আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

দুর্গম চরে অর্ধশতাধিক মহিষের বাথানে স্বাবলম্বী মালিকরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৭ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পাবনার ঈশ্বরদীর দুর্গম পদ্মার চরে গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধশতাধিক মহিষের বাথান। চরের বিস্তীর্ণ সবুজ তৃণভূমিতে মহিষ পালন করে বাথান মালিকরা এখন স্বাবলম্বী। ভোর থেকে শুরু হয় রাখাল আর ঘোষালদের কর্মযজ্ঞ। মহিষের দুধ দোয়ানো, দুধ ওজন করা, মাঠে চরানো ও রান্না করে নিজেদের খাওয়া-দাওয়াসহ নানা কাজে দিনভর ব্যস্ত থাকেন তারা। ঈশ্বরদী শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের দুর্গম ডিগ্রীরচর ও চরভবানীপুর গিয়ে দেখা যায়, উত্তপ্ত দুপুরে পদ্মার চরের তৃণভূমিতে শত শত মহিষ ঘাস খাচ্ছে। মহিষের পাশেই ছাতা মাথায় দাঁড়িয়ে আছেন বেশ কয়েকজন রাখাল। প্রতিটি বাথানে ১০০ থেকে ৪০০ পর্যন্ত মহিষ আছে। একজন রাখাল ৫০টি মহিষ দেখভাল করছেন।

রাখালরা দিন শেষে পলিথিন বা ত্রিপলের তাঁবুতে এসে আশ্রয় নেন। মহিষগুলো থাকে খোলা আকাশের নিচে। ভোর হলেই মহিষের দুধ সংগ্রহ শুরু করেন বাথান মালিকদের নিয়োগকৃত ঘোষালরা। তারপর ব্যবসায়ীদের তা বুঝিয়ে দিয়ে রাখাল ও ঘোষালরা একত্রিত হয়ে শুরু করেন রান্না। সকালে নাস্তার পর তারা বেরিয়ে পড়েন মহিষ চরাতে। এভাবে প্রতিদিন একই নিয়মেই চলছে তাদের জীবনযাত্রা। বাথানের মহিষ নিয়ে এক থেকে দেড় মাস পরপরই রাখালরা স্থান পরিবর্তন করেন। রাজশাহীর বাঘা থেকে ঈশ্বরদীর ডিগ্রীর চর, কুষ্টিয়ার মিরপুরের তালবাড়িয়া চর থেকে পাবনার সদর উপজেলার চরভবানীপুর চর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ পদ্মার চরজুড়ে মহিষ চারণভূমিতে পরিণত হয়েছে।

মহিষের বাথান মালিক বাবলু মন্ডল জানান, ১৫০টি ছোট-বড় মহিষ আছে তার বাথানে। দুজন রাখাল ও তিনি মহিষগুলো দেখভাল করেন। ২০টি মহিষ দিয়ে তিনি বাথান শুরু করেন। তিনি ২০ বছর ধরে মহিষের বাথানের সঙ্গে নদীর চরে থাকেন। পরিবারের প্রয়োজনে কখনো বাড়ি গেলে তার ছেলে থাকেন। ঝড়, বৃষ্টি আর প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে পদ্মার দুর্গম চরে দিনরাত থাকতে হয়। গ্রীষ্মের সময় প্রচণ্ড গরম হাওয়া আর শীতের সময় শৈত্যপ্রবাহ মোকাবিলা করেই থাকতে হয়। তা ছাড়া ডাকাত বা সন্ত্রাসীদের ভয় তো আছেই। যদিও সচরাচর রাতে এমন ঘটনা ঘটে না। তবে ঘটতে কতক্ষণ?

লক্ষ্মীকুন্ডার লালগোলার চরে কথা হয় মহিষ বাথানের মালিক আব্দুল হান্নানের সঙ্গে। তিনি  বলেন, বাথানের মহিষ শুধু সবুজ ঘাস খেতে পছন্দ করে। বর্ষাকালে নদীর চর ডুবে গেলে এদের ধানের পোয়াল, ধানের গুড়া, সরিষার খৈল ও ভূষি খেতে দেওয়া হয়। এগুলো খেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। মহিষ অপরিচিত মানুষ দেখলে তাকিয়ে থাকে এবং ছোটাছুটি করে। নদীর চরেই জন্ম ও বেড়ে ওঠা। শহরের খামারে এরা থাকতে পারে না। বাথানে এখন ৫০টি মহিষ আছে। প্রতিটি মহিষের দাম ২-৩ লাখ টাকা। প্রতিবছর রাখাল ও মহিষের খাবার খরচ বাদে প্রায় ৫ লাখ টাকা লাভ হয়।

সাঁড়া ইউনিয়নের সাহেবনগর চরের মহিষ বাথান মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন  বলেন, পদ্মার চরে মহিষ নিয়ে আছি প্রায় ২০ বছর। বাড়ি বাঘা উপজেলায়। এখন ঈশ্বরদীর সাহেবনগর চরে আছি। কয়েকদিন পর লক্ষ্মীকুন্ডা চর হয়ে চলে যাবো পাবনা ও কুষ্টিয়ার মিরপুরের তালবাড়িয়া চরে। বাথানে মহিষ পালন খুবই কষ্টের। ঝড়, বৃষ্টি ও রোদের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে কোনো রকমে পলিথিন টাঙিয়ে থাকতে হয়। সারাদিন মহিষ চড়িয়ে রাতেও মহিষের খেয়াল রাখতে হয়। সবচেয়ে কষ্টের বিষয় হলো ইদানিং চরের জমি যারা সরকারের কাছ থেকে বার্ষিক লিজে নেয়; তাদের কাছ থেকে খুব চড়া দামে লিজ নিয়ে মহিষ চরাতে হয়। চরের জমি যদি মহিষ-গরুর বাথান মালিকরা সরাসরি লিজ নিতে পারতো, তাহলে গরু-মহিষ পালনে খরচ কমে যেত।

রাখাল নজরুল ইসলাম নজুর সঙ্গে কথা হয় লক্ষ্মীকুন্ডার কামালপুর চরে। তিনি  বলেন, আমাদের জীবন বেদুঈনদের মতো। কদিন এখানে তো কদিন আরেক জায়গায়। পলিথিন ও ত্রিপলের তাঁবুতে থাকতে হয়। রান্না করে খেতে হয়। এ জীবনে যেমন মজা আছে, তেমনই কষ্টও আছে। ১০ বছর বয়সে পদ্মার চরে এসেছি। গরু-মহিষের সঙ্গে কেটে গেছে ১৭ বছর। আমার মতো শত শত মহিষ ও গরুর রাখাল পদ্মার চরে আছে। বাথানের মহিষরা রাখালদের চোখের কথা বুঝতে পারে। চোখ দিয়ে ইশারা দিলেই বুঝে যায় এখন কোন দিকে যেতে হবে ও কী করতে হবে। মাসিক চুক্তিতে রাখালরা কাজ করেন। প্রতিমাসে রাখালদের বেতন ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ডা. কাজী আশরাফুল ইসলাম  বলেন, বর্তমান সরকার মহিষ উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র থেকে প্রজনন বীজ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। ঈশ্বরদী ও পাবনার চরাঞ্চলে অসংখ্য মহিষের বাথান আছে। এসব বাথানে দেশি মহিষ বেশি। দেশি মহিষের নির্দিষ্ট কোনো জাত নেই। অনুন্নত জাতগুলোকে উন্নত করার জন্য এ প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বিদেশ থেকে ভালো মহিষের জাতের বীজ এনে দেশীয় মহিষের জাত উন্নত করতে কাজ করছি। এ ছাড়াও মহিষের জাত ও রোগ বালাই সম্পর্কে বাথান মালিক ও খামারিদের প্রশিক্ষণসহ সচেতন করা হয়। পাশাপাশি গরু-মহিষ অসুস্থ হলে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

