আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

ঈদে টানা ৬ দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদ মানেই আনন্দ। এবার ঈদুল ফিতরে সেই আনন্দ আরও বাড়ছে সরকারি চাকরিজীবীদের। তারা পাচ্ছেন টানা ৬ দিন ছুটি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদুল ফিতরের দিন সাধারণ ছুটি থাকে। আর ঈদের আগের দিন ও পরের দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি দেয় সরকার।

কর্মকর্তারা জানান, প্রতি বছর ঈদের আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ছুটির একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়। মন্ত্রিসভা থেকে সেই তালিকা অনুমোদনের পর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ বছর এখনো তালিকা পাঠানো হয়নি, তবে প্রস্তুতি চলছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এ বছর ১২ মার্চ থেকে রোজা শুরু হয়েছে। সাধারণত ২৯ রমজান থেকে সরকারি অফিস বন্ধ থাকে। সেই হিসাবে ৯-১০-১১ (মঙ্গলবার, বুধবার, বৃহস্পতিবার) থাকবে ঈদের ছুটি। পরের দুই দিন ১২-১৩ এপ্রিল (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। এরপরের দিন ১৪ এপ্রিল (রবিবার) বাংলা নববর্ষের (পয়লা বৈশাখ) ছুটি। এবার ২৯ বা ৩০ রোজা হলেও ছুটি থাকছে ৬ দিনই।

শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয় ঈদুল ফিতর। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদের দিন নির্ধারণ করে।


আরও খবর



হাসপাতালগুলোতে জরুরি রোগী ছাড়া ভর্তি না করার নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গরম চরম আকার ধারণ করেছে। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারাদেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে জরুরি রোগী ছাড়া ভর্তি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।

রোববার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে সারাদেশের হাসপাতালের পরিচালক এবং সিভিল সার্জনদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন বলে জানান মন্ত্রী।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। অনেক জায়গাই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে। গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তাপদাহের কারণে কোল্ড কেস (যাদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া জরুরি নয়) এ মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলো প্রতিকূল পরিবেশের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ গরমে সবচেয়ে বেশি ভালনারেবল বয়স্ক এবং বাচ্চারা। এবার এমন একটা জলবায়ু পরিবর্তন হলো যে আমরা জীবনে কখনো শুনিনি যে দুবাই বিমানবন্দর পানিতে ডুবে গেছে। আমাদের এগুলো ফেস করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমার কাছে যখন মেসেজ আসলো (হিট এলার্ট) আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মেসেজ দিয়ে স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। কারণ সব চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে বাচ্চা এবং বয়স্করা।

আজ হাসপাতালের পরিচালক এবং সিভিল সার্জনের সঙ্গে মিটিং করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমার কয়েকটা নির্দেশনা ছিল তার মধ্যে একটা হলো-বয়স্ক এবং বাচ্চারা প্রয়োজন ছাড়া যেন বাসার বাইরে না যায়। হাসপাতালগুলোতে কোনো কোল্ড কেস এখন ভর্তি করতে না করেছি। কোল্ড কেস অর্থাৎ এক মাস পর অপারেশন করলে অসুবিধা না হয়, সেটা দুই সপ্তাহ পরে করুক। হাসপাতাল খালি রাখার জন্য বলছি যে যদি চাপ হয়, তাহলে বাচ্চা এবং বয়স্কদের জন্য যেন ভর্তি করা হয়। এখন কোল্ড কেস কয়েক দিন বন্ধ থাকবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের ওরাল স্যালাইনের কোথাও কোনো ঘাটতি হলে যেন আমাকে সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়। এখন পর্যন্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রকৃতির সঙ্গেতো আমাদের কারো হাত নেই। এটা আমাদের রেডি রাখতে হবে।

শিশুদের জন্য হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি গতকাল শিশু হাসপাতালে গিয়েছি। শিশু হাসপাতালগুলোকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখার জন্যই সারাদেশের হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দিয়েছি। কোল্ড কেসগুলোকে এখন হাসপাতালে ভর্তি না করতে বলা হয়েছে। শিশুদের ব্যাপারে সারাদেশের চিকিৎসকদের নিয়ে আজ থেকে একটি অনলাইন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা জানান, মহাখালীতে করোনা চিকিৎসার জন্য ডিএনসিসি হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের জন্য আলাদাভাবে বেড রাখতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



চোখ বলে দেবে শরীরে কতশত রোগ, জানা যাবে স্বাস্থ্যের অবস্থাও

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) মাসিক সেন্ট্রাল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। চোখের পরীক্ষার মাধ্যমে মানবদেহে অন্যান্য রোগ রয়েছে কি না তার পূর্বাভাস জানা এবং শরীর-স্বাস্থ্যের অবস্থা জানার বিষয়ে চিকিৎসক ও ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সেমিনারের আয়োজন করে।

