আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

গাজীপুরে ট্রাক ও অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত ৩

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ট্রাক ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছেন। সোমবার ভোরে উপজেলার সুত্রাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও দুইজন। 

নিহতরা হলেন, উপজেলার টালাবহ গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে মফজেল হোসেন (৬৫), আব্বাস জোয়াদ্দারের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৪০), এবং একই উপজেলার বাউমান টালাবহ গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে শওকত আলী (৪২)। নিহত তিনজন এবং আহত আরও দুইজন অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। তারা সকলেই র্নিমাণ শ্রমিক ।

হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সোমবার ভোর সাড়ে পাচঁটার দিকে বোডঘর এলাকা থেকে কাজের সন্ধানে ওই পাঁচ ব্যক্তি অটোরিকশা যোগে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্ভিস লাইন দিয়ে উল্টোপথে আসছিলেন। এসময় চন্দ্রা থেকে ছেড়ে আসা (ঢাকা মেট্রো উ-১৪-১৫৪৫ )একটি মালবাহী ট্রাক মূল মহাসড়ক ব্যবহার না করে সার্ভিস সড়ক দিয়ে মির্জাপুর দিয়ে যাচ্ছিলো। পথে ব্যাটারী চালিত অটোরিকশার সাথে ট্রাকের মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়।

ঘটনাস্থলে পাঁচজন আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে র্কতব্যরত চিকিৎসক তিন জনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুইজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মির্জাপুর কুমুদিনি হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নাওজোর হাইওয়ে পুলিশের ওসি শাহদাত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ট্রাক আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক। তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে ‘ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল’ নিয়ে এইডসে আক্রান্ত ৩ নারী

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশেষ কসমেটিক চিকিৎসা ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল-এর ইঞ্জেকশন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৩ জন নারী এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটির দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য নিউ মেক্সিকোর সবচেয়ে জনবহুল শহর আলবুকার্কে এই ঘটনা ঘটেছে।

মার্কিন সরকারের কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, এই প্রথম কসমেটিক ইনঞ্জেকশনের মাধ্যমে এইডস সংক্রমণের তথ্য পাওয়া গেল।

প্রসঙ্গত, বয়স বাড়তে থাকার সঙ্গে আমাদের ত্বকে বলিরেখা পড়ে। এই বলিরেখা দূর করার জন্য প্লাটিলট রিচ প্লাজমা (পিআরপি) নামের একপ্রকার ঔষধি জৈব তরল ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে গ্রহণ করেন পশ্চিমা বিশ্বের ধনী-শৌখিন লোকজন। মুখের ত্বকে এই ইঞ্জেকশন গ্রহণ করা হয় বলে সাধারণ লোকজনের কাছে এই চিকিৎসা ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল নামে পরিচিতি পেয়েছে।

সিডিসির তথ্য অনুসারে, যে তিন জন নারী এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের কেউ কখনও অনিরাপদ যৌন সম্পর্কে ছিলেন না। কোনো এইডস রোগীর রক্তও তারা গ্রহণ করেননি কখনও। সিডিসির নিজস্ব অনুসন্ধানে জানা গেছে, আলবুকার্কের যেসব স্পা ক্লিনিকে তারা পিআরপি বা ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়ালের ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন, সেই ইঞ্জেকশনের সূঁচগুলো ঠিকমতো জীবাণুমুক্ত করা হয়নি।

আক্রান্ত ৩ নারীর মধ্যে  মধ্যে দুজনের দেহে এইডস শনাক্ত হয়েছিল ২০১৮ সালে। সে সময় এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান শেষে যে দুই স্পা ক্লিনিকে পিআরপি ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন তারা, সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল সিডিসি। সেই সঙ্গে ইঞ্জেকশন নিতে আগ্রহীদের তা নেওয়ার আগে এইচআইভি পরীক্ষা করানো আহ্বান জানানো হয়েছিল এবং তারা যেন বিনামূল্যে এই পরীক্ষা করতে পারেন, সে নির্দেশনাও দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় রোগ প্রতিরোধ ও গবেষণা সংস্থা।

তারপর দীর্ঘদিন এ বিষয়ক অনুসন্ধান বন্ধ ছিলো; কিন্তু সম্প্রতি ফের আরও একজন এইডসে আক্রান্ত হওয়ায় ফের সেই অনুসন্ধান কার্যক্রম ফের চালু করেছে সিডিসি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে সিডিসির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়ালে অনিরাপদ সূঁচ ব্যবহারের কারণে শুধু নিউ মেক্সিকোতেই বর্তমানে অন্তত ৬০ জন এইডস আক্রান্ত রোগী আছেন বলে আশঙ্কা করছেন তারা।


আরও খবর



ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্য: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ডেকে আনতে পারেন বাইডেন

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েলে যা চলছে, তা বিশ্বযুদ্ধে রূপ নিতে পারে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তিনি (বাইডেন) জানেন না তিনি কী করছেন। তিনি দেশকে বিশ্বযুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারেন। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ডেকে আনতে পারেন।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ফ্লোরিডায় এক বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বাইডেনকে বেশ করুণ বলে খোঁচাও দেন। তিনি বলেন, আমাদের এমন একজন প্রেসিডেন্ট আছেন যিনি দুটি বাক্য একসঙ্গে বলতে পারেন না! যিনি মঞ্চ থেকে সিঁড়ি খুঁজে পান না, যিনি জানেন না তিনি কী করছেন!

ট্রাম্প বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট হলে তারা (ইরান) ইসরায়েলকে আক্রমণ করতো না। আমি থাকতে তারা কখনই তা করেনি। কারণ ইরান আক্রমণ করার মতো অবস্থানে ছিল না। তাদের কাছে কোনো টাকা ছিল না। তারা ভেঙে পড়েছিল।

তিনি বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যা চলছে, তা শেষ পর্যন্ত বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আমাদের জাতির জন্য এটি একটি বিপজ্জনক সময়। বিপজ্জনক হওয়ার একটি বড় কারণ হলো, আমাদের এমন একজন রাষ্ট্রপতি আছেন যিনি মারাত্মকভাবে অযোগ্য!


আরও খবর



নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি হতে পারে এ সপ্তাহেই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় একের পর এক যুদ্ধাপরাধ ও মানবিকতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ত এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে নেদার‌ল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

ইসরায়েলের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি। সম্ভাব্য সেই পরোয়ানা এড়াতে ইতোমধ্যে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে বলেও এনবিসিকে বলেছেন ওই সরকারি কর্মকর্তা।

এ প্রসঙ্গে আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে এনবিসির সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন, সত্যিই চলতি সপ্তাহে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও অন্যান্য ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হচ্ছে কিনা।

জবাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এক মুখপাত্র বলেছেন, আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে একটি মুক্ত ও অবাধ তদন্ত পরিচালনা করছি। এই কাজের সুবিধার্থে যে কোনো পদক্ষেপ আমাদের নিতে হতে পারে; কিন্তু যেহেতু এটি তদন্তাধীন বিষয়, তাই এ প্রসঙ্গে এখনই বিস্তারিত কিছু বলার সুযোগ নেই।

২০১৪ সালে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ২০১৭ সালে তার তদন্ত শুরু করেছিল আইসিসি। পরে করেনা মহামারির কারণে তদন্তে বাধা পড়ে। মহামারির ধাক্কা কেটে যাওয়ার পরও তা আর শুরু হয়নি।

কিন্তু গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলা ও তার জেরে গাজায় অভিযান শুরুর পর সেই তদন্ত ফের পুনরুজ্জীবিত করে আইসিসি। গত ডিসেম্বরে গাজা-ইসরায়েল সীমান্ত ঘুরে গেছেন আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান। সেই সফরে পুরনো সেই তদন্ত ফের শুরুর তথ্য জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, এবারের তদন্ত হবে গতিশীল, কঠোর এবং পুরোপুরি সাক্ষ্যপ্রমাণ নির্ভর।

ইসরায়েল কিংবা যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের কোনোটিই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বীকৃতি দেয় না। আইসিসি যদি সত্যিই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে, তাহলে ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহু কিংবা ইয়োয়াভ গ্যালান্তের গ্রেপ্তার হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

তবে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয়। তাই পরোয়ানা জারি হলে ইউরোপের দেশগুলোসহ বিশ্বের অনেক দেশেই সফর বন্ধ করতে হবে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও আইডিএফের সামরিক কর্মকর্তাদের। কারণ পরোয়ানা বাতিল হওয়ার আগ পর্যন্ত সেসব দেশে গেলে গ্রেপ্তার হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে তাদের।


আরও খবর



খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই আজ খুলেছে স্কুল-কলেজ। এই সময়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকলেও তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি। সেই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম। এ অবস্থায় সরকারি প্রাথমিকে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৮ এপ্রিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে। এক পালায় (শিফটে) পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। আর দুই পালায় বিদ্যালয়গুলোয় প্রথম পালা সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় পালা সকাল পৌনে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। তবে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। আর দাবদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ থাকবে।

চলমান দাবদাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশুকল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

মাউশির অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আগামী শনিবার থেকে ক্লাস হবে। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অর্থাৎ, শনিবার আগের মতোই সাপ্তাহিক ছুটি থাকছে।

এদিকে, তাপপ্রবাহের কারণে এক সপ্তাহ ছুটির পর মাউশির আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও আজ থেকে খুলছে। তবে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ থাকবে। শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে। এছাড়া দাবদাহ ও অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে শিখনঘাটতি পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।


আরও খবর



ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সব ধরনের ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওষুধ প্রশাসনের অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে অব্যাহতভাবে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি রোধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এছাড়া বিদেশ থেকে আমদানি করা অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া।

দুই সপ্তাহে ওষুধের দাম বেড়েছে ৭ থেকে ১৪০ শতাংশ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এ রিট দায়ের করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই মাসে দেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের উৎপাদিত ওষুধের দাম লাগামহীনভাবে বাড়িয়েছে। অন্তত ৫০ ধরনের ওষুধের দাম ২০ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। চলতি মার্চের প্রথম সপ্তাহেও দাম বাড়ানো হয়েছে বেশ কয়েকটি ওষুধের।

সবচেয়ে বেশি বাড়ানো হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, ডায়াবেটিসের রোগীদের ইনসুলিন ও ইনজেকশনের দাম। এছাড়া হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা, হাঁপানিসহ বিভিন্ন ওষুধ এবং ভিটামিনের দামও বেড়েছে। বাদ যায়নি জ্বর-সর্দির ট্যাবলেট-ক্যাপসুল, বিভিন্ন অসুখের সিরাপও।

বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং বিক্রি থেকে আয়ের হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দাম বাড়ানোর হার অস্বাভাবিক। এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির অজুহাত হিসেবে কোম্পানিগুলো ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছে। এসময় গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও উৎপাদন খরচ বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন ওষুধ কোম্পানিগুলোর শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা।


আরও খবর