আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

একঝাঁক পানকৌড়ির অভয়াশ্রম সাফারি পার্ক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image

শ্রীপুর(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ

গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে একঝাঁক পানকৌড়িসহ বিভিন্ন পাখির মিলনমেলায় এক অপরুপ দৃশ্যের অবতারণা সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে পাখিরা বেছে নিয়েছে সাফারি পার্কের কুমির বোস্টনির পাশের গাছগুলো। নিস্তব্ধতা ভেঙে চারপাশ পাখির কোলাহলে মুখরিত পার্ক।

পানকৌড়ি আর বক পাখিদের নিরাপদ অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। ভোর হওয়ার সাথে সাথে পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে ওখানকার পার্ক কর্তৃপক্ষ ও আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষের। বাশঁঝাড় কিংবা উচুঁ গাছের দিকে তাকালে দেখা যাবে শত শত পানকৌড়ি আর বকের নিরাপদ প্রজনন আবাসস্থল। এখানেই জন্ম নিচ্ছে পাখির বাচ্চা। প্রজননের জন্য আসা এসব পাখিদের ভালোবাসে পার্ক কর্তৃপক্ষ খাবারের সু ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। পাখিদের আবাসস্থল  পার্কের ভেতরে হওয়ায় প্রতিদিনই পাখিদের দেখার জন্য ছুটে আসেন সাধারণ মানুষ। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, এখানে গাছে গাছে যেন থোকায় থোকায় পাখির সাদা কালো ফুল ফুটে আছে। পাখিদের মিলন মেলা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক । পানকৌড়ি ও বক এর প্রজনন দেখতে যেতে হবে সাফারি পার্কে সকালে অথবা সন্ধায়। প্রকৃতি প্রেমিক-পাখি প্রেমী মানুষগুলো এখানে ভীড় জমায়। এ কারণে পাখিদের অভয়ারণ্য এ পার্ক। বয়স্ক ভারী গলার কাশির শব্দের মতো খকখক, খেকর খেকর ডাক শুনা যায় । এখানকার গাছগুলোতে রয়েছে অতি চেনা ছোট পানকৌড়িদের বেশ বড় একটি আবাসস্থল বা কলোনি। 

ছোট পানকৌড়িরা এখানে আসে জ্যৈষ্ঠ মাসে। তারা জোড় বাঁধে, বাসা বানায়, ডিম দেয়, বাচ্চা ফোটায়। আবার বাচ্চা বড় করে আশ্বিনের প্রথম দিকে তারা উড়ে যায় তুলনামূলক আরও ভালো কোনো আশ্রয়ের উদ্দেশে। তবে ফাঁকা থাকে না গাছগুলো। ওরা চলে যেতেই অগ্রহায়ণে আসে সাদা বকের দল, শালিক আর চড়ুই। বকের দল বাচ্চা তুলে ফিরে যায় বৈশাখের শেষে। তবে এখানে বকদের অবস্থান পানকৌড়িদের মতো সরব নয়। কারণ বাচ্চাদের খাবার দিতে পানকৌড়িদের মতো তারা ছোট দূরত্ব থেকে বারবার মাছ নিয়ে বাসায় ফেরে না। খাবারের জন্য তারা অনেকটা দূরের পথে উড়ে যায়। দু-একবার ফেরে দলছুট হয়ে। সন্ধ্যায় ফিরে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে, বড় বড় দলে।

ছোট পানকৌড়ি আমাদের দেশের একটি স্থায়ী পাখি। মাছ ওদের একমাত্র খাদ্য। আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে এরা অতিপরিচিত। কালো শরীরে ছড়ানো লেজ, কালো হাঁসের মতো পা। সাপের মতো লম্বা বাঁকানো গ্রীবা, সুচালো বাঁকা ঠোঁট। প্রজননকালে শরীরের কালো রং কিছুটা ফিকে হয়। সচরাচর দেখা যায় নদী ও বিল এলাকায়। উঁচু গাছে ডালপালা দিয়ে বাসা বাঁধে। ছোট পানকৌড়ি দুই থেকে ছয়টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে। ছেলেমেয়ে উভয় পাখি পালাক্রমে ডিমে তা দেয়। বাচ্চা ফুটতে লাগে ১৭ থেকে ২১ দিন। দেশের নদী অঞ্চলের মাছের ঘেরে এদের বিচরণ নিয়মিত। ডুব দিয়ে  সাঁতারে মাছ ধরতে এই ছোট পানকৌড়ি অনেক সময় দুঃসাহস দেখিয়ে বাড়ির পুকুরেও নেমে পড়ে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ২৫-৩০টি গাছকে ঘিরে এই পানকৌড়ি কলোনি গড়ে ওঠেছে । এরা পার্কে নিরিবিলি পরিবেশ পেয়ে  খুবই নিরাপদ আবাসস্থল গড়ে তুলেছে । ঝড়-বৃষ্টির সময় বাতাসে গাছ থেকে বাচ্চা পড়ে যায়। আবার ছোট বাচ্চারা বাসা ছেড়ে বের হতে গিয়ে মাটিতে পড়ে কুকুর-বিড়ালের খাদ্য হয়। আছে শিকারী পাখির উপদ্রব।

সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। দেশের নানা বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ ও প্রাণির জায়গা হয়েছে এ পার্কে। এর পাশাপাশি পার্কটি বনাঞ্চল ঘেরা হওয়ায় প্রাকৃতিকভাবেই গড়ে উঠেছে পাখির নিরাপদ অভয়্যরণ্য। পাখিদের নিরাপদ পরিবেশ, প্রাকৃতিকভাবে আহারের ব্যবস্থা ও প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি করায় পাখিরা এখানে আসছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, পার্কের বাহিরে পাখিরা নিজেদের নিরাপদ মনে করছে না। সেখানে পাখি শিকারীসহ নানা পেশার মানুষ পাখিদের বিরক্ত করে। পাখিদের জীবন ও জীবিকার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ায় পাখিরা এখানে আবাসস্থল তৈরি করেছে। এখানে পাখিদের কেউ বিরক্ত করছে না। আহারের ব্যাবস্থার জন্য পার্কের লেকে মাছ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, পার্কে নানান জাতের রং-বেরঙের পাখির মেলা বসেছে। প্রতিদিন সকালে খাবারের উদ্দেশ্য তারা দূর-দূরান্তে চলে যায়। বিকেলে নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে পার্কে ফিরে আসে। সন্ধায় পাখির কলকাকলিতে এক অন্যরকম পরিবেশ তৈরি হয়। পানকৌড়ি ছাড়াও পার্কে আবাবিল,ধলা গলা মুনিয়া বিভিন জাতের ঘুঘু, মাছরাঙা, হরিয়াল ও নীলকন্ঠি পাখি দেখা যায়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পাখি গবেষক আ ন ম আমিনুর রহমান বলেন, সাফারি পার্কে পাখি কলোনি তৈরি হয়েছে। যাএকঝাঁক পানকৌড়ির অভয়াশ্রম হিসেবে উপযোগী একটি স্থান।


আরও খবর



নোয়াখালীর গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর গ্রামে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান মিলেছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) এই নতুন কূপটির খনন কাজ শুরু করেছে। প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ খনন প্রকল্প।

আজ সোমবার সকাল থেকে দুই শতাধিক খনন প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক এ কর্মযজ্ঞে অংশগ্রহণ করছেন। আগামী ১২০ দিন চলবে এ খননের কাজ।

কূপটির ড্রিলিং ইনচার্জ ও বাপেক্সের কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সোমবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে কূপ খননের জন্য ড্রিলিং রিগ স্থাপন করা হয়। প্রাথমিকভাবে কূপটি মাটির নিচে ৩ হাজার ২০০ মিটার খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ৪টি জোনে প্রাকৃতিক গ্যাস মিলতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। খনন শেষে প্রতিটি জোনে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। যা বাখরাবাদ এর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মানুষের চাহিদা পূরণে দেশীয় জ্বালানি অনুসন্ধান ও উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৪৬টি নতুন অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খনন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাপেক্স এর তথ্য মতে, এর আগে নোয়াখালীর এ অঞ্চল তথা বেগমগঞ্জে ১৯৭৬ সালে প্রথম কূপের সন্ধান মিলে। ১৯৭৮ সালে দ্বিতীয় কূপের সন্ধান মিললে সেগুলো ড্রিলিং করা হয়। তবে পরবর্তীতে ওই দুটি কূপে কোনো গ্যাস পাওয়া যায়নি। ২০১৩ সালে তৃতীয় কূপের সন্ধান মিললে ড্রিলিং শেষে ওই কূপ থেকে গ্যাস প্রোডাকশনে যায় এবং ২০১৮ সালে একই কূপে ওয়ার্কওভার করে এখন প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রেডে সরবরাহ করা হচ্ছে।


আরও খবর



স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার খাসকান্দি এলাকায় স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়েছে যাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে স্বামী মো. শাহজালালের  (৩৮) বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৫ মে) সকাল ৯টার দিকে স্বামীর বসতঘর থেকে স্ত্রী জিয়াসমিন আক্তারের (২৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতের যে কোনো সময় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে শাহ জালাল।

