আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

গত ২৪ ঘণ্টায় হিটস্ট্রোকে ৭ জেলায় ৮ মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে হিটস্ট্রোকে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দুইজন, পাবনায় একজন, মেহেরপুরে একজন, নরসিংদীর মাধবদীতে একজন, শরীয়তপুরে একজন, ঝালকাঠিতে একজন ও সিলেটে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

দিনাজপুর: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে হিট স্ট্রোকে দুজন মারা গেছেন। তারা হলেন- ফুলবাড়ী পৌর এলাকার চকসাবাজপুর গ্রামের সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোতাহার আলী (৫৮) এবং অপরজন যশোর কোতোয়ালি থানা এলাকার রাজারহাট গ্রামের ট্রাকচালক বিল্লাল হোসেন (৫২)। মোতাহার হোসেনের ছেলে সানজিদ আহম্মেদ সুইট বলেন, কয়েক দিন ধরে জ্বর ছিল আমার বাবার। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে, ট্রাকমালিক সোহরাব হোসেন বলেন, যশোর থেকে পাথরের ডাস্টের ভাড়া আনতে বড়পুকুরিয়া এলাকায় যান ট্রাকচালক বিল্লাল হোসেন। গতকাল রাত ১০টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শুনেছি স্ট্রোক করে ড্রাইভার বিল্লালের মৃত্যু হয়েছে।

পাবনা: পাবনার চাটমোহর উপজেলায় ভুট্টা খেতে কাজ করতে গিয়ে হিট স্ট্রোকে আলাউদ্দিন আলী আলাল (৪৩) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে মারা যান আলাউদ্দিন আলী আলাল। তিনি উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়য়নের নেউতিগাছা এলাকার মো. ইউসুফ আলীর ছেলে। পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সকালের দিকে চাটমোহরে ভুট্টার খেতে কাজ করতে গিয়ে হিট স্ট্রোকে আলাউদ্দিন আলী আলাল অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় তাকে উদ্ধার করে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের এখানে সকালে ভর্তি হয়েছিল। পরে দুপুরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পাবনা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবেন উনি কি জন্য মারা গেছেন। আলাউদ্দিন আলী হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন পাবনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আয়েশা সিদ্দিকা।

তিনি বলেন, প্রচণ্ড গরমে প্রতিদিনই মানুষ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেক রোগী হাসপাতালে আসছে। চাটমোহরের আলাউদ্দিন হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে এসেছিলেন বলে আমাদের প্রাথমিক ধারণা।

এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা শহরে হিট স্ট্রোক করে সুকুমার দাস (৬০) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। এদিন পাবনা শহরের রূপকথা রোডে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় হিট স্ট্রোক করেন তিনি। এসময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সুকুমার দাস শহরের শালগাড়িয়ার জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা।

মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনীতে হিটস্ট্রোকে শিল্পী খাতুন (৪৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকাল ৮টায় উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের রুয়েরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিল্পী খাতুন রুয়েরকান্দি গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী এবং পার্শ্ববর্তী আমতৈল গ্রামের বিল্লাল মালিথার মেয়ে। মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক শামীম হাসান বলেন, শিল্পী খাতুনের মৃত্যু হিটস্ট্রোকে হয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে ইউএনও এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বইছে। তীব্র গরমে অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হতে এবং নিজেকে সুস্থ রাখার নির্দেশনা দিয়ে মাইকিং করা হয়েছে।

