পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, গতবারের চেয়ে এবার ঈদ যাত্রা চ্যালেঞ্জিং হবে এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। গতবার ছিল মহাসড়কে শুধু যাত্রী সাধারণকে গন্তব্যে পার করা। এবার একদিকে যাত্রীরা গন্তব্যে যাবেন, অন্যদিকে পশুবাহী ট্রাক, পশুবাহী নৌকা যাতায়াত করবে রাস্তাঘাট ও নদীতে। এর সাথে মালবাহী যানবাহন আসবে, এগুলোকে আটকানো যাবে না। সব কিছু বিবেচনায় রেখে আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, সরকার এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
তিনি শনিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পরিস্থিতি পরিদর্শন এবং যাত্রীদের মাঝে সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাল টাকার বিস্তাররোধ এবং অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা বন্ধে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, প্রতিটি মার্কেটে জাল টাকা সনাক্তকরণে যে মেশিন সেই মেশিন আমাদের কাছে থাকবে। কারো সহযোগিতা প্রয়োজন হলে আমরা সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছি। জাল টাকার জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ আইনী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। টাকা পরিবহনে সমস্যা হলে সেখানেও পুলিশ সহায়তা করবে।
শনিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পরিস্থিতি পরিদর্শন এবং যাত্রীদের মাঝে সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন>> জঙ্গি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শামিন ও তার স্ত্রী রিমান্ডে
পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, ঈদযাত্রা নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে সভা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী দপ্তর, সড়ক মন্ত্রীর দপ্তরে, রেলওয়ে মন্ত্রালয়ে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ হেডকোয়ার্টার এবং প্রত্যেকটি জেলায় সকল স্টেক হোল্ডার, মালিক শ্রমিকদের সাথে মিটিং করেছি। আমরা সবাই একসাথে একযোগে কাজ করছি আশা করছি এবারও সকলের সহযোগীতায় যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।
তিনি বলেন, গতবারের ঈদের যাতায়াত ব্যবস্থা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুন্দর ছিল। ওই অভিজ্ঞতা সেটি মাথায় রেখে আমাদের নিরাপত্তা সাজিয়েছে। প্রকৌশলী ও রাস্তাঘাটের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবার সাথে বৈঠক হয়েছে, জেলায় জেলায় জেলা প্রশাসকগণ বৈঠক করেছেন। পুলিশের মহানগর, জেলা পুলিশ, পুলিশের সকল বিভাগ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা একযোগে কাজ করছি। নির্ধারিত সময়ে সাধারণ মানুষ যেন গন্তব্যে যেতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন সংস্থা সমন্বিতভাবে একসাথে কাজ করছে। আমরা আশা করছি, এবারের ঈদযাত্রা মানুষ গতবারের চেয়েও স্বস্তিতে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌছাতে পারবেন।
তিনি আরো বলেন, আগে রাস্তাঘাটে খানাখন্দ ভরা ছিল, দূরাবস্থা ছিল। আগের চেয়ে রাস্তার অবস্থা অনেক ভালো হয়েছে। সরকার অনেক উন্নয়ণ কাজ করেছে। এখনো কার্যক্রম চলমান আছে। যার কারণে জনসাধারণ দ্রুততম সময়ে স্বাভাবিক সময়ের মতোই ঈদের সময় রাখার চেষ্টা করা হবে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বড় পর্যায়ের কর্মকর্তারা সবসময় নিয়োজিত থাকবে।
গরুর হাঁটের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, গরুর হাটগুলোর নিরাপত্তা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেয়া হবে। গরুর হাঁটে টানা হেঁচড়া, চাঁদাবাজি অভিযোগ উঠে। যদি কেউ কোন ট্রাক বা নৌকা তাদের গন্তব্যের আগে গাড়ি থামায়। তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের হুশিয়ার করে দিয়ে বলতে চাই, এই কাজগুলো করবেন না। যদি করেন তাহলে আইনের যে প্রয়োগ করা দরকার সেটাই করবো। ব্যবসায়ী ও ইজারাদার, গরুর মালিক আপনাদের কোন সমস্যা হলে নিকটস্থ পুলিশের সহয়তা নেই। যদি কাছাকাছি কাউকে না পান তাহলে ৯৯৯ ফোন দিন। আপনারা আমাদের সহয়তা দিন আমরা আপনাদের নিশ্চয়তা দিব।
এসময় অতিরিক্ত আইজিপি (হাইওয়ে) মো. শাহাবুদ্দিন খান, ডিআইজি (অপারেশন) হায়দার আলী খান, গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহবুব আলম, পুলিশের হেড কোয়ার্টার এআইজি (মিডিয়া) মো. মঞ্জুর রহমান প্রমুখসহ পুলিশের উর্ধ্বিতস কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।