আজঃ শনিবার ০১ জুন ২০২৪
শিরোনাম
বিএসএমএমইউতে

গর্ভাবস্থায় ও প্রসবকালীন জটিলতা কমিয়ে আনা নিয়ে সেমিনার

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) গর্ভাবস্থায় ও প্রসবকালীন জটিলতা কিভাবে কমিয়ে আনা যায় (Obstetric Complications- How to minimize) শীর্ষক  মাসিক সেন্ট্রাল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার এ ব্লক অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডক্যিাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল সাব কমিটি এই সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অবস এন্ড গাইনী বিভাগের অধ্যাপক ডা. শিউলী চৌধুরী ও ফিটোম্যাটার্নাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সৈয়দা সাঈদা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, সকল  প্রোটোকল মেনে রোগীদের সেবা করতে হবে। রোগীদের দুঃখে দুঃখী ও সমব্যাথী হতে হবে। রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালের সাম্প্রতিক একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, তদন্তের আগেই চিকিৎসকদের ফৌজদারী আইনে আটক বা গ্রেফতার করলে দেশের স্বাস্থ্যখাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এরফলে ব্যাহত হতে পারে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম। তদন্তের পর কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া যায়। কিন্তু তার পূর্বেই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত নয়। এতে রোগীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কারণ তখন রোগীদের জরুরি চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকরা মামলা/গ্রেফতারের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জরুরি চিকিৎসাসেবা দানের ক্ষেত্রে তাদের মাঝে এক ধরণের অনিহা ভাব কাজ করবে, এটাই স্বাভাবিক। সেন্ট্রাল হাসপাতালের ওই ঘটনা অনেকটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এসময় উপাচার্য চিকিৎসকদের রেজিস্ট্রেশন আপগ্রেড করে রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।     উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রসূতি মায়েদের সেবা নিশ্চিত করার জন্য মিডওয়াইফদের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও জরুরি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এ প্রশিক্ষণ দিতে প্রস্তুত রয়েছে। সারা দেশে সিজারিয়ান অপারেশনকে একটি নির্দৃষ্ট প্রটোকল ও সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। গর্ভবতী মা ও তার সন্তানের অবস্থা বুঝে চিকিৎসক সিদ্ধান্ত দিবেন যে সিজার করা হবে না নর্মাল ডেলিভারি হবে। আগেভাগে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না।

উপাচার্য আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে গৃহীত নানা উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে দেশে শিশু মৃত্যু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমেছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে  টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিত করতে মাতৃ মৃত্যুর হার ২০৩০ সালে প্রতি লাখে সত্তরে নিয়ে আসতে চাই।

সেমিনারে কী-নোট স্পিকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মা ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডা. শিউলী চৌধুরী মিডওয়াইফদের সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করা, প্রয়োজনীয় দক্ষতা নিশ্চিত করা, যথাযথ রেফারেল সিস্টেম গড়ে তোলা, সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

ফিটোম্যার্টানাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সৈয়দা সাঈদা বলেন, প্লাসেন্টা এ্যাক্রেটা ডিসঅর্ডার হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থার অন্যতম। এর ফলে গর্ভফুল প্রায়শই জরায়ুর নীচের দিকে অবস্থান করে এবং খুব গভীরভাবে জরায়ুর দেয়ালে মাংসপেশী ভেদ করে ঢুকে যায়। ফলে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে বাচ্চা ডেলিভারি করার প্রয়োজন হয় এবং গর্ভফুল আলাদা হওয়ার সময় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। যেসকল মায়ের আগে সিজার হয়েছে এবং এই সমস্যায় রয়েছে তাদের ঝুঁকির মাত্রা আরো বেশি। সেক্ষেত্রে আগে ভাগেই সতর্ক হওয়াসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা, চিকিৎসা যেমন অনিবার্য তেমন অপারেশনের সময় প্রয়োজন সুদক্ষ অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্সদের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম নিশ্চিত করা।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন ) অধ্যাপক ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান খান। সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সেন্ট্রাল সাব কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী। প্যানেল অব এক্সাপার্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অবস এন্ড গাইনী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. বেগম নাসরীন, অধ্যাপক ডা. তৃপ্তি রানী দাশ প্রমুখ।

সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সেন্ট্রাল সাব কমিটির সদস্য সচিব নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ (সবুজ) ও রেসপাইরেটোরি মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সম্প্রীতি ইসলাম। সেমিনারে বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানগণ, অধ্যাপকবৃন্দ, চিকিৎসক, রেসিডেন্টরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: বিএসএমএমইউ