নরসিংদী: নরসিংদীর মাধবদীতে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে সাফকাত জামিল ইবান (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুরে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ইবান সদর উপজেলার মাধবদী থানার ভগীরথপুর এলাকার মৃত জাকারিয়া জামিলের ছেলে এবং শেখেরচর বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকলে অফিসার (আরএমও) ডা. মাহমুদুল কবির বাশার বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রচণ্ড রোদের মাঝে চলাফেরা এবং প্রচুর ঘামের ফলেই অজ্ঞান হয়ে যান ইবান। তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। পরিবারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে তার মৃত্যু হিটস্ট্রোকে হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হারুন চৌকিদার (৪৩) নামে এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রবিবার দুপুরে জেলা পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হারুন চৌকিদার নড়িয়া উপজেলার মোক্তারেরচর ইউনিয়নের নয়ন মাদবরকান্দি এলাকার আলী হোসেন চৌকিদারের ছেলে।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাবিকুন নাহার বলেন, স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পারি অতিরিক্ত গরমে কাজ করার ফলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যান হারুন। রোগীর স্বজনরা তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সদর হাসপাতালে সামনে নিয়ে এলে আমি অ্যাম্বুলেন্সে গিয়ে তাকে দেখি। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

ঝালকাঠি: ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার কাঠালিয়া সদর ইউনিয়নের পশ্চিম আউরা গ্রামে এক যুবক হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। তার নাম মো. আফজাল তালুকদার (৪৫)। হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক দিলীপ চন্দ্র হাওলাদার।

সিলেট: সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় হিট স্ট্রোকে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুরে দক্ষিণ সুরমা পুলিশ বক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে রিকশাচালকের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশে ওসি ইয়ারদৌস হাসান জানান, দুপুর ১২টার দিকে এক অজ্ঞাত পরিচয়ের রিকশাচালক দক্ষিণ সুরমা পুলিশ বক্সের সামনে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


আরও খবর



ধর্মপাশায় থাপ্পরের আঘাতে কিশোরের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শহীদুল ইসলাম, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় পাইকুরাটি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে মোবাইলে লুডু খেলা নিয়ে বাকবিতন্ডার জেরে ইনসানের (১৮) থাপ্পরের আঘাতে আকিব শাহ (১৪) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের গোরস্থানের সিঁড়ির নিচে সরকারি খাস জায়গায় এই ঘটনা ঘটে।

আকিব শাহ রাজাপুর গ্রামের কামরুল শাহ্'র ছেলে। অপরদিকে ইনসান একই গ্রামের শাজাহান কবিরের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আকিব শাহ ও ইনসানের মধ্যে লুডু খেলা নিয়ে তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে ইনসান উত্তেজিত হয়ে আকিব শাহর পিঠে সজোরে থাপ্পর মারে। থাপ্পরের চোটে মাটির উপর পড়ে জ্ঞান হারায়। পরে আকিব শাহর স্বজন ও আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ধর্মপাশার থানার ওসি মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা বলেন, মৃত আকিব শাহর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার সহিত জড়িত ইনসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


আরও খবর



টানা ছয় দফা কমলো সোনার দাম

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

টানা ছয় দফা সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবশেষ ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১১৫৫ টাকা কমানো হয়েছে। এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ক‌মে হ‌চ্ছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সোনার ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার বিকেল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হচ্ছে।

এর আগে গত ২৩, ২৪, ২৫, ২৭ ও ২৮ এপ্রিল সোনার দাম কমায় বাজুস। ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা ও ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা কমানো হয়।

তার আগে অবশ্য টানা তিন দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়েছিল। গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল সোনার দা‌ম বা‌ড়িয়ে‌ছিল বাজুস। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা।


আরও খবর



হিটস্ট্রোকে যে ফল ভুলেও খাওয়া যাবে না

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

হিটস্ট্রোক মানে হলো অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১০৪ -১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে ওঠা, যা সাধারণত প্রচণ্ড জ্বরে হয়। হিটস্ট্রোকের ফলে অস্বাভাবিক মানসিক আচরণ দেখা দিতে পারে। যেমন কনফিউশান, বিড় বিড় করা, অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা, হ্যালুসিনেশন, মাথাব্যথা হওয়া, ঝিম ঝিম করা, হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেরা।

হিটস্ট্রোকে মূলত শরীরের কুলিং সিস্টেম ফেইল করে। এতে ঘাম কমে গিয়ে শরীর শুষ্ক হয়ে যায়, বমি বমি ভাব হয়, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়, হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, ডিহাইড্রেশনের ফলে ইলেকট্রোলাইটস ইম ব্যালেন্স হয়, মানুষ অজ্ঞান হয়ে যায়। এমনকি শুরু হতে পারে খিচুনি। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

ফল কি হিটস্ট্রোকের জন্য উপকারী : ফল খাওয়া হিট স্ট্রোকের জন্য উপকারী হলেও কিছু ফল হিটস্ট্রোকে বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই হিট স্ট্রোকে কোন ফল উপকারী এবং কোন ফল অপকারী এটা না জেনে ফল খেলে হতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোকে এড়াতে উপকারী ফল : কম ক্যালরি যুক্ত এবং কম চিনিযুক্ত রসাল ফল হিটস্ট্রোকের জন্য উপকারী। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে শসা, জাম্বুরা, আনারস, তরমুজ। এ ছাড়া নাশপাতি, কাঁচাআম (সবুজ আম), কাঁচা পেঁপে (সবুজ পেঁপে) , আপেল, স্ট্রবেরি, গোলাপ, জাম্বুরা, লেবুও কম ক্যালরি যুক্ত ফল। এসব ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা শরীরের জন্য খুবই  উপকারী।

হিটস্ট্রোকের জন্য অপকারী বা ক্ষতিকর ফল : সাধারণত প্রচুর চিনিযুক্ত ফল এবং উচ্চ ক্যালরি উৎপন্নকারী ফল যেমন পাকা কাঁঠাল, পেয়ারা, পাকা আম, আঙুর, লংগান, লিচু, পাকা কলা, পাকা পেঁপে (হলুদ পেঁপে), প্যাশন ফল, লাল ডালিম, মিষ্টি তেঁতুল, পেয়ারা। মনে রাখবেন পাকা পেঁপে ও পাঁকা কাঁঠাল হিট স্ট্রোকের বিপত্তি বাড়িয়ে দেবে এবং গরম পানীয় যেমন চা ও কফি পান করা যাবে না।

হিটস্ট্রোকে করণীয় : শরীরকে ঠান্ডা করা অর্থাৎ ঠান্ডা পানি দিয়ে মুছে দেওয়া বারবার, ছায়া ও বাতাসযুক্ত স্থানে বসা, ঠান্ডা পানি দিয়ে তোয়ালে বা গামছা ভিজিয়ে ঘাড় মাথা, উরু স্পঞ্জিং করা। ঘাড়ে ঠান্ডা পানিতে ভিজানো রুমাল রাখা যেতে পারে। ডিহাইড্রেশন ও পিপাসা কমাতে নরমাল ঠান্ডা পানি, লেবুর শরবত এবং খাবার স্যালাইন খুবই উপকারী। তবে খাবার স্যালাইন নিয়মমতো বানাতে হবে।


আরও খবর



ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ

আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে মেক্সিকো, কানাডা ও ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোতে চলা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য দেশেও। মেক্সিকো কানাডা ও ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বতার প্রতিবাদে অবস্থান নিয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই বছরের পর বছর ধরে গাজায় চলা সামরিক পদক্ষেপ জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭৪ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।

শুরু থেকেই এই সংঘাতে ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সবচেয়ে সক্রিয় ছিল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। গত মাসের শুরুর দিকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্প উচ্ছেদ করার পর থেকে পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে একই ধরনের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

বিক্ষোভ এবং গ্রেফতার দেশের প্রায় প্রতিটি প্রান্তে হয়েছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া (ইউসিএলএ) সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে। সেখানে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দিকে ধেয়ে আসে। শত শত বিক্ষোভকারী মানব বন্ধন সৃষ্টি করে ইউসিএলএ ক্যাম্পাস থেকে চলে যাবার আদেশ উপেক্ষা করে। পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য সাউন্ড গ্রেনেড বা ফ্ল্যাশ-ব্যাং ব্যবহার করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাস থেকে ২ হাজারেরও বেশে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।

সেই আন্দোলন এবার দেখা দিয়েছে অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো ও কানাডায় অনেক শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করছে।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকের ন্যাশনাল অটোনমাস ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। তারা ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছিলেন। মেক্সিকো সরকারের কাছে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান জানান।

