আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

গাজীপুরে ‘জাহাঙ্গীর খেলা’ চলছে জল্পনা-কল্পনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পাঁচ সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ৪১ জন নেতাকর্মী দলীয় ফরম সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে সর্বাধিক ১৭ জন আগ্রহী ছিলেন। এ সিটিতে সেখানকার সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে বাদ দিয়ে দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খানকে। তাকে মনোনয়ন দেওয়ায় আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জাহাঙ্গীর আলম বিদ্রোহী প্রার্থী হন কি না, তা নিয়ে এখন চলছে জল্পনা-কল্পনা।

আর গত শনিবার আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর জাহাঙ্গীর আলম নিজেও বলেছেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেলেও জনগণ যদি চায় তাহলে তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি ভোটের লড়াইয়ে থাকবেন। এমন পরিস্থিতিতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেই পুরনো জাহাঙ্গীর খেলা শুরুর আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও গাজীপুরের স্থানীয় কিছু নেতা মিলে এই খেলার মাধ্যমে নিজেদের শক্তির জানান দিতে চান।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা ও জাহাঙ্গীরের শত্রু-মিত্ররা সবাই একাট্টা হয়ে জাহাঙ্গীর খেলা শুরুর ছক সাজাচ্ছেন। আর এ খেলার সুফল-কুফল নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। এরই মধ্যে ঢাকায় আওয়ামী লীগ তিন প্রভাবশালী নেতার বাসায় জাহাঙ্গীর একাধিকবার ঢু মেরে আলোচনা সেরে গেছেন। গতকাল সোমবার পুরো দিনই তিনি ঢাকায় অবস্থান করেন। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন নেতার সঙ্গে দেখা করে নিশ্চিত হতে চেয়েছেন যে নির্বাচনে প্রার্থী হলে হামলা-মামলা বা অন্য কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি তাকে হতে হবে কি না? আর প্রার্থী হলে দল ও সরকার থেকে ঝামেলার মুখে পড়তে হবে না এমন নিশ্চয়তা পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে লড়াই করবেন। নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা ঘোষণার জন্য হাতে সময় থাকায় আরও কয়েক দিন এসব নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে ভেবেচিন্তে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে গতকাল রাতে জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে এই প্রতিবেদক তার পরিচয় উল্লেখ করে কল করার কারণ জানিয়ে বার্তা পাঠালেও সাড়া পাওয়া যায়নি তার।

জাহাঙ্গীর আলমের ঘনিষ্ঠ এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, তিনি (জাহাঙ্গীর) দলীয় পদের চেয়ে মেয়র পদের জন্য যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে রাজি আছেন। তার আত্মবিশ্বাস, প্রচারণায় বের না হয়েও মেয়র নির্বাচিত হবেন। হামলা-মামলার শিকার না হয়ে শুধু দল থেকে বহিষ্কারের মতো পদক্ষেপ নিলেও ভোটের মাঠে থাকবেন জাহাঙ্গীর।

আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের কেন্দ্রীয় এক নেতার নেতৃত্বে আরও কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা জাহাঙ্গীরকে নিজের শক্তির ওপর ভর করে নির্বাচনে প্রার্থী হতে উৎসাহিত করে তুলেছেন বলে জানা গেছে। জাহাঙ্গীরের শক্তির উৎস যে কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা রয়েছেন তারা তাকে বলেছেন, শক্তির জায়গায় আত্মবিশ্বাসী থাকলে নির্বাচনে নেমে পড়তে। কারণ বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ নেবে না। ফলে জাহাঙ্গীরের বিজয়ী হয়ে আসার সুযোগ আছে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৭ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ এপ্রিল। এরপর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৮ মে। প্রতীক বরাদ্দ হবে ৯ মে। ভোটগ্রহণ হবে ২৫ মে। তাই প্রার্থিতার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে জাহাঙ্গীর আলম আরেকটু সময় নিচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র জানায়, শীর্ষ পর্যায়ের এক কেন্দ্রীয় নেতাসহ অন্তত ছয়জন প্রভাবশালী নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে দলের মনোনয়ন পাইয়ে দিতে জোর চেষ্টা চালান। কিন্তু আজমতের রাজনৈতিক ত্যাগের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সিটিতে মেয়র প্রার্থী বদলেছেন। এতে নাখোশ হয়ে জাহাঙ্গীরকে দিয়ে জাহাঙ্গীর খেলা শুরুর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন প্রভাবশালী ওই ছয় নেতা। এতে করে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে ভোটের মাঠে সংকটে ফেলা যাবে। এই সিটি নির্বাচনে পরাজিত হলে আজমত গাজীপুরের রাজনীতিতে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না। এ ছাড়া গাজীপুর আওয়ামী লীগের যে অংশটি জাহাঙ্গীর খেলার সঙ্গে জুটেছেন, তাদের লক্ষ্য জাহাঙ্গীরকেও শেষ করা যাবে এর মধ্য দিয়ে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও গাজীপুরের একাধিক নেতা এসব তথ্য জানান।