আরও খবর



কোন রাস্তায় কত গতিতে যানবাহন চলবে, জানাল সড়ক বিভাগ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে দিন দিন বেড়েই চলছে সড়ক দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে কোন সড়কে, কত গতিতে কোন ধরনের যানবাহন চলবে, তা ঠিক করে দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। গত রোববার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভাগ থেকে মোটরযানের গতিসীমা-সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০২৪ জারি করা হয়েছে। বুধবার (৮ মে) থেকে এ বিধিমালা কার্যকর হয়েছে।

বিধিমালা অনুযায়ী, এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৫০ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৫০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদরে ৩০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৩০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ২০ কিলোমিটার।

মোটরকার, জিপ, মাইক্রোবাস, হালকা যাত্রীবাহী মোটরযান এবং বাস-মিনিবাস ও ভারী যাত্রীবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিসীমা এক্সপ্রেসওয়েতে ৮০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৮০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৭০ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৬০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদরে ৪০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৪০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ৩০ কিলোমিটার।

ট্রাক, মিনি ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ মালবাহী মোটরযান এবং ট্রেইলারযুক্ত আর্টিকুলেটেড মোটরযানের ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিসীমা এক্সপ্রেসওয়েতে ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৪৫ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৪০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদরে ৩০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৩০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ৩০ কিলোমিটার।

এ ছাড়া এক্সপ্রেসওয়ে ও জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ও (ক্যাটাগরি-বি) এবং আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জেলা সড়ক, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদর, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে চলাচলের অনুমতি সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার গতিতে থ্রি-হুইলার চলতে পারবে। এ ছাড়া শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ২০ ও ৩০ কিলোমিটার গতিতে থ্রি-হুইলার চলতে পারবে।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দেশব্যাপী উন্নত যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বিস্তৃতির ফলে সড়ক ও মহাসড়কে দ্রুতগতির যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রায়ই অনাকাঙ্ক্ষিত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ মোটরযানের অতিরিক্ত গতি ও বেপরোয়াভাবে মোটরযান চালানো। দ্রুতগতির কারণে আঘাতের মাত্রাও হয় অত্যধিক। ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত মানুষের সংখ্যা অর্ধেকে কমিয়ে আনার লক্ষ্যেই নতুন এই নির্দেশিকা জারি করা হলো।

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, এ গতিসীমা অবশ্যই মেনে সড়ক বা মহাসড়কে মোটরযান চালাতে হবে। সেখানে বলা হয়েছে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, আবাসিক এলাকা এবং হাট-বাজার ইত্যাদি সংলগ্ন সড়ক বা মহাসড়কে মোটরযানের সর্বোচ্চ গতিসীমা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বা রাস্তা নির্মাণকারী বা উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে। তবে তা কোনোক্রমেই জাতীয় মহাসড়কের ক্ষেত্রে ৪০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং আঞ্চলিক মহাসড়কের ক্ষেত্রে ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টার বেশি হবে না। সর্বোচ্চ গতিসীমার এই বাধ্যবাধকতা শুধু স্বাভাবিক অবস্থায় প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, প্রখর রোদ, অতিরিক্ত বৃষ্টি, ঘন কুয়াশা ইত্যাদি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণযোগ্য নিরাপদ গতিসীমা প্রযোজ্য হবে। দৃষ্টিসীমা বেশি মাত্রায় কমে গেলে বা একেবারেই দেখা না গেলে, মোটরযান চালানো বন্ধ রাখতে হবে।

নির্দেশিকায় বলা হয়, এক্সপ্রেসওয়ে, জাতীয় মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং জেলা সড়কের উভয় দিকের প্রবেশমুখ ও নির্দিষ্ট দূরত্বে যানবাহনভিত্তিক নির্ধারিত গতিসীমা-সংক্রান্ত সাইন রাস্তা নির্মাণকারী বা উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে প্রদর্শন করতে হবে। মোটরযানের শ্রেণি বা ধরন অনুযায়ী, ভিন্ন ভিন্ন গতিসীমার জন্য একই পোস্টে মোটরযানের নাম ও ছবিসংবলিত গতিসীমার সাইন প্রদর্শন করতে হবে। পাহাড়ি এলাকা, আঁকাবাঁকা সড়ক, বাঁক, ব্রিজ, রেল বা লেভেল ক্রসিং, সড়ক সংযোগস্থল, বাজার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের সামনে সাইনে প্রদর্শিত গতিসীমা প্রযোজ্য হবে।

নির্দেশিকায় বিশেষ কিছু নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সড়ক বাঁক, জংশন, জ্যামিতিক কাঠামো, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, দুর্ঘটনার ঝুঁকি ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট রাস্তা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মোটরযানের শ্রেণি বা ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট দূরত্বের জন্য ট্রাফিক সাইন ম্যানুয়াল অনুযায়ী স্ট্যান্ডার্ড ট্রাফিক সাইন পোস্ট ও গতিসীমা প্রদর্শন বা স্থাপন করবে।

