নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে ঈদ উল আজহাকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করণে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। সম্পূর্ণ দেশীয় খাবারের ওপর ভিত্তি করে কোরবানির পশু লালন পালন করা হচ্ছে। বাজারমূল্য ঠিক থাকলে এবারও লাভবান হওয়ার আশা খামারিদের।
ঈদ উল আজহাকে কেন্দ্র করে খামারিরা কোরবানির জন্য গরু মোটাতাজা করছেন। এগুলো আগামী ঈদে বিক্রির জন্য তৈরি করছেন। বর্তমানে সবচেয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ক্রেতাদের পছন্দের কোরবানির গরু কেনা।
সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন খামারে ছোট বড় মাঝারি আকারে কোরবানির পশু রয়েছে। খামারে হলস্টেইন ফ্রিজিয়াম, জার্সি, আয়ারশায়ার, গারনেসি, ব্রাউই সুইট, নওরেজিয়ান রেড, লাল এবং সাদা হলস্টেইন জাতের উন্নত ষাঁড় গরু রয়েছে।
সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নের গোয়াল পাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম ভুইঁয়ার মালিকানাধীন তামিম ডেইরি ফার্মে গত তিন বছর ধরে উন্নত জাতের শিংন্দি, অস্ট্রেলিয়ান, জার্সি, ফ্রিজিয়ান সহ বেশ কিছু ষাড় গরু পালন করে আসছেন। বিভিন্ন জাতের মোট ৪৫টি ষাড় লালন পালন করছেন তিনি। তার খামাড়ে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা কোরবানির পশু ক্রয়ের জন্য দেখতে আসছেন।
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এ বছর ২ হাজার ৭ শ ৮২ জন খামারী সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন গ্রামে কোরবানীতে বিক্রির জন্য পশু মোটাতাজাকরণ করেছেন। চাহিদা অনুযায়ী এ বছর খামারগুলোতে গরু মোটাতাজা করছেন খামারীরা। সোনারগাঁয়ের কোরবানির চাহিদা পূরন করেও বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা যাবে।
সোনারগাঁ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ মনজুরুল হাসান বলেন, সোনারগাঁয়ে ছোট বড় সব মিলিয়ে প্রায় ২ হাজার ৭ শ৮২ টি গরুর খামার আছে আমরা কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণসহ সকল বিষয়ে প্রয়োজনীয় তর্থ্যপর্রামশ দিচ্ছি এবং সব দরকারি ব্যবস্থা গ্রহন করেছি।
সরেজমিনে সোনারগাঁয়ে বিভিন্ন খামারে গিয়ে দেখা গেছে, খামারীরা বিভিন্ন পশুর হাটে বিক্রির জন্য পালিত পশুগুলোকে প্রস্তুত করচ্ছে। খামারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গো খাদ্যের দাম কয়েক দফায় বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভের আশঙ্কা কম তবে ভারতীয় গরু বাজারে না আসলে হয়তো তাদের পালিত পশু বিক্রি করে কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পারবেন তারা।
কোরবানির পশু খাবারের খাদ্য তালিকায় রয়েছে খৈল, ভুষি, খড়, সবুজ ঘাস, ভুট্টা গাছের সাইলেন্সার, ছোলা ও ঝাউয়ের মতো প্রাকৃতিক খাবার। প্রাকৃতিক উপায়ে সম্পূর্ণ ষ্টেরয়েড ও ইনজেকশনমুক্ত বিষুদ্ধ গো-খাদ্যের মাধ্যমে বড় করে কোরবানির জন্য বিক্রয় করছেন বলে জানিয়েছেন ফার্ম কর্তপক্ষ।
বারদী ইউনিয়নের গোয়াল পাড়া গ্রামের তামিম ডেইরি ফ্রামের মালিক মোঃ আমিনুল ইসলাম ভুইঁয়ার জানান, প্রাকৃতিকভাবে গরু বড় করে আমরা বিক্রি করে আসছি। আমার খামারে বড়, ছোট ও মাজারী সাইজের মোট ৪৫ টি কোরবানির উপযুক্ত ষাড় গরু রয়েছে। তবে এখনে সকলেই তাদের পছন্দ মত কোরবানির পশু তাদের বাজেটের মধ্যেই পাবে।
তিনি আরো জানান, বডি ওজন করেও বিক্রি হচ্ছে বিক্রিত গরু ক্রেতার বাড়ি পর্যন্ত নিরাপদে পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা আছে।