আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

দুর্গম ও অনিন্দ্য সুন্দরী এক পাহাড়ি রাণী ‘খৈয়াছড়া ঝরনা’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০১ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গহীন প্রকৃতির মাঝে সবার মধ্যমণি হয়ে বাস করেন এক রাণী। সবার থেকে আলাদা, সবার থেকে বড়, সবার থেকে সুন্দরী এই রাণীর নাম খৈয়াছড়া ঝরনা। বাংলাদেশের অন্যান্য ঝরনাগুলো থেকে আলাদা হওয়ায় ভ্রমণপ্রেমীরা আদর করে একে ঝরনা রাণী বলে ডাকে। আর ডাকবে না বা-ই কেন? খৈয়াছড়ার রূপ আর আভিজাত্যের ধারেকাছেও নেই অন্য কোনো ঝরনা।

পরিচিতি

খৈয়াছড়া ঝরনা চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নে অবস্থিত। বড় তাকিয়া বাজার থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার ভিতরে গেলে এর দেখা পাওয়া যাবে। বড় তাকিয়া বাজার থেকে খৈয়াছড়া ট্রেইল পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার, বাকি আড়াই বা তিন কিলোমিটার পর্যন্ত খৈয়াছড়া ট্রেইল। খৈয়াছড়া ঝরনা মোট নয়টি ক্যাসকেড নিয়ে গঠিত। ট্রেইল ধরে সোজা এগিয়ে গেলে বড় এই ঝরনাটার দেখা পাওয়া যাবে। বাকি আটটি ঝরনা দর্শনে আপনাকে ঝরনাগুলোর পাশের পিচ্ছিল পাহাড় বেয়ে উঠে যেতে হবে উপরে। যার জন্য লাগবে সাহস, প্রবল উদ্যম আর জয় করার অদম্য ইচ্ছা।

কী আছে খৈয়াছড়ায়

খৈয়াছড়া ঝরনা বিখ্যাত এর ক্যাসকেডগুলোর চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্যের কারণে। বড় তাকিয়া বাজার থেকে মূল ঝরনা পর্যন্ত জঙ্গলের ভিতর দিয়ে হাঁটা পথ, যার অর্ধেকের বেশি ঝরনার পানি চলাচলের কারণে পিচ্ছিল এবং কর্দমাক্ত হয়ে থাকে। যেতে যেতে চোখে পড়বে পাহাড়ি আদিবাসি এবং ওই এলাকার বাসিন্দাদের ছোট ছোট ঘরগুলো। পথে দেখা মিলতে পারে দোকানপাটের। ভাগ্য ভালো হলে পেয়ে যেতে পারেন ছোট ছোট পাহাড়ি বানরের। ট্রেইল যেখানে শুরু, সেখান থেকে প্রায় দেড়ঘণ্টা হেঁটে গেলে প্রথম ঝরনাটার দেখা পাবেন। প্রথম ঝরনাটায় যাওয়া যেহেতু কম কষ্টসাধ্য, সেহেতু সেখানে প্রচুর পর্যটকের দেখা পাওয়াই স্বাভাবিক। ৯০ শতাংশ মানুষ সেখান থেকেই ফেরত চলে যান। কিন্তু ট্রেকিং প্রিয় পর্যটকরা? আপনি যদি মনস্থির করে ফেলেন আপনি উপরে উঠবেনই, তাহলে সেখান থেকেই আপনার অ্যাডভেঞ্চার শুরু।

প্রথম ঝরনা থেকে দ্বিতীয় ঝরনায় যাওয়ার জন্য পাহাড়ে কয়েকটা দড়ি বেঁধে দেওয়া আছে। দড়ি ধরে ধরে উপরে উঠবেন। কিন্তু সাবধান! পাহাড়ের ঢাল কিন্তু প্রচণ্ড পিচ্ছিল। উপরে উঠতে খুবই সাবধান। দ্বিতীয় ঝরনা থেকে উপরে আর কোনো দড়ি নেই। পাহাড়ের খাঁজে পা রেখে বা পাহাড়ি গাছের লতা ধরে উঠে যেতে হবে উপরে। ঝরনার তৃতীয় ধাপটি অন্য ধাপগুলোর চেয়ে স্বতন্ত্র। এই ধাপ থেকে নিচের দুই ধাপের প্রবাহ দেখা যায়। এভাবে উপরে মোট নয়টি ধাপ পাবেন। মোট নয়টি ধাপের কয়েকটি ধাপে পাবেন নয়নাভিরাম ক্যাসকেডের। যেরকম বাংলাদেশের অন্য কোনো ঝরনায় এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। নবম ধাপে পাবেন পানির স্রোতে তৈরি হওয়া একটি প্রাকৃতিক লেকের। একে খৈয়াছড়া লেক বলে অনেকে। এটাই খৈয়াছড়া ঝরনার পানির মূল উৎস।

এই হলো এক নজরে খৈয়াছড়া ঝরনা। আর আপনি যদি ক্যাম্পিং করতে ভালোবাসেন, তাহলে কোনো এক পূর্ণিমার দিন বেছে চলে যান খৈয়াছড়া। খাবারদাবার নিয়ে উঠে যান পাহাড়ের উপরে। সমতল জায়গায় তাঁবু বিছিয়ে উপভোগ করুন পূর্ণিমার চাঁদে রহস্যময়ীর রূপ ধারণ করা, ভয়ঙ্কর সুন্দরী রাণী খৈয়াছড়াকে।

কীভাবে যাবেন

যদি ঢাকা থেকে আসতে চান তাহলে ঢাকা-চট্টগ্রাম অথবা ঢাকা-ফেনীগামী কোনো রাতের বাসে উঠে পড়ুন। ভোরে ফেনী নেমে গেলে নাস্তা সেরে ফেনী থেকে চট্টগ্রাম যায় এমন বাসে উঠুন। হেল্পারকে বললে আপনাকে একেবারে খৈয়াছড়া রাস্তার মাথায় নামিয়ে দিবে। সেখান থেকে সিএনজি নিয়ে বা হেঁটে হেঁটে চলে যেতে পারেন ট্রেইলের কাছে। চাইলে দুপুরের খাবার নিয়ে নিতে পারেন। কারণ সবগুলো ঝরনা ঘুরে দেখতে চাইলে নামতে নামতে সন্ধ্যা হয়ে যেতে পারে।

কোথায় থাকবেন

বড় তাকিয়া বাজারে থাকার হোটেল নেই। যদি রাত থাকতে চান তাহলে কাছের মিরসরাই পৌরসভায় বা ফেনী চলে যেতে পারেন। আর যদি থাকতে না চান তাহলে লেগুনা করে মিরসরাই চলে যান। সেখান থেকে ঢাকার বাস পেয়ে যাবেন।

সতর্কতা

খৈয়াছড়া ঝরনা খুবই দুর্গম ও বিপজ্জনক। উপরে উঠতে চাইলে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন। সাপোর্টের জন্য একটি শক্ত মুলি বাঁশ নিয়ে নিন। ট্রেইল শুরু হবার আগেই পেয়ে যাবেন বাঁশের দোকান। পিস ১০ টাকা করে নেবে।

মনে রাখবেন খৈয়াছড়া বাংলাদেশের অনন্য ঝরনাগুলোর মধ্যে একটি। এর রূপ-বৈচিত্র্য অক্ষুণ্ণ রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার। ঝরনার পানিতে কোনো ধরনের প্লাস্টিকের প্যাকেট ফেলবেন না। কোনো বন্য প্রাণীর ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকবেন। একে অপরকে সাহায্য করবেন।

নিউজ ট্যাগ: খৈয়াছড়া ঝরনা

আরও খবর



‘যুদ্ধে ব্যয় না করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থ খরচ করুন’

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

যুদ্ধের পেছনে অর্থ ব্যয় না করে তা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ব্যয় করলে বিশ্ব রক্ষা পেত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ন্যাশনাল অ্যাডাপশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি। যাতে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন এবং গ্রামাঞ্চলে ৪৫ লাখেরও বেশি উন্নত চুলা বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ২০২৩ সালে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান (এমসিপিপি) প্রণয়ন করেছি। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে বিপদাপন্নতা থেকে সহিষ্ণুতা এবং সহিষ্ণুতা থেকে সমৃদ্ধি পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এমসিপিপিতে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও সমাজের সকলের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ১৯৯২ সালে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক আগেই ১৯৭২ সালে এ বিষয়ে কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য ১৯৭২ সালে তিনি উপকূলীয় বনায়নের সূচনা করেন। একই বছর ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি প্রণয়ন করেন যা ১৯৭৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। জীবন ও সম্পদ রক্ষায় তিনি উপকূলীয় অঞ্চলে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্র স্থানীয়দের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিজস্ব সম্পদ দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সালে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠা করেছি। এর আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৯ শত ৬৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিরাপদ পৃথিবীর জন্য সবার সমন্বিত চেষ্টায় তাগিদ দেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবী গড়তে জলবায়ু অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি, সহিষ্ণুতা শক্তিশালী করা এবং ঝুঁকি হ্রাসে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণে বিশ্বের সামনে পাঁচ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর



রাজশাহীতে সাংবাদিকের নামে সাইবার আইনে মামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলার ঘটনায় বাংলাদেশ প্রতিদিন ও দেশ টিভির সাংবাদিক কাজী শাহেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব ও  রুর‍্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ) রাজশাহী শাখা। দ্রুত সাইবার নিরাপত্তা আইনে করা মামলা নিঃশর্তে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে।

শনিবার (১১ মে) বেলা ১১ টায় রাজশাহী মহানগরীর এ এইচ এম কামারুজ্জামান চত্ত্বর রেলগেটে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সদস্য রহমতুল্লাহ'র সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, মানববন্ধনটি পরিচালনা করেন সভাপতি শামসুল ইসলাম।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ, ক্লাবের প্রেসিডিয়াম মেম্বার শাহিনুর রহমান সোনা, লিয়াকত হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক ইত্তেফাক পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আনিসুজ্জামান আনিস, রুর‍্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন সাগর। এসময় মানববন্ধনে প্রায় শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করবেন এবং সংবাদ প্রকাশ করবেন। প্রচলিত আইনে সংবাদের ভুল তথ্য বা সম্মানহানি হলে প্রতিবাদসহ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করার সুযোগ আছে। কিন্তু একটি সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর সিনিয়র সাংবাদিক কাজী শাহেদের বিরুদ্ধে কালো আইনে সাইবার আদালতে মামলা করে হয়রানি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকরা চরমভাবে হতাশ হয়েছেন। টেলিভিশনের একজন সংবাদকর্মী হিসেবে কাজী শাহেদ ওই সংবাদে অভিযোগকারীর বক্তব্য এবং সে অনুযায়ী বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্য প্রচার করেছেন। সংবাদে কাজী শাহেদ নিজস্ব কোনো বক্তব্য প্রচার বা মতামত প্রদান করেননি। তবুও অতি উৎসাহী হয়ে রাসিকের ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন সাইবার আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রতিবাদে শনিবার এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, টেলিভিশনে প্রচারিত কোনো সংবাদে টিভি রিপোর্টারের নিজস্ব কোনো বক্তব্য প্রচারের সুযোগ থাকে না। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের ২৯/৩১/৩৫ ধারায় মামলা দায়ের প্রকৃত আইনের অপব্যবহার, যা না করার ব্যাপারে সরকারের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার আছে। দেশের গণমাধ্যমকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। অবিলম্বে সাইবার আদালতের উক্ত মামলা নিঃশর্তে প্রত্যাহারের জোর দাবী জানানো হয়েছে এবং দ্রুত মামলা প্রত্যাহার না করলে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুশিয়ারি প্রদান করা হয়।

মানববন্ধনে সিনিয়র সাংবাদিকরা বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাসিক ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন এ আইন দিয়ে একজন সিনিয়র সাংবাদিকের কণ্ঠ রোধ করতে চাইছেন। তিনি তাঁর অতীত ভুলে যেতে পারেন আমরা কিন্তু ভুলিনি। কোনো আইন দিয়ে সংবাদ কর্মীদের কণ্ঠ রোধ করা যাবে না।

সুমনকে উদ্দেশ্য করে বক্তারা বলেন, আপনি সাংবাদিকদের এ কালো আইনে ভয় দেখাতে এবং নিজের অপরাধ ঢাকতে চাইছেন। সে সুযোগ আপনি পাবেন না, দ্রুত মামলা প্রত্যাহার করে নিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন। তা না হলে থলের কালো বিড়াল বের হয়ে যাবে। কতজনের নামে মামলা করবেন। এক এক করে সবাই যখন সংবাদ প্রকাশ শুরু করবে তখন কোথায় যাবেন?


