আজঃ শনিবার ১১ মে ২০২৪
শিরোনাম

গাজায় বাড়ছে লাশের সারি, নিহত ২৭ হাজার ছুঁইছুঁই

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় লাশের সারি বাড়ছেই। প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। সেখানে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৭ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) জানিয়েছে যে, ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিসের আল-আমাল হাসপাতালে তীব্র হামলা চালিয়েছে।

গাজায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থার পরিচালক টমাস হোয়াইট বলেছেন, আমরা একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং প্রধান আশ্রয়কেন্দ্র হারিয়েছি। খান ইউনিসের বহু মানুষ ওই হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু সেখানেও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার কারণে লোকজন পালাতে বাধ্য হচ্ছে।

এদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর বলেছেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের অস্থায়ী পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবিও বলেছেন যে, যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে গঠনমূলক।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় হামাসকে নির্মূলের অজুহাতে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় চার মাস ধরে সেখানে সংঘাত চলছেই।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৬ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৬৫ হাজার ৯৪৯ জন। গাজায় হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। 

আরও পড়ুন>> ক্ষমা চাইলেন মার্ক জাকারবার্গ

এদিকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনে লোহিত সাগারে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। সেখানে এই হামলা অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানিয়েছে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটি। তবে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় এরই মধ্যে লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে, যার প্রভাব পড়ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে।

হুথি বিদ্রোহীদের সামরিক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আগ্রাসনে অংশ নেওয়া যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যুদ্ধ জাহাজ তাদের মূল লক্ষ্যবস্তু।

ইরান সমর্থিত এই গোষ্ঠীটির ওপর এখন পর্যন্ত অন্তত নয়বার হামলা চালিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এতে বৈশ্বিক শিপিং ইন্ডাস্ট্রিতে একটি সংকট তৈরি হয়েছে। কাজে আসছে না মার্কিন নেতৃত্বাধীন টাস্কফোর্সও। হুথি বিদ্রোহীদের দাবি, ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত এই হামলা চালানো হবে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্য সংঘাত শুরুর পরই মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে মার্কিন ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে ড্রোন ও রকেট হামলা চালাচ্ছে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী। যদিও এসব হামলার অধিকাংশই ভূ-পাতিত করা হয়েছে। কিন্তু জর্ডানে সবশেষ হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার পাশাপাশি ৩৪ জন আহত হয়েছেন। 

আরও পড়ুন>> কোকেনের মামলায় তিন আফ্রিকানসহ ৫ জন রিমান্ডে

সিরিয়া ও ইরাকে মার্কিন বাহিনী লক্ষ্য করে অব্যাহত হামলার জন্য বাইডেন শুরু থেকেই ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলেকে দায়ী করছেন। ইরান তাদের সামরিক সহায়তা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হচ্ছে। এই গোষ্ঠীগুলো ড্রোন ও রকেট দিয়ে হামলা পরিচালনা করছে। যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত আটবার প্রতিশোধমূলক হামলা করেছে। বেশি হামলা করা হয় ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে।


আরও খবর



অস্থির আলুর বাজার, কেজিতে বেড়েছে ১২ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ঈদের পর অস্থির হয়ে উঠেছে আলুর বাজার। কেজিতে ১২-১৫ টাকা বেড়ে আলুর দাম হাফ সেঞ্চুরিতে ঠেকেছে। এর নেপথ্যে সিন্ডিকেটের কারসাজি বলে অভিযোগ করেছেন দোকানদার ও ক্রেতারা। রাজধানীর বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

ক্রেতারা বলছেন, আলুর বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এই সময় সাধারণত আলু ২০ টাকা কেজি থাকার কথা। কিন্তু সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। অথচ সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ২৯ টাকা। 

কচুক্ষেত্র বাজারের আলু বিক্রেতা আমিনুল বলেন, রমজানের আগে থেকে বাড়তি দামে আলু বিক্রি করছি। এখন আলুর মৌসুম। তারপরও আলু বিক্রি করছি ৪৫-৪৮ টাকা। কোথাও ৫০-৫২ টাকায় বিক্রি করছে। তিনি বলেন, শুধু ঈদের ছুটিতে প্রতিকেজি আলুর দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। বাজারের এই অস্থিরতার পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজি রয়েছে বলে অভিযোগ তার।

আলু ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, মৌসুমের শুরুতেই দাম ৫০ টাকা হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। মজুতদাররা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অস্থিতিশীল করছেন বাজার। দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবিও করেন তারা।

জয়নাল নামের এক ক্রেতার অভিযোগ, ঈদের আগে ৩৮ টাকার আলু এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকা ছাড়িয়ে। হঠাৎ করে আলুর দাম ১২ টাকা কেজিতে বেড়ে যাওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।

আলুর দরে অস্থির হলেও অন্যান্য সবজির দাম বাড়েনি। বরং ঈদের পর কিছু সবজির দাম কমেছে। বাজারের ঘুরে দেখা গেছে, চিচিংগা ৫০ টাকা, করলা ৫৫-৬০ টাকা, কাঁচা পেপে ৫৫ টাকা, কাঁচা কলা ৪০ টাকা হালি, মিষ্টি কুমড়া ৩২ টাকা কেজি, সব ধরনের বেগুন ৫৫-৬০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক আগে দরে ১০ টাকা প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে। লেবু ৪০-৪৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে স্বস্তি টমোটতে। শেষ সিজনে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে। গাজর ৮০-৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে শসা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা বান্ডিল, কচুর মুখি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।

ঈদের পর মাছের দাম একটু চড়া। ঈদের ছুটি ও সরবরাহ কম থাকার সব ধরনের মাছের দাম কেজি ২০-৫০ টাকা বেড়েছে। দেশি রুই ঈদের পর ১০-১৫ টাকা বেড়ে ৩৫০-৩৬০ (মিডিয়াম) টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দুই কেজির বেশি ওজনের রুই বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি। একইভাবে কাতলা মিডিয়াম ৩৮০-৩৯০, পাংগাস ২২০ টাকা, সরপুঁটি ২৪০, তেলাপিয়া ২৪০, টেংরা দেশি ৫৫০-৫৭০ টাকা, দেশি মিক্স মাছ ৩৮০-৩৯০ টাকা, কই মাছ ৩৯০, পাবদা ৪৩০ টাকা, গলদা চিংড়ি বড় ১০০০ টাকা, ছোট ও মাঝারি বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬২০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। আর মলা মাছ ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের পাবদা মাছ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



অর্থ আত্মসাৎ মামলায় জামিন পেলেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। এদিন সকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস পূর্বশর্তে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের প্রায় ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দেয় দুদক। গত বছরের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন। তখন আসামি করা হয়েছিল ১৩ জনকে।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- ড. মুহাম্মদ ইউনূস, গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।


আরও খবর



ট্রাম্পকে জরিমানা, জেলে পাঠানোর হুমকি

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আদালত অবমাননার দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৯ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১০ লাখ টাকা। এমনকি এই জরিমানা করার পরও তিনি আদালত অবমাননা থেকে বিরত না থাকলে কারাগারে পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন বিচারক।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে বিপুল পরিমাণ ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলার বিচারকাজের সময় এ নির্দেশ দেন বিচারক।

বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়- এক লিখিত আদেশে বিচারক জুয়ান মার্চান বলেছেন, এই জরিমানা ট্রাম্পকে আদালতের আদেশ মান্য করাতে যথেষ্ট না-ও হতে পারে। তবে এর চেয়ে বেশি জরিমানা করার ক্ষমতা আমার নেই।’

তবে তিনি এ-ও বলেছেন, ট্রাম্প যদি ইচ্ছে করে আদেশ অমান্য করেন তাহলে তা আদালত সহ্য করবেন না। প্রয়োজনে হলে এবং আদালত সঠিক মনে করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর সাজা দেওয়া হতে পারে।’

সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলস নামে এক পর্ন স্টারের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়েন। পরে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে স্টর্মির মুখ বন্ধ রাখতে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়া হয়। তবে এ ঘুষ দেওয়ার কথা মার্কিন নির্বাচন কমিশনের কাছে চেপে যান ট্রাম্প। সেবার নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে পারলেও এবার ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই এসব অভিযোগে দায়ের করা মামলার বিচারকাজ শুরু হয়েছে।

মূলত এ মামলার সাক্ষী ও মামলা সম্পর্কিত ব্যক্তিদের ট্রাম্পের হাত থেকে রক্ষা করতেই এ গ্যাগ অর্ডার জারি করেছেন বিচারক জুয়ান মার্চান। একই সঙ্গে তাদের উদ্দেশ্য করে দেওয়া বেশ কয়েকটি বিবৃতি ট্রাম্পকে ট্রুথ সোশ্যাল ও নির্বাচনী প্রচারাভিযানের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্রতাপে পুড়ছে মানুষ, টিউবওয়েলে মিলছে না পানি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বৈশাখের বিদায় ঘন্টার সুর উঠেছে। তবুও বৃষ্টির দেখা নেই। ভয়ানক গরমে পুড়ছে ঠাকুরগাঁওয়ের প্রতিটি মানুষ। অতিমাত্রার দাবদাহে গ্রাম থেকে শহর সবখানেই নাভিশ্বাস অবস্থা। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আবাদি জমি। হাসপাতালেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।

শুধু ঠাকুরগাঁও নন, অন্যান্য জেলাগুলোতেও একই চিত্র। দিনে-রাতে সমান গরম। এ পরিস্থিতিতে ঘরের ভেতরেও টিকে থাকা বড়ই দায়। ফ্যানের বাতাসেও যেন প্রাণ জুড়ায় না। সব মিলে বলা যায় অতিষ্ঠ প্রাণ। অনেকেই রোদের আগুনে পুড়ে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ।