বিশেষ নির্দেশে আরও বলা হয়, মালবাহী মোটরযানসহ অন্যান্য স্বল্পগতির মোটরযান সর্বদা সড়কের বাঁ পাশের লেন দিয়ে চলাচল করবে। শুধু ওভারটেক করার সময় ডান লেন ব্যবহার করতে পারবে, কখনো বাঁ লেন দিয়ে ওভারটেক করা যাবে না।

এতে বলা হয়- ওভারটেকিং নিষিদ্ধ না থাকলে রাস্তার ট্রাফিক সাইন, রোড মার্কিং দেখে এবং সামনে, পেছনে পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় জায়গা থাকলে নিরাপদ পরিস্থিতি বিবেচনায় ওভারটেক করা যাবে। ওভারটেক করার সময় সামনে বিপরীত লেনে আসা গাড়ি এবং পেছনের গাড়ির অবস্থান ও গতিবেগ দেখে ওভারটেকিংয়ের জন্য নিরাপদ দূরত্ব আছে কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। নির্দেশ পালন না করলে বা গতিসীমা লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



ওয়ালটনের অত্যাধুনিক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব পণ্য উন্মোচন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসছে ঈদুল আযহা বা কোরবানি ঈদ। এ উপলক্ষে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ চমক হিসেবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী নতুন মডেলের পণ্য উন্মোচন করেছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন।

নতুন মডেলের পণ্যের মধ্যে রয়েছে ইনভার্টার প্রযুক্তির মাল্টি-কালার ডিজাইনের সাইড বাই সাইড রেফ্রিজারেটর, ইউরোপিয়ান ডিজাইনের কম্বি মডেলের রেফ্রিজারেটর, ভার্টিকাল ফ্রিজার, চকোলেট কুলারসহ মোট ৭টি মডেলের ফ্রিজ। এছাড়াও আছে সোলার হাইব্রিড প্রযুক্তির স্প্রিট টাইপ এসি, ৪ ও ৫ টনের সিলিং এবং ক্যাসেট টাইপ লাইট কমার্শিয়াল এসি, ৬৫ ইঞ্চির ওএলইডি টিভি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি প্রযুক্তির ফ্যান।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে নতুন মডেলের প্রোডাক্টস উন্মোচন করেন ওয়ালটন প্লাজার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রায়হান।

অনুষ্ঠানে সারাদেশে একযোগে চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর ননস্টপ মিলিয়নিয়ার অফারের বর্ণাঢ্য র‌্যালি উদ্বোধন করা হয়। নতুন মডেলের পণ্য উন্মোচন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাইটেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলী, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর দিদারুল আলম খান (চিফ মার্কেটিং অফিসার), মফিজুর রহমান, ফিরোজ আলম, মো. তানভীর রহমান, তাহসিনুল হক, সোহেল রানা, মোস্তফা কামাল ও মোহাম্মদ শাহজাদা সেলিম প্রমুখ।

এছাড়া ভার্চুয়াল মাধ্যমে সারাদেশ থেকে ওয়ালটন প্লাজা ম্যানেজার ও পরিবেশকগণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান।


আরও খবর



টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে আগের দুই ম্যাচে স্বাগতিক বোলারদের দাপটে দাঁড়াতেই পারেনি সিকান্দার রাজারা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে প্রথম দুটিতে জিতে ২০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে টিম টাইগার্স। আজ তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল।

টস জিতে বাংলাদেশকে শুরুতে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে জিম্বাবুয়ে। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই টস জিতেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আজ ভাগ্য সহায় হয়নি। তবে আগে ব্যাটিং পাওয়ায় ব্যাটাররা নিজেদের সামর্থ্য যাচাইয়ের সুযোগও পাচ্ছেন। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়েছে বিকেল ৩টায়। আগের দুই ম্যাচে বৃষ্টির বাগড়া থাকলেও আজ এখন পর্যন্ত আকাশ পরিষ্কারই আছে।

দুই ম্যাচ হাতে রেখে আজই সিরিজ নিশ্চিত করার লক্ষ্য বাংলাদেশের। অন্যদিকে, সিরিজ বাঁচাতে জয়ের বিকল্প নেই ব্যাকফুটে থাকা জিম্বাবুয়ের। দুই দলের একাদশেই আছে দুটি করে পরিবর্তন।