নিহত জিয়াসমিনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। স্বামী শাহজালাল খাসকান্দি এলাকার মৃত হাসান আলীর ছেলে। ময়নাতদন্তের জন্য স্ত্রী জিয়াসমিনের লাশ মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, খাসকান্দি এলাকার শাহজালাল ২ মাস আগে এক নারীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর নিজের স্ত্রী বলে পরিচয় দেয়। ওই নারী সনাতন ধর্মাবলম্বীর। শাহজালাল বিয়ে করার পর মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করে ওই নারী। তার নাম হয় জিয়াসমিন।

সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে স্বামীর বসতঘর থেকে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে মঙ্গলবার দিবাগত রাতের স্বামী শাহজালাল তার স্ত্রীকে লাঠি দ্বারা আঘাত করে। এতে স্ত্রী জিয়াসমিনের মৃত্যু হয়।

তিনি আরো জানান, শাহজালাল এলাকার চিহ্নিত চোর ও ফৌজদারি মামলার আসামি। কিছুদিন আগেও তিনি ফৌজদারি মামলায় ৬ মাস কারাভোগ করেছেন। স্বামী শাহজালালকে গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে নেমেছে।


আরও খবর



দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র হতে অতিতীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। এরই মধ্যে দেশের সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে এ অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিও হতে পারে।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা থেকে পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরসমূহকে ১ নম্বরসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে গতকাল শনিবার দেওয়া আগামী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এ ছাড়াও মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

অপরদিকে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় একইরকম থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

রবিবার সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

পরের দিন সোমবার সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




মেরিন ড্রাইভে পর্যটকসহ নিহত দুই

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজার-টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কে ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পর্যটকসহ দুজন নিহত হয়েছেন।

রোববার (১৯ মে) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা মেরিন ড্রাইভ সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের হরিখোলা গ্রামের লাতাইঅং চাকমার ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি বারিক্কা ওরফে কিরণ চাকমা (৪০) এবং রাজধানীর ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের বাসিন্দা জাহিদ (২৭)।

বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক সামি উদ্দিন বলেন, মেরিন ড্রাইভ সড়কের জাহাজপুরা অংশে ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আহতদের হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত জাহিদের স্বজনরা বলেন, ১৬ মে ঢাকা থেকে কক্সবাজার বেড়াতে আসেন তারা। ১৮ মে চলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জাহিদ নববধূ নিয়ে আসায় অতিরিক্ত একদিন বেড়ানোর কথা বলে আজ রোববার কক্সবাজারে থেকে গেল। এরইমধ্যে জাহিদ ও তার স্ত্রী রেন্ট এ বাইক থেকে মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়ে ঘুরতে চলে যান মেরিন ড্রাইভ সড়কে। সেখানে দুর্ঘটনার শিকার হন। হাসপাতালে আনা হলে জাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তার স্ত্রী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।


আরও খবর



জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ পণ্যের ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই সনদ দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির মাল্টিপারপাস হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে সনদ তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল শাড়ি, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর, মুক্তাগাছার মণ্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশীকাঁথার জিআই সনদ তুলে দেওয়া হয়।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, এ দেশের মেহনতি মানুষ শৈল্পিক কারুকার্যের মাধ্যমে অনন্য সাধারণ সামগ্রী প্রস্তুত করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সুনাম ও খ্যাতি বৃদ্ধি করেছে। মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।

ভারতের শিল্প মন্ত্রণালয় কিছুদিন আগে বাংলার টাঙ্গাইল শাড়ি বা টাঙ্গাইল শাড়ি অব বেঙ্গল নামে একটি শাড়িকে জিআই স্বীকৃতি দেয়। ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন (ডব্লিউআইপিও) এর কাছ থেকে অনুমোদনও পেয়ে যায় তারা। বিষয়টি বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। টাঙ্গাইল বাংলাদেশের এলাকা এবং টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হওয়ার পরও ভারত কীভাবে তা নিজেদের পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতি পায়, সেট প্রশ্ন তোলেন শাড়ির ব্যবসায়ী, আইনজ্ঞ ও অধিকার কর্মীরা।

এরপর বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো উদ্যোগী হয়। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন ৬ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতির আবেদন করে। পরে তা অনুমোদন করে গেজেট প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির সনদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন শিল্পমন্ত্রী।


আরও খবর