আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

দ্বীনি শিক্ষার প্রসারে মাদ্রাসা শিক্ষকদের সঙ্গে কাজ করবে সরকার : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বীনি শিক্ষার প্রসারে সরকার জামিয়া (আলিয়া) মাদ্রাসার শিক্ষকদের সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে দেশের সর্ববৃহৎ ফাযিল ও কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষদের সাথে মতবিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। মতবিনিময় শেষে প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সত্যিকারের দ্বীনি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এজন্য প্রধানমন্ত্রী ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি আলেম-ওলামাদের প্রতি সব সময় গবেষণা করার অনুরোধ করেন। গবেষণা করে দ্বীনি ব্যবস্থায় এজমা, কিয়াস, বাহাস করে আমরা যাতে প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, সেই লক্ষ্যে কাজ করবে সরকার। এই লক্ষ্যে সরকার জামিয়া (আলিয়া) মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দের সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। 

আরও পড়ুন>> বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে : আইজিপি

মন্ত্রী বলেন, যেখানে পৃথিবীর অনেক দেশ ধর্মতত্ত্ব, ইসলামি দ্বীনি জ্ঞান অনেক বেশি এগিয়ে নিয়েছেন, সেখানে এখনো আমরা অনেক বেশি গতানুগতিক জায়গায় আছি। মানুষের অধিকার হোক, জাকাত বা ট্যাক্স কীভাবে দেবে সে ব্যাপারে হোক, এই বিষয়গুলোতে আরও গবেষণা হওয়া দরকার। জ্ঞানী লোকরা নানা ধরনের গবেষণালব্ধ ফতোয়া দিয়েছেন। এই গবেষণার জন্য ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃষ্টি। সে জায়গাতে যারা অধ্যক্ষ রয়েছেন তাদের আরও মনোযোগী হতে হবে।

আরও পড়ুন>> রেলের কালো বিড়াল নিয়ে যা জানালেন মন্ত্রী

তিনি বলেন, যারা সমাজে খতিব হবেন, যারা ইমামতি করবেন তারা শুধু ধর্মীয় নেতা নন, সমাজেরও নেতা। তারা সেই সমাজে প্রভাব বিস্তার করেন। তাদের মাধ্যমে আমরা নানা বিষয় সাধারণ জনগণকে শেখাতে পারি। সেটা সাম্প্রদায়িক সম্পৃতির কথা বলি, দক্ষতানির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বলি বা নিষ্ঠাবান হওয়ার কথা বলি। একটি সময় ছিল মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষা দেওয়া হতো। কিন্তু আমরা সে পথে হাঁটতে পারিনি। বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, ইমাম সবাই সম্মিলিত উদ্যোগে একসঙ্গে যাতে কাজ করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।


আরও খবর



এসএসসির ফল রোববার, জানা যাবে যেভাবে

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে রোববার (১২ মে)। এদিন সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেবেন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা। পরে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে সচিবালয়ে ফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এরপর নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশিত হবে।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবার মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।

ফল জানা যাবে যেভাবে

শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন। ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে। শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের Result কর্নার-এ ক্লিক করে ফল জানা যাবে।

এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ-SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন (EIIN) এন্ট্রি করতে হবে। তাহলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।


আরও খবর



উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

নাজিরপুরে জনপ্রিয়তার দৌড়ে এগিয়ে সাংবাদিক এস.এম. নুরেআলম সিদ্দিকী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফাহাদ মশিউর রহমান

Image

আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রতীক বরাদ্দের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে জনপ্রিয়তার দৌড়ে এগিয়ে আছেন সাংবাদিক ও সমাজসেবক এস.এম. নুরেআলম সিদ্দিকী (শাহিন)।

নাজিরপুর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ঘুরে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, সৎ-পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি হিসেবে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের এলাকায় রয়েছে ব্যপক গ্রহণযোগ্যতা। বয়োজ্যেষ্ঠ, তরুণ ও নতুন ভোটারদের কাছেও সমান জনপ্রিয় তিনি।

নাজিরপুরের বাসিন্দা শেখ রাসেল বলেন, আমরা তরুণ ভোটার, আর শাহিন ভাই তারুণ্যের প্রতীক, তাই আমার পরিবার স্বজন ও বন্ধুদের ভোট তিনিই পাবেন। নির্বাচিত হয়ে তিনি এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখবেন। তাই অধিকাংশ ভোটার তাকেই ভোট দিবেন। এছাড়া তার বিকল্প কেউ নেই।

