ঠাকুরগাঁও চিনিকলের ৬৬তম আখ মাড়াই কার্যক্রম
চালু হয়েছে। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে মিলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান কবির
এর সভাপতিত্বে ডোঙ্গায় আখ নিক্ষেপ করে চলতি মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁও জেলা
প্রশাসক (ডিসি) মাহাবুবর রহমান।
চিনিকল সূত্র জানায়, ২০২৩-২০২৪ মাড়াই মৌসুমে
চিনিকলে আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭০হাজার মেঃ টন। চিনি আহরণের লক্ষ্যমাত্রা
ধরা হয়েছে ৬.৫০%। চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫৫০মেঃ টন। আর রোপণ
মৌসুমে দন্ডায়মান আখের পরিমান ৪ হাজার ৬১০ একর।
ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ২ হাজার ৮০০ একর
নিজস্ব জমি রয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৪০০ একর জমি ব্যবহার করা হয় আখ উৎপাদনে। এ ছাড়াও
বাইরের চাষিদের কাছ থেকে প্রায় ৫ হাজার ৮০০ একর জমির ফসল আসে মিলটিতে। এখানে ১ হাজার
১৭৫ জন সেটআপ শ্রমিকের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত রয়েছে ৮৪৪ জন। এদের মধ্যে স্থায়ী শ্রমিক
রয়েছে ৪৮০ জন এবং মৌসুমি শ্রমিক ৩৬৩ জন।
আখ চাষীরা জানিয়েছেন, যদি আখ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টাকা পাওয়া যায়, তাহলে
অনেক কৃষক আখ চাষে ফিরে আসবেন। আখের দাম বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছেন তারা। এসময় আখচাষীদের
উপর সু-নজর দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান কৃষকরা।
২০২০ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রায়ত্ত
চিনিশিল্প বাঁচাতে সাত দফা দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নেমেছিল জেলাবাসী। আন্দোলনের দাবিগুলো
ছিলো: ঠাকুরগাঁও চিনিকল লাভজনক করতে আধুনিকায়ন ও ডিস্টিলারি ইউনিট স্থাপন, বিদ্যুৎ
উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন, সুগার বিট প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন, শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও
অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের গ্র্যাচুইটির টাকা পরিশোধ, আখ চাষিদের টাকা সময়মতো পরিশোধসহ
সারা বছর চিনিকল চালু রাখতে সেগুলোকে অশোধিত চিনি আমদানির অনুমতি দিয়ে পরিশোধন কারখানা
স্থাপন।
এ বিষয়ে মিলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান
কবির জানান, বর্তমানে চিনির দাম ভাল থাকায় ঋণ ও লোকসানের বোঝা কমছে। চাষিরা আখ উৎপাদন
বাড়ালে মিলটি ভালভাবে চালিয়ে নেয়া সম্ভব। তাদের দাবি পূরণে সব সময় আন্তরিকতা থাকে বলে
জানান তিনি।
এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব শামিমা
সুলতানা, জেলা পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠকসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।