আজঃ শনিবার ০১ জুন ২০২৪
শিরোনাম

এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২ কর্মচারীকে জুতাপেটার অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জমির নামজারি আবেদনে ক্রুটি থাকায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা ভূমি অফিসের দুই কর্মচারীকে অফিস কক্ষের ভেতরে জুতা পেটা করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্তের বিরুদ্ধে।

গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এসিল্যান্ড নিজ অফিস কক্ষে এমন ঘটনা ঘটান। মারধরের শিকার দুই কর্মচারী হলেন- সার্টিফিকেট সহকারী মমিনুল ইসলাম ও আউটসোর্সিংয়ের কম্পিউটার অপারেটর খায়রুল ইসলাম।

জানা গেছে, দুপুর ১২টার আউটসোর্সিংয়ের কম্পিউটার অপারেটর খায়রুল ইসলামকে নিজ কক্ষে ডেকে নেন এসিল্যান্ড অমিত দত্ত। পরে নামজারির কাজে ক্রুটি দেখিয়ে দফায় দফায় খায়রুল ইসলামকে জুতাপেটা করেন তিনি। এরপর খায়রুল ইসলাম বের হয়ে আসলে ওই সময় সার্টিফিকেট সহকারী মমিনুল ইসলাম তার কক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত তার দিকে জুতা  ছুড়ে মারেন এবং তাকে মারপিটসহ অকথ্য ভাষায় গালাগালি  করেন।

এ বিষয়ে সার্টিফিকেট সহকারী মমিনুল ইসলাম ইসলাম বলেন, এসিল্যান্ডের স্যারের অফিস কক্ষ প্রবেশ করা মাত্রই আমাকে জুতা ছুড়ে মারেন। চেয়ার থেকে উঠে জুতা দিয়ে মারপিটসহ টুপি নিয়ে নানা ধরনের কটূক্তি করেন। পরে আমি রুম থেকে বের হয়ে আসি।

আউটসোর্সিংয়ের কম্পিউটার অপারেটর খায়রুল ইসলাম বলেন, নামজারির কাজে ভুল দেখিয়ে এসিল্যান্ড স্যার তার কক্ষে ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও জুতাপেটা করেছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনারের সরকারি (ভূমি) মোবাইল ফোনে চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. ইশরাত জাহান বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি ওই দুইজন স্টাফের কাজে ভুল হওয়ায় তাদের ডেকে নিয়ে বকাঝকা করেছেন। তবে কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি। আমরা পুরো ঘটনাটি তদন্ত করছি। তদন্তের পরে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।


আরও খবর



খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে রেমাল ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

বরগুনার তালতলীতে পুরো শক্তি নিয়ে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমাল। সোমবার সন্ধ্যার পর ঘূর্ণিঝড়টি এ উপকূল অতিক্রম করেন। এ সময় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে তাণ্ডবলীলা চালায় ঘূর্ণিঝড়টি। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ে ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট তছনছ করেছে। টানা বর্ষণে পনিবন্দী হয় গ্রামের পর গ্রাম। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এখানকার বাসিন্দাদের। পানিতে তলিয়ে যায় বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপসানালয়, মাছের ঘের। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

জানা যায়, রেমালের প্রভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে উপজেলা ৩ হাজার ৭শ ঘরবাড়ি। এর মধ্যে আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৩১৩২ ও পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ৬৫০ বাড়িঘর। উপড়ে পড়েছে কয়েক হাজার গাছপালা। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পুরো উপজেলা। এছাড়া প্রায় শতাধিক গ্রাম ৪ থেকে ৬ ফুট জলোচ্ছাসে প্লাবিত হয়েছে। টানা বর্ষণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ হাজার পরিবার। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মৎস্য ঘেরে। ৮০ হেক্টর ফসলি জমি ও ৩৫০ হেক্টর সবজি বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে প্রায় ২৭ লাখ গ্রাহক। ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হওয়া পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।

আজ সরেজমিন বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে দেখা যায় দেখা গেছে, ঝড়ের প্রভাবে রাস্তার পাশে গাছপালা উপজেলা প্রশাসন কেটে দিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও। ৭২ ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় এ উপজেলার মানুষের সাথে যোগাযোগ ব্যহত হচ্ছে। এছাড়াও রান্না বান্নার কাজে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরড়ে পারতেছে না।

নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, এই এলাকার প্রায় ৩শ এর বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এখানকার জেলে পরিবারগুলো এখনও খোলা আকাশের নিচে রয়েছে। তাদের পরিস্থিতি এখন মানবেতর।

তালতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে এ উপজেলা সব থেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। পর্যায়ক্রমে এ সকল ক্ষতির তালিকা করে সহযোগিতা করা হবে। ৫৩টি আশ্রয় কেন্দ্রেসহ ব্যক্তিগত ভবণে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ও কয়েক হাজার গবাদি পশু আশ্রয় নিয়েছিলো। তাদের জন্য শুকনা খাবার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়। তিনি আরও বলেন বিদ্যুত বিভাগের সাথে কথা হয়েছে তার বলছেন লাইনে কাজ চলছে। তবে রাতের মধ্যে বিদ্যুত সংযোগ দেওয়া হতে পারে।

হাফিজুর রহমান, তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি


আরও খবর



জামানত হারালেন ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

Image

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন জামানত হারিয়েছেন। বুধবার (২৯ মে) তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার ফলাফল বিশ্লেষণে বিষয়টি জানা যায়।

জামানত ফিরে পেতে কাস্টিং ভোটের ১৫% ভোটের প্রয়োজন হয়। সে হিসেবে এই নির্বাচনে অন্তত ১১,২৮৪টি ভোট পেলে জামানত ফিরে পাওয়া যেত। তবে শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ৪,৬১০ ভোট।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নির্বাচনের কন্ট্রোল রুমে উপজেলার ৭১টি কেন্দ্রের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৮,০২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল পেয়েছেন ১৮,৬৭৮ ভোট।

সেতুমন্ত্রীর ভাই শাহাদাত হোসেন টেলিফোন প্রতীকে ৪,৬১০ টি ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। এছাড়া মোটরসাইকেল প্রতীকে ওমর আলী ১,৪৮২ ভোট পেয়ে জামানত হারান।

নির্বাচনি বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে ১ লাখ টাকা জমা দিতে হয়। আর ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫,০০০ টাকা জমা দিতে হয়।

নির্বাচনি এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫% যদি কোনো প্রার্থী না পান, তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এই বিধি অনুযায়ী শাহাদাত হোসেনকে জামানত রক্ষার জন্য পেতে হতো ন্যূনতম ১১,২৮৪ ভোট। তা না পাওয়ায় নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া অর্থ খোয়াতে হচ্ছে তাকে।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী বলেন, জামানত হারানোয় শাহাদাত হোসেন ও ওমর আলীর চেয়ারম্যান পদের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে রাখা ১ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত হবে।


আরও খবর



ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সিলেটে ব্যস্ত খামারিরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশু প্রস্তুতে ব্যস্ত সিলেট বিভাগের খামারিরা। গো-খাদ্য, ওষুধসহ বিদ্যুতের বাড়তি দামে খরচ বেড়েছে খামারীদের। গেল বছরের তুলনায় প্রতিটি গরু লালন-পালনে খরচ বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। গো-খাদ্যের এ বাড়তি দামে খরচ সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা খামারিদের।

খামারিরা জানিয়েছেন গো খাদ্যের ঊর্ধ্বগতিতে বেড়েছে ব্যয়। ফলে দাম বেড়েছে পশুর। পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে চোরাই গরু আসা নিয়ে লোকসানের মুখে পড়ায় শঙ্কায় রয়েছেন। তবে স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে।

অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, এক বছরের ব্যবধানে সিলেটে কোরবানীর পশু বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। সিলেটে এবার কোরবানী যোগ্য পশুর কোন ঘাটতি নেই বরং উদ্বৃত্ত রয়েছে ৩৬ হাজার ১৪৬টি পশু।

অথচ গেল বছর ঈদুল আজহায় সিলেট বিভাগে কোরবানীযোগ্য পশুর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮১৯ টি। আর চাহিদা ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৯৩টি। গত বছর যেখানে বিভাগে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪৭৪টি পশুর ঘাটতি ছিল, সেখানে এ বছর বিভাগে কোরবানীর পশু ১ লাখ ৯৫ হাজার ৬৭৪টি বেড়ে উদ্বৃত্ত থাকছে ৩৬ হাজারের বেশী।

প্রাণিসম্পদ ও খামারি সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের সময়ের ভয়াবহ বন্যা, নিত্যপণ্য ও পশুখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় গেল বছর খামারিদের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় কমে ছিল পশুর উৎপাদন। প্রাণিসম্পদের নানা উদ্যোগ, প্রণোদনা ও স্বাবলম্বীকরণ প্রজেক্টের কারণে এবার বিভাগে খামারিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে বেড়েছে উৎপাদিত পশুর সংখ্যা। এক বছরে বিভাগে ষাড়-বলদ-গাভী ও মহিষের সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ১৬০টি এবং ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৩৩৫টি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল আযহায় সিলেট বিভাগে কোরবানী যোগ্য পশুর চাহিদা ৩ লাখ ৯৪ হাজার ২৫১টি। এর মধ্যে সিলেট বিভাগে স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত আছে ৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৯৭টি। উদ্বৃত থাকা ৩৬ হাজার ১৪৬ পশু দেশের অন্যান্য জেলায় রপ্তানী করা যাবে।

বিভাগের ৪ জেলার বিভিন্ন খামারে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত প্রায় সাড়ে ৪ লাখ গবাদি পশু। গত কয়েক বছরের মধ্য এবার স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পশু দিয়ে চাহিদা মিটানো সম্ভব। বিভাগে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২২ হাজার ৫৭৬ টি খামারে দিন রাত প্রাকৃতিক উপায়ে চলছে পশু হৃষ্টপুষ্ট করণ কাজ। প্রতিটি খামারে ছোট, মাঝারি ও বড় সব ধরণের কুরবানির পশু রয়েছে। এরমধ্যে সিলেট জেলার ৬ হাজার ৮৫৮ টি, সুনামগঞ্জ জেলায় ৩ হাজার ৪৫৮ টি, মৌলভীবাজার জেলায় ৫ হাজার ৩৬৯টি ও হবিগঞ্জ জেলায় ৬ হাজার ৫১৯ টি খামার রয়েছে।

এদিকে প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খামারিকে গবাদি পশু হৃষ্টপুষ্ট করণের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্টেরয়েডের ব্যবহার রোধে উপজেলা পর্যায়ে উঠান বৈঠক করে খামারিকে হাতে কলমে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

সিলেটের একাধিক খামারিদের সাথে আলাপকালে তারা জানান- এমনিতেই সবধরণের পশুখাদ্যের দাম বাড়তি এরমধ্যে তীব্র গরমের কারণে পশুর জন্য বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে আইপিএস দিয়ে ফ্যান চালাতে হচ্ছে। দিনে দুবার গোসল করাতে হচ্ছে। পশুকে ২৪ ঘণ্টা বাতাসের মধ্যে রাখতে হয়। খাবারের সঙ্গে সোডা দিতে হয়। প্রতিনিয়ত শ্বাস-প্রশ্বাস পরীক্ষা করতে হয়। আবার ফসলের মৌসুম হওয়ায় শ্রমিকের মজুরি বেশি দিতে হচ্ছে।

দেশে প্রচলিত পশুখাদ্যের উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে সয়াবিন খৈল, গমের ভূসি, রাইস পলিশ, মসুর ভূসি, সরিষার খৈল, ভুট্টা, মুগ ভূসি ও মটর ভূসি। এসব উপাদানের দাম এবার ৩০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

অনেক ব্যাপারী শুধু কোরবানির জন্যই কয়েক মাস আগে পশু কিনে ব্যবসা করেন। তাদের মতো একজন শহীন। তিনি বলেন, ৬৫ হাজার টাকায় গরু কিনেছি। ২০ হাজার টাকার খাবার খাওয়ানো হয়েছে। এখন যদি ১ লাখ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দাম না পাই তাহলে পোষাবে না।

সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর সিলেট বিভাগে কুরবানী হবে প্রায় ৩ লাখ ৯৪ হাজার ২৫১টি পশু। অথচ প্রস্তুত আছে ৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৯৭ টি পশু। এরমধ্যে ১ লাখ ৩৮ হাজার ১৮০ টি ষাড়, ৪৯ হাজার ১০৩ টি বলদ, ৩৩ হাজার ৩৭৫টি গাভী, ৪ হাজার ৫৩৩টি মহিষ, ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৩টি ছাগল, ৭০ হাজার ৯৫৩টি ভেড়া ও ১১০ টি অন্যান্য পশু রয়েছে।

সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অফিসের পরিচালক ডা. মারুফ হাসান আলাপকালে জানান, এবার সিলেট বিভাগে কোরবানী যোগ্য পশুর কোন ঘাটতি নেই বরং উদ্বৃত্ত আছে ৩৬ হাজার ১৪৬টি পশু। তাই এবার পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে পশু আসার কোন দরকার নেই। গো খাদ্য ও সব জিনিস পত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারিদের ব্যয় বেড়েছে। সিলেটে আগে ঘরোয়াভাবে কোরবানীযোগ্য পশু পালন হতো। সেটা এখন কমে গেছে। তাই খামারিদের পশু দিয়েই কোরবানীর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।


আরও খবর



মক্কায় প্রবেশে সৌদির বাসিন্দাদের লাগবে অনুমতি

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবের জননিরাপত্তা বিষয়ক অধিদপ্তর ঘোষণা দিয়েছে আজ শনিবার (৪ মে) থেকে পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সৌদির বাসিন্দাদেরও অনুমতি লাগবে। হজ সংক্রান্ত আইন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই অনুমতি নিতে হবে। হজ যাত্রীদের নিরাপত্তা ও হজের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

যাদের কাছে যথাযথ অনুমতি থাকবে না যারমধ্যে রয়েছে পবিত্র স্থানগুলোতে কাজের অনুমতি, মক্কার স্থায়ী বাসিন্দা, ওমরাহ ও হজের বৈধ অনুমতি তাদের মক্কার প্রবেশদ্বার থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

গত সপ্তাহে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় নুসুক অ্যাপ কার্ড দেওয়ার ঘোষণা দেয়। যা ২০২৪ সালের হজ পক্রিয়াকে আরও গতিশীল করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

এটি ডিজিটাল এবং সাধারণ উভয় ফরমেটে পাওয়া যাবে। এই কার্ডের মাধ্যমে হজের প্রক্রিয়া খুবই সহজে করা যাবে। এতে করে অনুমতি ছাড়া হজ করার প্রবণতা কমে আসবে এবং পবিত্র স্থানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

হজ যাত্রীরা তাদের হজ মিশন অথবা যাদের মাধ্যমে হজ করতে আসবেন তাদের কাছে কার্ডটি পাবেন। অপরদিকে ডিজিটাল ফরমেটটি পাওয়া যাবে নুসুক এবং তাওয়াকলানা অ্যাপে।

এটির মাধ্যমে সহজে সব ধরনের সেবা পাবেন হজ যাত্রীরা। এমনকি যাদের মাধ্যমে তারা হজ করতে আসবেন তাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট না হলে এটির মাধ্যমে অভিযোগও জানানো যাবে।

নিউজ ট্যাগ: সৌদি আরব

আরও খবর



কুতুবদিয়ার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জন্ম-নিবন্ধন জালিয়াতির মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের পরান সিকদার পাড়া এলাকার ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর জন্ম-নিবন্ধন জালিয়াতি করে বাল্যবিয়ে দেয়া হয়। এই অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২১ মে) কুতুবদিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আফরোজা নাজমিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন- কৈয়ারবিল ঘিলাছড়ি এলাকার মো. ইদ্রিচের ছেলে মিজানুর রহমান সাগর (২৩), ইউপি মহিলা সদস্য হাসিনা আকতার (৪৫), মৃত আবু ছিদ্দিকের ছেলে মো. ইদ্রিচ (৫৫), কৈয়ারবিল ইউপি সচিব ইমাম মুসলিম (৪৮), পেকুয়া চাঁকমার ডুরী এলাকার ছৈয়দ নুর এর ছেলে আবুল হোছাইন (৪০), কাজী ওয়াহিদুর রহমান (৪৫)।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর রহমান সাগর (২৩) ও তার বাবা মো ইদ্রিচ মিলে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসফিকুল আজিম নৌরিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন অপহরণ মামলা করায় ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে মেয়েটির বয়স ১৮ বৎসর পূর্ণ না হওয়ায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে প্রকৃত জন্ম নিবন্ধন গোপন করে পিতা-মাতার নামের জায়গায় ভুল নাম দিয়ে ভুয়া জন্ম-নিবন্ধন তৈরি করে দেন কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবর ও সচিব ইমাম মুসলিম। পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে পেকুয়া উপজেলার শিলখালী কাজী অফিসে বিবাহ মাধ্যমে কাবিননামা সম্পন্ন করে রাখেন।

এদিকে বাদীপক্ষের অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ জানান, অপহরণের পর কৈয়ারবিল এলাকার স্কুল পড়ুয়া তাসফিকুল আজিম নৌরিনকে জন্ম নিবন্ধন জালিয়াতি মাধ্যমে কাবিননামা সম্পন্ন করায় কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। আদালত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ট্রিট ফর এফআইআর হিসেবে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর