আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

গাইবান্ধায় ধ্বংস হতে বসেছে গেজেটেড অফিসার্স কোয়ার্টার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধা শহরের বাংলা বাজার এলাকায় অবস্থিত গেজেটেড অফিসার্স কোয়ার্টারটি এখন মাদক সেবন এবং অসামাজিক কর্মকাণ্ডের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। বিগত ২৫ বছর ধরে সেখানে কেউ বসবাস করে না। হাউস রেন্ট বাঁচাতে অফিসাররা এখন জেলা পরিষদের ডাকবাংলোয় অথবা বেসরকারি কোন বাসায় স্বল্প ভাড়ায় থাকেন।

ফলে অফিসার্স কোয়ার্টারের ভবনগুলো অযত্ন অবহেলায় পড়ে থেকে জরাজীর্ণ দশায় পরিণত হচ্ছে। এ সুযোগে একটি সমাজ বিরোধী চক্র বিভিন্ন ভবনের দরজা-জানালা, গ্রীল, বিদ্যুৎ ও পানির লাইনের যন্ত্রপাতি, বেসিন ইত্যাদি চুরি করে নিয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে সেখান থেকে ইট পর্যন্ত খুলে নিয়ে যাচ্ছে। এভাবে একে একে বিভিন্ন সম্পদ লুট করে নিয়ে গেলেও কারো এ নিয়ে যেন মাথা ব্যথা নেই।

সরেজমিন দেখা গেছে বিশাল চত্বরে চারদিকে দেয়াল ঘেরা থাকলেও প্রধান ফটক অরক্ষিত থাকায় খেলার মাঠ এবং ফাঁকা জায়গায় গরু চরছে। গণপূর্ত বিভাগ ১৯৮৬ সালে ৫.২৮ একর জমির উপর এ জেলার গেজেটেড অফিসারদের বসবাসের জন্য এ স্টাফ কোয়ার্টারটি নির্মাণ করে। এতে ৪টি ব্লকে ৩টি দ্বিতল ও একটি ত্রিতল ভবন নির্মাণ করা হয়। এসব ভবনের নাম দেওয়া হয় সাবিতা, ললিতা, ববিতা ও উত্তরা। শুরুতে সবগুলো ব্লকেই বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তারা বসবাস করতেন। কোয়ার্টার ভবনগুলোর সামনে বিরাট খেলার মাঠ। ওইসব কর্মকর্তাদের সন্তানরা সেখানে খেলাধুলা করতো। বসবাসকারীদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে থাকতো গোটা স্টাফ কোয়ার্টার।

কিন্তু পরবর্তীতে গেজেটেড অফিসার্স ডরমেটরী, সার্কিট হাউস, জেলা পরিষদের ডাকবাংলো এবং বিভিন্ন বিভাগের নিজস্ব রেস্ট হাউসে কর্মকর্তারা থাকতে শুরু করলে গণপুর্ত বিভাগের আওতাধীন এ অফিসার্স কোয়ার্টারটি ফাঁকা হতে শুরু করে। ২০০১ সালের দিকে এটি একেবারে ফাঁকা হয়ে যায়। হাউস রেন্ট বাঁচানোর উদ্দেশ্যেই অফিসাররা এভাবে ফাঁকিজুকির পথ বেছে নেন বলে জানান গণপূর্ত দপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী। এদিকে স্টাফ কোয়ার্টারের বিভিন্ন স্থানে ঝোপ জঙ্গল গজিয়ে উঠতে থাকে। এ সুযোগে ওই ফাঁকা ভবনগুলোতে বহিরাগতদের আনাগোনা শুরু হয়। সন্ধ্যা হলেই সেখানে মাদক সেবীদের আড্ডা এবং সাথে সাথে জমজমাট মাদক ব্যবসাও চলে। শুধু তাই নয়, সেখানে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে কথাও শোনা যায়।

এদিকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে উপজেলা দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচী, গাইবান্ধা সদর উপজেলাসহ দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠান কয়েকটি কক্ষ নিয়ে সেখানে কার্যক্রম চালু হয়েছে। ওই ভবনের বাকি কক্ষসহ অপর ৩টি ভবনের সবগুলো কক্ষই পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। সম্প্রতি একজন নাইট গার্ডকে সেখানকার তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বহিরাগতদের অসামাজিক কার্যকলাপ তাতেও বন্ধ হয়নি। বরং তাদের আনাগোনা বেড়েই চলেছে। 