সাংবাদিক সাকিল আহমদ অরণ্য বলেন, ২০০৭ সালের ১১ নভেম্বর এ অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যায় প্রলয়ঙ্কার ঘূর্ণিঝড় সিডর। সেই সময় শাহিন ভাই নিজের পকেটের টাকা ব্যয় করে দুস্থ মানুষের পাশে যেভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তা ভুলে যাওয়ার নয়। মানুষের সেবা করার জন্য মন থাকতে হয়, যা তাঁর রয়েছে। একারণেই নাজিরপুরবাসী আগামী ৮ মে দোয়াত কলম প্রতীকে ভোট দিয়ে তাঁকে নির্বাচিত করবেন।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তুহিন হালদার তিমির বলেন, শাহিন ভাই একজন মানবিক মানুষ, যাকে বিশ্বাস করে ভোট দেওয়া যায়। তিনি জনগণের আমানতের প্রতিদান অবশ্যই দিবে।

নামপ্রকাশ না করা শর্তে এক ছাত্রনেতা জানান, বিগত সময়ে যারা এই দায়িত্বে ছিলেন তারা ব্যস্ত ছিল নিজের ও পরিবারের উন্নয়ন নিয়ে। কিন্তু শাহিন ভাই ব্যতিক্রম। আমি তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখেছি, তিনি নিজের উন্নয়নে বিশ্বাস করেন না, তিনি বিশ্বাস করেন নাজিরপুরের উন্নয়ন। শাহিন ভাই মনে করেন নাজিরপুরের সবাই ভালো থাকলে তিনিও ভালো থাকবেন।

রুহুল আমীন হাওলাদার নামে একজন প্রবীন বলেন, তাকে (এস.এম. নুরেআলম সিদ্দিকী) ছোট থেকে বড় হতে দেখেছি, কিন্তু তার ভিতরে কখনও অহংকার বা কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করতে দেখিনি। জীবনের শেষ বয়সে এসে ভোট-টা তাকেই দিব।

নামপ্রকাশ না করা শর্তে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান, শাহিনের পিতা ও তিন ভাই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। তার পরিবার অনেক আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তার ভাগ্য বদলাতে হবে না। তাকে নির্বাচিত করলে এলাকায় প্রকৃত উন্নয়ন হবে, মানুষ ভালো থাকবে।

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম খোকন কাজী জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনকে ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং সিডর, আইলা, করোনাসহ সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দলের সংকটকালে নেতা-কর্মীদের কাছে পেয়েছি। তাই তাকে নিয়ে মাঠে নেমেছি।

চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম নূরে আলম সিদ্দিকী (শাহিন) বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও তাঁর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন নাজিরপুর উপজেলায় বাস্তবায়ন করতে চাই। বাংলাদেশের মধ্যে দুর্নীতি-মাদকমুক্ত মডেল উপজেলা হবে নাজিরপুর উপজেলা। উপজেলা পরিষদ থেকে অর্থ নিয়ে আমার বা পরিবারের ভাগ্য উন্নয়নের প্রয়োজন নেই, আমি চাই নাজিরপুরের মানুষ ভালো থাকুক।  

নাজিরপুর উপজেলা তথ্য বাতায়ন সূত্রে দেখা যায়, ৯টি ইউনিয়ন ৬৮টি মৌজা ও ১৭১টি গ্রাম নিয়ে গঠিত নাজিরপুর উপজেলার মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ২৩ হাজার ১ শ ১৩ জন। তার মধ্যে ৬২ হাজার ৮শ ৪০ জন পুরুষ ও ৬০ হাজার ২শ ৭৩ জন নারী।

উল্লেখ্য, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হিসাবে ওই উপজেলার ৭২টি কেন্দ্রে ইভিএমএর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।  


আরও খবর



সোমবার ঢাকা আসবেন কাতারের আমির, সই হবে ৬ চুক্তি ও ৫ স্মারক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানি। এদিন বিকেলে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সফরকালে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রীয় অতিথি কাতারের আমির শেখ তামিমকে অভ্যর্থনা জানাবেন। পরদিন মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমিরকে তার কার্যালয়ে অভ্যর্থনা জানাবেন। এদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই নেতার বৈঠক হবে এবং এরপর আরও একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

পরে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির। সেখানে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর শেষে আমির মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গভবনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন এবং রাষ্ট্রপতি তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও কাতারের আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

এছাড়া মঙ্গলবার বিকেলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে রাজধানীর একটি সড়ক ও একটি পার্কের নামকরণ করা হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় পার্ক এবং মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়কের নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কাতারের আমির।

নির্বাচিত ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে একান্ত একটি বৈঠকও করবেন দেশটির আমির। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন।

সরকার এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে দুই দিনের বাংলাদেশ সফরে কাতারের আমিরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাকে স্বাগত জানাতে সব প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ। সফর উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের ছবি দিয়ে ঢাকার কয়েকটি রাস্তা সাজানো হয়েছে।

প্রায় ১৯ বছর পর বন্ধুপ্রতীম দেশ কাতারের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো ব্যক্তি ঢাকা সফরে আসছেন। ২০০৫ সালের এপ্রিলে কাতারের তৎকালীন আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আলে সানি বাংলাদেশ সফর করেন।


আরও খবর



রেড ক্রিসেন্ট স্বাস্থ্যসেবা এবং মানবসেবার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি দেশ বিনির্মাণে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভবিষ্যতের পথচলায় আমাদের দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বাস্থ্যসেবা এবং মানবসেবার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে।

স্কুল জীবনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও জুনিয়র রেড ক্রসের সদস্য ছিলেন উল্লেখ করে বলেন, বিভিন্ন জায়গায় ও ক্যাম্পে গিয়ে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। আমি মনে করি জীবনের বহুপথ পাড়ি দিয়ে বহু প্রবিন্ধকতাকে ডিঙ্গিয়ে আজকের এই পর্যায়ে আসার ক্ষেত্রে রেড ক্রিসেন্ট ও বয়েজ স্কাউটিং আমার জীবনে বড় ভূমিকা পালন করেছে। দেশের মানব উন্নয়ন সূচক ও স্বাস্থ্য সূচকের উন্নয়নে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সমগ্র বাংলাদেশে অত্যন্ত চমৎকার ভাবে কাজ করে চলেছে।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক, বিডিআরসিএস ব্যবস্থাপনা পরিষদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও বিশ্ব রেড ক্রস, রেড ক্রিসেন্ট দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লায় রেড ক্রিসেন্ট মাঠে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আসলাম খান। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রেড ক্রিসেন্ট জেলা ইউনিটের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংবর্ধেয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম ইউ কবির চৌধুরী, সম্মানিত অতিথি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান চৌধুরী হেলাল, ট্রেজারার এম এ ছালাম।

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পরিষদ সদস্য মুন্সি কামরুজ্জামান কাজল, এডভোকেট তাহমিনা সোহানা, রবিন্দ্র মোহন সাহা রবি, এডভোকেট মাহবুবুর রহমান তালুকদার, আবদুল হামিদ রাজিয়া সুলতানা লুনা, গাজী মোজাম্মেল হোসেন টুকু, এডভোকেট শিহাব শাহীন, শিকদার নূর মোহাম্মদ দুলু, কার্যকরী পর্ষদ সদস্য রাইসুল ইসলাম চৌধুরী এমিল, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম পিন্টু, মোঃ ইসমাইল হক চৌধুরী, সুগ্রীব কুমার মজুমদার (দোলন), মোঃ সাবেদুর রহমান সুমু, ডাঃ আইরিন সুলতানা, মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন চৌধুরী রুমেল।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চট্টগ্রাম জেনা রেড ক্রিসেন্ট নতুন নবনির্বাচিত কার্যকরী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো: দিদারুল আলম।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য সেবাকে আরও উন্নত করার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের সবার আগে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। সরকারি হাসপাতালে সরকার কিনে দিয়েছে মেশিন, কিন্তু সেই মেশিনের বাক্স খোলা হয় না। আবার মেশিন খোলা হয় ঠিক, কিছুদিন পরে নষ্ট হয়ে যায়, মেরামতের আর উদ্যোগ নেয়া হয় না, যাতে করে মানুষ প্রাইভেট ক্লিনিকে যেতে বাধ্য হয়। এগুলো যারা করেন, তারা আসলে জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে দাঁড়ান, জনগণের বিপক্ষে কাজ করেন। এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যসেবাকে আরো উন্নত করার ক্ষেত্রে এবং সহজ-সুলভে স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে বড় অন্তরায়।

তিনি বলেন, যখন জনগণ এগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে তখন যারা এই কাজগুলো তাদের পক্ষে করা আর সম্ভবপর হবেনা। সরকার কোনো যন্ত্র নয়, সরকারও কিন্তু মানুষ দিয়েই চলে। সুতরাং জনগণ যখন এগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলবে সরকারের পক্ষেও এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজতর হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ব্যাঙ প্রাণী হিসেবে অনেক ছোট হলেও আওয়াজ অনেক বড়। রাজনীতিতেও কিছু পরিত্যক্ত মানুষ আছে, যারা ঘুরে সব দল করে। রাজনীতিতে পরিত্যক্ত মানুষগুলোরও ব্যাঙের মত আওয়াজ বড়।  মাহমুদুর রহমান মান্না ভাইয়ের একটা বক্তব্য পত্রিকায় পড়লাম এবং রাতে টেলিভিশনে শুনলাম। সরকারের নাকি একদম ভিত নাই। সরকারের ভিত নাই বিধায় পরপর চারবার আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায়। তারা তো টেনে ফেলে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু টান দিতে গিয়ে তারাই ধপাস করে পড়ে গেছে। এখন কোমর যে ভেঙে গেছে সে অবস্থা থেকে আস্তে আস্তে একটু দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। গত বছর ২৮ অক্টোবর কার আগে কারা দৌড় দেয় সেই প্রতিযোগিতা আমরা দেখেছি নয়াপল্টনের সামনে। মাহমুদুর রহমান মান্না ভাইসহ আরো কিছু দল ও ব্যক্তি বিশেষ আছে, যাদের নিজের দলের কোনো ভিত্তি নাই, ঘুরে ঘুরে দল করে। মান্না ভাই এই পর্যন্ত মাত্র সাতটি দলবদল করেছেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সমগ্র পৃথিবী আজকে সেটির প্রশংসা করছে। জাতিসংঘের মহাসচিব প্রশংসা করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রশংসা করেন, ভারতের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করেন, জার্মান চ্যান্সেলর প্রশংসা করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট প্রশংসা করেন, সমগ্র পৃথিবী প্রশংসা করে, কিন্তু বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা এটির প্রশংসা করতে পাওে না। আমাদের রাজনীতিতে প্রত্যাখ্যান আর সংঘাতের সংস্কৃতি না থাকলে দেশ আরো বহুদূর এগিয়ে যেতে পারতো।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্হাপনা পর্ষদ সদস্যবৃন্দ, জেলা রেড ক্রিসেন্টের কার্যকরী পর্ষদ সদস্যবৃন্দ, চট্টগ্রাম জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য, যুব রেড ক্রিসেন্ট, চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট এর আওতাধীন স্কুল-কলেজ যুব সদস্য, ব্রাঞ্চ সেচ্ছাসেবকরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



উজানের ঢলে প্লাবিত হচ্ছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

তীব্র তাপদাহ শেষে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আমলশীদ পয়েন্টের পানিও বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

এদিকে, উজানের ঢলে ও গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে হাওরের বোরো ধান।

একই অবস্থা কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জের নিম্নাঞ্চলেও। বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে বোরো ফসল। এতে কৃষকদের মধ্যে ফসল হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শিলাবৃষ্টি কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর এবার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হবে কৃষকদের। বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে অনেকে আধাপাকা ধান কেটে আনছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১২ দশমিক ২৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার।

সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। তবে রাত ৯টায় তা কমে ১০ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জাগো নিউজকে বলেন, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সকালে সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে ছিল। এখন তা কমে গেছে। তবে বরাক দিয়ে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, বরাক দিয়ে পানি নামার কারণে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রাত ৯টায় বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এভাবে অব্যাহত থাকলে সকালে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার নয়াবাড়ি, ফুলবাড়ি, কেন্দ্রী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১ নম্বর লক্ষীপুর, ২ নম্বর লক্ষীপুর, আমবাড়ি, ঝিঙ্গাবাড়ি, কাঠালবাড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার কৃষক। একই অবস্থা জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জেও।

জকিগঞ্জের কাজলশার এলাকার কৃষক জুবেল আহমদ বলেন, শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন বন্যা হলে ফসলের অবশিষ্ট যা ছিল তাও হারাতে হবে।

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।


আরও খবর