০ টাকা।

সেইসঙ্গে শিঙাড়া, সমুচাসহ অন্যান্য জিনিসের আকৃতি ছোট করে আগের দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে হোটেল-রেস্টুরেন্ট মালিকরা বলছেন, ময়দা, তেল, গ্যাসসহ সব ধরনের উপকরণ বা কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির জন্য বাধ্য হয়ে পরোটার দাম বাড়ানো হয়েছে।

বেসরকারি চাকরিজীবী মাহাতাব আলী পরোটার দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বলেন, কিছুদিন আগেও পরোটার প্রতি পিস ৫ টাকায় খেতাম, কিন্তু এখন এর দাম একবারে দ্বিগুণ। এমন কোনো স্থানীয় দোকান নেই যেখানে পরোটা ১০ টাকা পিস করা হয়নি। সব সাধারণ হোটেল রেস্টুরেন্টেই এর দাম ১০ টাকা।  আগে হোটেলে এসে নাস্তা করার সময় সাধারণত তিনটি পরোটা খেতাম, দাম দ্বিগুণ হওয়ার পর থেকে দুইটা করে পরোটা দিয়ে নাস্তা করি। আমাদের জীবন চলার পথে এমন কোনো পণ্য নেই যার দাম বাড়েনি। সব ক্ষেত্রেই আমরা সাধারণ জনগণ কোণঠাসা।

কেন ৫ টাকার পরোটা হঠাৎ করেই ১০ টাকা হলো-  এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদপুর এলাকার মা হোটেলের মালিক নাজিম উদ্দিন বলেন, হোটেল পরিচালনায় প্রয়োজনীয় সব কাঁচামালের দাম বেড়েছে। আগে ময়দা কিনতাম ৪৪ টাকা কেজি এখন সেটা প্রায় ৬০ কেজি। আর পাইকারি দরে আগে যে ময়দার বস্তা ১ হাজার ৮০০ টাকা ছিল সেটা কিছুদিন আগে বেড়ে ২ হাজার ২০০ টাকা হয়েছিল। আর এখন একই ৫০ কেজির ময়দার বস্তা ২ হাজার ৮০০ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। তেল ২২০ টাকা কেজি কিনতে হয়। গ্যাসের ১২ কেজি সিলিন্ডার এখনও ১ হাজার ৫০০ টাকা করে কিনছি। তাহলে তো এক পিস পরোটার দাম আরও বাড়ানো উচিত। নইলে আমাদের লস। হোটেলই চালতে পারব না। দাম বাড়ার কারণে কাস্টমারও অনেক কমে গেছে, আগের তুলনায় বিক্রিও কম হচ্ছে।

মহাখালীর ওয়্যারলেস এলাকায় হোটেলে সকালের নাস্তা খাওয়ার পর কথা হয় স্থানীয় এক বাসিন্দা মিজানুর রহমানের সঙ্গে তিনি বলেন, পরোটার যে দাম দ্বিগুণ হয়েছে শুধু তাই নয়, আগে শিঙাড়া-সমুচার যে সাইজ ছিল, সেই তুলনায় এখন আকার অনেক ছোট হয়ে গেছে। পরোটার দামও দ্বিগুণ হয়েছে। হোটেল মালিকদের এ বিষয়ে অভিযোগ জানালে তারা বলেন, কী করব ভাই বলেন, সব জিনিসের কেনা দাম বেশি, তাই বাধ্য হয়ে পরোটা ১০ টাকা পিস বিক্রি করতে হচ্ছে।

রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার দেলোয়ার হোসেন নামে এক হোটেল মালিক বলেন, বাজার চড়া হওয়ার কারণে আমাদের খাবার আইটেমের দাম বাড়াতে হয়েছে। সে অনুযায়ীই ৫ টাকার পরোটা ১০ টাকা করেছে সব হোটেলই। আসলে দাম বাড়ানোর জন্য আমাদের ব্যবসা খুব ভালো হচ্ছে- তা নয়, বরং ব্যবসা আগের চেয়ে খারাপ। পরোটা থেকে শুরু করে সব কিছুই আগের চেয়ে কম বিক্রি হয়। আগে যদি পরোটা ১০০ পিস বিক্রি করতাম এখন দাম বাড়ানোর পর তা ৬৫ থেকে ৭০ পিস বিক্রি হয়। আমরাও সমস্যার মধ্য আছি।

হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন বলেন, শুধু পরোটা নয়, সবকিছুরই দাম বেড়েছে। কেননা কাঁচামালের দাম বেড়েছে। এতে করে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন দোকান মালিকরা। দাম বাড়লে বিক্রি কমে যায়। আগে যে কাস্টমাররা হোটেলে এসে অনেক কিছু খেতেন, এখন তারা খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে আমাদের বিক্রিও কমেছে।  দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ খুব কষ্টে আছে। সব কিছুর দামই বাড়তি। এমনকি হোটেলে খেতে যেয়েও একজন মানুষকে ৫ টাকার পরোটা ১০ টাকায় কিনে খেতে হচ্ছে। তেল, ময়দা এসবের দাম বৃদ্ধির কারণে ভার এসে পড়েছে সাধারণ মানুষের কাঁধে। এর একটা প্রমাণ হলো রাজধানীতে ৫ টাকার পরোটা এখন হারিয়ে গেছে, দাম বাড়িয়ে সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ১০ টাকায়।

নিউজ ট্যাগ: পরোটা

আরও খবর



লিপি চক্রবর্তীর ‘আকণ্ঠ মরেছি’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
Image

এখানে ছায়াহীন রৌদ্র

শূন্যতার পরে শূন্যতার অনুবৃত্তি

অবাধ্য ভালবাসা নিয়ে বুকে

আমি ঠাঁই দাঁড়িয়ে।

আসবে তুমি? কোন এক সকালে

শিশিরের বুকে পা ফেলে

হাঁটবো দুজন পাশাপাশি।

আমাদের অভিবাদন জানাবে

একজোড়া শালিক পাখি।

অসুখে পরেছি

এমন অসুখ সচারাচর নয়

ক্ষুদ্র হৃদয়ের সমস্ত গর্ব বিসর্জন দিয়ে

আত্মসমর্পণ করছি।

ফিরে আসো

আকণ্ঠ মরেছি তোমার ভালোবাসায়।


আরও খবর



দেশজুড়ে বিজ্ঞান জাদুঘরের পৃষ্ঠপোষকতায় বিজ্ঞান মেলা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের অর্থায়নে এবং পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের ৬৪ জেলায় শুরু হয়েছে ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা-২০২৪। গত ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ বিজ্ঞান মেলায় অংশ নিয়ে নবীন শিক্ষার্থী ও ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা তাদের উদ্ভাবিত বিজ্ঞানের নানা প্রকল্প উপস্থাপন করছে। বিজ্ঞান মেলায় জুনিয়র, সিনিয়র এবং বিশেষ- এ ৩টি গ্রুপে প্রকল্পগুলো উপস্থাপিত হচ্ছে। মূলত: ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান মেলার বিজয়ী ও সেরা প্রকল্পগুলোই উপস্থাপিত হচ্ছে জেলা পর্যায়ের বিজ্ঞান মেলায়।

আজ (৮ মে) পর্যন্ত মোট ২৮টি জেলায় এ বিজ্ঞান মেলা সম্পন্ন হয়েছে। এতে প্রায় ৮ শতাধিক বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন প্রকল্প উপস্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, রোবটিক্সের আধুনিক ব্যবহার, সৌর বিদ্যুতের বিজ্ঞানসম্মত ব্যবহার, বাসাবাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, পরিবেশবান্ধব নগরায়ন, অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহারসহ বিভিন্ন প্রকল্প। বিজ্ঞান মেলা ছাড়াও অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ এবং বিজ্ঞান বিষয়ক সভা-সেমিনার।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, তরুণ প্রজন্মকে সামাজিক অবক্ষয় থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় সম্পৃক্ত রেখে তাদের মনস্তাত্বিক উন্নয়ন ও উদ্ভাবনী চেতনার বিকাশ ঘটিয়ে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক বিজ্ঞানবান্ধব রাষ্ট্রে রূপান্তরের মহৎ লক্ষ্য নিয়ে বিজ্ঞান জাদুঘর কাজ করছে। বিজ্ঞান মেলা শুধু আনুষ্ঠানিক প্রদর্শনী নয়, মেলায় উদ্ভাবিত প্রকল্পগুলো বিভিন্ন সেক্টরে প্রয়োগ করে জনগণের জীবনমান উন্নত এবং নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করার অন্যতম লক্ষ্য। এখন বছরে কেবল নির্ধারিত সময়ে নয়, সারা বছরই তৃণমূল পর্যায়ে ছোট ছোট বিজ্ঞান মেলা আয়োজনের মাধ্যমে বিজ্ঞানের মহাসমুদ্রে তরুণ প্রজন্মকে অবগাহন করাতে বিজ্ঞান জাদুঘর পরিকল্পনা করছে।


আরও খবর



কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

১৪ বছরের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪এর বিচারক শাহরিয়ার কবির এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী বাবার সঙ্গে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকায় বসবাস করত। কিশোরীর মা বিদেশে থাকতেন। ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাসায় ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে তার জন্মদাতা বাবা। এ ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বাবার বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণের মামলা করে। পুলিশ কিশোরীর বাবাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৩০ আগস্ট কিশোরীর বাবার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ছয়জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।


আরও খবর



নির্বাচনে হারবে জেনেই বিএনপি ভোট বর্জন করেছে: শাহজাহান খান

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মাদারীপুর প্রতিনিধি

Image

বিএনপি যে কোন নির্বাচনে জয়লাভ করবে না জেনেই উপজেলা পরিষদের ভোট বর্জন করেছে। তাদের মাঝে কোন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীয় সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান।

বুধবার (৮ মে) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ করে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান আরও বলেন, এদেশে ভোট ও ভাতের লড়াই প্রতিষ্ঠিত করেছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার শাসন আমলেই এদেশে ভোটের রাজনীতির চর্চা করা হয়। আর বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ভোট বর্জন করে মানুষের অধিকার হরণ করে। তারা শুধু মিধ্যাচার করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। কাজেই তারা দল হিসেবে এখন মিথ্যাচারে পরিণত হয়েছে।

এসময় শাহজাহান খান মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদে তার বড় ছেলে আসিবুর রহমান খানের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেনি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে মাদারীপুর সদর ও রাজৈর উপজেলায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এ দুই উপজেলায় ভোটার প্রায় সাড়ে ৫ লাখ। চেয়ারম্যান পদে দুই উপজেলায় লড়ছেন ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন।


আরও খবর



শিল্পী সমিতির সদস্যপদ ফিরে পেলেন জায়েদ, শঙ্কায় নিপুণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে এক ঘোষণার মাধ্যমে সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। এরপর আর সেভাবে সমিতিতে দেখা যায়নি জায়েদকে। গত ১৯ এপ্রিলে মিশা সওদাগর ও ডিপজল পরিষদের জেতার পর শোনা যাচ্ছিল সমিতিতে সদস্যপদ ফিরে পাচ্ছেন জায়েদ। অবশেষে সেটাই হয়েছে।

জায়েদ খানের সদস্যপদ ফিরিয়ে দিয়েছে সমিতির বর্তমান কমিটি। গেল বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে কমিটির সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব জানান, জায়েদ খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছিল তার যথাযথ কারণ ব্যাখ্যা দিয়েছে। তা খতিয়ে দেখার পর সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এক প্রজ্ঞাপনেও বিষয়টি জানিয়েছে শিল্পী সমিতি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মিশা সওদাগর বলেন, সর্বসম্মতিক্রমেই জায়েদ খানের পদটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সমিতির নতুন মুখপাত্র করা হয়েছে অভিনেতা রুবেল ও ডি এ তায়েবকে। এ কারণে বিষয়টি প্রথমে জানিয়েছেন তায়েব।

এর আগে ২০২৩ সালে জানানো হয়েছিল, কোনো রূপ সাংগঠনিক দুর্বলতা না পেয়ে জায়েদ খান ব্যক্তিগত আক্রোশ ধারাবাহিকভাবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ সাধারণ সম্পাদক নিপুণের নামে মিথ্যা, মনগড়া, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। এ কারণে সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে নতুন নির্বাচন দাবি করে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার। নিপুণের এমন সিদ্ধান্তকে দ্বৈতনীতি বলে অ্যাখ্যা দিয়ে সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।

এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে জায়েদ খান বলেন, তখন নতুন কমিটিকে ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে তিনি বলেছিলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। অথচ এত দিন পরে উনার মনে হলো, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এটা দ্বৈতনীতি! আলোচনায় থাকা অথবা কারও প্ররোচনায় এমন কাজ করেছেন তিনি।

জায়েদ এটাকে নোংরা মানসিকতা উল্লেখ করে বলেন, শিল্পীরা এত জঘন্য হতে পারে না। তার কারণে শিল্পীদের বদনাম হচ্ছে। আশা করি, শিল্পীরা সবাই মিলে উনাকে প্রতিহত করবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সমিতির কার্যকরী সভাশেষে ডিএ তায়েব বলেন, নিপুণের সদস্যপদ বাতিল হতে পারে। গণমাধ্যমে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন তিনি। তার সদস্যপদ কেন বাতিল করা হবে না, সেটি জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিটি।


আরও খবর