সরকারি ওইসব ভবনে কেন সরকারি কর্মকর্তার থাকেননা এমন প্রশ্নের জবাবে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, ভবনগুলো পরিত্যক্ত হওয়ায় কোন কর্মকর্তা সেখানে থাকতে উৎসাহ বোধ করেন না। তিনি আরও বলেন, যারা এখন ওই ভবনে রয়েছে তারা নিজ দায়িত্বে রয়েছে। সেখানকার কোন ক্ষয়ক্ষতির দায় স্থানীয় প্রশাসন নেবে না।

এব্যাপারে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তিনি জানান, ব্যবহার না করায় ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তারা আর কেউ কোয়ার্টারে থাকতে চান না। এগুলোর সংস্কার ও মেরামতের জন্য কয়েক বছর আগে ঢাকায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল কিন্তু তাতে অনুমতি পাওয়া যায়নি।

নিউজ ট্যাগ: গাইবান্ধা

আরও খবর



রাজধানীতে সাংবাদিক-সাহিত্যিকদের নামেও হবে রাস্তা: মেয়র আতিক

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এতদিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের নাম শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের নামে করা হতো। কিন্তু আমাদের অনেক বড় বড় সাংবাদিক, শিল্পী ও সাহিত্যিক রয়েছেন। যারা অনেক গুণী ব্যক্তি। তাদের নামে সড়কের নামকরণ করলে, তারা যেমন সম্মানিত হবেন, তেমনি আমরাও গর্ব বোধ করবো। তাই এখন থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি সাংবাদিক, শিল্পী ও সাহিত্যিকদের নামেও সড়কের নামকরণ করা হবে।

সোমবার (১৩ মে) ডিএনসিসির নগর ভবনের হল রুমে মেয়র ও কাউন্সিলরদের দায়িত্বগ্রহণের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা জানান।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ফিদা হাসান ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নয়াপল্টনে চলছে বিএনপির সমাবেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করছে বিএনপি।

শুক্রবার বিকাল ৪টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এতে সভাপতিত্ব করছেন দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং সঞ্চালনা করছেন সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।

সমাবেশে অংশ নিতে ব্যানার, ফেস্টুনসহ মিছিলসহকারে বিকাল পৌনে ৩টা থেকে দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মী নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেছেন। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসছেন তারা। এ সময় তাদের বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতেও দেখা গেছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল আসছে। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠছে নয়াপল্টন।

এদিকে সমাবেশকে ঘিরে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন তারা।


আরও খবর



জামিন পেলেও মুক্তি মিলছে না ইমরান খানের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দুর্নীতির মামলায় জামিন পেলেও মুক্তি মিলছে না পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। বুধবার (১৫ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইমরান খানের আইনজীবী বলেন, বুধবার ইসলামাবাদে ইমরান খান জমি দুর্নীতির মামলায় জামিন পেয়েছেন। তবে অন্য দুই মামলায় জামিন না মেলায় তাকে এখনো কারাগারে থাকতে হবে। জেল থেকে বের হতে পারবেন না তিনি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে এক আবাসন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জমি উপহার নেন। তবে ইমরান খানের দাবি, তিনি কোনো ভুল করেননি। এজন্য তিনি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।

যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জামিনের তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আরও দুই মামলায় জামিন না মেলায় ইমরান খানকে কারাগারে থাকতে হবে। এর একটি হলো রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস এবং অন্যটি হলো ইসলামী আইন লংঘন করে বিয়ে করা।

গত বছরের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন ইমরান খান। চারটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। তবে এরই মধ্যে দুই মামলার সাজা স্থগিত করা হয়েছে।

পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা রয়েছে। একইসঙ্গে তার স্ত্রী বুশরা বিবিও কারাগারে রয়েছেন। ২০১৮ সালে বেআইনিভাবে ইমরান খানকে বিয়ে করার অভিযোগ এনে কারাগারে রাখা হয়েছে তাকে।


আরও খবর



চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ কৃষি সংস্কৃতি গড়ে তুলছে গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো: আব্দুর রহমান

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান এমপি বলেছেন, চট্টগ্রামে একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি সংস্কৃতি গড়ে তুলছে গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো। নতুন প্রজন্ম যেভাবে দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে এগিয়ে আসছে, তা খুবই আশাপ্রদ। শিক্ষিত তরুণরা যেন কেবল চাকরির পেছনে না ছুটে নিজে ও দেশকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য উদ্যোগী হয়ে ওঠে, তার অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে এই খামার।

রবিবার (৫ মে) সকালে চট্টগ্রামের দুই নম্বর গেটস্থ মেয়র গলিতে অবস্থিত গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় তাকে বরণ করে নেন এগ্রোর স্বত্বাধিকারী বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন। তিনি এগ্রোর সবদিকে ঘুরিয়ে দেখান।  এগ্রোতে থাকা প্রাণীসমূহের পরিচর্যায় ব্যবহৃত খাবার ও অন্যান্য সামগ্রীগুলোর মান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন মৎস্য মন্ত্রী। পরে গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রোর দুগ্ধজাত নানান পদের খাবারও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের অন্যতম খ্যাতনামা পরিবারের সন্তান বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন ইংল্যান্ড থেকে পড়াশোনা করেন। দেশে বড় বড় শিল্পে যোগ দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি খামারী হয়ে উঠেছেন, তার জ্ঞান ও মেধাকে কৃষি ও পশুপালন ক্ষেত্রে কাজে লাগিয়ে দেশকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য কাজ করছেন। পশুদের প্রতি তার প্রেম আমাকে মুগ্ধ করেছে। তার এ দৃষ্টান্ত দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে। এতে দেশ উপকৃত হবে।

এগ্রোর স্বত্বাধিকারী বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন বলেন, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে তরুণরা বর্তমানে কৃষি ও পশুপালনে এগিয়ে আসছে। কিন্তু একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি সংস্কৃতি গড়ে না ওঠায় দেশবাসী ও খামারীরা এর সুফল পুরোপুরি পাচ্ছে না। গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো এক্ষেত্রে সচেষ্ট। আমাদের খামার একইসাথে পশু মোটাতাজাকরণ এবং পুষ্টিগুণ ও মানসম্মত দুগ্ধজাত পণ্য তৈরিতে সমান গুরুত্ব আরোপ করেছে। চট্টগ্রামের নানান এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে বিনামূল্যে দুধ বিতরণ করছি আমরা।


আরও খবর



মমেক হাসপাতালে কুকুরের সঙ্গে রোগীদের বসবাস

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) তিনগুণের বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের স্বজনদের। এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয় জেলা ছাড়াও বিভিন্ন জায়গার রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।

জানা গেছে, হাসপাতালটিতে গড়ে প্রতিদিন ৩০০০-৩২০০ রোগী ভর্তি হয়ে থাকেন। এতে শয্যা সংকটের কারণে মেঝে ও বারান্দায় শুয়ে সেবা নিতে হচ্ছে অনেককে। চিকিৎসা সেবার মান নিয়েও রয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন। এতে করে সরকারি হাসপাতালের সেবা নিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই। জরুরি সেবা ছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোতেই যেন স্বস্তি রোগীদের।

এদিকে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বারান্দা এবং শয্যাগুলোতে অবাধেই ঘোরাফেরা করছে কুকুর। সিঁড়ির কোনায় কোনায় জমে আছে ময়লার স্তূপ। হাসপাতাল ভবনের ভেতরে কুকুরের অবাধ বিচরণের কারণে রোগী এবং স্বজনদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীন ভূমিকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা রয়েছেন চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা জানান, সরকার যখন পুরো দেশবাসীকে সচেতন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে নানামুখী কর্মসূচি নিচ্ছে সেই মুহূর্তে হাসপাতালের ভেতরে কুকুরের অবাধ আনাগোনা কাম্য নয়। কারণ কুকুর জলাতঙ্ক রোগ বহন করে। সেই কুকুরগুলো হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে রয়েছে। হাসপাতালটি কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ টেক্স লইয়ার্স এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এডভোকেট সাদিক হোসেন বলেন- এই যদি হাসপাতালে অবস্থা হয় কুকুর এবং মানুষ কি একসাথে বসবাস করতে পারে। এটাতো একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি। এটা নিয়ে মন্তব্য করার কোন ভাষা নেই।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডা: জাকিরুল ইসলামকে গতকাল রবিবার রাত ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর