আজঃ সোমবার ০৩ জুন ২০২৪
শিরোনাম

এটিএম বুথে জালিয়াতি চক্রের মূলহোতাসহ আটক ৮

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৬ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

৮ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র। গত ২-৩ বছর একসঙ্গে চাকরির সুবাদে তাদের পরিচয়। তাদের কাজ হলো এটিএম বুথে টাকা লোড করা। এই সুযোগে তারা নিজেরাই অভিনব কৌশলে বুথ থেকেই আবার টাকা হাতিয়ে নিতো। এভাবে গত দুই-তিন বছরে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাদের।

শনিবার (৫ মার্চ) র‌্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব- ৪ এর একটি যৌথ দল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের এই আট সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলো- আব্দুর রহমান বিশ্বাস (৩২), তারেক আজিজ (২৫), তাহমিদ উদ্দিন পাঠান ওরফে সোহান (২৮), রবিউল হাসান (২৭), হাবিবুর রহমান ওরফে ইলিয়াস (৩৬), কামরুল হাসান (৪৩), সুজন মিয়া (৩১) ও আব্দুল কাদের (৪৩)। তাদের কাছ থেকে  ২টি চেকবই, ১টি এটিএম কার্ড, ৪টি আইডিকার্ড, একটি স্বর্ণের নেকলেস, এক জোড়া বালা, এক জোড়া কানের দুল, একটি আংটি এবং নগদ ৯ ল ৪১ হাজার ৫৫৫ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি জানান, বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথের ব্যবস্থাপনা থার্ড পার্টি বা আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে সম্পন্ন করে থাকে। থার্ড পার্টি টাকা স্থাপন, নিরাপত্তা, কারিগরি ত্রুটি ইত্যাদি বিষয়টি পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি ব্যাংকের অডিটে এটিএম বুথের টাকার বেশকিছু গড়মিল পরিলক্ষিত হয়। ফলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ থার্ড পার্টি পরিবর্তন করে। তারপরও এটিএম বুথে অনিয়ম ও গড়মিল পাওয়া গেলে তারা বিষয়টি র‌্যাবকে জানায়।

খন্দকার আল মঈন জানান, র‌্যাব বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তের এক পর্যায়ে র‌্যাব জানতে পারে থার্ড পার্টি পরিবর্তন করা হলেও এটিএম বুথে টাকা লোডার ও অন্যান্য কারিগরি দলের কোনও পরিবর্তন হয়নি। পরে তাদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি করে আট জনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পরস্পর যোগসাজশে অভিনব কৌশলে বেশ কয়েকটি এটিএম বুথ থেকে টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করে।

র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, অভিনব কৌশলে এটিএম বুথ থেকে টাকা আত্মসাৎকারী এই চক্রের মূল হোতা হলো আব্দুর রহমান। সে এক সহকর্মীর কাছ থেকে এই কৌশলটি শেখার পর একটি সংঘবদ্ধ চক্র তৈরি করে। তারা সবাই এটিএম বুথের কন্ট্রোল রুম, লোডিং, কলিং ও মেইটেন্যান্স-এর দায়িত্ব পালন করে।

র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, গ্রেফতারকৃতরা বেসরকারি ওই ব্যাংকের এটিএম বুথে টাকা স্থাপন ও মনিটরিং কাজে নিযুক্ত ছিল। তারা ঢাকা শহরের ২৩১টি এটিএম বুথ মেশিনে টাকা লোড করতো। গ্রেফতারকৃতরা এটিএম বুথে টাকা লোড করার সময় লোডিং ট্রেতে টাকা স্থাপনের সময় ১৯টি ১০০০ টাকার নোটের পরপর অথবা অন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ইচ্ছাকৃতভাবে জ্যাম করে রাখত। কোনও ক্লায়েন্ট এটিএম বুথে টাকা উত্তোলনের জন্য এটিএম কার্ড প্রবেশ করিয়ে গোপন পিন নম্বর দিয়ে কমান্ড করলে ওই পরিমাণ টাকা ডেলিভারি না হয়ে পার্সবিনে জমা হত। পরবর্তীতে সেই টাকা এই চক্রের সদস্যরা সরিয়ে নিতো।

নিউজ ট্যাগ: এটিএম বুথ

আরও খবর



পুড়ে ভস্ম হয়ে গেছে রায়িসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সম্পূর্ণ পুড়ে ভস্ম হয়ে গেছে ইরানি প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রায়িসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার। ফলে ওই হেলিকপ্টারের সকল আরোহীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সোমবার অনুসন্ধান দল ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়ার পর ইরানি এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমনটিই দাবি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মকর্তা বলেন- দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রায়িসির হেলিকপ্টারটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে... দুর্ভাগ্যবশত, সব যাত্রী নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।’

সোমবার ভোররাতে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে ধ্বংসাবশেষ শনাক্তের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর জন্য উদ্ধারকারী দলগুলো রাতভর তুষারঝড় এবং কঠিন ভূখণ্ডের সাথে লড়াই করে।

জানা গেছে, রবিবার আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইরানি প্রেসিডেন্ট। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইবরাহিম রায়িসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। সূত্র: রয়টার্স


আরও খবর



২৩ নাবিকসহ আজই কুতুবদিয়ায় ভিড়বে এমভি আব্দুল্লাহ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিক নিয়ে সোমবার (১৩ মে) রাতে কুবুবদিয়াতে পৌঁছাতে পারে। সেখানে আংশিক পণ্য খালাস হবে। মঙ্গলবার বিকালে বোট বা লাইটার জাহাজে নাবিকদের আনা হবে জেটিতে। রবিবার (১২ মে) জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, রবিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে জাহাজটি কুতুবদিয়া থেকে প্রায় ৩৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। জাহাজটি যে গতিতে চলছে তাতে আগামীকাল সন্ধ্যা বা রাতের মধ্যে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাহাজের চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, জাহাজটি এখন দেশের উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে। সবাই বাড়িতে পৌঁছে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, কুতুবদিয়ায় কিছু চুনাপাথর আনলোড করে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা হবে জাহাজটি। সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা নাগাদ ২৩ নাবিক নিয়ে জাহাজটি কুতুবদিয়াতে পৌঁছার কথা রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা যতটুকু জানি জাহাজে থাকা সব নাবিক সুস্থ রয়েছেন। তারা কুতুবদিয়াতে পৌঁছানোর পর পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে আমরা বলতে পারব।

সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এমভি আব্দুল্লাহ আমদানি করা ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে এসেছে। কার্গোর কিছু অংশ কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে এবং বাকি পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসবে।

উল্লেখ্য, সোমালি জলদস্যুদের হাতে অপহরণের দীর্ঘ ১ মাস পর গত ১৩ এপ্রিল সোমালিয়ার সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক। এর আগে জলদস্যুদের মুক্তিপণের টাকা পৌঁছানো হয় একটি বিশেষ এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে। এই এয়ারক্রাফট থেকে দস্যুদের নির্ধারিত স্থানে তিনটি ব্যাগভর্তি ডলার পৌঁছানো হয়।

মুক্তির পর জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ২১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে জাহাজটি।


আরও খবর



সীতাকুন্ডে জাতীয় ভিটামিন‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়েও সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্টিত হয়েছে দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৪।

 শনিবার সকালে জেলার সীতাকুন্ড উপজেলার ভাটিয়ারীস্থ হোসাইনীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে একটি শিশুকে ভিটামিন ক্যাপসুল খাইয়ে দিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ের জাতীয় ভিটামিন প্লাস ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুন্ড আসনের সংসদ সদস্য এস.এম আল মামুন। বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ও সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যৌথভাবে ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মোঃ ইফতেখার আহমেদের সভাপতিত্বে ও সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ নুর উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সীতাকুন্ড উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আরিফুল আলম চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে.এম রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী গোলাম মহিউদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর আক্তার, সীতাকুন্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামাল উদ্দিন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জিয়াউল কাদের, ৯নং ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাজিম উদ্দিন, সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আজিজ,  সীতাকুন্ড প্রেস ক্লাব সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী, সাবেক সভাপতি সেকান্দর হোসাইন।

সীতাকুন্ড উপজেলার মোট ২৪০টি স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্রে ৬-৫৯ মাস বয়সী মোট ৬১ হাজার ২১০ জন শিশুকে ভিটামিন ক্যাপসুল ভিটামিন ক্যাসপুল খাওয়ানো হয়। তন্মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ৯ হাজার ৪৭০ জন শিশুকে একটি করে নীল ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৫১ হাজার ৭৪০ জন শিশুকে একটি করে লাল ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার কল্যাণ সহকারী, স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ ও ওয়ার্ডের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

 প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এস.এম আল মামুন বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ কর্মসূচীর শুভ সূচনা করেন। শিশুকে সুস্থ রাখতে হলে জন্মের ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ ছাড়া আর অন্য কোন খাবার দেয়া যাবে না। শিশুর বয়স ৬ মাস পুর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মত ঘরে তৈরী সুষম খারার দিতে হবে। ভিটামিন ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, রাতকানা রোগ প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সকল ধরণের মৃত্যুর হার হ্রাস করে।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



নৃ-গোষ্ঠীর দুই শিশু ও মা-বাবাকে পাশবিক নির্যাতন, মায়ের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ঠাকুরগাঁওয়ের পৌর শহরের পরিষদ পাড়ার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর দুই শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর এক শিশুর বাবা-মাকেও মধ্যযুগীয় নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের পরে ওই এক শিশুর মা দায়নি ঋষির (৪২) মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তবে এটি আত্নহত্যা নয়, হত্যা বলে দাবি নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের। আর ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার বলছেন, অপরাধী যেই হউক ছাড় পাবে না।

বুধবার (২২ মে) সকালে পৌর এলাকার ৯নং ওয়ার্ড পরিষদ পাড়ার একটি লিচু গাছে ওই নারীর লাশ ঝুলে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নিহত দায়নি বিষু ঋষির স্ত্রী। তাদের ঘরে দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের অভিযোগ, গত সোমবার পরিষদ পাড়ার লিটনের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় লিটনসহ তার লোকজন পরদিন চোর সন্দেহে দয়ান ঋষির ছোট ছেলে রাজেন (১৩) ও একই গ্রামের মৃত যোগেন এর ছেলে সঞ্জিত (১৫) কে তারা বাসায় আটক করে রাখে। কিন্তু তাঁরা চুরি করেনি তার পরেও ছেড়ে না দিয়ে মারপিট করতে থাকে। এরপর বিষু ঋষিকেও ধরে নিয়ে যায় তাঁরা। তবে বিষু ঋষিকে ছেড়ে দিলেও রাজেনকে ছাড়েননি। এরপর রাজেনকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আরও মারপিট করে। রাজেন মারপিটের ঠেলায় বলে, এলাকার সঞ্জিত এর নাম বলে সে চুরি করেছে। এরপর সঞ্জিতকে খুঁজে বের করে। পরে দুজনকে একদল উচ্ছৃংখল যুবকের হাতে তাদের তুলে দেন লিটন। পরে লিটনের আত্মীয় আমজাদসহ কয়েকজন মিলে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দোলন কুমার মজুমদারের সাথে দেখা করে চুরির বিষয়টি অবগত করেন। এসময় কাউন্সিলর তাদের পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতা নেয়ার পরামর্শ দেন।

কিন্তু বাড়ির মালিক লিটন কাউন্সিলরের কথা না শুনে চুরি ঘটনায় কয়েক লক্ষ টাকা ও কয়েক ভরি স্বর্ণ অলংকার খোয়া গেছে দাবি করে আটকৃতদের কয়েক দফায় বেধরক মারপিট করে লিটনসহ তার লোকজন।

তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, ওই দুই কিশোর ও বিষু ঋষিকে ছেড়ে দেয়ার পর ওই দিন রাতে অজ্ঞাতরা রাজেনের মা দায়নি ঋষিকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয় চুরির বিষয়টি সমাধানে। সে বাসায় না ফিরলে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন স্বজনরা। পরে বুধবার সকালে স্বজনরা তার লাশ গাছের ডালে ঝুলতে দেখে।

রাজেন ও সঞ্জিত জানায়, ২০-২৫জন আমাদের শহরের গোবিন্দ নগর বড়বাড়ি এলাকায় নিয়ে গিয়ে লোহার রড, গাছের ডাল দিয়ে অনবরত পেটাতে থাকে আর বলে বলআমরা টাকা চুরি করছি। শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল তাও মারছিল। সঞ্জিত বলে সহ্য করতে না পেরে বলি রাজেনের মাকে চুরির টাকা গয়নাপাতি রাখতে দিয়েছি। এরপর রাজেনের মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন করে। টাকা স্বর্ণ অলংকার তাদের কাছে উদ্ধার করতে না পেরে থানা নিয়ে যায়।

পরিবারের অভিযোগ লিটন ও তাঁর ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা দায়নিকে হত্যা করে গলায় শাড়ি পেছিয়ে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। এ হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তাঁরা।

আদিবাসী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল টিজ্ঞা জানান, দায়নি ঋষিকে পিটিয়ে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখা রয়েছে। আর কত নির্যাতন হলে বা মারা গেলে আদিবাসী নিরিহ মানুষগুলোর ওপর নির্যাতন বন্ধ হবে? কেউ অপরাধ করলে পুলিশ-প্রশাসন আছে। তাই তাই বলে এভাবে নির্মমভাবে নির্যাতন করতে হবে। তাঁরা তো চুরির সময় ধরা পড়েনি। সন্দেহজনক ধরা হয়েছে। তবে এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। আর কত নির্যাতিত হলে আমরা বিচার পাবো?

এ বিষয়ে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দোলন কুমার মজুমদার জানান, চুরির ঘটনায় দুই কিশোরকে আটকের পর মারপিট করা হয় সেই বিষয়টি জানানো হলে পুলিশের সহযোগীতা নেয়ার পরামর্শ দিলেও তারা শুনেনি। পরে সকালে জানতে পারি এক কিশোরের মা গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। নিশ্চই বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন পুলিশ।

আর পুলিশ সুপার (এসপি) উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন, ইতিমধ্যে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এটা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। তবে অপরাধী যেই হউক সে ছাড় পাবে না।


আরও খবর



বান্দরবানে কুকি-চিনের দুই সদস্য নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানে যৌথবাহিনীর সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দুই সদস্য নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড শ্যারণপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শ্যারণপাড়া প্রধান তলুয়াং থাং বমের তথ্য অনুযায়ী, নিহতরা হলেন শ্যারণপাড়া এলাকার লাল নু বম ও বেথানি পাড়া এলাকার থাং পুই বম।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে শ্যারণপাড়া এলাকায় অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। এসময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন কেএনএফ সদস্যরা। আত্মরক্ষার্থে যৌথবাহিনী পাল্টা গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই কেএনএফের দুই সদস্য নিহত হন।

দুই কেএনএফ সদস্য নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাই মো. রায়হান কাজেমী বলেন, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে বান্দরবান হাসপাতালে আনা হয়েছে। আগামীকাল তাদের ময়নাতদন্ত হবে।

বান্দরবান সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জুয়েল ত্রিপুরা জানান, নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা বিকেল ৫টার দিকে গুলিবিদ্ধ দুটি মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের অপেক্ষায় রয়েছে।

গত ২ ও ৩ মে বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, হামলা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজার অপহরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৯টি মামলা হয়েছে। থানচিতে চারটি ও রুমায় পাঁচটি। এসব মামলায় কেএনএফ সদস্য সন্দেহে ৮৬ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ২৫ জন নারী রয়েছেন।


আরও খবর