তারা বলেন, জাহাঙ্গীর খেলা বলতে ২০১৩ সালে গাজীপুর সিটির প্রথম নির্বাচন ঘিরে নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি করে আজমত উল্লা খানকে হারানো হয়েছিল তা। তখন মনোনয়নপ্রত্যাশী জাহাঙ্গীর আলমকে মনোনয়ন না দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ড নৌকা প্রতীক তুলে দেয় আজমতকে। তাতেই বেঁকে বসেন জাহাঙ্গীর অনুসারী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের একাংশ এবং তাদের অনুসারী ছাত্রলীগের সাবেক প্রভাবশালী নেতারা। যারা জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে সুফলভোগী। এ অনুসারীদের চাপে পড়ে জাহাঙ্গীর খেলা শুরু সেই নির্বাচনে। তিনি কাগজে-কলমে স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকলেও মুখে ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রার্থী হিসেবে না থাকার। এবারও একই খেলা, একই ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে জাহাঙ্গীর সিন্ডিকেট

গাজীপুর আওয়ামী লীগের একটি অংশ চায় জাহাঙ্গীর খেলার মধ্য দিয়ে আজমত পরাজিত হলে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ শেষ হবে এবং ওই দোষে দুষ্ট হয়ে জাহাঙ্গীর আলমেরও রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের মৃত্যু হবে। এই হিসাব থেকেও গাজীপুরের প্রভাবশালী নেতারা তার সঙ্গে জোট বেঁধেছেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, সিদ্ধান্ত অমান্য করলে যত বড় নেতাই হোক না কেন, এবার আর ক্ষমা করা হবে না। সে যে-ই হোক। অনেকেই অমুক প্রার্থীর সঙ্গে তমুক প্রার্থীর সঙ্গে উসকানি দেন এমন ঘটনা বলাই যায়। কিন্তু তথ্য-প্রমাণ হাতে থাকলে সবাইকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

২০১৩ সালের জাহাঙ্গীর খেলা : গাজীপুর সিটি করপোরেশনের এটি তৃতীয় নির্বাচন। ২০১৩ সালের প্রথম নির্বাচনে টঙ্গী পৌরসভার তিনবারের চেয়ারম্যান আজমত উল্লা খান বিএনপির আবদুল মান্নানের কাছে পরাজিত হন। সেবার মনোনয়ন চেয়েও না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন তরুণ নেতা জাহাঙ্গীর। তবে ভোটের আগে হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যান। এর মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার কথা কেন্দ্র থেকে বলা হলেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু গণমাধ্যমে নানা আবেগী বক্তব্য দিয়ে যান ওই সময়ে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার কয়েক দিন পর আত্মগোপন থেকে ছাত্রলীগের সাবেক কিছু প্রভাবশালী নেতা তাকে বের করে এনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে উপস্থিত করান। এতে করে সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা শেখ হাসিনার সুদৃষ্টিতে আসতে চেষ্টা করেন। ওই সময়ে সংসদ ভবনে কাজে থাকা শেখ হাসিনার সামনে জাহাঙ্গীর উপস্থিত হলে প্রধানমন্ত্রী তাকে আজমতের পক্ষে ভোট করার নির্দেশ দেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা জাহাঙ্গীরকে ভবিষ্যতে দেখার আশ্বাসও আদায় করে নেন।

দলীয়প্রধান শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার পরদিন জাহাঙ্গীর ঘটা করে সংবাদ সম্মেলন করে গাজীপুরবাসীকে আবেগপূর্ণ করে তোলেন। সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে হাউমাউ করে কেঁদে ভোটের অল্প কয়েক দিন আগে গাজীপুরের মানুষকে দোলায় ফেলে দেন। অভিযোগ ওঠে, সংবাদ সম্মেলনের পর তিনি তার ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে বিএনপির তৎকালীন মেয়র প্রার্থী এমএ মান্নানের জন্য ভোট চান। জাহাঙ্গীর খেলার উদ্দেশ্য ছিল আর যা-ই হোক, নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঠিক রাখতে হলে আজমতকে হারাতেই হবে। তাই জাহাঙ্গীর সিন্ডিকেট ওই নির্বাচনে শেষদিন পর্যন্ত রহস্যবৃত ছিল। ফলে ফলাফল যা হওয়ার কথা ছিল তা-ই হয়। মান্নানের কাছে পরাজিত হতে হয় আজমত উল্লা খানকে। অন্যদিকে নির্বাচন থেকে মুখে মুখে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেও কাগজে-কলমে প্রার্থী থেকে যাওয়ার কারণে জাহাঙ্গীরের ভোটের বাক্সেও ৩০ হাজারের মতো ভোট পড়ে।

আজমত হেরে যাওয়ায় পরেরবার ২০১৮ সালে নৌকা পেতে আর কোনো ঝক্কি-ঝামেলায় পড়তে হয়নি জাহাঙ্গীর আলমকে। মনোনয়ন পেয়ে অনায়াসেই মেয়র হয়ে যান। তবে সেবার তিনি মনোনয়ন পেলেও প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে কোনোভাবেই আজমত উল্লা খানের অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠেনি। কেন্দ্রের কয়েকজন নেতার আজমতবিরোধী অবস্থানের নেপথ্য কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর বিভিন্ন নেতাকে আর্থিকসহ নানা সুবিধা দিয়ে তার ভক্ত করে রেখেছেন। অন্যদিকে আজমতের যোগ্য-দক্ষ ও ত্যাগের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন থাকায় অনেকেই তাকে ঈর্ষার চোখে দেখেন।

মেয়র হয়েই বেপরোয়া জাহাঙ্গীর : মেয়র হওয়ার পর পুরো নগরীতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন জাহাঙ্গীর আলম। গাজীপুরের রাজনীতি, সিটি করপোরেশন কার্যালয়সহ সবই তার ইশারায় চলতে থাকে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতাসহ প্রভাবশালী অন্তত চারজন নেতা তাকে আশকারা দিতে থাকেন। তবে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় জাহাঙ্গীরকে। এরপর দুর্নীতির অভিযোগে মেয়র পদ থেকে অপসারণ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কিছুটা চাপে পড়ে নিশ্চুপ হয়ে যান তিনি। সর্বশেষ দলীয় সিদ্ধান্তে বহিষ্কার হওয়া সবাইকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হলে এর আওতায় তারও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এরপর মেয়র পদ ফিরে পেতে আদালতের শরণাপন্নও হন জাহাঙ্গীর। একই সঙ্গে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন।


আরও খবর



২৪ ঘণ্টা না যেতেই আবারও কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

একদিন না যেতেই আবারও স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানো হয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ দাম এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা থেকে কমিয়ে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্প‌তিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আজ বিকেল ৩টা ৫০ মি‌নিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল স্বর্ণের দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।

এর দুই দিন পর ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা ও ২৫ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোরর ঘোষণা দিলো বাজুস। অর্থাৎ তিন দিনে ভ‌রি‌তে স্বর্ণের দাম ক‌মেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা।


আরও খবর



ফের জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় তার আইনজীবী নিখিল কুমার সাহার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এক সপ্তাহের জন্য আদালতে প্রবেশ করতে মানা করা হয়েছে তাকে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী এক সপ্তাহ কোনো মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন না অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার সাহা। একই সঙ্গে অর্থ পাচারের মামলায় জি কে শামীমের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন আদালত।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জি কে শামীমের জামিনের আদেশ কার্যতালিকার ৪ নাম্বার সিরিয়ালে ছিল, যা দেখে অবাক হয়ে যান প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, এটি কীভাবে আদেশের জন্য আসে, এ বিষয়ে শুনানিই তো হয়নি।

পরে আইনজীবী নিখিল কুমার সাহাকে এজলাসে ডাকেন প্রধান বিচারপতি। তিনি আইনজীবীকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন, এটা কি করে হলো? এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি আইনজীবী নিখিল কুমার। এ সময় প্রধান বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চালাকি করেন? কটা টাকার জন্য এসব করেন! কেন করেন?’

পরে নিখিল কুমার সাহাকে এক সপ্তাহ মামলা না লড়তে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় তিনি পাল্টা যুক্তি দিতে চাইলে প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, বেশি কথা বললে এক বছর নিষিদ্ধ করা হবে। এর আগেও জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছিল হাইকোর্টে। ২০২০ সালে মার্চ মাসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীম। পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, মাসখানেক আগে করা জামিন আবেদনে পুরো নাম উল্লেখ করেননি তিনি। যদিও জামিন আদেশে ঠিকই লেখা ছিল পুরো নাম।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আলোচিত ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় আটক সাবেক যুবলীগ নেতা ও প্রভাবশালী ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে তিনি জি কে শামীমকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। ২০১৯ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে নাটকীয় এক অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছিল।


আরও খবর



বাংলাদেশ বিনিমার্ণে এগিয়ে আসতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে নিজেদের মেধা ও মননকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের (৫২ ব্যাচ) প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতেই সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং-২০২৪ বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করায় শুভেচ্ছা জানান।

এসময় নবাগত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতি তোমাদের মতো এই মেধাবীদের দিকে তাকিয়ে আছে। তোমরাই দেশের ভবিষ্যত, জাতির কান্ডারি। তোমরাই বাংলাদেশকে সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত তথা সব কিছুতে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব। আজ দুর্গম চরাঞ্চলের জনগণও ল্যাপটপে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারছে। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সর্বত্রই পৌছে গেছে। প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়ন করেছেন বলেও জানান তিনি। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সরকার স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দিয়েছেন। স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য হয়েছে এবং আমাদের গড় আয়ু বেড়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃক শিক্ষা ও গবেষণার ওপর এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে ২০২৪-এ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের মধ্যে ১ম স্থান লাভ করেছে। এছাড়াও বিশ্ব সেরা টু পার্সেন্ট বিজ্ঞানীর তালিকায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযাগ্য সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী স্থান লাভ করেছে। বিভাগ ভিত্তিক র্যাঙ্কিংয়ে -এ দর্শন, ইতিহাস, ভগোল ও পরিবেশ বিভাগ শিক্ষা-গবেষণায় দেশ সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

অনুষ্ঠানে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রবেশিকা বক্তা হিসেবে তাঁর বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের মানবিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য মানবিক মানুষ হয়ে ওঠার আহ্বান জানান। তিনি শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খ্যাতিমান মানুষ হয়ে বের হওয়ার জন্য বলেন, যাতে সবাই তাকে খুঁজে নেয়। তাহলে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় তথা সবার জন্য হবে গৌরবের। সবার চিন্তা-মতামতকে শ্রদ্ধা জানানোসহ পিতা-মাতার অবদান মনে রাখার কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের অতিরিক্ত পরিচালক ড. আফসানা হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবির। অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রার আবু হাসান ভর্তিকৃত নবীন শিক্ষার্থীদের পাঠ দানের জন্য ডিন এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের নিকট উপস্থাপন করেন এবং সংশ্লিষ্ট ডিন এবং পরিচালক পাঠ দানের জন্য শিক্ষার্থীদের বরণ করেন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




গাজায় ইসরায়েলি হামলা: ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায়  ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। শনিবার (১৮ মে) গাজায় অবস্থানরত আলজাজিরার প্রতিনিধি এ তথ্য জানিয়েছেন।

