আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

এতো প্রাণহানি আগে কখনো দেখেনি করতোয়াবাসী

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মো: রেদওয়ানুল হক মিলন, পঞ্চগড় থেকে ফিরে:

প্রতিবছর পূজা শুরুর প্রাক্কালে চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে আমন্ত্রণ জানাতে মহালয়ার দিন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের বোদেশ্বরী মন্দিরে দুর্গার আবাহন উপলক্ষে আয়োজন করা হয় বিশাল অনুষ্ঠান। এতে যোগ দিতে কয়েক উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জড়ো হন আউলিয়ার ঘাটে। নতুন পোশাক আর রঙিন সাজ নিয়ে দেড় শতাধিক মানুষ ওঠেন নৌকায়। কিন্তু মাঝনদীতে গিয়ে গভীর পানিতে তলিয়ে যায় নৌকাটি।

নৌকাডুবিতে ৭১ জনের প্রাণহানি হয় আর এখনো নিখোঁজ রয়েছেন একজন। এ দুর্ঘটনায় শোকে স্তব্ধ করতোয়ারবাসী। ইতিহাসের ভয়াবহ এমন দুর্ঘটনার সাক্ষী উত্তরের এই জনপদ। হঠাৎ শান্ত স্রোতের নদীটি হয়ে উঠবে বিষাদের কারণ তা কেউ জানতো না। মুহূর্তেই স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে আউলিয়া ঘাটের বাতাস।

ভাসমান মরদেহ দেখে সেদিন স্তব্ধ হয়ে ছিলেন নদী তীরের মানুষ। যেন মহালয়াতেই ম্নান পূজার সব আনন্দ। সেদিন যাদের আল্পনা আঁকার কথা ছিল মণ্ডপের আঙিনায়,তারা চন্দনের ফোঁটা একেছে মৃত স্বজনের কপালে। আপনজনের শেষ যাত্রায় অশ্রুর নীবর বহতা। যেখানে ঢাকের বাড়িতে নেচে উঠার কথা, সেখানে অবনত মস্তকে স্বজনের মরদেহের সৎকারে ব্যস্ত ছিলেন পূজারিরা। সেদিন মণ্ডপগুলোতে ঢাকের বাড়ি, শাঁখের আওয়াজ আর গৃহীনির উলুধ্বনির বদলে ছিল শোকস্তব্ধ স্বজনের গুঁমরে উঠা আর ফোঁপানো কান্নার শব্দ।

গত বছরের (২৫ সেপ্টেম্বর) বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাটে দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে এ নৌকাডুবির আজ এক বছর তারই আদ্যোপ্রান্ত তুলে ধরা হলো:

প্রতিবছর মহালয়ার দিনে কমপক্ষে ২০ হাজারের বেশি মানুষ আউলিয়া ঘাট থেকে নৌকায় করতোয়া পাড়ি দিয়ে বোদেশ্বরী মন্দিরে যান। ৩০ জন ধারণ ক্ষমতার একটি নৌকা শতাধিক যাত্রী নিয়ে মহালয়ার অনুষ্ঠানের উদ্দেশে রওনা দেন। এ সময় নৌকাটি কিছু দূর যাওয়ার পর দুলতে শুরু করলে মাঝি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। অতিরিক্ত যাত্রীচাপে ডুবে যায় নৌকাটি। মুহূর্তেই উৎসব শোকে পরিণত হয়। অনেকেই সাঁতরে তীরে উঠলেও শিশুসহ বাকিরা গভীর পানিতে তলিয়ে যায়।

এদিকে ডুবে যাওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে হ্যান্ডমাইকে নৌকার মাঝিকে সাবধানও করেছিল পুলিশ। তবে, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সামনেই নৌকাটি অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ছাড়ার ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতি আছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলো। জেলা প্রশাসনের তদন্ত  প্রতিবেদনে ইজারাদার আব্দুল জব্বারের গাফিলতিসহ নৌকার মাঝি বাচ্চু মিয়া এবং রবিউল ইসলামকে দায়ী করা হয়। পরে পুলিশ তাদের আটক করেন।

যারা বেঁচে ফিরল: নৌকাডুবির ঘটনায় নির্বাক বেঁচে ফিরে আলো (২৫) ও অর্পিতা (১৭) দুই বোন। বাড়ির ৫ সদস্যকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তারা। কোনো সান্তনাই যেন তাদের বিলাপ থামাতে পারছে না। অন্যদিকে, মৃত্যুর থেকে বেঁচে আসা বিনয় বলেন, আমি আমার বউসহ পরিবারের ৭ সদস্যকে নিয়ে সেদিন নৌকায় চড়ে বোদেশ্বরীর মন্দিরে যাচ্ছিলাম হঠাৎ চোখের পলকে নৌকাটি ডুবে যায়। পরিবারের সবাই মারা গেলেও আমি শুধু বেঁচে আছি। 

রেলমন্ত্রী: নৌকাডুবির খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি সেদিন স্থানীয় প্রশাসনকে দোষারোপ করে বলেছিলেন, এ দুর্ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতি ছিল। এ ঘটনায় যেমন ঘাটে দায়িত্বরতদের অবহেলা ও গাফিলতি রয়েছে, তেমনি  যাত্রীদেরও রয়েছে। এর ফলেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেনি এটাই চিরন্তন সত্য।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে যান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। নিহতদের প্রত্যেককে জেলা প্রশাসক এর পক্ষে ২০ হাজার, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার, ত্রাণ তহবিল থেকে ৫০ হাজার ও রেলমন্ত্রীর পক্ষে থেকে ৫ হাজার টাকা নিহত স্বজনদের হাতে তুলে দেন তিনি।

পঞ্চগড়ের মাড়িয়াগঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জ দুটি ইউনিয়নকে পৃথক করেছে করতোয়া নদী। এ অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিল স্থানীয়রা।

এত প্রাণহানির পরেও কি আউলিয়া ঘাটে ব্রিজ হবে না?: স্বাধীনতার ৫০ বছরেও পঞ্চগড়ের আউলিয়ার ঘাটে নির্মাণ হয়নি একটি ব্রিজ। এর আগে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটলেও এবার নৌকাডুবিতে প্রাণ গেল ৭১ জনের। তবে দ্রুত সময়ে ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন। করতোয়া নদী পারাপারের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে ইংরেজি বর্ণ ওয়াই আকৃতির ব্রিজের কাজ দ্রুত শুরু  হবে বলে সেদিন বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে আয়োজিত শোকসভায় আশ্বাস দিয়েছিলেন মন্ত্রী। ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাবনা একনেকে পাস হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এক বছর গত হয়ে গেলেও বাস্তবে কোন কাজ শুরু হয়নি।

এত প্রাণহানির কারণ কী?: ৭১ জনের প্রাণহানির কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, ঘটনার দিন হিন্দু সস্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব মহালয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রচুর মানুষ এসেছিলেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশ, দমকল বাহিনী, আনসার, গ্রাম পুলিশ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের করতোয়া নদীর দুই পাড়ে মোতায়েন করা হয়েছিল।

মানুষের হুড়োাহুড়ি এবং অসচেতনতা: করতোয়া নদীতে ১২ মাস পানি থাকে এবং এই নদীর ওপর কোনো সেতু নেই। ফলে নদী পারাপারের জন্য নৌকা এবং ট্রলারই ভরসা। নৌকা ডুবির ঘটনায় উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া দমকল বাহিনীর কর্মকর্তা শাজাহান আলী বলেছেন, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে তারা নদীর পাড়ে কাজ শুরু করেন। উৎসবের দিন হওয়ায় সেদিন ঘাটে প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল। এছাড়া নৌকা দিয়ে পার হতে আসা মানুষকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে, এমনকি হ্যান্ডমাইক নিয়েও কিছুক্ষণ পরপর সতর্ক করা হলেও তা কেউ আমলে নেয়নি।

ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহন: নদী পারাপারে প্রতিদিন সাধারণত কেবল একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলার চলে আউলিয়া ঘাট থেকে। কিন্তু মহালয়ায় হাজারো লোকের সমাগম হবে, তার প্রস্তুতি হিসেবে তাদের পারাপারে ৬টি নৌকা দেয়ার আবেদন করা হয়েছিল সনাতন সস্প্রদায়ের পক্ষ থেকে। কিন্তু সেদিন বরাদ্দ ছিল ৩টি নৌকা, যে নৌকাগুলো বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল, একেকটির দৈর্ঘ্য ১৮ থেকে ২০ ফুটের মতো। এই আকৃতির একটি নৌযানে সেদিন ১০০ বেশি মানুষ উঠে পড়েছিল, স্থানীয়দের কেউ কেউ মনে করেন নৌকাতে দেড়শোর বেশি মানুষ ছিল।

ওই নৌকাডুবি থেকে বেঁচে ফিরেছেন এমন একজন বলেছেন, ট্রলারে কোনো মানুষের বসার জায়গা ছিল না, তারা সবাই দাঁড়িয়ে ছিলেন।

নদীর গভীরতা কম, কিন্তু স্রোত ছিল বেশি: করতোয়া নদীতে ১২ মাস পানি থাকে ঠিকই, কিন্তু নদীটি খুব বেশি গভীর নয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেছেন, ঘটনার আগের কয়েকদিন টানা বৃষ্টি হয়েছিল, তার ফলে উজান থেকে পানি নেমে নদীতে পানির প্রবাহ অনেক বেড়েছিল।

ট্রলারে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি: দুর্ঘটনায় এত প্রাণহানির আরেকটি কারণ হিসেবে স্থানীয়রা মনে করেন, ট্রলারে যাত্রীদের বড় অংশটি ছিলেন নারী ও শিশু।

ঘটনার দিন সকাল থেকেই ওই নদীতে মাছ শিকার করছিলেন গৌতম দাস। ক্লান্ত শরীরে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ চিৎকারে পেছন ফিরতেই দেখেন নৌকাটি ডুবে যাচ্ছে। নিমিষেই নৌকার যাত্রীরা নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। এ দৃশ্য যেন তিনি এখনো ভুলতে পারছেন না। ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে কয়েকজন পাথর উত্তোলনের শ্রমিক ছিলেন। তার মতে, তারা খুব ভালো সাঁতার জানতেন। কিন্তু তার পরও কীভাবে এসব শ্রমিক পানিতে ডুবে মারা গেলেন সেই হিসাব মেলাতে পারছেন না তিনি।


আরও খবর



মাধ্যমিকের চার শ্রেণির ৩১ বইয়ে ১৪৭ ভুল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন শিক্ষাক্রমে চলতি বছরের নবম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বইয়ের ১৭৯ পৃষ্ঠায় আছে, কৃত্তিম (কৃত্রিম) বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে প্রগতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে...করে যাচ্ছে’। এটা সংশোধন করে লেখা হবে কৃত্তিম (কৃত্রিম) বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে.. করে যাচ্ছে’। আবার অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের ১৬১ পৃষ্ঠায় ৭০০৭৫০-মিলিমিটার সংশোধন করে ৭০০-৭৫০ মিলিমিটার লিখতে সুপারিশ করা হয়েছে।

এভাবে মাধ্যমিকের চার শ্রেণির ৩১টি বইয়ে ১৪৭টি ভুল সংশোধনের সুপারিশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি।

বইগুলো হলো: ষষ্ঠ শ্রেণির গণিত, বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ), বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং জীবন ও জীবিকা; সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ইংলিশ ও গণিত; অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ), ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, গণিত, ইংলিশ, বিজ্ঞান (অনুশীলন বই), ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ইসলাম শিক্ষা এবং খ্রীষ্টধর্ম শিক্ষা; নবম শ্রেণির ইংলিশ, গণিত, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, জীবন ও জীবিকা, শিল্প ও সংস্কৃতি, বাংলা, বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ), ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা ও খ্রীষ্টধর্ম শিক্ষা।

এর আগে, নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে নতুন বইয়ের ভুলত্রুটি ই-মেইলে জানানোর অনুরোধ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনসিটিবি। তাতে বলা হয়, পাঠ্যপুস্তকে কোনো ধরনের ভুল-ভ্রান্তি, ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হলে কিংবা পাঠ্যপুস্তকের মানোন্নয়নে কোনো ধরনের পরামর্শ থাকলে নিচের ই-মেইল অথবা এনসিটিবি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের ঠিকানায় জানালে তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

গেল বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। এ বছর সেটা করা হবে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম চালু হবে। পরীক্ষামূলকভাবে এসব শ্রেণিতে প্রণয়ন করা হয়েছে পাঠ্যবই।

বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্য বইয়ের ভুল-ত্রুটি সংশোধনে প্রতিটি বইয়ের জন্য একজন করে বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। ভুল ধরে তারা তা এনসিটিবির উচ্চপর্যায়ের কমিটির কাছে জমা দেয়। সম্প্রতি এ কমিটি ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৩১ বইয়ের ভুল ও সংশোধনীগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। সেখান থেকে ভুলগুলোর সংশোধনী দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নবম শ্রেণির ১১টি বইয়ে ৭৭টি, অষ্টম শ্রেণির ১০টি বইয়ে ৪৯টি, সপ্তম শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১১টি এবং ষষ্ঠ শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১০টি ভুল রয়েছে।

বানান ভুল যেমন আছে, তেমনই কোনো কোনো বাক্য পুরোপুরি সংশোধন কিংবা বাদ দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া তথ্যগত ভুলও রয়েছে। এনসিটিবি জানায়, এবার পাঁচটি পদ্ধতিতে বইগুলোর ভুল-ত্রুটি ও অসংগতি বের করা হয়েছে। দুই/এক দিনের মধ্যে সংশোধনীগুলো শিক্ষা অধিদফতরগুলোর মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হবে। পরে শ্রেণিশিক্ষকরা শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে এই ভুল ও অসংগতিগুলোর সংশোধন নিশ্চিত করবেন।

জানতে চাইলে এনসিটিবি সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, এ বছর পাঠ্যপুস্তকে যেসব ভুল-ত্রুটি সংশোধন করা প্রয়োজন, তার একটি তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যে তা শিক্ষা অধিদফরের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে পাঠানো হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা সংশ্লিষ্ট শ্রেণিশিক্ষকের মাধ্যমে প্রতিটি শ্রেণির প্রতিটি শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে সংশোধন-সংযোজন নিশ্চিত করবেন।


আরও খবর



সিলেট থেকে সরাসরি হজ ফ্লাইট শুরু ২২ মে

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেট থেকে সরাসরি হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে ২২ মে। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৩ টায় ৪১৯ জন হজযাত্রী নিয়ে বিমানের একটি ফ্লাইট মদিনার উদ্দেশে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের ডিস্ট্রিক ম্যানেজার শাহনেওয়াজ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হজ এজেন্সিস অব বাংলাদেশ (হাব) সিলেট চ্যাপ্টারের সভাপতি ও লতিফ ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী জহিরুল কবির চৌধুরী শীরু জানান, সিলেটের হজযাত্রীদের দুর্ভোগ বিবেচনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের কাছে আমরা সরাসরি হজ ফ্লাইটের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। এ ব্যাপারে বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে হাব লিখিত আবেদন করে। যার প্রেক্ষিতে বিমান সিলেট থেকে সরাসরি ৫টি ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে, সিলেটের দুই হাজারেরও অধিক হজযাত্রীকে ঢাকায় যেতে হচ্ছে না। এতে হজযাত্রীদেরও দুর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিমানের সিলেট অফিস সূত্র আরো জানায়, সিলেট অঞ্চলের হজযাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে এবার সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৫টি হজ ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ৫টি ফ্লাইটে ৪১৯ জন করে মোট ২ হাজার ৯৫ হজযাত্রী পরিবহন করা হবে। প্রথম দিনের ফ্লাইট ছাড়া বাকি ফ্লাইটগুলো সিলেট-জেদ্দা রুটে পরিচালিত হবে। এই চারটি ফ্লাইটের শিডিউল হচ্ছে আগামী ১, ৩, ৬ ও ৯ জুন।

এফবিসিসিআই-এর সাবেক পরিচালক ও সিপার এয়ার সার্ভিসের স্বত্বাধিকারী খন্দকার সিপার আহমদ সিলেটবাসীর দাবি পূরণে ৫টি সরাসরি হজ ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান। বিমান কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত ওই ৫টি ফ্লাইট পরিচালনায় কোন ব্যত্যয় না ঘটালে সিলেট অঞ্চলের হজযাত্রীদের আসা-যাওয়া আরো সহজ ও নিরাপদ হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

হাব সিলেট চ্যাপ্টারের সভাপতি জহিরুল কবির চৌধুরী শীরু জানান, গত বছরের তুলনায় প্যাকেজের দাম কমলেও এবার সিলেট অঞ্চলে হজযাত্রী তেমন বাড়েনি। অতিরিক্ত খরচের কারণে হজ করা অনেকের সামর্থ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। এবার সিলেট অঞ্চলের ৩৫টি ট্রাভেল এজেন্সির হজযাত্রীর নির্ধারিত কোটা পূরণ করতে হিমশিম খেতে হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দুতিনটি এজেন্সি মিলে একটির নামে হজের নিবন্ধন চালায়। শেষ পর্যন্ত এবার সিলেট থেকে হজযাত্রীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৫১ জনে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, করোনা মহামারির কয়েক বছর আগ থেকেই সিলেট অঞ্চলের হজ এজেন্সিগুলো তাদের নির্ধারিত হজযাত্রীর কোটা পূরণ করতে পারছে না। প্রাক নিবন্ধন সংক্রান্ত অসচেতনতাসহ নানা কারণে কমে যায় হজযাত্রীর সংখ্যা।

প্রসঙ্গত, ৯ মে ঢাকা থেকে এ বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে। ঢাকা থেকে ওইদিন হজযাত্রীদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। এরপর শিডিউল অনুযায়ী পরবর্তী ফ্লাইটগুলো ছাড়া হবে। এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে যাবেন ৮৩ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৪ হাজার ৩০৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পালিত হতে পারে হজ।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর



মার্কিন ভেটোতে জাতিসংঘে আটকে গেল ফিলিস্তিনের সদস্যপদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জাতিসংঘে রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার পথ আটকে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিতে ভেটো দিয়েছে দেশটি।

খসড়া প্রস্তাবটিতে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণসদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রতি সুপারিশ করা হয়েছিল। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের ১২টি এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড। ভেটো প্রদান করে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

ভেটো দেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দুই-রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করে চলেছে। এই ভোটটি ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রত্বের বিরোধিতাকে প্রতিফলিত করে না। আমরা চাই তারা সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসুক।’

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস মার্কিন ভেটোকে অন্যায়, অনৈতিক এবং অযৌক্তিক বলে নিন্দা করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মার্কিন ভেটো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ইচ্ছাকে চ্যালেঞ্জ করেছে।’

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ভেটো দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা করে বলেছেন, লজ্জাজনক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা হবে না।’

ফিলিস্তিন বর্তমানে জাতিসংঘ সদস্য না হলেও ২০১২ সালে তারা জাতিসংঘে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পেয়েছে। জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য ফিলিস্তিন বছরের পর বছর চেষ্টা চালিয়ে আসছে।

তবে তাদের এই আর্জি প্রথমে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন পেতে হবে এবং তারপর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এর পক্ষে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন লাগবে।

২০১১ সালে পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার জন্য প্রথমবারের মতো আবেদন করেছিল ফিলিস্তিন। এরপর গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের মধ্যে ফিলিস্তিন এ মাসের শুরুতে আবারও সদস্যপদের জন্য আবেদন করে।


আরও খবর



নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে আটক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও নাবিকদের উদ্ধার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জলদস্যুদের হাত থেকে নাবিক এবং জাহাজ দুটোই উদ্ধার করার ক্ষেত্রেই অল্প সময়ের মধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি শিগগির তাদেরকে মুক্ত করতে পারবো। তবে উদ্ধারের দিনক্ষণ বলাটা কঠিন।

তিনি বলেন, আমরা নাবিকদের পরিবারকে আশ্বস্ত করতে চাই, সরকার সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে। প্রথমত যারা অপহরণ করেছে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা চলছে। দ্বিতীয়ত তাদের ওপর মনস্তাত্ত্বিক প্রচুর চাপ তৈরি করা হয়েছে। নাবিকরা ভালো আছেন, নিয়মিতভাবে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, এমনকি ভিডিও কলেও কথা বলছেন। সুতরাং যে উদ্বেগটা কিছুদিন আগে ছিল সেটি এই মুহূর্তে নেই। আমরা আশা করছি তাদেরকে শিগগির মুক্ত করতে পারবো। বুধবার (১০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানজি পুকুর লেন ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি দেশে সবসময় গণতন্ত্র হরণ করার জন্য অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে তাদের হাত ছিল। নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই সেটি ঘটানো হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ১৩ সালে কি ধরণের সন্ত্রাসী ও জঘন্য মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা তারা চালিয়েছিল। ১৪ সালের নির্বাচনে পাঁচশ নির্বাচনী কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল এবং নির্বাচনী কর্মকর্তা ও বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছিল। সেটির উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনকে ভণ্ডুল করা, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা। ১৮ সালের নির্বাচনেও একই প্রচেষ্টা ছিল। সর্বশেষ ২৪ সালের বিগত নির্বাচন বর্জন করার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালানো হয়।

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বৃদ্ধি এবং হামলায় একব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, গত মন্ত্রীসভার মিটিংয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় কিশোর গ্যাং নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে বিভিন্ন জেলা শহরে এই কিশোর গ্যাং তৈরি হচ্ছে। তাদের ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, কিশোর গ্যাংদের গ্রেপ্তারের পর স্বাভাবিক জেলে না রেখে সংশোধনাগারে পাঠানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ, সাধারণ জেলে যদি তাদেরকে পাঠানো হয় সেখানে থাকা অন্যান্য সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তারা আরো ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হয়ে উঠতে পারে। দেশে এটি নতুন সমস্যা, এটিকে দূর করতে সরকার কাজ করছে। কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে নেপথ্যে যেই থাকুক, সে যেই দলেরই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং হচ্ছে।

দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন আমাদের দেশে রমজান আসার আগে এবং রমজানের সময় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করার জন্য একটি অসাধু চক্র ও কিছু মজুতদার সবসময় সক্রিয় হয়। এবারও তা হয়েছে। সেটির সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছিল বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাজারকে অস্থিতিশীল করা, পণ্যের মূল্য যাতে বাড়ে। কিন্তু সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রেক্ষিতে এবার রমজানের সময় বাজার স্থিতিশীল ছিল এবং অনেক পণ্যের দাম কমেছে। 


আরও খবর



কী করবেন গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। এই সময়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা আছেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। ভরদুপুরে গরমে বাইরে কোথাও যাওয়ার পথেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা হরহামেশাই হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় অনেকেই এই ভ্যাপসা গরমে একেবারে অচেতন হয়ে যান।  প্রচণ্ড রোদ আর গরমে হিটস্ট্রোক হতে পারে যে কোনো বয়সের মানুষের।

যদি মনে হয় কেউ  হিটস্ট্রোক হয়েছে তাহলে সবার আগে অসুস্থ ব্যক্তিকে একটু শীতল জায়গায় নিন, গাছের নিচে বা কোনো দোকানের ভেতরে ফ্যানের বাতাসের নিচে। সম্ভব হলে ঠান্ডা পানিতে বা বরফে ভেজা কাপড় দিয়ে বারবার গা মুছে দিন বা শরীরে পানি স্প্রে করুন এবং শিগগির হাসপাতালে স্থানান্তর করুন।

সারাদিন নানা কাজে রোদের মধ্যেই ঘুরেছেন। গরমে অসুস্থতা আচমকা আপনার পেটে ও পা দুটোয় যেন টান লাগল বা কেউ খামচে ধরল। এ সমস্যার নাম হিট ক্র্যাম্প। শরীরে পানি ও লবণের অভাবে এমনটা ঘটে। এমন অবস্থায় দ্রুত গরম ও রোদ থেকে সরে যান। তুলনামূলক ঠান্ডা জায়গায় বসে পড়ুন। প্রচুর পানি ও লবণসমৃদ্ধ তরল (যেমন: ডাবের পানি, লেবু-লবণের শরবত) পান করুন। পরিশ্রম থেকে বিরত থাকুন। খুব ধীরে মাংসপেশি নাড়াচাড়া এবং পায়ের হালকা ব্যায়াম করুন।

সারা দিন রোদে গরমে ঘুরে দেখলেন ত্বক লালচে হয়ে গেছে বা পুড়ে গেছে। র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। এটাকে বলা হয় হিট র‍্যাশ। এ সমস্যা সমাধানের জন্য ত্বকে ঠান্ডা বরফ বা ভেজা কাপড় লাগান।

তীব্র গরমে যে কেউ এমন আকস্মিকভাবে যে কেউ অসুস্থ হতে পারে তাই সাবধান থাকতে হবে। গরমে বাড়ির বাইরে গেলে সঙ্গে রাখুন পানি, ছাতা এবং সানগ্লাস। সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল পান করবেন। বাইরের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। গরমে ঘরে ফিরেই ঠান্ডা পানি খাবেন না কিংবা গোসল করা থেকে বিরত থাকুন। আগে শরীরটা বাতাসে জুড়িয়ে নিন। প্রচণ্ড গরমে ঘরের ভেতরের বদ্ধ পরিবেশে হাঁসফাঁস লাগলে ছাদে যান কিংবা বারান্দায় গিয়ে বসুন।


আরও খবর