রবিবার (১২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লক অডিটোরিয়ামে সুস্বাস্থ্যের জানালা আমাদের চোখ’ বিষয়ক মাসিক সেন্ট্রাল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষার মাধ্যমে চোখের সমস্যাগুলো নির্ণয়সহ এর চিকিৎসা যেমন সম্ভব, একইসঙ্গে শরীরের অন্যান্য রোগ সম্পর্কেও আগেভাগেই জানা যাবে। ফলে সেসব রোগেরও চিকিৎসা করা সম্ভব হবে। এমনকি শরীরের কী কী রোগ চোখের ক্ষতি করে সে বিষয়ে মানুষকে সচেতন করাটাও এ সেমিনার আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক চক্ষুরোগের বিভিন্ন পর্যায় ও লক্ষণগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করেন এবং এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান ও উৎসাহিত করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, চোখের নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে চোখের সমস্যা নির্ণয় ও রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। একইসঙ্গে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের রোগের কারণে চোখের যে ক্ষয়ক্ষতি হয় তা নির্ণয় করাসহ এর চিকিৎসা করাও সম্ভব হবে। এ বিষয়ে চিকিৎসক ও রেসিডেন্টদের আরও সচেতন হতে হবে।

বক্ষব্যাধি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সম্প্রীতি ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সেন্ট্রাল সেমিনার সাব-কমিটির সভাপতি ও ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ। ব্যতিক্রমধর্মী সম্পূর্ণ নতুন এ সেমিনারে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহ-নূর হোসেন, মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবেদ হোসেন খান ও রিউমাটোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মেজর (অব:) সৈয়দ জামিল আবদাল।

সেমিনারে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খানসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

ডা. শাহ-নূর হোসেন তার প্রবন্ধে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডারে নার্ভের পাশাপাশি চোখের কি ধরনের পরিবর্তন হয় সে বিষয়ে আলোকপাত করে নিয়মিত চক্ষুর পরীক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ডা. আবেদ হোসেন খান তার প্রবন্ধে বলেন, সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ যেমন যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ইত্যাদি রোগের লক্ষণগুলো প্রাথমিকভাবে চক্ষু পরীক্ষার মাধ্যমেই প্রথমে নির্ণয় করা যেতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার, অ্যানিমিয়া, লিউকেমিয়া, জন্মগত ক্রটি, বিশেষ ক্ষেত্রে শরীরে বিষক্রিয়ার ধারণাও চোখের মাধ্যমে পাওয়া যায়।

অধ্যাপক ডা. মেজর (অব.) সৈয়দ জামিল আবদাল তার প্রবন্ধে বিভিন্ন ধরনের বাতজ্বর ও বাতব্যথা চোখকে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং এর চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।


আরও খবর



পরিবেশ রক্ষায় ঢাকাসহ সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধে রিট

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

পরিবেশ রক্ষায় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রোববার (৫ মে) জনস্বার্থে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ এ রিট পিটিশন দায়ের করে।

এইচআরপিবির পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এ রিট দায়ের করেন।

সম্প্রতি তাপমাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধি ও জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিট দায়ের করা হয়েছে।

বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার তা দিনদিন কমছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে, যে কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অন্যদিকে সামাজিক বনায়ন চুক্তিতে সারাদেশে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলার কারণে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। যা বন্ধ না হলে বাংলাদেশের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে ও মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

রিটে নিম্ন নির্দেশনাগুলো চাওয়া হয়েছে

১. গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে ৭ দিনের মধ্যে পরিবেশবাদী, পরিবেশ বিজ্ঞানী, প্রফেসর, পরিবেশ বিজ্ঞান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর পরিবেশ বিজ্ঞান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে একটি সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন, যারা প্রয়োজনে ঢাকা শহরে গাছ কাটার অনুমতি প্রদান করবে।

২. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৩. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাত দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে; কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজকল্যাণ অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব ল্যান্ড এবং এলজিইডি এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারে সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৪. কমিটি গঠন হওয়ার আগ পর্যন্ত সব বিবাদী নিজ নিজ এলাকায় যাতে কোনো গাছ কাটা না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ চাওয়া হয় এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট দাখিল নির্দেশনা চাওয়া হয়।

৫. গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪ এর বিধানে গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ দেওয়ার বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না সে মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।

রিট পিটিশনাররা হলেন- অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মো. এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈই। বিবাদীরা হলেন- সচিব, কেবিনেট বিভাগ; মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়; সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়; সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ; ডিরেক্টর জেনারেল পরিবেশ বিভাগ; মেয়র, ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন; প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তরা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন; প্রধান প্রকৌশলী, এলজিইডি, প্রধান বন সংরক্ষক; প্রধান প্রকৌশলী, সড়ক মহাসড়ক বিভাগ ও আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশ।


আরও খবর



এসএসসিতে পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (১২ মে) বেলা ১১টার দিকে গণভবনে ডিজিটালি আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করেন তিনি। এর আগে, সকাল ১০টার দিকে বোর্ড চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

এ বছর ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে গড় পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাসের হার ২ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়েছে। তবে পাসের হার বাড়লেও এবার জিপিএ-৫ কমেছে। এ বছর ১১টি বোর্ডে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১৫২ জন শিক্ষার্থী। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। সেই হিসেবে এবার জিপিএ-৫ কম পেয়েছে ১ হাজার ৪২৬ জন।

এদিকে, ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের শীর্ষে রয়েছে যশোর বোর্ড, আর সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট বোর্ডে। এবার ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯২ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, সিলেটে ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ময়মনসিংহ ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ ও যশোরে ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




সুজানগরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা: আতঙ্কে এলাকাবাসী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার সুজানগরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বাড়িঘর, মন্দির, দোকানপাটে হামলা ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনায় আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসীর। বুধবার (৮ মে) রাতে কয়েক দফায় কয়েকটি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে এসব ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচনে বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে হামলা ও মারপিট করেছে। এতে মুক্তিযোদ্ধাসহ আহত হয়েছে অন্তত দশজন।

ভুক্তভোগীরা জানান, গতকাল অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওহাব বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহিন। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটে শাহিন পরাজিত হলে ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই লাঠিসোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলার মানিকহাট, সাগরকান্দি ও সাতবাড়িয়া সহ কয়েকটি ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশত বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর চালায় আব্দুল ওহাবের সমর্থকরা। মারপিটে গুরুত্বর আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন আহমদপুর দক্ষিণচর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন খান, আলম, রানী বেগমসহ বেশ কয়েকজন। সাগরকান্দি ইউনিয়নে বীরেন্দ্রনাথ কুন্ডুর পারিবারিক মন্দিরেও ভাঙচুর করেছে হামলাকারীরা।

সাতবাড়ীয়া ভাটপাড়া এলাকার সাব্বির বলেন, আনারস মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনের নির্বাচন শেষে রাতে বাড়ি এসে ভাত খাচ্ছিলাম এর মধ্যে মটর সাইকেলের সমর্থক ওহাবের লোকজন অস্ত্রসস্ত্রসহ দলবল নিয়ে আমাদের ঘর-বাড়িতে হামলা চালায় এবং ঘর বাড়ি ভাংচুর করাসহ ঘরে থাকা নগদ টাকা পয়সা স্বর্ণলঙ্কার লুটপাট করে নিয়ে যায় তারা। এখন জীবন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান তিনি।

মানিকহাট ইউনিয়নের ক্ষেতুপাড়া এলাকার আরিফা খাতুন বলেন,  শাহীন হেরে যাওয়ায় রাতের আধারে মটর সাইকেলের সমর্থক ওহাবের লোকজন আমাদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে এবং ঘরে থাকা পিঁয়াজ বিক্রির নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায় তারা।

হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শাহীনুজ্জামান। শাহীনুজ্জামান বলেন, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের নানা ঘটনা থাকলেও সার্বিকভাবে জনগণের রায়কে আমি মেনে নিয়েছি। নির্বাচন নিয়ে আমি কোন অভিযোগ করিনি। আমার প্রত্যাশা ছিলো নতুন উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে আমরা এলাকার উন্নয়নে একসাথে কাজ করবো। কিন্তু গতরাত থেকেই তারা যা শুরু করেছে তা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নৃশংসতাকেও হার মানায়। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই ও দোষীদের শাস্তির দাবি করছি। একই সাথে জনগণের জান মালের নিরপত্তা দিতে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

হামলার বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি বিজয়ী চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব। নেতাকর্মীদের শান্ত থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

সুজানগর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম জানান, সুজানগরে নির্বাচন পরবর্তী বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃংখলা বাহিনী সহিংসতা প্রতিরোধে তৎপর রয়েছে। এলাকায় নিরপত্তা বাড়ানো হয়েছে। হামলা মারপিটের ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।


আরও খবর