শুক্রবার (১৭ মে) হামাসের ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী তাদের হামলা জোরদার করেছে।

সংবাদ সংস্থা ওয়াফা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় রাফার মধ্যাঞ্চলের জাবালিয়া আল-বালাদ এলাকার আবু হাশেম’ ভবনে ইসরায়েলি বোমা হামলার পর উদ্ধারকর্মীরা সেখান থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।

গাজার উত্তরাঞ্চলে কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলায় ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আরও ডজন খানেক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।

উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের দরজায় জড় হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছে।

জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের পশ্চিমে ফালুজাহে পানি নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে আট জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে।

মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে চারজনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী। খান ইউনিসের পূর্বে আবাসান আল-কাবিরা শহরের আল-ফারাহিনে হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। উত্তরপশ্চিম রাফাহে একটি গাড়িতে ড্রোন হামলায় একজন নিহত হয়েছে।

ইসরায়েরি সামরিকবাহিনী উত্তর গাজায় নতুন করে হামলা চালাবে। তাই সেখানে থেকে ফিলিস্তিনিদেরকে অবিলম্বে সরে যাওয়ার আদেশ দিয়েছে। তারা রাফায় তাদের স্থল অভিযানও আরও বাড়াচ্ছে।

ইউনাইটেড ন্যাশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজি ইন দ্য নেয়ার ইস্ট (ইউএনআরডব্লিউএ) এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনির মতে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ৬ মে থেকে রাফাহতে তাদের স্থল অভিযান শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ ফিলিস্তিনিকে রাফাহ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছে। উত্তর গাজায় জোরপূর্বক আরও ১ লাখ ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।


আরও খবর



তীব্র গরমে এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখতে পারেন যেসব উপায়ে

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। হিট অ্যালার্ট জারি হচ্ছে। এ অবস্থায় ঘরে ফিরেও স্বস্তি মিলছে না। একটু শীতলতার খোঁজে মানুষ। যাদের ঘরে এসি আছে, তারা না হয় কিছুটা আরাম পাচ্ছেন। কিন্তু যাদের ঘরে এসি নেই তারা কী করবেন? উপায় আছে। এসি ছাড়াও ঠান্ডা করা যায় ঘর।

১. খোলা জানালার সামনে ভেজা চাদর মেলে রাখতে পারেন। ঘরের ভেতর একটি ভেজা কাঁথা মেলে রাখার ব্যবস্থা করতে পারেন।

২. রাতে টিউবলাইটের পরিবর্তে ভালো মানের এলইডি লাইট ব্যবহার করুন। ঘরের আলো যতটা সম্ভব কমিয়ে রাখুন। ঘুমানোর আগে সম্ভব হলে সব আলো নিভিয়ে দিন। ঘরে আলোর পরিমাণ যত কম থাকবে, ঘর তত বেশি ঠান্ডা থাকবে।

৩. ঘরের পরিবেশ শীতল করার জন্য টেবিল ফ্যানের সামনে বাটি ভর্তি বরফ রাখুন। এছাড়া সিলিং ফ্যানের নিচে বালতি ভর্তি পানি রেখে দিতে পারেন।

৪. রাতে ঘুমানোর আগে ঘরের মেঝে ভেজা-ভেজা করে মুছে নিন। তবে ঘরের মেঝেতে গদি ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিছানায় হালকা রঙের সুতির চাদর ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে শীতলপাটিও ব্যবহার করতে পারেন।

৫. ঘরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করুন। ভেন্টিলেটর নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

৬. ঘরের ভেতর ইনডোর প্লান্ট রাখুন। গাছ কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়। এতে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কমে। ঘরে মানি প্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ রাখতে পারেন। এগুলো একদিকে ঘরের শোভা যেমন বাড়ায়, অন্যদিকে তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।

৭. এসময় তাপ উৎপাদনকারী যন্ত্রের ব্যবহার কমিয়ে আনুন। যেসব যন্ত্র এরকম তাপ উৎপন্ন করে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে হেয়ার ড্রায়ার, ওয়াটার হিটার, ডিশ ওয়াশার এবং আয়রন।


আরও খবর