অন্যদিকে কানাডায় ইউনিভার্সিটি টরোন্টো, ব্রিটিশ কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি এবং ওতাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এ ছাড়া ফ্রান্সে দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো চলছে আন্দোলন। তাদের দাবি ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।


আরও খবর



রাজশাহীতে সাংবাদিকের নামে সাইবার আইনে মামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলার ঘটনায় বাংলাদেশ প্রতিদিন ও দেশ টিভির সাংবাদিক কাজী শাহেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব ও  রুর‍্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ) রাজশাহী শাখা। দ্রুত সাইবার নিরাপত্তা আইনে করা মামলা নিঃশর্তে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে।

শনিবার (১১ মে) বেলা ১১ টায় রাজশাহী মহানগরীর এ এইচ এম কামারুজ্জামান চত্ত্বর রেলগেটে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সদস্য রহমতুল্লাহ'র সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, মানববন্ধনটি পরিচালনা করেন সভাপতি শামসুল ইসলাম।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ, ক্লাবের প্রেসিডিয়াম মেম্বার শাহিনুর রহমান সোনা, লিয়াকত হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক ইত্তেফাক পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আনিসুজ্জামান আনিস, রুর‍্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন সাগর। এসময় মানববন্ধনে প্রায় শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করবেন এবং সংবাদ প্রকাশ করবেন। প্রচলিত আইনে সংবাদের ভুল তথ্য বা সম্মানহানি হলে প্রতিবাদসহ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করার সুযোগ আছে। কিন্তু একটি সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর সিনিয়র সাংবাদিক কাজী শাহেদের বিরুদ্ধে কালো আইনে সাইবার আদালতে মামলা করে হয়রানি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকরা চরমভাবে হতাশ হয়েছেন। টেলিভিশনের একজন সংবাদকর্মী হিসেবে কাজী শাহেদ ওই সংবাদে অভিযোগকারীর বক্তব্য এবং সে অনুযায়ী বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্য প্রচার করেছেন। সংবাদে কাজী শাহেদ নিজস্ব কোনো বক্তব্য প্রচার বা মতামত প্রদান করেননি। তবুও অতি উৎসাহী হয়ে রাসিকের ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন সাইবার আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রতিবাদে শনিবার এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, টেলিভিশনে প্রচারিত কোনো সংবাদে টিভি রিপোর্টারের নিজস্ব কোনো বক্তব্য প্রচারের সুযোগ থাকে না। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের ২৯/৩১/৩৫ ধারায় মামলা দায়ের প্রকৃত আইনের অপব্যবহার, যা না করার ব্যাপারে সরকারের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার আছে। দেশের গণমাধ্যমকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। অবিলম্বে সাইবার আদালতের উক্ত মামলা নিঃশর্তে প্রত্যাহারের জোর দাবী জানানো হয়েছে এবং দ্রুত মামলা প্রত্যাহার না করলে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুশিয়ারি প্রদান করা হয়।

মানববন্ধনে সিনিয়র সাংবাদিকরা বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাসিক ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন এ আইন দিয়ে একজন সিনিয়র সাংবাদিকের কণ্ঠ রোধ করতে চাইছেন। তিনি তাঁর অতীত ভুলে যেতে পারেন আমরা কিন্তু ভুলিনি। কোনো আইন দিয়ে সংবাদ কর্মীদের কণ্ঠ রোধ করা যাবে না।

সুমনকে উদ্দেশ্য করে বক্তারা বলেন, আপনি সাংবাদিকদের এ কালো আইনে ভয় দেখাতে এবং নিজের অপরাধ ঢাকতে চাইছেন। সে সুযোগ আপনি পাবেন না, দ্রুত মামলা প্রত্যাহার করে নিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন। তা না হলে থলের কালো বিড়াল বের হয়ে যাবে। কতজনের নামে মামলা করবেন। এক এক করে সবাই যখন সংবাদ প্রকাশ শুরু করবে তখন কোথায় যাবেন?


আরও খবর