আসন্ন পবিত্র
ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত
হবে। ঈদ উদযাপনে সরকারি কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) ধর্ম বিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব
করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
সভায় যথাযোগ্য
মর্যাদা, ভাব-গাম্ভীর্য এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল
ফিতর উদযাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের বিষয়ে বিভিন্ন
সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
করোনা মহামারির
কারণে দুই বছর পর এবার জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।
সভায় সিদ্ধান্ত
হয় যে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত
হবে। আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে এ জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে
ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দেবেন। এ উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
কর্তৃক মুসলিম দেশের কুটনীতিকদের দাওয়াত দেওয়া হবে।
সরকারি, আধা-সরকারি
ভবন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর সব স্থাপনাসমূহে জাতীয়
পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় পতাকা ও ‘ঈদ মোবারক’ লিখিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক
আইল্যান্ড ও লাইট পোস্টে প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া ঈদুল ফিতর দিনগত রাতে
নির্দিষ্ট সরকারি ভবনসমূহ ও সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জা করা হবে।
সভায় সিদ্ধান্ত
হয়, সারাদেশে বিভাগ/জেলা/উপজেলা/সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ/বেসরকারি
সংস্থাসমূহের প্রধানরা জাতীয় কর্মসূচির আলোকে নিজ নিজ কর্মসূচি প্রনয়ণপূর্বক পবিত্র
ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে। এছাড়াও বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি গণমাধ্যমসমূহ
কর্তৃক যথাযোগ্য গুরুত্ব সহকারে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার ও সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করা হবে।
এছাড়াও ঈদুল ফিতর
উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল/কারাগার/সরকারি শিশু সদন/বৃদ্ধ নিবাস/ছোটমনি নিবাস/
সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র/আশ্রয় কেন্দ্র/সেইফ হোমস/ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র/দুস্থ কল্যাণ
ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন এর ব্যবস্থা করা হবে।
মহানগরীর বিভিন্ন
স্থানে রাষ্ট্রীয় নীতির সঙ্গে সংগতিশীল ডকুমেন্টারি ফিল্ম/চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
ডকুমেন্টারি ফিল্ম তৈরির ক্ষেত্রে অন্যান্য মুসলিম দেশের ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি, রীতি
ও রেওয়াজকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন আঙ্গিকে নতুন ধারার অনুষ্ঠানমালা তৈরির অগ্রাধিকার দেওয়ার
প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়।
ঈদের দিন সুবিধাবঞ্চিত
শিশুদের বিনা টিকিটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন
সব শিশু পার্কে প্রবেশ এবং বিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে। ঈদের দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের
বিনা টিকিটে ঢাকা যাদুঘর, আহসান মঞ্জিল, লালবাগের কেল্লা ইত্যাদি দর্শনীয় স্থান প্রবেশ
এবং তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে শিশুদের ঈদ পুনর্মিলনী
অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ
বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, স্বাস্থ্য
ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত
মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক
মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ
সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা অনলাইনে ও সশরীরে উপস্থিত
ছিলেন।