নিউজ ট্যাগ: মহিষের বাথান

আরও খবর



বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে কোন ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি বা হুমকি নেই। সুনির্দিষ্ট কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি না থাকলেও সবকিছু মাথায় রেখে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে আসন্ন শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ২২ মে শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে সকল ধরণের নিরাপত্তামূলক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ডিএমপি। কেউ যাতে কোন প্রকার নাশকতা করতে না পারে এ জন্য ডিএমপির সকল অফিসার ও ফোর্সদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি আয়োজকদেরও সতর্ক থাকতে হবে। একাধিক জায়গায় অনুষ্ঠান হবে এবং প্রত্যেক জায়গায় আয়োজক আলাদা। প্রত্যেকটা জায়গায় আয়োজকদের পক্ষ থেকে একজন ফোকাল পয়েন্ট থাকবেন। আমাদের পুলিশের পক্ষ থেকে একজন ফোকাল পয়েন্ট অফিসার থাকবেন। তারা পারস্পরিক সমন্বয়ে কাজ করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশে যে সমস্ত ঘটনা ঘটে বা ধর্মীয় সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে এর বেশিরভাগই গুজব ও তুচ্ছ ঘটনা। এগুলো সংগঠিত কিছু নয়, ধর্মীয়ও কিছু নয়। সেগুলোকে যেন শুরুতেই দমন করতে পারি সে জন্য আমাদের সবাইকে তৎপর থাকতে হবে।

তিনি বলেন, যে সকল রাস্তায় শোভাযাত্রা যাবে, সেই সব রাস্তায় আগের দিন থেকেই পুলিশের তৎপরতা জোরদার করা হবে। বুদ্ধ পূর্ণিমার অনুষ্ঠান ঘিরে পুলিশের পক্ষ থেকে সিসিটিভি, আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর থাকবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান. অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম ও পুলিশ কমিশনারগণ, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, এসবি ও এনএসআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



যশোরের শার্শায় পরিত্যক্ত ৩টি হাতবোমা উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

যশোরের শার্শায় পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি মার্কেটের ভিতর থেকে তিনটি হাতবোমা উদ্ধার করেছে বাগআঁচড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার বাগআঁচড়া বাবু চেয়ারম্যান মার্কেটের ভিতর অবস্থিত টিউবওয়েলের পাশ থেকে এ বোমা তিনটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, স্থানীয় পথচারিরা মার্কেটের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় একটি পলিথিনে বোমা সাদৃশ্য বস্তু দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে বাগআঁচড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি হাতবোমা উদ্ধার করে।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বোমাগুলো উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। কারা এসব রাখতে পারে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



গরমে ক্লান্তি দূর করবে চিয়া সিড

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

গরমে লেবুর ঠান্ডা পানি মন জুড়িয়ে দেয়। কিন্তু অনেকেই গলা ভেজান কোল্ড ড্রিংসে। এই ধরনের পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ওজন বাড়িয়ে দেয় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে কোল্ড ড্রিংস ছাড়ুন। এই গরমের ফল আর সুপারফুড চিয়া সিড দিয়ে শরবত বানিয়ে খান। এতে ক্লান্তি দূর হবে।

এই বীজে প্রচুর ফাইবার রয়েছে। চিয়া সিডের পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি ওজন কমাতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা মুক্তি দেয়। রক্তে সুগার লেভেল ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

চিয়া সিডের মধ্যে থাকা ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড নামের এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।

চিয়া সিডের শরবত বানাতে বেশি কষ্ট করতে হয় না। এক গ্লাস পানিতে এক চামচ চিয়া সিড ভিজিয়ে রাখলেই কাজ শেষ। তবে, এই চিয়া সিড পানিকে আরও মজাদার বানাতে পারেন।

লেবু ও চিয়া সিডের পানি : পাতিলেবুর রস দিয়ে লেবুর পানি বানিয়ে নিন। চিনির বদলে এই পানিতে মধু মেশান। কয়েকটা পুদিনা পাতা পানিতে মিশিয়ে দিন। একদম শেষে এক চামচ ভেজানো চিয়া সিড মিশিয়ে দিন। এবার এই মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখে দিন। রোদ থেকে বাড়ি ফিরে এই লেবুর পানিতে চুমুক দিন। এক নিমেষে সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।