আরও খবর



আস্থার জায়গা পুনর্নির্মাণ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: ডোনাল্ড লু

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বুধবার (১৫ মে) সাড়ে ৩টায় বৈঠক শুরু হয়।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ডোনাল্ড লু। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে আস্থার জায়গা পুনর্নির্মাণ করতে চাই। একই সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চাই। নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে চাই।

চলমান বাংলাদেশ সফর নিয়ে ডোনাল্ড লু বলেন, আমি গত দুইদিন ধরে বাংলাদেশ সফর করছি। এই সফরের মূল উদ্দেশ্য দুই দেশের মানুষের মধ্যে বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করা। গত বছর আমরা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা দেখেছি।

যুক্তরাষ্ট্রের এ সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখানে অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমাদের ভেতর যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল তা খুবই সাধারণ বিষয়। সম্পর্কে এমনটা হয়েই থাকে। আমরা সামনের দিকে এগোতে চাই, পেছনে তাকাতে চাই না।

তিনি বলেন, আমাদের সম্পর্ক কীভাবে আরও জোরদার করা যায় সেই পথই খুঁজছি আমরা। আমাদের সম্পর্কের কঠিন বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আগে কাজ করতে চাই। বেশ কিছু কঠিন ইস্যু আমাদের সামনে রয়েছে। র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা, শ্রম পরিবেশ সংস্কার, মানবাধিকার ইস্যু, ব্যবসায়িক পরিবেশ সংস্কারের মতো ইস্যু রয়েছে আমাদের সম্পর্কে। এই কঠিন বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে আমরা আসলে আমাদের সম্পর্কে ইতিবাচক ইস্যুগুলোর দিকে তাকাতে চাই।

ডোনাল্ড লু বলেন, আমরা নতুন বিনিয়োগের কথা বলছি। আমরা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার সুযোগের কথা বলেছি।


আরও খবর



খারকিভে রুশ হামলা: নিহত ৩, আহত ২৮

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে বোমা হামলা চালিয়েছে রুশ সেনা বাহিনী। এতে অন্তত ৩ জন নিহত ও ২৮ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৭ মে) এই হামলা হয়েছে। একটি টেলিগ্রাম পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন শহরটির মেয়র ইহর তেরেখভ।

ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ। এই অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে রুশ হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অঞ্চলটির বেসামরিক ও জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে রাশিয়া।

শহরটিকে রাশিয়া ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

তবে ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। এদিকে, ইউক্রেনে ২৭ মাস ধরে চলা যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ হতাহত হয়েছেন।


আরও খবর



মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আসলো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় আনুষ্ঠানিকভোবে ঘোষণা হবে টি-২০ বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দল। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জাতীয় দলের লাল-সবুজ জার্সি গায়ে কোন ১৫ জন মাঠে নামবেন? তাদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হবে এ সময়।

বিসিবি মিডিয়া ম্যানেজার ও বিশ্বকাপে জাতীয় দলের টিম অপারেশন্স ম্যানেজার রাবিদ ইমাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুও আজ সোমবার দুপুরে নিশ্চিত করেন, পেসার তাসকিন আহমেদের জন্যই মূলত অপেক্ষা করছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

তাসকিনের এমআরআই করানো হয়েছে। সেই রিপোর্টটা হাতে পেলেই ডাক্তাররা তার ব্যাপারে ঘোষণা দেবেন। প্রধান নির্বাচক আরও জানান, ঠিক সাইড স্ট্রেইন নয়। যে ম্যাচে বাংলাদেশ ৫ রানে জিতেছে, সেই ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে তাসকিন কোমরের ডান অংশে ব্যথা পেয়েছেন। সেই ডান পাঁজরের আশপাশের একটা নরম হাড়ে খানিক আঁচড় লেগেছে। সেটাই তাকে ভোগাচ্ছে।

এদিকে তাসকিনের এমআরআই রিপোর্ট পেলেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় বড় অর্থপেডিক বিশেষজ্ঞদের মতামত নেবে বিসিবি। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, যদি চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন যে তাসকিন বিশ্বকাপের আগে ইনজুরিমুক্ত হয়ে মাঠে নামতে পারবেন, পুরো শক্তি ও রান আপে বোলিং করতে পারবেন, তাহলে তাকে দলে নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে এক বা একাধিক পেসার নিয়ে যাওয়া হবে যুক্তরাষ্ট্রে।

যদি চিকিৎসকরা জানান, নাহ! তাসকিনের পক্ষে বিশ্বকাপের আগে আর বল হাতে মাঠে নামা সম্ভব হবে না, তাহলে তাকে বাদ দিয়েই স্কোয়াড ঘোষণা করা হবে। তখন মোস্তাফিজ, শরিফুলের সাথে তানজিম সাকিব ও সাইফউদ্দিন দুজনকেই দলে রাখা হবে।

আজ (সোমবার) পুরো দিনটি তাসকিন ইস্যুতেই রেখেছে বিসিবি এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, সোমবার রাতের মধ্যেই বিভিন্ন বিশেষজ্ঞর মতামত নিয়ে তাসকিনের ব্যাপারটা ফয়সালা করা হবে। এরপর মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।


আরও খবর