ইতোমধ্যে তাপের প্রকোপ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। এমনকি তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির আশায় জমকালোভাবে ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেছেন এলাকাবাসী।

গত সোমবার শহরের মথুরাপুর এলাকায় স্থানীয়দের আয়োজনে ব্যাঙের বিয়েতে দুই শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুরা অংশগ্রহণ করেন। বিয়ের গীত আর নাচ-গানের মধ্যে দিয়ে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া শেষে বরণ ডালায় ব্যাঙ দুটিকে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ান তারা। এ সময় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাল-ডাল সংগ্রহ করে ব্যাঙের বিয়েতে অংশগ্রহণকারীদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।

অন্যদিকে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের দক্ষিণ ঠাকুরগাঁও গ্রাম ও হরিপুর উপজেলার শাহানাবাদ, হাটপুকুর, খালেকপাড়া গ্রামের টিউবওয়েল গুলোতে পানি উঠছে না। নেমে গেছে পানির স্তর। এতে করে অনেক নলকূপে মিলছে না পর্যাপ্ত পানি। তাতে খাবার পানিসহ দৈনন্দিন পানির সংকট দেখা দিয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র তাপপ্রবাহে নেমে গেছে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্থর৷  টিউবওয়েলের পানি ঠিকমতো উঠছে না। পাম্প বসিয়েও পানি মিলছে না। বাড়িতে ব্যবহৃত কাপড়, থালাবাসন ধোয়া ও রান্নাবান্না করতে যে পানি দরকার তা মিলছে না। এতে নানান ধরনের ভোগান্তিতে রয়েছেন গ্রামবাসী।

ভুক্তোভুগীরা জানান, এমনি গরমে জীবন অতিষ্ঠ। তারপর আবার টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যাচ্ছেনা। অনেক ক্ষণ ধরে পানি দিয়ে পানি উঠানোর চেষ্টা করলেও পাওয়া যায় না। হঠাৎ করে অল্প পানি উঠলে আবার নাই হয়ে যায়। এতে করে বাড়ির যে কাজ গুলো এসব করা কঠিন হয়ে যায়। যাদের গভীর নলকূপ আছে তাদের বাড়িতে যেতে হয়।

অপদিকে, তীব্র গরমে ও খরা-অনাবৃষ্টিতে ফল-ফসল হিটশকের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ অবস্থায় ফসলি জমিতে সেচ দিয়ে দুয়েক ইঞ্চি পরিমাণ পানি রাখার এবং আম, লিচু, জামসহ ফল গাছে পানি ছিটানোর পরামর্শ দিয়েছেন জেলার কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

আজিজ নামে এক এনজিও কর্মী বলেন, আমি অফিসের কাজে তেঁতুলিয়া যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা দিয়েছি। আজকে প্রচণ্ড গরমে গাড়ি চালাতে হাত-পা জ্বলছে। তাই গাছের নিচে একটু থেমেছি। এই রোদে এখন গাড়ি গন্তব্যে যাবো কিনা তা নিয়ে চিন্তায় আছি। আসলে এমন তাপদাহ চলতে থাকলে জনজীবন থেমে যেতে পারে।

বাবু নামে এক অটোচালক বলেন, তাপের কারণে অটোর কন্ট্রোলার তাড়াতাড়ি কেটে যাচ্ছে ও চাকা ঘন ঘন পাংচার হচ্ছে। রোদের জন্য প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বেড় হচ্ছে না তাই যাত্রীও কম। এতে আমাদের খুব কষ্ট হয়ে গেছে চলাচল করতে।

এদিকে গরমের কারণে ২৫০ শয্যা ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে দেখা যায় তাপমাত্রাজনিত কারণে ছোট-বড় সব বয়সের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রকিবুল আলম চয়ন বলেন, তাপমাত্রাও বৃদ্ধির ফলে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অতিরিক্ত গরমের ফলে ডিহাইড্রেশন রোগ, যেটা পানি শূন্যতা বলে জানান তিনি।


আরও খবর



চট্টগ্রামে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ে। বিমান বিধ্বস্ত হলেও হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, সকাল ১০টা ৬ মিনিটে চট্টগ্রামের জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে। ১০টা ২৮ মিনিটে বিমান বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার সময় প্রশিক্ষণ বিমানটির দুজন পাইলট প্যারাস্যুটের সাহায্যে রক্ষা পেয়েছেন।

বিমানবাহিনীর YAK130 ট্রেনিং ফাইটার বিমানটি খুঁজতে ডুবুরি, ফায়ার ফাইটার, বন্দরে অবস্থানরত জাহাজের নাবিকরা কাজ করছেন।


আরও খবর