আজঃ মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

হারের খুব কাছে থেকে দিন শেষ করল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শ্রীলংকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে হারের খুব কাছে থেকে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। লংকানদের দেওয়া ৫১১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৮ রান করেছে স্বাগতিকরা। জিততে হলে বাংলাদেশের এখনও ২৪৩ রান করতে হবে। শ্রীলংকার চাই ৩ উইকেট।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৫১ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। দলীয় দশম ওভারে ২৪ রান করা মাহমুদুল হাসান জয় বোল্ড হন প্রবাথ জয়সুরিয়ার বলে। বিশ্ব ফার্নান্ডোর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন জাকির হাসান (১৯)। এরপর লাহিরু কুমারা বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (২০)।

মুমিনুল হক হাফসেঞ্চুরি করে আর টিকতে পারেননি। ৫৬ বলে ৮টি চার ও একটি ছক্কায় দ্রুত ৫০ করে প্রবাথ জয়সুরিয়ার বলে মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তারা পঞ্চম উইকেটে ৯৯ বলে ৬১ রান তোলেন।

তবে কামিন্দু মেন্ডিসের বলে ব্যক্তিগত ৩৬ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সাকিব। এরপর লিটনও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। কুমারার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৭২ বলে ৩৮ করে মাঠ ছাড়েন তিনি। তরুণ শাহাদাত হোসেন ১৫ রান করে কামিন্দুরি বলে আউট হন।

মেহেদী হাসান মিরাজ ৪৯ বলে ৭টি চারে ৪৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। তাইজুল ইসলাম ১০ রানে অপরাজিত আছেন।

শ্রীলংকার বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন লাহিরু কুমারা, জয়সুরিয়া ও মেন্ডিস।

এর আগে শ্রীলংকা ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। তাতে জিততে হলে বাংলাদেশকে ৫১১ রান করতে হবে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ফিফটি করা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে দিনের শুরুতে বোল্ড করেন সাকিব আল হাসান। ম্যাথিউস ৭৪ বলে ৫টি চারে ৫৬ রান করেছেন।

এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল শ্রীলংকা। তাতে গতকালই লংকানদের লিড দাঁড়িয়েছিল ৪৫৫ রান।

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও ব্যাটিংয়ে নিজেদের হতশ্রী অবস্থা দেখিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। প্রথম ইনিংসে শ্রীলংকার করা ৫৩১ রানের জবাবে মাত্র ১৭৮ রানে হয়েছে অলআউট।


আরও খবর



ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজও ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে ১৫৬ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শহরটির অবস্থান নবম।

পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ২০৬, ১৯১ ও ১৭৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।

১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।


আরও খবর



সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়। সোমবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় রাতের মতো অন্ধকার নেমে আসে সিলেট নগরীতে।

স্থায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুহুর্তের মধ্যে সকালেই যেন রাত নেমে আসে। এর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় বজ্রসহ কালবৈশাখী ঝড়। এছাড়া ঝড়ের তাণ্ডবে বিভিন্ন এলাকায় কাচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়। অনেকের ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এর আগে রোববার (৫ মে) সন্ধ্যার পর থেকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর, ৭নং দক্ষিণ বানীগ্রাম, ৮নং ঝিংগাবাড়ি ইউনিয়ন ও ৯নং রাজাগঞ্জ ইউনিয়নে কাল বৈশাখী ঝড়ের সাথে বজ্রবৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এতে প্রচুর গাছপালা ক্ষতি সাধনের পাশাপাশি শিলা বৃষ্টির কারণে ফসলের ও ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। কালবৈশাখী ঝড়ে গাছপালা উপচে পড়ার কারণে কানাইঘাট গাজী বোরহান উদ্দিন সড়কের বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

একইদিন সন্ধ্যায় ৭২ ঘণ্টায় সিলেটসহ সারাদেশে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে সোমবার থেকে বৃষ্টিপাত বেড়ে তাপপ্রবাহ কমার বিষয়ও জানানো হয়।

এ ব্যাপারে কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিলাবৃষ্টিতে গাছপালা ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার ইউনিয়নের অনেকের ঘরের টিনের চাল উড়ে গিয়েছে। শক্তিশালী ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক লাইনে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক দীলিপ বৈষ্ণব বলেন, গতকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সোমবার সকাল ৬টার পর সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ২৮মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।