তরমুজ ও চিয়া সিডের পানীয় : তরমুজের শরবত শরীরকে ঠান্ডা ও হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। তরমুজের শরবতের সঙ্গে চিয়া সিড মিশিয়ে দিলে এর স্বাস্থ্য গুণ বেড়ে যায়। ব্লেন্ডারে তরমুজ ব্লেন্ড করে নিন। এবারে এতে পুদিনা পাতা ও লেবুর রস মিশিয়ে দিন। একদম শেষে এক চামচ ভেজানো চিয়া সিড মিশিয়ে দিন। এই পানীয় ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। তারপর খান। শরীরে সতেজতা এনে দেবে এই পানীয়।

নিউজ ট্যাগ: চিয়া সিড

আরও খবর



বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ জন্মবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাঙালির আত্মিক মুক্তি ও সার্বিক স্বনির্ভরতার প্রতীক, বাংলাভাষা ও সাহিত্যের উৎকর্ষের নায়ক, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী বুধবার (৮ মে)। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখের এই দিনে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

তার লেখা আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি গান বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। এদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার অনেক কবিতা ও গান ছিল সীমাহীন প্রেরণা উৎস।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে তার গীতাঞ্জলী কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। কবির গান-কবিতা, বাণী এই অঞ্চলের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তির ক্ষেত্রে প্রভূত সাহস যোগায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে শুধু নয়, চিরকালই কবির রচনাগুলো প্রাণের সঞ্চার করে। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ নোবেল বিজয়ী এই বাঙালি কবিকে স্মরণ করবেন তার অগণিত ভক্তরা। শুধু দুই বাংলার বাঙালিই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলা ভাষাভাষী কবির জন্মবার্ষিকীর দিবসটি পালন করবে হৃদয় উৎসারিত আবেগ ও শ্রদ্ধায়।

বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী  উপলক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার পতিসরে, কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়ী, সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর এবং খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হবে। এ উপলক্ষ্যে রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্রবিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।

কবি গুরুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বেলা ১১টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ছায়ানটের রবীন্দ্র-উৎসব ২৫ ও ২৬ বৈশাখ (৮ ও ৯ মে) ছায়ানট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়। দুইদিনব্যাপী এই উৎসবে পরিবেশিত হবে একক ও সম্মেলক গান, নৃত্য, পাঠ-আবৃত্তি। অনুষ্ঠানে ছায়ানটের শিল্পী ছাড়াও আমন্ত্রিত শিল্পী ও দল অংশ নেবেন। ছায়ানট মিলনায়তনে আয়োজিত এই উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত।


আরও খবর



কক্সবাজারে খাল থেকে দুই জেলের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুস্কুল ইউনিয়নের মনুপাড়া এলাকার একটি চিংড়ি ঘের থেকে দুই জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মারধর ও ইলেকট্রিক শর্ট দিয়ে তাদের দুজনকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে খুরুস্কুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে একটি চিংড়ির ঘের এলাকা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।

নিহতেরা হলেন খুরুস্কুল ইউনিয়নের মনুপাড়া গ্রামের মো: জামালের ছেলে আব্দুল খালেক এবং আবু তাহেরের ছেলে মো: ইয়াসিন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে খুরুস্কুল আশ্রয়ন প্রকল্পের পাশে একটি চিংড়ির ঘের এলাকায় লাশ দুটি দেখতে পেলে লোকজন পুলিশে খবর দেয়। কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ ও সিআইডি পুলিশের টিম লাশ দুটি উদ্ধার করে। এ সময় খুরুস্কুল ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান সিদ্দিকী ও তাদের আত্মীয়-স্বজন এসে লাশ শনাক্ত করে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহজাহান সিদ্দিকী জানান, তাদের দুজনের শরীরে মারধর ও বৈদ্যুতিক শর্টের দাগ রয়েছে।

নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে তারা দুজন চিংড়ির ঘেরে মাছ শিকার করতে গিয়ে আর বাড়িতে ফিরেনি। চিংড়ি ঘেরের মালিকের লোকজন মারধর ও ইলেকট্রিক শর্ট দিয়ে তাদের দুজনকে হত্যা করে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রাকিবুজ্জামান জানান, তাদের দুজনকে হত্যা করা হয়েছে কি-না তা তদন্ত করা হচ্ছে।

নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।


আরও খবর