শরিফুল ইসলাম ও শেখ মেহেদীর জায়গায় স্বাগতিক দলে ফিরেছেন তানজিম হাসান সাকিব ও তানভীর ইসলাম। জিম্বাবুয়ে দলেও আছে দুটি পরিবর্তন। দলে ঢুকেছেন বাঁহাতি স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজা এবং ফারাজ করিম। বাদ পড়েছেন রিচার্ড এনগারাভা ও এইনস্লে এনদোলভু।

বাংলাদেশ একাদশ

নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী (উইকেটকিপার), তানভির ইসলাম, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

জিম্বাবুয়ে একাদশ

জয়লর্ড গাম্বি (উইকেটকিপার), ক্রেগ আরভিন, ব্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্লাইভ মাদান্দে, জোনাথন ক্যাম্পবেল, রায়ান বার্ল, লুক জঙ্গুয়ে, ফারাজ আকরাম, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ব্লেসিং মুজারাবানি।


আরও খবর
নতুন কোচ নিয়োগ দিলো বিসিবি

বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪




মিরপুরে অটোরিকশা চালকদের তাণ্ডব

দুই হাজার ৭০০ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ৪২

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর মিরপুরে অটোরিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ, অগ্নিসংযোগ, বাস ভাঙচুর ও পুলিশকে আহত করার অভিযোগে তিন থানায় চারটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ২ হাজার ৭০০ জনকে। এখন পর্যন্ত মোট গ্রেপ্তার আছেন ৪২ জন।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) জসীম উদ্দীন মোল্ল্যা।

তিনি জানান, পুলিশ বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি, পল্লবী থানায় দুটি, ও কাফরুল থানায় একটি মামলা করেছে। চার মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রায় ২৭০০ জনকে। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪২ জনকে।

অবৈধ অটোরিকশা চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে গতকাল রোববার সড়ক অবরোধ করে অটোরিকশা চালকরা। এ সময় মিরপুরের কালশীতে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন দেয় অটোরিকশার চালকরা।

সম্প্রতি বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকায় কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো যাবে না। এ বিষয়ে শুধু নিষেধাজ্ঞা আরোপ নয়, এগুলো চলতে যেন না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ২২ মহাসড়কে রিকশা ও ইজিবাইক নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করুন।

বিআরটিএ জানিয়েছে, ব্যাটারি অথবা মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলারের কারণে ঢাকা মহানগরীতে সড়ক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। ফিটনেসের অনুপযোগী, রংচটা, জরাজীর্ণ ও লক্কড়-ঝক্কড় মোটরযান চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ গণ্য করে ঢাকাতে ফিটনেসবিহীন অটরিকশা বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



সিগন্যালে ত্রুটি, বন্ধ মেট্রোরেল চলাচল

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এমআরটি লাইন-৬ এর সিগন্যালিং সিস্টেম ফেল করায় হঠাৎ করে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। একটি ট্রেন সচিবালয় স্টেশনে আটকা পড়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি ট্রেন কাছাকাছি স্টেশনে আটকে আছে। এতে বহু যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছেন।

শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই মুহূর্তে লাইনে ১০টি ট্রেন আটকে আছে। মূলত মেট্রোরেল সিগন্যালিং সিস্টেম ফেল করার কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে। সিগন্যালিং সিস্টেম ছাড়া ট্রেনগুলো আনা যাবে, তবে সেটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

কত সময় লাগতে পারে জানতে চাইলে সূত্রগুলো জানায়, সিগন্যালিং সিস্টেমের সঙ্গে টেলিকম সিস্টেমেরও ঝামেলা দেখা দিয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার এই মুহূর্তে লাইনে আছে। সমাধান হওয়া মাত্রই চালু হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাত্রীদের দেওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বিভিন্ন স্টেশনে হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা করা হয়েছে, যাদের তাড়া রয়েছে তারা নিচে নেমে বিকল্প ব্যবস্থায় যেতে পারেন। আর যারা টিকিট সংগ্রহ করেছেন, তারা কাউন্টারে ফেরত দিয়ে টাকা নিতে পারবেন।

এ বিষয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, আমাদের অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টারে যে ট্রান্সফরমার থেকে বিদ্যুৎ যায়, সেটির লাইন অফ হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে কোনো সিগন্যাল পাঠানো যাচ্ছিল না আমাদের স্টেশনগুলোতে। এখন যাত্রীদের সেফটির জন্য সেটা রি-ইন্সটল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, যতদূর জানি কিছুক্ষণের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। যদি সিগন্যালের কারণে কন্ট্রোল করা না যায় তাহলে কোনো এক্সিডেন্ট হয়ে যেতে পারে। তাই নিরাপত্তার জন্য মেট্রোরেল বন্ধ রাখা হয়েছে।


আরও খবর