আরও খবর



ফের বাড়ছে হিট অ্যালার্টের মেয়াদ

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সারাদেশে দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে তাপদাহ। অতীতে এপ্রিল মাসে দেশে এত দীর্ঘ সময় টানা চরম উষ্ণতার বিস্তার দেখা যায়নি। কখনো তীব্র আবার কখনো অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের বেশকিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে। টানা এতদিনের তাপপ্রবাহ আগে কখনো দেখেনি বাংলাদেশ। এ অবস্থায় চলতি বছর দেশে গত ৭৫ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে তাপপ্রবাহ। গতকাল বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এটিই।

দেশজুড়ে তাপপ্রবাহের প্রেক্ষিতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা হিট অ্যালার্ট বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার মেয়াদ আরও তিন দিন বাড়ছে। অধিদপ্তর বলছে, দেশে চলমান তাপপ্রবাহের ব্যপ্তি বেড়েছে, অন্তত ৩৫ জেলার ওপর দিয়ে দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আরও দুই-তিনদিন অব্যাহত থাকবে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়া ও ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রধান ড. শামীম হাসান মিয়া গণমাধ্যমকে এই তথ্য দেন। শামীম হাসান বলেন, এ দফায় হিট অ্যালার্ট থেকে বাদ পড়তে পারে সিলেট। কারণ সেখানে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টির আভাস থাকছে। গরমের তীব্রতা না কমায় রোববার থেকে চতুর্থ দফায় নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করতে যাচ্ছে আবহাওয়া অফিস।

টানা অন্তত দুদিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজ থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।

খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।


আরও খবর



‘কণ্ঠের সব চিকিৎসা দেশেই রয়েছে, বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কণ্ঠের যেকোনো ধরনের রোগ ও সমস্যার সুচিকিৎসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)সহ দেশেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য ডা. দীন মো. নূরুল হক। তিনি বলেন, কণ্ঠের সমস্যার জন্য রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশ্ব কণ্ঠ দিবস উপলক্ষে র‌্যালি, সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ল্যারিংগোলজি অ্যান্ড ভয়েস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্য এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ল্যারিংগোলজি অ্যান্ড ভয়েস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের সামনে শেখ রাসেল ফোয়ারা থেকে র‌্যালিটি বের হয়ে সি ব্লকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে সি ব্লকের মাল্টিপারপাস হলে একটি সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, ভয়েস বা স্বরযন্ত্রের বা কণ্ঠের যেকোনো ধরনের রোগ ও সমস্যার সুচিকিৎসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশেই রয়েছে। কণ্ঠের সমস্যার জন্য রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ভয়েস, কণ্ঠ হলো মহান আল্লাহ প্রদত্ত। কাউকে ভালোবাসার কথা প্রকাশ করতে হলেও কথা বলার প্রয়োজন হয়। তাই কণ্ঠের সুরক্ষার জন্য আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। অপ্রয়োজনে উচ্চৈঃস্বরে চিৎকার করলে, আবার জন্মগত ত্রুটির কারণেও কণ্ঠের ভয়েস বা স্বর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই ভয়েসের সুরক্ষায় আমাদেরকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, কণ্ঠের সুরক্ষার জন্য উচ্চৈঃস্বরে কথা বলা, ধূমপান, মদপান, অতিরিক্ত গরম ও অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান এবং অতিরিক্ত ঝাল ও তৈলাক্ত খাবার পরিহার করা উচিত। দিনে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। রাতে ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগে আহার সম্পন্ন করা উচিত। শিক্ষকদের ক্লাসে লাউড স্পিকার ব্যবহার করা উচিত। বাইরে চলাফেরার সময় সবারই মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের অটোলজি ডিভিশন প্রধান ও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রকল্পের পরিচালক ডা. এএইচএম জহিরুল হক সাচ্চু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



২৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে নতুন ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে তীব্র তাপদাহে দেশের ২৫ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ‘আবহাওয়া পূর্বাভাস’র ভিত্তিতে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সকল জেলার, ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলার, চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলার এবং রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামীকাল শনিবার, ৪ মে ২০২৪ তারিখ বন্ধ থাকবে।

এর আগে, গত ২০ এপ্রিলে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে পরের দিন সোমবার হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধের নির্দেশ দেন।

হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা আলাদা নোটিশ জারি করে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে সিদ্ধান্ত রয়েছে মাধ্যমিকে পাঠদান চলবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারেও। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরুর কথা জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার (৫ মে) থেকেই ক্লাস শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে এতে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হলএক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোয় প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট সকাল পৌনে ১০টা থেকে থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। তাপ প্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ থাকবে।

এছাড়াও, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সংশ্লিষ্টদের নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর হতে প্রেরিত রুটিন বিবেচনায় নিয়ে উপজেলা ভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাপ্তাহিক রুটিন প্রণয়ন করবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।


আরও খবর